1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘খাবারের ধর্ম হয় না'

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
২ আগস্ট ২০১৯

ফুড-অ্যাপ সংস্থা জোম্যাটোর এখন বাহবা এবং বদনাম, দুইই জুটছে৷ কারণ ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে দাঁড়িয়েছে তারা৷

Ramadan
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/dpa/A. Khan

‘ফুড ইজ রিলিজিয়ন'৷ খাবারই ধর্ম৷ সারা ভারতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে অনলাইনে খাবার আনানোর অ্যাপ ‘জোম্যাটো'–র এই টুইট৷ কেন এই ঘোষণা, তাও এখন সবার জানা৷ মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের বাসিন্দা অমিত শুক্লা জোম্যাটো মারফৎ খাবার আনতে দিয়েছিলেন৷ জনৈক ফৈয়াজ তাঁর খাবার ডেলিভারি দেবেন দেখতে পেয়েই অর্ডার বাতিল করেন শুক্লা৷ টাকাও ফেরত চান৷ কিন্তু জোম্যাটো জানায়, টাকা ফেরত দেওয়া যাবে না৷ যাঁরা বাড়িতে খাবার ডেলিভারি দেন, ফুড-অ্যাপের নিজস্ব পরিভাষায় যাঁদের ‘রাইডার'বলা হয়, তাঁদের ধর্মীয় পরিচয় কখনোই অর্ডার বাতিলের কারণ হতে পারে না৷ সাফ জানিয়ে দেয় জোম্যাটো৷
এই সাহসী এবং বলিষ্ঠ অবস্থান নেওয়ার জন্য প্রশংসা এবং নিন্দা, দুইই এখন উঠছে জোম্যাটোর৷ একদল সমর্থন করছেন জোম্যাটো কর্তৃপক্ষের এই ধর্ম নিরপেক্ষ অবস্থান৷ আর অন্যদল সোজা কথাটা মুখের ওপর বলে দেওয়ায় ক্ষিপ্ত৷ কার্যত লাখ লাখ লোক গুগল প্লেস্টোরে গিয়ে জোম্যাটো অ্যাপটিকে সবথেকে কম রেটিং দিয়ে আসছেন৷ বহু লোক অ্যাপটি নিজেদের মোবাইল থেকে আন-ইনস্টল করে তার ঘোষণা দিচ্ছেন৷ অনেকে #বয়কট_জোম্যাটো হ্যাশট্যাগ চালু করেছেন সোশাল মিডিয়ায়৷ আরেক ফুড অ্যাপ সংস্থা উবার ইট্স-ও জোম্যাটোকে সমর্থন করে একইভাবে এক শ্রেণির রোষের শিকার হচ্ছে৷
পাশাপাশি একটি সমালোচনাও উঠে আসছে, যে জোম্যাটো যখন হালাল মাংসের খাবার, জৈনদের খাওয়ার উপযুক্ত নিরামিষ খাবার, বা নবরাত্রি উৎসবের স্পেশাল থালির বিজ্ঞাপন নিজেদের অ্যাপে দেয়, তখন তাদের একথা বলা সাজে না যে খাবারের কোনও ধর্ম হয় না৷ কারণ এটা দ্বিচারিতা৷ যেমন বললেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী সুজিত দাস, যে এটা মুদ্রার অপর পিঠ৷ ‘জোম্যাটো যেমন বলে ফুড হ্যাজ নো রিলিজিয়ন, তেমনই বিপণনের সময় জোম্যাটোর মাথায় রাখা দরকার, যে রিলিজিয়ন শুড নট এন্টার ফুড!'
এই আপাত পরস্পরবিরোধিতার ব্যাখ্যা দিয়েও টুইট করেছে জোম্যাটো৷ লিখেছে, যে সব রেস্তোরাঁ হালাল মাংসের খাবার বিক্রি করে বলে নির্দিষ্ট চিহ্নিতকরণ দাবি করে, তাদের ক্ষেত্রেই সেটা উল্লেখ থাকে৷ যেমন সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবার, বা ‘ভেগান' খাবারের ক্ষেত্রে থাকে৷ নয়ত জোম্যাটো সত্যিই বিশ্বাস করে, খাবারের কোনও ধর্ম হয় না৷
আর কলকাতার যে বহুল জনপ্রিয় বিরিয়ানি–কাবাবের রেস্তোরাঁগুলো আছে, তারা এ ব্যাপারে কী ভাবছে?‘সান্ঝা চুল্হা'রেস্তোরাঁর মালিক মুসলিম৷ তাদের যে কর্মীটি খাবার হোম ডেলিভারির অর্ডার নেন, তিনি হিন্দু৷ গ্রাহকদের ধর্মীয় পছন্দ সম্বন্ধে তাদের সাফ কথা-আমাদের যারা রান্না করে, যারা ডেলিভারি দেয়, তারাই থাকবে৷ যদি সেটা কারও পছন্দ না হয়, তিনি স্বচ্ছন্দে অন্য রেস্তোরাঁ থেকে খাবার আনাতে পারেন৷

সাঞ্ঝা চুল্লা

This browser does not support the audio element.

সুজিত দাস

This browser does not support the audio element.

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ