রাশিয়ার আক্রমণের পর এই প্রথম সরকারিভাবে কিয়েভের বাইরে গেলেন জেলেনস্কি। ঘুরে দেখলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত খারকিভ।
বিজ্ঞাপন
খারকিভে নিরাপত্তাবাহিনীর দায়িত্বে থাকা কম্যান্ডারকেও সরিয়ে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, খারকিভে সেনা জওয়ানরা প্রাণপাত করে লড়াই করলেও ওই অঞ্চলের সেনাপ্রধান যথেষ্ট কাজ করেননি। সে কারণেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হলো। তবে ওই সেনাপ্রধানকে রাশিয়ার চর বলে সম্বোধন করেননি জেলেনস্কি। এর আগে সেনাবাহিনীর ভিতরে এমন চরদেরও চিহ্নিত করেছেন জেলেনস্কি। তাদের শাস্তিও দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ ঘোষণার পর এই প্রথম সরকারিভাবে কিয়েভের বাইরে গেলেন জেলেনস্কি। খারকিভের পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, খারকিভের ৩১ শতাংশ রাশিয়ার সেনা দখল করে নিয়েছে। চার শতাংশ ইউক্রেন ফিরিয়ে নিতে পেরেছে। এখনো সেখানে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ার সেনা। কতগুলি বাড়ি সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারও হিসেব দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। রোববার খারকিভে তার যে ছবি প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট গায়ে দিয়ে এলাকা পরিদর্শন করছেন তিনি। তার ঠিক পাশেই ইউক্রেনের জাতীয় সেনাপ্রধান।
কার্টুনিস্টদের দৃষ্টিতে ইউক্রেন যুদ্ধ ও পুটিন
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব সারা বিশ্বেই পড়েছে৷ বিভিন্ন দেশের কার্টুনিস্টরা এই যুদ্ধ নিয়েই বেশ কিছু কার্টুন এঁকেছেন এবং তা নিয়ে প্রদর্শনীও হয়েছে জার্মানির ডর্টমুন্ড শহরে৷ দেখুন ছবিঘরে...
মাদার ওয়ার
ইটালির কার্টুনিস্ট পাওলো লাম্বার্ডি ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তার কার্টুনটির নাম দিয়েছেন ‘মাদার ওয়ার’৷ সেখানে ইউক্রেনে হামলা শুরু করা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনকে দেখানো হয়েছে যমদূত গ্রিম রিপারের কোলে৷ পুটিনকে ফিডারে দুধ খাওয়াচ্ছেন মৃত্যুদূত৷ চার পাশে মাছি এমনভাবে উড়ছে যেন পুটিন হয় মরে গেছেন, নয়তো অচিরেই মরবেন!
দ্য নেভিগেটর
ডাচ কার্টুনিস্ট জিয়ার্ড রয়ার্ডসের কার্টুনেও পুটিন ভিলেন৷ এখানে রুশ প্রেসিডেন্টকে দেখানো হয়েছে অদ্ভুত এক বাহন রূপে৷ একমাত্র যাত্রী শয়তানকে পাশে নিয়ে বাহনটি চালাচ্ছেন যমদূত গ্রিম রিপার৷ চলন্ত যানে বসে পত্রিকা পড়ছেন শয়তান৷ পত্রিকার নাম ‘রোড টু থার্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার’৷ ইঙ্গিতটা খুব স্পষ্ট – বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন যুদ্ধবাজ পুটিন৷
অস্ত্রের রূপান্তর
উজবেকিস্তানের মাখমুদ এশনকুলভের ইউক্রেন যুদ্ধ দেখে মনে হয়েছে মানুষ সৃষ্টির আদিকাল থেকে অনেক এগিয়েছে ঠিকই, তবে সেই অগ্রগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানবজাতির বড় একটা অংশের মধ্যে যুদ্ধপ্রীতিও বেড়েছে৷ তাই তার কার্টুনে বানর নিরস্ত্র, নিয়ান্দারথালের হাতে মুগুর, তারপর মানুষের হাতে আধুনিক অস্ত্র৷ মানুষের অগ্রগতি আর অস্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি যেন সমার্থক!
অস্ত্রের নাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পাসওয়ার্ড ফেক.নিউজ
কিউবার মিগুয়েল মোরালেস এ যুগের যুদ্ধে প্রপাগান্ডার গুরুত্ব কতটা তা ফুটিয়ে তুলেছেন৷ তার মতে, যুদ্ধের সবচেয়ে বড় অস্ত্রাগারের নাম প্রপাগান্ডা আর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অস্ত্র এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অর্থাৎ টুইটার, ফেসবুক আর ইন্সটাগ্রাম৷ ঘরে বসে শুধু এই তিন অস্ত্রের বোতামে টিপুন, ব্যস যুদ্ধে অনেক এগিয়ে যাবেন৷ চলমান যুদ্ধেও যে প্রপাগান্ডার লড়াই চলছে কার্টুনের মাধ্যমে তা-ই জানাতে চেয়েছেন কিউবান শিল্পী৷
চির ক্ষুধার্ত রাশিয়া
ইউক্রেনের মতো লিথুয়ানিয়াও এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল৷ এখন ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া৷ লিথুয়ানিয়ার কার্টুনিস্ট কাজিস কেস্তুতিস সিয়াউলিতিসের তাই ভয়- ভবিষ্যতে না তার দেশের দিকেও হাত বাড়ায় রাশিয়া৷ সিয়াউলিতিসের চোখে তাই রাশিয়া এমন এক মাছ যার ক্ষুধা মরে কঙ্কাল হয়ে যাওয়ার পরও মিটবে না, কঙ্কালও হাঁ করে গিলতে থাকবে একের পর এক দেশ৷
যুদ্ধকে ‘না’
যুদ্ধ একটা দেশকে কী ভয়ানক খারাপ অবস্থায় ফেলতে পারে তা আফগানিস্তারের কার্টুনিস্ট শহিদ আতিকুল্লার চেয়ে বেশি ক’জন বুঝবেন!তিনি তাই নরওয়েজিয়ান শিল্পী এডওয়ার্ড মুঞ্চ- এর ১৯৮৩ সালে আঁকা আইকনিক ছবি ‘দ্য স্ক্রিম’ ধার করে সৃষ্টি করেছেন যুদ্ধবিরোধী বার্তা দেয়া এক ক্যারিকেচার৷ ক্যারিকেচারে ব্যবহার করেছেন বোমায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনের কোনো এক শহরের ছবি৷
যুদ্ধ করো না, ভালোবাসো
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে চলছে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ৷ কিন্তু পুটিন যুদ্ধ থামাননি৷ তুরস্কের মেনেকসে চাম তার কার্টুনে তুলে ধরেছেন শান্তির বাণী৷ ‘নো ওয়ার’ শীর্ষক কার্টুনে তাই গ্রিম রিপার কাঁটা দিয়ে গল্ফ খেলছেন আর চার পাশ থেকে শান্তিকামী মানুষরা তুলছেন ‘যুদ্ধ করো না, ভালোবাসো’ স্লোগান৷
ন্যাটোর প্রেমে
ইউক্রেন যুদ্ধের বড় কারণ ইউক্রেনের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা৷ পুটিন সে কথাই বলছেন বারবার৷ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমেরের কার্টুনেও তাই ইউক্রেন ন্যাটোর প্রেমে পড়া এক কিশোরী, সেই কিশোরী প্রেমভরা দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে ন্যাটোর দিকে, কিন্তু তাকে উল্টো দিকে টানছে রাশিয়া৷
পুটিন যেমন
আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করার কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না৷ নিজের অবস্থানে ভ্লাদিমির পুটিন অনড়৷ তাই পুটিনের বহুল আলোচিত টেবিলে শুধু পুটিনকে বসিয়েই তার একরোখা মানসিকতা ফুটিয়ে তুলেছেন জার্মানির আগোস্টিনো টালে৷ দীর্ঘ টেবিলের এক প্রান্তে পুটিন অন্য প্রান্তে আয়নায় তারই প্রতিচ্ছবি৷ আগোস্টিনো আসলে মনে করেন, পুটিন শুধু নিজের দিকটাই দেখেন, অন্য কারো কথা তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়৷
ড. অক্টোপুটিন
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যত নিষেধাজ্ঞাই আরোপ করা হোক না কেন, মাকাওয়ের কার্টুনিস্ট রডরিগো মনে করেন চলমান যুদ্ধে পুটিনই এখনো সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন৷ তার সুবিধাজনক অবস্থায় থাকার প্রধান কারণ ইউরোপের বেশ কিছু দেশের রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা৷
10 ছবি1 | 10
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিতর্ক
রাশিয়ার তেলের উপর সার্বিক নিষেধাজ্ঞা বা এমবার্গো ঘোষণার বিষয়ে এখনো দ্বিধাবিভক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রোববার এনিয়ে চাপসৃষ্টি করেছেন জেলেনস্কি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার গ্যাসের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা চাপানোর জন্য একটি প্রস্তাব পেশ করেছিল। জার্মানি, ফ্রান্সের মতো দেশগুলি তাতে সম্মত হলেও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলি বাদ সাধে। তাদের বক্তব্য, তারা সম্পূর্ণভাবে রাশিয়ার দেওয়া তেল এবং গ্যাসের উপর নির্ভরশীল। এই পরিস্থিতিতে এমন প্রস্তাবে সম্মত হওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। গত একসপ্তাহ ধরে এনিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। প্রস্তাবটিতে পরিবর্তনও আনা হয়েছে। নতুন প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সমুদ্রপথে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল নেওয়া যাবে না। তবে পাইপের মাধ্যমে রাশিয়া বিভিন্ন দেশকে যে তেল দেয়, তা নেওয়া যাবে। বস্তুত, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, চেক রিপাবলিকের মতো দেশে পাইপলাইনের মাধ্য়মে রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ তেল আসে।
কিন্তু নতুন প্রস্তাবেও সকলে সহমত হবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। গোটা বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক তৈরি করেছে হাঙ্গেরি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিধ্বস্ত ট্যাংক নিয়ে প্রদর্শনী
ইউক্রেনে হামলা করতে গিয়ে বেশ কিছু সামরিক যান হারিয়েছে রাশিয়া৷ বিধ্বস্ত কিছু ট্যাংক নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির রাজধানীতে আয়োজন করা হয়েছে একটি প্রদর্শনী৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
কিয়েভের কেন্দ্রে প্রদর্শনী
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দেশটির রাজধানী কিয়েভে হামলার ঘটনা ঘটলেও বর্তমানে সেখানে আর নতুন হামলার কথা শোনা যাচ্ছে না৷ বরং রাজধানীর কেন্দ্রে এক প্রদর্শনী চলছে, যেখানে রাশিয়ার বিধ্বস্ত বিভিন্ন ট্যাংকসহ সামরিক যান জনসাধারণের দেখার জন্য রাখা হয়েছে৷ ছবিতে এক শিশু একটি ট্যাংক দেখছে৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
রাস্তার পাশে বিধ্বস্ত ট্যাংক
কিয়েভের রাস্তার পাশে পড়ে থাকা এক বিধ্বস্ত রুশ ট্যাংকের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে একদল তরুণ৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
বিধ্বস্ত ট্যাংকের সামনে শিশু
কিয়েভের কেন্দ্রে প্রদর্শিত একটি বিধ্বস্ত ট্যাংকের সামনে ছবির জন্য পোজ দিচ্ছে এক শিশু৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
খুঁটিয়ে দেখা
কিয়েভে প্রদর্শিত একটি রুশ ট্যাংক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন একদল ইউক্রেনীয়৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
স্বাভাবিক পরিস্থিতি
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের ছবিগুলোতে প্রদর্শনীর স্থানে বেশ স্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখা গেছে৷ ছবিতে বিধ্বস্ত ট্যাংকের পাশ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
যুদ্ধের পরিস্থিতি নিয়ে নানা বক্তব্য
ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমগুলোতে নানা খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ সেখানকার প্রকৃত অবস্থা বোঝা এখনো কঠিন৷ দেশটির উপর রাশিয়ার হামলার তিন মাস পর প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আগামী কয়েক দিনে আরো জোরালো রুশ হামলার আশঙ্কা করছেন৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
6 ছবি1 | 6
তাহলে কি ইউক্রেন যুদ্ধে এবার দ্বিধাবিভক্ত হলো ইইউ? এ প্রশ্ন উঠছে। স্বয়ং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এ প্রশ্ন তুলেছেন। কেন ইইউ-র নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করতে এত সময় লাগছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি। জার্মানিও বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছে। এদিকে জার্মানির গ্যাসের মজুত ক্রমশ কমে আসছে বলে জানা গেছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন প্রস্তাব মেনে নিলে রাশিয়া জার্মানির গ্যাস বন্ধ করে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন কূটনীতিকরা।
ন্যাটো পূর্ব ইউরোপে সেনা মোতায়েন করতে পারে
ন্যাটোর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল রোববার একথা জানিয়েছেন সংবাদসংস্থা এএফপি-কে। তার বক্তব্য, রাশিয়া প্রথম ন্যাটোর চুক্তি ভঙ্গ করেছে। ফলে এবার ন্যাটোও পূর্ব ইউরোপে নিজের মতো করে সেনা মোতায়েন করতে পারে।
১৯৯৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী ন্যাটো রাশিয়ার সীমান্তে পূর্ব ইউরোপে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে পারবে না। অন্যদিকে রাশিয়াও তার সুযোগ নিয়ে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলির উপর আক্রমণ চালাতে পারবে না। আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে হবে।
ন্যাটোর কর্মকর্তার দাবি, রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়ে প্রথম সে চুক্তি ভঙ্গ করেছে। ফলে এবার ন্যাটোও পূর্ব ইউরোপে সেনা ঘাঁটি তৈরি করে ফেলতে পারে। একাজে আর কোনো বাধা থাকল না।
এর্দোয়ানের অবস্থান
অন্যদিকে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের ন্যাটোয় যোগদান নিয়ে এখনো সন্তুষ্ট নন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসী নিয়ে ওই দুই দেশের অবস্থানে এখনো সন্তুষ্ট নন তিনি। বস্তুত, কুর্দযোদ্ধাদের সংগঠন পিকেকে নিয়ে চিন্তিত এর্দোয়ান। তুরস্কে ওই সংগঠন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে পরিচিত। ন্যাটোর তালিকাতেও তাদের একই পরিচয়। কিন্তু সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড তাদের সন্ত্রাসী বলে মনে করে না বলে দাবি এর্দোয়ানের। সম্প্রতি এবিষয়টি মিটিয়ে ফলতে তুরস্কে গিয়েছিলেন ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের প্রতিনিধিরা। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি বলেই মনে করা হচ্ছে।