খারকিভ থেকে রাশিয়ার সেনাকে সরানো গেছে বলে দাবি জেলেনস্কির।
বিজ্ঞাপন
যুদ্ধের শুরু থেকেই উত্তর পূর্ব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর খারকিভে লাগাতার আক্রমণ চালাচ্ছিল রাশিয়া। কিছুদিন আগে রাশিয়া দাবি করেছিল, খারকিভের অনেকটাই তারা দখল করে নিয়েছে। বস্তুত, ইউক্রেনও রাশিয়ার দাবি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছিল। এবার ফের খারকিভ নিজেদের দখলে আসার দাবি করল ইউক্রেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনের একাধিক প্রশাসনিক অফিসার বুধবার বলেছেন, খারকিভের অন্তত চারটি জায়গা থেকে রাশিয়ার সেনাকে সরিয়ে দেওয়া গেছে। খারকিভের উত্তরে ওই শহরগুলি কার্যত পুনর্দখল করেছে ইউক্রেনের সেনা এবং যোদ্ধারা।
এদিনের বক্তৃতায় জেলেনস্কি সমস্ত যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি অতিরিক্ত জাতীয়তাবাদের প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। জেলেনস্কি বলেছেন, ''এমনিই যোদ্ধারা রাশিয়াকে আটকে দিতে পেরেছে। অতিরিক্ত জাতীয়তাবাদের আবহ তৈরি করার প্রয়োজন নেই।''
ইউক্রেনে ‘রাশিয়ার’ বিজয় উদযাপন
মারিউপল এখন রুশ সৈন্যদের নিয়ন্ত্রণে৷ সোমবার সেখানে জার্মানির নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের জয়ের ৭৭তম বার্ষিকী উদযাপন করলেন মারিউপোলের রুশপন্থি অধিবাসীরা৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Alexander Ermochenko/REUTERS
রুশ বাহিনীর প্রতীক নিয়ে পদযাত্রা
মারিউপল দখলে নেয়ার পর তা ঘোষণা করেই জানিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন৷ তারপর থেকে মোটামুটি রাশিয়ার একটি শহরের মতো করেই চলছে বন্দর নগরটির জনজীবন৷ সোমবার রাশিয়ায় যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয় দিবস পালিত হয়েছে, ইউক্রেনের শহরটিতেও পালন করা হয়েছে ঐতিহাসিক সদিন৷ ছবিতে রুশ সেনাবাহিনীর প্রতীক সেন্ট জর্জেস রিবন নিয়ে নিয়ে পদযাত্রার মুহূর্ত৷
ছবি: Pavel Klimov/REUTERS
সংগীত পরিবেশন
এক সময় রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই ভূখণ্ডই ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত৷ তাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের জয়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্কটা ঐতিহাসিক৷ তবে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর বাস্তবতা বদলে গেছে৷ মারিউপলে সোভিয়েত বাহিনীর বিজয় উদযাপনের অনুষ্ঠানে রুশপন্থি এই শিল্পী যখন গান গাইছিলেন, তখন ইউক্রেনের অনেক জায়গায় রাশিয়ার সৈন্যদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয়রা লড়ছিল৷
ছবি: Alexander Ermochenko/REUTERS
মেলার আবহ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাবাহিনীর ঐতিহাসিক বিজয়ের ৭৭তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে আনন্দমেলার আবহে৷ ছবিতে টিনজাত মাংস সাজানো টেবিল ঘিরে অনুষ্ঠানে আগতদের ভিড়৷
ছবি: Alexander Ermochenko/REUTERS
সোভিয়েত আমলের পতাকা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয় উদযাপনের দিনে মারিউপলের কোথাও কোথাও এভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতাকাও ওড়ানো হয়৷
ছবি: Alexander Ermochenko/REUTERS
শৈশবে ফিরে যাওয়া?
ছবির এই প্রবীণ নারী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয় দিবসে যেন শৈশবে ফিরে গিয়েছিলেন৷ তখন যেমন মেলায় বেলুন হাতে ঘুরে বেড়াতেন সোমবার সেভাবেই ঘুরতে দেখা যায় তাকে৷
ছবি: Alexander Ermochenko/REUTERS
রুশ সেনাদের আনন্দ
মারিউপলের রাস্তায় এক গাড়িতে দুই রুশ সেনা৷ রয়টার্সের সাংবাদিককে ক্যামেরা হাতে দেখে সানন্দে হাত নাড়েন তারা৷
ছবি: Alexander Ermochenko/REUTERS
‘দোনেৎস্ক প্রজাতন্ত্রের প্রধান’
ছবির এই ব্যক্তির নাম ডেনিস পুশলিন৷ ইতিমধ্যে ইউক্রেনের দোনেৎস্ককে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে নিজেকে ঘোষণা করেছেন সেই প্রজাতন্ত্রের প্রধান শাসক হিসেবে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয় উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতায় তিনিও ছিলেন৷
ছবি: Alexander Ermochenko/REUTERS
পথে পথে রুশদের বিজয়ের স্মারক
মারিওপলের এক রাস্তার মোড়ে রুশ ভাষায় ‘৯ মে’ লেখা দুটি বিলবোর্ড৷ ৭৭ বছর আগে এই দিনেই জার্মানির নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাবাহিনী৷
ছবি: Alexander Ermochenko/REUTERS
কঠোর নিরাপত্তা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয় উদযাপন যাতে নির্বিঘ্নে শেষ হয় তা নিশ্চিত করায় সব সময় তৎপর ছিলেন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সদস্যরা৷
ছবি: Alexander Ermochenko/REUTERS
9 ছবি1 | 9
মার্কিন সাহায্য
অ্যামেরিকার কংগ্রেস বুধবার ইউক্রেনের জন্য আরো ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে। কংগ্রেসে সেই বিল শুক্রবার পাশ হয়ে যাওয়ার কথা।
সামরিক সাহায্যের পাশাপাশি মানবিক এবং অর্থনৈতিক খাতেও ওই অর্থ ব্যয় হবে। কংগ্রেসে পাশ হলে এ সপ্তাহের শেষের দিকে তা সেনেটে পাশ হওয়ার কথা।
সাবেক প্রেসিডেন্টের মৃত্যু
বৃহস্পতিবার ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট লিওনিদ ক্রাভচুকের। সোভিয়েতের পতনের পর তিনিই স্বাধীন ইউক্রেনের প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তার আমলে ইউক্রেন ক্রমশ পশ্চিমের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে। পরমাণু শক্তি পরিত্যাগ এবং পশ্চিমের কাছে নিরাপত্তার গ্যারান্টি চাওয়ার ঘটনাও তার আমলে ঘটেছিল।