মেডিকেল প্রতিবেদন জমা না পড়ায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়ায় আপিল আদালতেই বিক্ষোভ করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা৷
বিজ্ঞাপন
জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার পর বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা প্রায় তিন ঘণ্টা আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে অবস্থান নিয়ে তুমুল হট্টগোল করেন৷
ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতির মেডিকেল প্রতিবেদন না আসায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এ মামলার শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়৷
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চে আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে মেডিকেল প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং ১২ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন৷
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শুনানির দিন এগিয়ে আনার দাবিতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এজলাস কক্ষেই ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস', ‘বেইল ফর খালেদা জিয়া' বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন৷
কয়েকবার চেষ্টার পরও তাদের শান্ত করা সম্ভব না হওয়ায় বিচারকরা এজলাস থেকে নেমে যান৷
প্রায় সোয়া ১ ঘণ্টা পর তারা ফিরে এলেও বিশৃঙ্খার কারণে দুপুর পর্যন্ত আর কোনো মামলার কার্যক্রম শুরু করা যায়নি৷
প্রধান বিচারপতি এ পরিস্থিতিকে ‘নজিরবিহীন' বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড নিয়ে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি আছেন খালেদা৷ জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলে তার মুক্তির পথ খুলবে৷
গত ২৮ নভেম্বর খালেদার জামিন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা থাকলেও সেদিন তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানতে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন চায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ৷
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ওই মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার আদালতে যাওয়ার কথা ছিল৷
কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে আপিল বিভাগে শুনানির শুরুতেই বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ভিসি আমাকে ইনফর্ম করেছেন, খালেদা জিয়ার কিছু টেস্ট হয়েছে, কিছু টেস্ট বাকি আছে৷ এর জন্য সময়ের প্রয়োজন৷’’
এসএনএল/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
খালেদার বিরুদ্ধে হাসিনার যত কথা
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিভিন্ন সময় তীর্ষক মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা৷ চরম রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিয়ে কী কী বলেছেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, দেখুন গ্যালারিতে৷
ছবি: Getty Images/AFP/FARJANA K. GODHULY
পাগল-ছাগল
পদ্মা সেতু নিয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্য প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘সেতু তো বিভিন্ন পার্ট (অংশ) তৈরি করে করে নির্মাণ হয়৷ এক্ষেত্রে তো জোড়া দিয়েই সেতু করা হয়৷ জোড়া না দিলে তো সেতু হয় না৷ কিন্তু উনি জোড়াতালি দিয়ে কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা আমার বোধগম্য নয়৷ বাংলাদেশে তো একটা প্রচলিত কথা রয়েছে পাগলে কি না কয়, ছাগলে কি না খায়৷’’
ছবি: AP/DW
ছোটলোক
এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আর যাই হোক আমি প্রধানমন্ত্রী৷ তার ছেলে যখন মারা গেল, আমি তার বাড়িতে গেলাম৷ কিন্তু আমাকে ঢুকতে দেওয়া হল না৷ এই ধরনের ছোটলোকিপনা যারা করে; তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন কোন মুখে?” বিস্তারিত জানতে প্লাস চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: Mustafiz Mamun
ঘিলু নেই
পদ্মা সেতু নিয়ে খালেদা জিয়ার মন্তব্যের জের ধরে হাসিনা বলেন, একটা জিনিস তৈরি করতে হলে কিভাবে কোন পদ্ধতিতে করা হয়, যার মাখায় ওইটুকু ঘিলু নেই, তিনি কি করে এটি বুঝবেন? তার মাথায় শুধু ঘিলু আছে চুরি করার, টাকা বানানোর আর এতিমের টাকা মেরে খাওয়ার, মানুষ পোড়ানোর, মানুষ হত্যার৷
ছবি: Bdnews24.com
জঘন্য মনোবৃত্তি
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, উনি (খালেদা) বলেছেন, ওখানে (ভোটকেন্দ্রে) নাকি পুলিশ ছিল আর কুকুর ছিল৷... এটা কোন ধরনের কথা যে ভোটারদের উনি কুকুর বললেন৷ এই যে ৪৩ ভাগ মানুষ ভোট দিল৷ ওনার দৃষ্টিতে সবাই কুকুর?... কত বড় জঘন্য মনোবৃত্তি৷ মানবসন্তান ও ভোটারদের উনি কুকুর হিসেবে ডাকলেন৷ এই জাতীয় নোংরা কথা, এই জাতীয় গালি এটা তাঁর মুখে সাজে৷
ছবি: PID
দুপুর পর্যন্ত ঘুম!
বিএনপির সাংসদ রুমিন ফারহানার এক প্রশ্নের জবাবে সংসদে শেখ হাসিনা পাল্টা প্রশ্ন রাখেন, তার নেত্রী খালেদা জিয়ার মতো বেলা ১২টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে কাটালেই তিনি খুশি হতেন কি না? রাত ১০টার পর শুরু হওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের খবর জানতে মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় গণমাধ্যমকর্মীদের৷ বিস্তারিত জানতে প্লাস চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: Mustafiz Mamun
বরণডালা নয়
২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপিকে আনতে খালদো জিয়াকে বরণডালা পাঠাতে হবে কি না সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন শেখ হাসিনা৷ তিনি বলেছিলেন, কার সঙ্গে আলোচনা? কিসের প্রস্তাব! একবার প্রস্তাব দিয়ে যে ঝাড়িটা খেলাম… তাকে আর প্রস্তাব দেওয়ার দরকার আছে বলে মনে করি না৷ বিস্তারিত জানতে প্লাস চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: government's press department
শোক বার্তাও তৈরি ছিল
২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় মৃত্যু হলে শোক জানানোর জন্য খালেদা জিয়া বার্তাও তৈরি করে রেখেছিলেন বলে ভয়াবহ ওই হামলার ১৫ বছর পূর্তিতে গত ২১ আগস্ট এক আলোচনা সভায় দাবি করেন শেখ হাসিনা৷ বিস্তারিত জানতে প্লাস চিহ্নে ক্লিক করুন৷