আইন অনুযায়ী দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন মতামত পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক৷
বিজ্ঞাপন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে আবেদন করেছিলেন তার পরিবার৷ এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামত জানতে চেয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ রোববার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সেই মতামত পাঠিয়েছেন৷
বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ‘‘খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার আবেদনে অনুমতি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি এ লিগ্যাল অপিনিয়ন দিয়েছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি৷’’
এই বিষয়ে বিস্তারিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানাবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘একবার যখন একটা সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, ৪০১ ধারায় কার্যক্রম শেষ হয়ে গেছে, সেজন্য এটাকে আরেকবার রিওপেন করার সুযোগ নেই৷ সেক্ষেত্রে বিদেশে যাওয়ার আবেদনে অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই৷’’
আইনমন্ত্রীর এ মতামত পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে তার ভাই শামীম এস্কান্দারের আবেদনটি গ্রহণ করতে পারলাম না৷’’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এর আগে বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদন সরকার ‘ইতিবাচক দৃষ্টিতেই’ বিবেচনা করছে৷ গত ৫ মে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর অনুমতি চেয়ে তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার আবেদন করেন৷ পরদিন পাসপোর্ট নবায়নের জন্যও আবেদন করা হয়৷
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ গত বছর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার৷ শর্ত অনুযায়ী, এই সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না৷
এফএস/এডিকে (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
মার্চের ছবিঘরটি দেখুন...
করোনার কালে খালেদার বাড়ি ফেরা
‘মানবিক বিবেচনায়’ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য কারামুক্তি মিলেছে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার৷ গুলশানে নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন তিনি৷
ছবি: Asif Mahmud Ove
খালেদার শর্তসাপেক্ষে মুক্তি ঘোষণা
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ২৪ মার্চ জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানান৷
ছবি: Asif Mahmud Ove
মুক্তির দিন
দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে মুক্তির আদেশের নথি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারা কর্তৃপক্ষের হাত ঘুরে ২৫ মার্চ স্থানীয় সময় বিকাল ৩টার পর বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে পৌঁছায়৷ তারপরই প্রায় ২৫ মাস পর কারাগার থেকে বাড়িতে ফেরেন খালেদা জিয়া৷
ছবি: Asif Mahmud Ove
নেতাকর্মীদের ভিড়
খালেদা জিয়ার মুক্তির খবর পেয়ে বুধবার সকালের পর থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সামনে জড়ো হন৷ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন৷
ছবি: Asif Mahmud Ove
ভাইয়ের সঙ্গে গাড়িতে খালেদা
নেতা-কর্মীদের ভিড় আর স্লোগানের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা হাসপাতাল থেকে বের হয়ে নিজের নিশান পেট্রোল গাড়িতে উঠেন৷ তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ছিলেন চালকের আসনে৷ শামীমের স্ত্রী কানিজ ফাতেমাও ছিলেন ওই গাড়িতে৷
ছবি: Asif Mahmud Ove
মানবিক কারণে মুক্তি
বয়স এবং অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রধান হিসেবে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের৷
ছবি: Asif Mahmud Ove
গুলশানে নিজ বাড়িতে
শামীম এস্কান্দার নিজে গাড়ি চালিয়ে খালেদাকে গুলশানে তার বাড়ি ‘ফিরোজায়’ পৌঁছে দেন৷ মুক্তির শর্তানুযায়ী খালেদাকে এই ছয়মাস নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে৷ এ সময়ে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না৷
ছবি: Asif Mahmud Ove
যে কারনে কারাবাস
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে বন্দি ছিলেন৷