খালেদা জিয়ার সফরে সম্পর্কের বরফ গলার বার্তা
৩১ অক্টোবর ২০১২![](https://static.dw.com/image/15653209_800.webp)
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এবং নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সলমান খুরশিদের সঙ্গে বৈঠকে খালেদা জিয়া স্পষ্ট করে জানিয়ে গেলেন যে, সামনের নির্বাচনে ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের মাটিতে ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বরদাস্ত করবে না বিএনপি সরকার৷ পাশাপাশি, ভারতের তরফে তিস্তা চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়ন, বাংলদেশ সীমান্তে প্রাণহানির ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস আদায় করে নিলেন তিনি৷
হাসিনা সরকারের সঙ্গে দিল্লির ঘনিষ্টতা কারোর অজানা নয়৷ তুলনায় বিএনপি'র সঙ্গে সম্পর্ক ছিল শীতল৷ উপমহাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেই শীতলতা কাটাতে উভয় পক্ষই যে উদ্যোগী৷ এর প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার মন্তব্য খুব অর্থবহ: ‘‘অতীতের দিকে তাকাতে চাই না৷ তাকাতে হবে ভবিষ্যতের দিক৷'' সেটাই খালেদা জিয়ার সফরের মোদ্দা কথা৷
ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় থেকে খালেদা জিয়ার সফরকে বলা হয় ইতিবাচক৷ বহুদলীয় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দিল্লির সুসম্পর্ক বজায় রাখার প্রয়াসে বিএনপিও ইতিবাচক বলে মনে করছে৷ ভারতের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সলমান খুরশিদের সঙ্গে বৈঠকে ভারতের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দেন খালেদা জিয়া৷
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক পার্থ প্রতিম বসু মনে করেন, ভারতের দিক থেকে নীতি পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘‘একই ঝুড়িতে সব ডিম রাখা কাজের কথা নয়৷ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে একটা প্রবণতা হলো, কোনো দলই পর পর দুবার ক্ষমতায় আসেনি৷ তাই এবারে যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তাতে বিএনপি'র ফিরে আসার সম্ভাবনাই বেশি৷''
সামনের নির্বাচনে যদি পট পরিবর্তন হয়, তার জন্য দিল্লি আগে থেকেই জমি তৈরি করে রাখছে৷ তাতে খালেদা জিয়ার সাড়া দেবার ইঙ্গিত রয়েছে৷ অতীতে তাঁর ভারত-বিরোধীতা কারোর পক্ষেই ভালো হয়নি৷ বাংলাদেশের পক্ষে তো নয়ই৷ তাই এখানে একটা নতুন চিন্তার সুযোগ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে৷
এই সফরকে শেখ হাসিনা ভালো চোখে না দেখলেও, দিল্লি তাঁকে জানিয়েই এই সফরসূচি তৈরি করেছিল৷