1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খাশগজি হত্যাকাণ্ডে সৌদি আরবে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

২৩ ডিসেম্বর ২০১৯

সাংবাদিক জামাল খাশগজি হত্যাকাণ্ডে পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে সৌদি আরবের একটি আদালত৷ তবে প্রাথমিকভাবে দণ্ডপ্রাপ্তদের নাম প্রকাশ করা হয়নি৷

Jamal Kashoggi
ছবি: Getty Images/Y. Akgul

সোমবার রিয়াদের অপরাধ আদালত এই রায় দেয়৷ সৌদি আরবের ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর শালান আল-শালান এ রায় পড়ে শোনান৷ অভিযুক্ত ১১ জনের মধ্যে বাকি তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে৷

 

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক খাশগজি দ্বিতীয় বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গত বছর ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন৷ সেখান থেকে তিনি আর বের হননি৷ পরে জানা যায় তাঁকে কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যা করে মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়৷ আজ পর্যন্ত তার দেহাবশেষ সনাক্ত হয়নি৷

সৌদি রাজ পরিবারের এক সময়ের ঘনিষ্ঠজন থেকে কড়া সমালোচক হয়ে গিয়েছিলেন ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাশগজি৷ বিশেষ করে নিজের শেষ কয়েকটি কলামে সৌদি যুবরাজ মোহামেদ বিন সালমানের দেশকে আধুনিক করার নানা উদ্যোগের সমালোচনা করেছিলেন তিনি৷

খাশগজি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই তুরস্ক তাঁকে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যা করা হয়েছে এবং সৌদি যুবরাজ সালমান ওই হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন বলে দাবি করেছিল৷  আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকেও এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করা হয়৷

শুরুতে অস্বীকার করলেও সৌদি আরব পরে হত্যার দায় স্বীকার করে৷ যদিও তাদের দাবি, যুবরাজ হত্যা পরিকল্পনার বিষয়ে কিছুই জানতেন না৷ তবে সিআইএ ও আরো কয়েকটি পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে খাশগজি হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজের জড়িত থাকার ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ‘ পাওয়ার কথা বলা হয়৷

খাশগজি হত্যায় জড়িত সন্দেহে সৌদি আরব ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে৷ আরও ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল৷ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১১জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে রাজধানী রিয়াদে তাদের গোপন বিচার শুরু হয়৷

সোমবারের রায়ে যে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তারা ‘খাশগজি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি যুক্ত ছিলেন'৷ বাকি তিনজনকে মোট ২৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত৷  তারা ‘এই অপরাধ গোপন করে আইন লঙ্ঘন করেছেন' বলে আদালতে প্রমাণিত হয়েছে৷

তবে তদন্তে খাশগজি ও দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে কোনো 'পূর্ব শত্রুতার' প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও রায়ে বলা হয়৷ তবে কী কারণে খুন হতে হলো খাশগজিকে?

গত নভেম্বরে সৌদি রাজপরিবারের সাবেক প্রভাবশালী উপদেষ্টা সৌদ আল-কাহতানি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন বলে বলা হয়েছিল৷  তখন প্রসিকিউটর বলেছিলেন, কাহতানি সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর একদল লোকের সঙ্গে খাশগজির কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করেছিলেন৷ ওই দলই পরে খাশগজি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়৷

প্রসিকিউটরের দাবি অনুযায়ী, সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার উপ প্রধান আহমেদ আল-আসিরি খাশগজিকে তুরস্ক থেকে যে কোনো উপায়ে দেশে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ হত্যার দিন কনস্যুলেটের ভেতর প্রথমে এটা নিয়েই দেনদরবার চলছিল এবং এক পর্যায়ে খুনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ আল-কাহতানি ওই আলোচনায় আল-আসিরির সঙ্গে সমন্বয়কারীর ভূমিকায় ছিলেন৷

পরে উভয়কেই তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়৷ আসিরিকে বিচারের মুখোমুখি করা হলেও কাহতানিকে তা হতে হয়নি৷ যদিও বিচারে আসিরিও প্রমাণের অভাবে খালাস পেয়েছেন৷

দণ্ডপ্রাপ্তরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন৷

এসএনএল/কেএম (রয়টার্স)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ