1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খাশগজি হত্যা: সৌদির বিরুদ্ধে কড়া নয় অ্যামেরিকা

২ মার্চ ২০২১

খাশগজি হত্যার রিপোর্ট প্রকাশের পরেও সৌদির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল না অ্যামেরিকা।

বাইডেন-সালমান

কিছু দিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টেলিফোনে কথা বলেছিলেন সৌদি রাজা সালমানের সঙ্গে। সেখানে মানবাধিকারের বিষয়ে জোর দিয়েছিলেন বাইডেন। নাম না করে উল্লেখ করেছিলেন সাংবাদিক খাশগজি হত্যার প্রসঙ্গ। তারপরেই অ্যামেরিকা একটি গোপন গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ করে। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, খাশগজির হত্যার সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের যোগ আছে। অনেকেই মনে করেছিলেন, ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে অ্যামেরিকা সৌদির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু বাস্তবে অ্যামেরিকা তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

খাশগজি হত্যায় অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড হচ্ছে না

00:52

This browser does not support the video element.

ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক ছিলেন জামাল খাশগজি। ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে তাকে হত্যা করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজে শেষ তাকে দূতাবাসে ঢুকতে দেখা যায়। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট বলছে, তাকে যারা হত্যা করেছিল, তারা সৌদির বিশেষ ফোর্সের সদস্য। একমাত্র যুবরাজের কাছেই তারা জবাবদিহি করে। খাশগজিকে বহুদিন ধরেই নজরে রেখেছিল সৌদি। এবং শেষ পর্যন্ত যুবরাজের নির্দেশেই তাকে হত্যা করা হয় বলে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও সৌদি আরব তা মানতে রাজি নয়।

সাধারণত এ ধরনের ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেয় অ্যামেরিকা। কিন্তু সৌদির ক্ষেত্রে ততটা কড়া মনোভাব নেয়নি বাইডেন প্রশাসন। মূলত তিনটি বিষয় বলা হয়েছে। এক, এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হবে। দুই, সৌদির সম্পর্ক আরো উন্নত করতে হবে। এবং তিন, ভবিষ্যতের সম্পর্ক আরো মজবুত করার জন্য দুই দেশকেই আগ্রহ দেখাতে হবে।

গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরে বাইডেন জানিয়েছিলেন, সোমবার পরবর্তী পদক্ষেপের কথা জানানো হবে। সোমবার মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, ৭৬ জন সৌদি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অ্যামেরিকায় ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ