1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

খেরসনের পথে ইউক্রেনের সেনা

৪ অক্টোবর ২০২২

পূর্ব ইউক্রেনে আরো সাফল্য পেল ইউক্রেনের সেনা। রাশিয়ার দখলে থাকা আরো একটি অঞ্চল পুনর্দখল।

ইউক্রেন
ছবি: GENYA SAVILOV/AFP/Getty Images

কিছুদিন আগেই খেরসনে গণভোট করেছে রাশিয়া। খেরসনকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এবার সেইখেরসনের পথেই অনেকটা এগিয়ে গেছে ইউক্রেনের সেনা। খেরসনের খুব কাছে একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল তারা দখল করেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। ইউক্রেন এখনই এবিষয়ে সেভাবে মুখ না খুললেও রাশিয়ার একাধিক প্রশাসনিক সূত্র এখবর স্বীকার করে নিয়েছে। রাশিয়ার গণমাধ্যমেও এখবর প্রচারিত হয়েছে।

ইউক্রেনে সহায়ক অ্যাপ

04:05

This browser does not support the video element.

ইউক্রেনের সেনা নাইপার নদীর পশ্চিম তির ধরে এগচ্ছে। রাশিয়ার সরকারি সূত্র জানিয়েছে, নাইপার নদীর পশ্চিম তির ধরে ইউক্রেনের একটি অত্যাধুনিক ট্যাঙ্কবাহিনী এগিয়ে চলেছে। পথে একাধিক গ্রাম তারা পুনর্দখল করেছে। তাদের অভিমুখ খেরসনের দিকে। কিয়েভও একই খবর প্রচার করেছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র আইগর কোনাশেনকভ জানিয়েছেন, ''ইউক্রেনের শক্তিশালী ট্যাঙ্কবাহিনী বেশ কিছু গ্রাম দখল করেছে। জোলোতায়া বাল্কা, আলেকজানদ্রোভকার দিকে তারা দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সেনা বেশ কিছুটা পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে।''

যদিও একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে পিছিয়ে গেলেও রাশিয়ার সেনা প্রত্যাঘাত শুরু করেছে। রাশিয়ার গোলায় ইউক্রেনের ট্যআঙ্কবাহিনীর ভালোই ক্ষতি হয়েছে। কিয়েভ অবশ্য এখবর স্বীকার করেবনি।

রাশিয়ার সেনা ব্লগারের একটি পোস্টও গোয়েন্দাদের হাতে পৌঁছেছে। সেখানেও বলা হয়েছে, রাশিয়ার ট্যআঙ্কবাহিনী দ্রুতগতিতে নাইপার নদীর পশ্চিম পার ধরে এগিয়ে যাচ্ছে।

সম্প্রতি মস্কো ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছিল। গণভোটের মাধ্যমে তারা দনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্ঝিয়া এবং খেরসন তাদের অংশ বলে দাবি করেছিল। ইউক্রেন এর তীব্র বিরোধিতা করে। শুধু তা-ই নয়, অ্যামেরিকা, ইইউ-সহ সমস্ত পশ্চিমা বিশ্বই এর বিরোধিতা করে। তবে প্রায় এই গোটা অঞ্চলটাই যুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে রাশিয়া দখল করে নিয়েছিল। ফলে সেখানে গণভোট করতে রাশিয়ার সমস্যা হয়নি। এবার সেই দখল হয়ে থাকা এলাকা ধরেই এগোতে শুরু করেছে ইউক্রেন। বিশেষজ্ঞদের কাছে যা যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ মোড় বলে মনে হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ