দূরপাল্লার মিসাইলের সাহায্যে খেরসন অঞ্চলকে রাশিয়া সেনার হাত থেকে মুক্ত করতে চাইছে ইউক্রেন। দাবি যুক্তরাজ্যের।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, খেরসন অঞ্চলে ইউক্রেন পাল্টা লড়াই শুরু করেছে। যার জেরে প্রাথমিকভাবে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছে রাশিয়ার সেনা। খেরসন শহর কার্যত রাশিয়ার সেনার হাতের বাইরে চলে গেছে।
গানের সুরে ধ্বংসস্তূপ থেকে জেগে উঠছে গ্রাম
বোমা বা রকেটে গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস হলেও মন থেকে সুর মুছে দেয়া যায় না৷ তারই প্রমাণ দিচ্ছেন ইউক্রেনের একদল স্বেচ্ছাসেবী৷ গ্রামের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নতুন করে সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়ছেন তারা৷ বিস্তারিত দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
সুরের লড়াই
ইউক্রেনের চেরনিহিভ অঞ্চলের ইয়াহিদনে গ্রামে একজন শিল্পী বাদ্যযন্ত্র নিয়ে ব্যস্ত৷ তিনি পারফর্ম করছেন৷ স্বেচ্ছাসেবীরাও ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে জীবনের ছন্দে ফিরতে চাইছেন৷একে তারা বলছেন টেকনো পার্টি৷
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
বাঁচার লড়াই তালে তালে
রুশ আগ্রাসনে ইউক্রেনের চেরনিহিভ অঞ্চল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ সেখানকার ইয়াহিদনে গ্রামে পারফর্ম করছেন শিল্পীরা৷ তাদের পারফর্ম্যান্সের সঙ্গে নাচতে নাচতে শোক ভুলে নতুন করে বাঁচতে চাইছেন স্বেচ্ছাসেবীরা৷ পারফর্ম্যান্স উপভোগ করতে করতেই একজন কিন্তু ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করে চলেছেন৷
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
হার না মানা লড়াই
এই স্বেচ্ছাসেবী নারী ক্ষতিগ্রস্ত ইয়াহিদনেকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর৷ ইউক্রেনীয় তরুণদের ‘ক্লিন-আপ রেভ’-এ অংশ নিয়েছেন তিনিও৷ নাচ গানের পার্টি চলছে৷ পাশাপাশি নতুন করে গ্রামকে, কালচারাল হাউসকে গড়ে তোলার কাজও চলছে৷ শিল্পীরাও সাহস জোগাচ্ছেন৷
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
ডিজে পারফর্ম্যান্স
ডিজের সুর বোমার শব্দ ভুলিয়ে দেবেই৷ এমনই মনে করছেন শিল্পীরা৷ বোমা হামলায় ইটের পাঁজর বেরিয়ে পড়া বাড়িতে পারফর্ম করছেন শিল্পী৷ সেই সুরের ছন্দেই অন্যদিকে বেলচা হাতে ধ্বংসস্তূপ সরাচ্ছেন কেউ৷ রুশ রকেট হানায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া গ্রামে ফের প্রাণ আনবেন তারা৷ গোলাবারুদের স্তূপের পাশে ডিজের টার্নটেবিল যেন সরাসরি প্রশ্ন করছে, ‘‘তোরা যুদ্ধ করে করবি কী তা বল৷’’
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
স্বেচ্ছাশ্রমই জীবন
হাতে কোদাল, বেলচা নিয়ে পোড়া কালো ছাইয়ের স্তূপ সরাচ্ছেন এক তরুণ৷ সেই কাজটিও করছেন বেশ স্টাইলের সঙ্গে৷ রোদচশমা পরতে ভোলেননি তিনি৷ তার সঙ্গীরাও একই কাজে ব্যস্ত৷ ‘রিপেয়ার টুগেদার’ নামের উদ্যোগের এক স্বেচ্ছাসেবী স্পষ্ট বলেন, ‘‘এটাই আমার জীবনযাপন৷’’
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
‘ডু ইট ইন এ রকিং ওয়ে’
ইলেকট্রনিক মিউজিক ভালোবাসেন যে তরুণরা, যারা পার্টি করতে ভালোবাসেন, এই উদ্যোগে এগিয়ে এসেছেন তারাই৷ যেমন এই তরুণী হাতে গ্লাভস পরে পুড়ে যাওয়া ইটগুলি সরানোর কাজ করছেন৷ এক স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘‘যুদ্ধের সময় আমরা সাহায্য করতে চাই৷ আমরা সংগীতের মাধ্যমে সেটা করছি৷’’
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
পাঁজরে বোমার দাগ
কংক্রিট ভেঙে পড়েছে, ইটগুলোও খসে পড়ছে আস্তে আস্তে৷ মার্চ মাসে রাশিয়ার ছোঁড়া বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত এই বাড়িটি৷ গোলাবর্ষণে বিপর্যস্ত বাড়ির ঠিক মাঝখানে নিজের ডিজে সেট নিয়ে মন দিয়ে পারফর্ম্যান্সের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এক তরুণ৷ নির্বিকার ভাবলেশহীন এই তরুণ কি ডিজে মিউজিকের মাধ্যমে সব ক্ষত মুছে দিতে পারবেন ?
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
একজোট হয়েই সম্ভব
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে চলছে কারফিউ৷ একাধিক জায়গায় রকেট হামলার হুমকিও আছে৷ কিন্তু সংস্কৃতিপ্রেমীরা এইভাবে নিজের দেশ পুনর্গঠনের কাজ করছেন৷ ধ্বংসস্তূপ সরাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা৷ পাশাপাশি সংগীতেই নতুন করে স্বাধীনতা খুঁজছে তরুণ প্রজন্ম৷ পারফর্ম্যান্স শুনতে শুনতে কাজ, আর এভাবেই সবাই একজোট হওয়ার চেষ্টা করছেন৷
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
নির্বিকার খুদে
রুশ হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন৷ গোলাবর্ষণে প্রাণ হারিয়েছে অনেক শিশু৷ তারা আর ফিরবে না৷ ‘হাউস অফ কালচার’ অর্থাৎ সংস্কৃতি কেন্দ্রের সামনে ট্রাইসাইকেল চালিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক খুদে৷ সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে–এ কথাই বলতে ইচ্ছে করবে নিষ্পাপ শিশুর আপনমনে খেলে বেড়ানো দেখে৷
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
অমানুষিক পরিশ্রম
সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি পরিষ্কার করার কাজটি ছিল এই স্বেচ্ছাসেবীদের অষ্টম প্রকল্প৷ তারা ইতিমধ্যেই গ্রামের ১৫টি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি মেরামত করতে সাহায্য করেছে৷ নিকটবর্তী শহরে লুকাশিভকাতে ‘বিল্ডিং ক্যাম্প ইভেন্ট’ করার পরিকল্পনা করেছে তারা৷ ধ্বংসস্তূপের পোড়া ছাই, মাটি তুলে রাখছেন লরিতে৷ জীবন তো আর থেমে থাকে না৷ আর সঙ্গে যদি সুর থাকে, তাহলে তো কথাই নেই৷ জীবন এগোবে সুরের ছন্দ মিলিয়েই৷
ছবি: VIACHESLAV RATYNSKYI/REUTERS
10 ছবি1 | 10
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুদ্ধের কার্যত প্রথম দিন থেকে খেরসন অঞ্চল রাশিয়ার সেনার দখলে ছিল। সম্প্রতি দূরপাল্লার মিসাইলের সাহায্যে ইউক্রেনের সেনা খেরসন অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নদী নিপ্রোর অন্তত তিনটি সেতু ধ্বংস করেছে। ওই ব্রিজের মাধ্যমে রাশিয়া খেরসনে সেনাবাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাঠাতো। অর্থাৎ, ওই সেতুই রাশিয়া এবং খেরসনের মধ্যবর্তী সংযোগ ছিল। সেতুগুলি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ফলে রাশিয়ার সেনা ছন্নছাড়া হয়ে পড়েছে। আর সেই সুযোগেই খেরসন পুনর্দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে ইউক্রেনের সেনা। যুক্তরাজ্যের দাবি, রাশিয়া কোনোভাবেই খেরসন হারাতে চায় না। ফলে ইউক্রেনের এই নতুন পদক্ষেপ রাশিয়াকে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলেছে।
সিরিয়ার জাহাজে চুরি করা খাদ্যশস্য
লেবাননের বন্দরে সিরিয়ার একটি জাহাজ এসে পৌঁছেছে বলে দাবি করেছে বৈরুতে ইউক্রেনের দূতাবাস। অভিযোগ, সিরিয়ার ওই জাহাজটির উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আছে। তা সত্ত্বেও জাহাজটিকে লেবানন তাদের দেশে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে। ইউক্রেনের অভিযোগ, তাদের দেশের শস্যভান্ডার থেকে বার্লি এবং যব চুরি করে জাহাজটি লেবাননে গিয়ে পৌঁছেছে। জাহাজটিতে পাঁচ হাজার টন করে বার্লি এবং যব আছে বলে দাবি করা হয়েছে।
পূর্ব ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনে পথের কাঁটা যারা
রুশ বাহিনী যেখানে অবস্থান করছে, সেখান থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে রয়েছেন ইউক্রেনের এই যোদ্ধারা৷ সম্ভাব্য পরিণতি হয়ত মৃত্যু–তা জেনেও শত্রুশিবিরকে রুখতে সবসময় প্রস্তুত তারা৷ বিশেষ এই ব্যাটেলিয়নের কথা জানুন ছবিঘরে৷
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
স্নায়ুর জোর
কার্পেথিয়ান জিশ নামে এই ব্যাটেলিয়নের ফিল্ড কমান্ডার ডজভিন বলেন, ‘‘যাদের মন শক্ত, এখন তারাই যুদ্ধ করতে পারবেন৷ কঠিন এবং ভীতিকর এই যুদ্ধা’’ যুদ্ধক্ষেত্রে তার নাম ডজভিন অর্থাৎ এটি হলো ‘নম দে গেররে’৷ নিরাপত্তার কারণে নিজের আসল নাম গোপন রেখেছেন তিনি৷ তার মতো সব যোদ্ধাই জানেন কখনো না কখনো বিধ্বংসী সামরিক ট্যাঙ্কের মুখোমুখি হতে পারেন তারা৷ সম্প্রতি প্রায় অক্ষত ট্যাঙ্ক ‘পাকড়াও’ করা হয়েছে৷
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
যীশুর ছবির সামনে
পূর্ব ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অগ্রগতি রুখতে কার্পেথিয়ান জিশ সবসময় প্রস্তুত৷ রুশ সেনা মোকাবিলায় কিয়েভের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছিল ইউক্রেনীয় এবং বিদেশি নাগরিকদের এই ইউনিট৷ দেখা যাচ্ছে, যীশু খ্রিস্টের একটি ছবির সামনে হ্যান্ড গ্রেনেড রেখে দিয়েছেন তারা৷ তাদের চিন্তা রুশ ড্রোনগুলিকে নিয়ে৷ সেগুলিকে ‘কালো মেঘ’ বলছেন এই ব্যাটেলিয়নের যোদ্ধারা৷
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
শত্রুদের ঠেকিয়ে রাখা
এই যোদ্ধারা বলছেন, তারা ইউক্রেনের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ এ এক ভয়ঙ্কর প্রতিশ্রুতি৷ এতে তারা সবাই একসঙ্গে যুক্ত৷ এক যোদ্ধা বলেন, ‘‘গতকাল ভোররাতে একটা, দুইটা এবং চারটায় গোলাবর্ষণ করছিল ওরা, যাতে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়৷ তবে আমাদের ইতিবাচক থাকতেই হবে৷’’ মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এই ব্যাটেলিয়নের যোদ্ধারা সামরিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পেরেছেন৷ ফলে সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা পাবেন তারা, পাবেন সেনা ভাতাও৷
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
অবকাশ কোথায়?
রুশিন নামের এক যোদ্ধা (নিরাপত্তার কারণে আসল নাম প্রকাশ গোপন রাখা হয়েছে) কার্পেথিয়ান জিশ ব্যাটেলিয়নের কমান্ডার৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনি সোফায় বসে রয়েছেন৷ কিন্তু অবসর মোটেও নেই তাদের৷এক যোদ্ধা বলেন, ‘‘আমাদের এখানে থাকার সম্ভাব্য পরিণতি আমরা সকলেই জানি এবং আমরা সবাই এর মধ্যেই শান্তি খুঁজে চলেছি৷’’
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
মর্টার দিয়ে আক্রমণ
কার্পেথিয়ান ব্যাটেলিয়নের যোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছেন মর্টার দিয়ে৷ আলোকচিত্রীর ছবিতে ধরা পড়েছে এই দৃশ্য৷ প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সাহায্যের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন অসংখ্য ইউক্রেনীয় এমনকি অনেক বিদেশি সহযোগীও৷ লিও নামের বছর তেত্রিশের এক তরুণবলেন, ‘‘আমি নাৎসি নই, আমি জাতীয়তাবাদী৷ রাশিয়ান ছাড়া সব জাতীয়তার, সব বর্ণের মানুষকে আমি সম্মান করি৷ রাশিয়ানরা শত্রু৷’’
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
টার্গেট পুটিনের ছবি
নিজেদের শারীরিক ক্ষমতায় যাতে কোনোভাবেই মরচে না ধরে, তার জন্য শারীরিক কসরত চালিয়ে যাচ্ছেন নতুন যোগ দেয়া সদস্যরা৷ প্রতিকূল পরিবেশে মানিয়ে নিতে তারা প্রশিক্ষণ নেন৷ রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিনের ছবি সামনে রেখে সেটিকে টার্গেট করে অনুশীলন করছেন যোদ্ধারা এমন ছবিও দেখা গিয়েছে৷ ডেনিস পোলিশচুক নামে এক যোদ্ধা বলেন, ‘‘ যুদ্ধের সময় তিনি কী করেছিলেন- সন্তানরা জানতে চাইলে তিনি বলতে পারবেন যে দায়িত্ব পালন করেছিলেন৷’’
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থা
কার্পেথিয়ান জিশ ব্যাটেলিয়নের চিকিৎসক এবং সদস্য দেখে নিচ্ছেন ঘাঁটিতে পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে কি না৷ ছবিতে ধরা পড়েছে এই দৃশ্য৷ কনর নামে এক ব্রিটিশ স্বেচ্ছাসেবক এবং ফ্রন্টলাইনে কর্মরত সাবেক সেনা চিকিৎসক বলেন, ‘‘যত বেশি সময় যুদ্ধ চলবে, এটি ততই ক্লান্তিকর হয়ে উঠবে৷’’ আহত নারী, শিশু এবং যোদ্ধাদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সহায়তা পেতে ব্যর্থ হওয়ার ছবি দেখে ব্রিটেন থেকে ইউক্রেনের হয়ে লড়তে এসেছেন তিনি৷
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
7 ছবি1 | 7
ত্রিপোলি বন্দরে জাহাজটিকে দাঁড় করানো হয়েছে বলে লেবানন জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ইউক্রেনের অভিযোগের ভিত্তিতে তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে। ইউক্রেনের অভিযোগ, যুদ্ধের সুয়োগ নিয়ে রাশিয়ার মদতে সিরিয়ার ওই জাহাজটি খাদ্যশস্য চুরি করেছে।
অভিযুক্ত সাংবাদিক
রাশিয়ার সরকারি টেলিভিশনের এক সাবেক সাংবাদিককে ৫০ হাজার রুবল জরিমানা করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি দেশের সেনা বাহিনীকে অপমান করেছিলেন। মারিনা অবসিয়ানিকোভা প্রকাশ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের বিরোধিতা করেছিলেন। সেনাবাহিনী অপরাধ করছে বলেও সরব হয়েছিলেন তিনি। গত মার্চ মাসে বুলেটিন পড়ার সময় তিনি হাতে একটি যুদ্ধবিরোধী পোস্টার ধরে রেখেছিলেন। সে সময়ই তাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা শুরু হয়।
এরপর কিছুদিনের জন্য দেশ থেকে চলে গেছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত কারণে দেশে ফেরার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।