পরিস্থিতিটা একবার ভাবুন – মেঝেতে পড়ে থাকা একটি জিনিসকে খেলনা মনে করে আপনি তুলতে গেছেন, কিন্তু হাতে ধরার কয়েক মুহূর্ত পরই বুঝতে পারলেন যে, ওটা বিষধর সাপ! তখন কেমন লাগবে আপনার?
বিজ্ঞাপন
এমনই অবস্থায় পড়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার এক নারী৷ স্বামীর সঙ্গে জ্যাকুজি করার পর বাড়ি ফিরে দরজার সামনে পড়ে থাকা বাঁকানো একটি বস্তুকে তিনি কুকুরের খেলনা মনে করেছিলেন৷ তাই সেটি তুলতে গিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু ওটা যে বিষধর সাপ তা বুঝতে বেশি সময় লাগেনি তাঁর৷ ফলে হন্তদন্ত হয়ে লাফিয়ে কোনোরকমে সাপটিকে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করেন ঐ নারী৷ পুরো ঘটনাটিই একটি ভিডিওতে দেখা গেছে৷ সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট হওয়ার পর অনেকেই সেটি দেখছেন৷
মার্কিন প্রচারমাধ্যম এবিসি-র অ্যাফিলিয়েটেড টিভি চ্যানেল ‘কেস্যাট'-এ ভিডিওটি নিয়ে সংবাদও প্রচারিত হয়েছে৷ এতে বলা হয়, মহিলাটি যে সাপ হাতে নিয়েছিলেন সেটি আকারে ছোট হলেও বিপদ ঘটতে পারত৷ কারণ সাপটি ছোট হওয়ায় তাদের বিষ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কম থাকে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় দমকল কর্মীরা৷ ঐ ঘটনার পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাপটি নিয়ে গেছেন৷ ভাগ্য ভাল, মহিলাটির কিছু হয়নি৷
সাপেরা যে কারণে মরে
সাপ দেখলে ভয় পায় না, এমন মানুষ খুব কম আছে৷ কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার এই ছবিগুলো দেখলে মনে হতে পারে, সাপদের কাছে মানুষও কিছু কম ভয়ের নয়৷ এখানে সাপের চামড়া প্রস্তুত করা হয়৷ (সতর্কতা: কিছু ছবি ভীতিকর মনে হতে পারে)৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কসাইখানা
পশ্চিম জাভার একটি সাপ মারার কারখানায় কর্মীরা সাপগুলোকে পরিষ্কার করছেন৷ সাপের মাংস শুকিয়ে, পরে চীন আর তাইওয়ানে রপ্তানি করা হয়, যেখানে সাপের মাংস খাবার এবং ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
গ্ল্যামারের জন্য
পশ্চিমে সাপের চামড়াকে গ্ল্যামারাস মনে করা হয়৷ ছবিতে পূর্ব জাভায় এক কর্মী একটি পাইথনের চামড়া ছাড়ানোর তোড়জোড় করছেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Rochman
বিশ্বের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক
ইন্দোনেশিয়া সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সাপের চামড়া রপ্তানি করে থাকে৷ বলা হয়, এসব সাপ ‘মানবিকভাবে’ পোষা হয়ে থাকে, কিন্তু বাস্তব বোধহয় কিছুটা আলাদা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/NurPhoto/D. Roszandi
চাহিদা
দুনিয়া জুড়ে সাপের চামড়ার চাহিদা দেখে ইন্দোনেশিয়ায় সর্পশিকারীরা স্বভাবতই আরো উৎসাহ পেয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/NurPhoto/D. Roszandi
সাপ থেকে চামড়া হওয়ার পথে
খোলা সাপের চামড়াগুলি পরিষ্কার করার পর গোল করে শুকাতে দেওয়া হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/NurPhoto/D. Roszandi
শুকানো
সাপের চামড়া প্রথমে জলে ভিজিয়ে রেখে পরে রোদে শুকানো হয়৷ তবে চুল্লিতেও শুকানো যেতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/NurPhoto/D. Roszandi
নকশা
বড় সাপের চামড়া লোহার রড ঢুকিয়ে সিধে, অর্থাৎ সোজা করা হয় যাতে তার নকশাটা ঠিকমতো দেখা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/NurPhoto/D. Roszandi
মহার্ঘ
রোদে চামড়া শুকানো হচ্ছে৷ পশ্চিমে এর দাম অনেক, কিন্তু স্থানীয় কর্মীরা তার বিশেষ ভাগ পান না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/NurPhoto/D. Roszandi
অপর প্রান্তে
পাইথনের চামড়ার এই সাইকেলের স্যাডল কভারটির দাম কত জানেন? ২,০০০ ইউরো৷ প্রদর্শিত হচ্ছে জার্মানির কোলন শহরের একটি শিল্পমেলায়৷