আল্টিমেটাম গেম৷ শুনলে মনে হবে যেন চরমপত্র! আসলে খেলাটায় জিততে হলে, অন্যদের সাহায্য করতে হয়, ন্যায্য ভাগ দিতে হয়৷ ছোটদের এই খেলা খেলিয়ে তাদের ডর্সোল্যাটারাল প্রিফন্টাল কর্টেক্স সম্পর্কে জানা যায়৷
বিজ্ঞাপন
বিভিন্ন বয়সের প্রায় দু'শ ছেলে-মেয়েকে ‘আল্টিমেটাম গেম' খেলানো হচ্ছে৷ এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে তাদের এই খেলা খেলাচ্ছেন মনস্তত্ত্ববিদ নিকোলাউস স্টাইনবাইজ৷ ‘শেয়ারিং', মানে অন্যদের সঙ্গে ভাগবাঁটোয়ারা করে নেওয়ার ক্ষমতা যাচাই করতে চান তিনি৷
ছ'বছর বয়সি রিচার্ডও এই এক্সপেরিমেন্টে অংশ নিচ্ছে৷ এক্সপেরিমেন্ট শেষ হলে সে ভার্চুয়াল কয়েন দিয়ে সে কোনো খেলনা কিনতে পারবে৷ যত বেশি কয়েন হবে, তা দিয়ে তত ভালো খেলনা কিনতে পারা যাবে৷
কম্পিউটারের সামনে বসে রিচার্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তার কয়েনগুলোর মধ্যে কতগুলো কয়েন সে অন্য আরেকজন খেলোয়াড়কে দেবে – যাকে সে চেনেই না৷ মুশকিল এই যে, সেই ভার্চুয়াল খেলোয়াড়টিরও এখানে কিছু বলার আছে৷ রিচার্ডের অফার যদি তার ন্যায্য মনে না হয়, তাহলে সে প্রত্যাখ্যানও করতে পারে৷ কাজেই রিচার্ডকে ভাবতে হবে, কী ধরনের প্রস্তাব অপর খেলোয়াড়টির পক্ষে গ্রহণযোগ্য হবে৷
জাদুঘর: শিশুরা যেখানে খেলে আর শেখে
অস্ট্রেলিয়ায় উদ্বোধন হয়েছে শিশুদের দারুণ এক জাদুঘর৷ শিশুরা সেখানে যাবে, মজার মজার জিনিস দেখবে, বড়দের মতো কাজ করবে, খেলবে আর শিখবে – এই হচ্ছে জাদুঘর নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য৷ খুব সাড়া জাগিয়েছে জাদুঘরটি৷
ছবি: DW/J.Macey
খেলো, করো, শেখো...
সিডনির ইউনিভার্সিটি অফ ওলংগং-এর ভেতরে ৩০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে তৈরি করা হয়েছে এই জাদুঘর৷ আর্লি স্টার্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এর ভাবনার ফসল এই জাদুঘরে শিশুরা মন মতো খেলতে পারে, কাজও করতে পারে৷ খেলতে খেলতে, কাজ করতে করতেই শিখে নেয় অনেক কিছু৷ ছবির এই দুই শিশু খেলাচ্ছলেই ঘর বানাতে শিখছে৷
ছবি: DW/J.Macey
জলদস্যুর জাহাজ
সিডনির এই জাদুঘর শুধু ১ থেকে সর্বোচ্চ ১২ বছরের শিশুদের জন্য৷ শিশুদের সঙ্গে তাদের বাবা-মা-ও আসতে পারেন৷ জাদুঘরে ঢোকার মুখেই রয়েছে একটি জলদস্যুদের জাহাজ৷ সেই জাহাজে গিয়েও শিশুরা খেলতে খেলতেই শেখে৷ পুঁচকেরা হামাগুড়ি দিতে দিতেই এক সময় হাঁটতে শেখে, যারা হাঁটতে জানে, কথা বলতে পারে তারা সেই জাহাজে ঘুরে ঘুরেই নেয় সাহিত্য, সংস্কৃতির সহজ পাঠ৷
ছবি: DW/J.Macey
বিশ্বের প্রথম...
কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে শিশুদের জন্য বিশ্বের প্রথম জাদুঘর এটি৷ সেখানে খেলাচ্ছলে প্রত্নতত্ত্বের মতো কঠিন বিষয়ের সঙ্গেও পরিচিত হয় শিশুরা৷ প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতো কাজ করার জন্য বিশেষ কিছু স্থানও সেখানে তৈরি করা হয়েছে৷ স্থানগুলোর কিছু অংশ পাথুরে, কিছু অংশ আবার গর্তে ভরা৷ মাটি খনন করার সরঞ্জামও আছে শিশুদের এই জাদুঘরে৷
ছবি: DW/J.Macey
জীবন্ত যন্ত্র
অদ্ভুত আর বিশাল এক যন্ত্রের হা করা মুখের ভেতরে মাথা ঢুকিয়ে খেলছে দু’টি শিশু৷ যন্ত্রটি জীবন্ত প্রাণীর মতো৷ প্রাণী যেমন শ্বাস নিয়ে শ্বাস ছাড়ে, এই যন্ত্রও সেভাবে বাতাস বের করে মুখ দিয়ে৷
ছবি: University of Wollongong
কেনাকাটা শেখা
জাদুঘরের এই অংশটির নাম ‘মার্কেট প্লেস’৷ এখানে শিশুরা কেনাকাটা সম্পর্কে ধারণা নেয়৷ বড় হয়ে এই কাজগুলো তো করতেই হবে, ভালো কাজ কম বয়সে শিখলে তো ক্ষতি নেই! ২০১৫ সালের মে মাসে উদ্বোধন হয়েছে সিডনির এই জাদুঘরটির৷ এ পর্যন্ত ১০ হাজার শিশু গিয়েছে সেখানে৷ অনেকের আবার দু-তিনবার গিয়েও সাধ মেটেনি৷
ছবি: DW/J.Macey
5 ছবি1 | 5
একটি ছ'বছর বয়সের কিশোরের পক্ষে খুব সোজা কাজ নয়৷ ইতিমধ্যেই সে জানে কোনটা ফেয়ার বা ন্যায্য, আর কোনটা অন্যায্য৷ নিজের জিনিস দিয়ে দিতে তার খুব খারাপ লাগে৷ ড. নিকোলাউস স্টাইনবাইস বলেন, ‘‘আল্টিমেটাম গেমে যারা ভালো ফল করতে চায়, তাদের অন্যদের দৃষ্টিকোণ থেকে পরিস্থিতি দেখার, যাচাই করার ক্ষমতা থাকা চাই; কল্পনা করতে পারা চাই, অন্যদিকের খেলোয়াড় কী ধরনের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য বলে মনে করবে৷ সেইভাবে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে৷''
আট বছরের কনস্টান্টিন কী সিদ্ধান্ত নেবে? বড়রা সাধারণত ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ দিয়ে থাকেন; ৩০ শতাংশের নীচে প্রস্তাব এলে সাধারণত প্রত্যাখ্যান করেন৷ কনস্টানটিন-ও তার অর্ধেক কয়েন শেয়ার করে থাকে৷ সে নিজের সেন্স অফ ফেয়ারনেস উপলব্ধি করতে পারে৷ ন্যায্য অদলবদল হয় যখন উভয় পক্ষই মোটামুটি একই মুনাফা করে৷ তবে ছোট ছেলে-মেয়েরা যত বড় হয়, তত তাদের নিজেদের স্বার্থপরতা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা বাড়ে, সব কিছু নিজের কাছে রেখে দেওয়ার প্রবণতা কমে৷
বিভিন্ন দেশের শিশুদের লেখা শেখার কৌশল
বিভিন্ন দেশে শিশুদের শেখার ধরণ ভিন্ন ভিন্ন৷ জার্মানিতে এই হেমন্তেই শিশুদের লেখা শেখার একটি নতুন নিয়ম চালু হয়েছে৷ কোন দেশের শিশুদের কীভাবে লেখায় হাতে-খড়ি হয়, চলুন সে বিষয়ে জানা যাক৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চীন: যত তাড়াতাড়ি লেখা শেখা যায়, তত ভালো
চীনে তিন বছর বয়স হলে বাচ্চাদের কিন্ডারগার্টেনে পাঠানো হয় অক্ষরজ্ঞান শেখার জন্য৷ তবে শিশুরা ঠিকমতো লেখা শিখতে শুরু করে ছয় বছর বয়সে৷ পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বাচ্চাদের দশ হাজার অক্ষর শিখে ফেলতে হয়, যা বেশ কঠিন৷ পরে যা শিখতে হয় তার তেমন কোনো নির্ধারিত নিয়ম নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জাপান: স্কুল ফাইনাল শেষ হওয়া পর্যন্ত
ক্লাস ওয়ান শেষ হওয়া মানেই কিন্তু লেখা শেখা শেষ নয় জাপানে৷ সেখানে ক্লাস নাইন পর্যন্ত সিলেবাসেই থাকে নির্ধারিত কিছু অক্ষর শেখার নিয়মকানুন৷ জাপানে লিখতে পারার জন্য একজনকে মোটামুটি ২১০০ অক্ষর জানতে হবে৷ জাপানে লেখা জানার জন্য নিয়মিত অনুশীলন করতে হয়, তা না হলে কোনো না কোনো অক্ষর খুব সহজেই ভুলে যেতে পারে যে কেউ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মিশর: একটি ‘নতুন’ ভাষা
মিশরের বাচ্চাদের লেখা শেখার সাথে সাথে একটি নতুন ভাষাও শিখতে হয়৷ কারণ সেখানে বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে৷ যার ফলে, সেখান থেকে শুদ্ধ আরবি ভাষাকে আলাদা করা বেশ অসুবিধা৷ এছাড়া, সেখানকার কোনো স্কুলে ক্লাসে প্রতি ৮০ জন করে ছাত্র থাকে৷ ফলত লেখাপড়ার মান নীচু হয়৷ এর জন্য অনেক ছাত্র কখনোই ঠিকমতো লিখতে বা পড়তে পারে না৷
ছবি: Fotolia/Ivan Montero
মরক্কো: শুধু আরবি ভাষা নয়
বেশি দিন আগের কথা নয়, যখন মরক্কোর স্কুলে বাচ্চারা শুধু আরবি ভাষা শিখতো৷ তবে ২০০৪ সাল থেকে এর পরিবর্তন হয়েছে৷ তখন থেকেই ক্লাস ওয়ানের বাচ্চাদেরও হিব্রু ভাষার পাশাপাশি তামাসিখট ভাষাও শিখতে হয়৷ গ্রামাঞ্চলে অক্ষরজ্ঞান নেই এবং শুধু হিব্রু ভাষায় কথা বলে, এ রকম মানুষের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে৷ ২০১১ সাল থেকে তামাসিখট ভাষাকে সেখানকার স্বীকৃত ভাষা হিসেবে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷
ছবি: picture alliance/Ronald Wittek
পোল্যান্ড: শূন্য থেকে শুরু
পোল্যান্ডে স্কুল শুরু হয় ক্লাস ওয়ান থেকে নয়, শূন্য থেকে৷ স্কুলে যাবার আগেই প্রতিটি শিশুর শূন্য ক্লাসে বা কিন্ডারগার্টেনে যাওয়া বাধ্যতামূলক এবং তখন খেলার ছলে বাচ্চাদের অক্ষরজ্ঞান দেওয়া হয়৷ অবশ্য ঠিকমতো লেখা শেখা শুরু হয় ক্লাস ওয়ান থেকেই৷ তবে কোনো কোনো অক্ষর খুব ভালো করে শিখতে বা মনে রাখতে হয়, কারণ সেগুলোর উচ্চারণ প্রায় একই রকম৷ এক্ষেত্রে বাংলার ‘ন’ এবং ‘ণ’ অক্ষরের সাথে তুলনা করা যেতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/PAP
সার্বিয়া: ভাষা এক, লেখা দু’রকম
সার্বীয় ভাষা সিরিলিক এবং ল্যাটিন অক্ষরে লেখা হয়, তাই বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই একসাথে দু’রকম লেখা শিখতে হয়৷ ক্লাস ওয়ানে শিখতে হয় সিরিলিক অক্ষর, তারপর ল্যাটিন৷ কয়েক বছর পর ছাত্ররা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে তারা কোন ভাষাকে প্রাধান্য দিতে চায়৷
ছবি: DW/D. Gruhonjic
জার্মানি: শুনে শেখা
২০ বছর আগে থেকেই এই সিস্টেম বা মাধ্যমে বহু স্কুলে লেখা শেখানো হয়ে থাকে৷ শেখার সুবিধার জন্য বোর্ডে একটি জানালার ছবির পাশে শুধু ‘জ’ বা ঘড়ির পাশে ‘ঘ’ লেখা হয়৷ বাকিটা শিখতে হয় শুনে শুনে৷ সমালোচকদের অভিযোগ, এভাবে অনেক বাচ্চার পক্ষেই ঠিকমতো লেখা শেখা সম্ভব নয়৷ তবে এই নিয়মে পড়া শেখার ব্যাপারে কিন্তু তাড়াতাড়ি সাফল্য এসেছে৷
ছবি: Grundschule Harmonie
7 ছবি1 | 7
মস্তিষ্কের কোন অংশে এই বিকাশ ঘটে, আল্টিমেটাম গেম খেলানোর মাধ্যমে সেটাই জানার চেষ্টা করছেন নিকোলাউস স্টাইনবাইস৷ ব্রেনের একটি এরিয়া তাঁর নজরে পড়েছে: একটু বড় কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে, তারা যতটা ফেয়ার হবে, ন্যায্য আচরণ করবে, ততই মস্তিষ্কের সংশ্লিষ্ট এলাকাটি সক্রিয় হয়৷ ড. নিকোলাউস স্টাইনবাইস জানালেন, ‘‘শিশু-কিশোরদের বিকাশের এই পর্যায়ে ডর্সোল্যাটারাল প্রিফন্টাল কর্টেক্স-টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ এটা মস্তিষ্কের সামনের অংশ, কাউকে খুব বুদ্ধিমান বলার সময় আমরা যে জায়গাটা দেখাই৷
মস্তিষ্কের অন্যান্য অনেক ক্ষমতা এই অংশে সম্মিলিত: পরিকল্পনা করা; লক্ষ্য সাধন; প্রবৃত্তি ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ৷ মস্তিষ্কের এই অংশগুলো খুব দেরিতে গড়ে ওঠে, যে কারণে আমাদের বিশ্বাস যে, ছেলেবেলায় আমাদের যে সব পরিবর্তন ঘটে, তা মস্তিষ্কের পরিবর্তন হিসেবেও ব্যাখ্যা করা যায়৷
ছোটরা অন্যায্য আচরণ করে না কেননা তারা জানে না, কোনটা ন্যায্য আর কোনটা ন্যায্য নয়৷ সমাজে বাস করে ধীরে ধীরে তাদের মস্তিষ্ক পাকা হয়ে ওঠে৷ অন্য ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে ইন্টারঅ্যাকশনের মাধ্যমে তারা শেখে যে, ন্যায্য আচরণ করে লাভ আছে৷ সকলে মিলে যা করা যায়, একা তা করা যায় না৷ যারা অন্যদের সাহায্য করে, তাদের বন্ধুরাও তাদের সাহায্য করে৷
যে সাতটি খেলা মস্তিষ্কের জন্য ভালো
দাবা থেকে শুরু করে স্টারক্রাফট, এখানে থাকছে সাতটি কৌশলের খেলা যা ব্রেন বা মস্তিষ্কের জন্য ভালো৷ যারা ব্রেনের ব্যায়ামে আগ্রহী, তারা এগুলো খেলতে পারেন নিয়মিত৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Warnecke
দাবা: খেলার রাজা
দাবা খেলার নামটা মূলত এসেছে ফার্সি শব্দ ‘শাহ’ থেকে, যার অর্থ রাজা৷ দাবার বোর্ড তৈরি হয়েছে ভারতে, তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতকের মাঝামাঝি সময়ে৷ দু’জন খেলায়াড় একে অপরের বিপরীতে এই খেলায় অংশ নিতে পারেন৷ খেলায় জিততে হলে প্রতিপক্ষের রাজাকে এমনভাবে ‘চেক’ দিতে হয়, যাতে তার পালানোর কোনো উপায় না থাকে৷ এই ‘চেক’ দেয়াকে বলা হয় ‘কিস্তি মাত’৷
ছবি: MEHR
গো: এশিয়ায় তৈরি
‘গো’ খেলাটি সৃষ্টি হয়েছে চীনে৷ তবে এর উন্নয়নে বড় ভূমিকা রেখেছে কোরিয়া এবং জাপান৷ কালো এবং সাদা পাথর দিয়ে একটি বোর্ডের উপর খেলাটি খেলতে হয় যেখানে ১৯টি অনুভূমিক এবং ১৯টি উল্লম্ব রেখা টানা থাকে৷ বোর্ডের অধিকাংশ অংশ যে দখলে রাখতে পারবে, সেই বিজয়ী৷
ছবি: Imago/Xinhua
শোগি: জাপানের দাবা
দাবার জাপানি সংস্করণ শোগিতে বোর্ডটি নয়টি মাঠে ভাগ করা থাকে৷ তবে ছোট বা বড় বোর্ডও পাওয়া যায়৷ দাবার সঙ্গে এটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হচ্ছে, গুটিগুলো খেলোয়াড়ের মধ্যে নির্দিষ্ট করে দেয়া নেই৷ অর্থাৎ উভয়েই সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন৷ তবে উদ্দেশ্য একই, রাজাকে ‘চেক’ দিতে হবে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/K. Sasahara
চেকারস: লাফান এবং চুরি করুন
চেকারবোর্ড দেখতে দাবার বোর্ডের মতো৷ তবে খেলার নিয়ম পুরোপুরি ভিন্ন৷ এখানে একটি গুটি আড়াআড়িভাবে একঘর পর্যন্ত সরানো যাবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না সেটি প্রতিপক্ষের একটি গুটিকে ডিঙাতে পারে৷ আর ডিঙানো গুটিটি যে ডিঙিয়েছে তার হয়ে যাবে৷ এভাবে প্রতিপক্ষের সবগুটি নিতে পারলে জয় আসবে৷
ছবি: Getty Images/AFP/G. Bouys
টিক-টেক-টো: সার্কেল অথবা স্কয়ার?
খেলাটার বাংলা নাম ‘কাটা-কুটি’৷ দীর্ঘ ভ্রমণের পথে দ্বাদশ শতক থেকে চলে আসা এই খেলাই সম্ভবত সেরা৷ এর জন্য আপনার শুধু একটি পেন্সিল এবং এক টুকরো কাগজ দরকার৷ কাগজের উপরে আঁকা নয়টি ঘরের মধ্যে দু’জন খেলোয়াড় ক্রস বা সার্কেল আঁকেন৷ যে খেলোয়াড়টি আগে একইরকম সংকেত দিয়ে অনুভূমিক, উল্লম্ব কিংবা আড়াআড়িভাবে তিনটি ঘর ভরতে পারবে, সেই বিজয়ী৷
ছবি: imago/J. Tack
সিভিলাইজেশন: বোর্ড থেকে স্ক্রিনে
শুরুতে বোর্ড গেম হিসেবে চালু হওয়া ‘সিভিলাইজেশন’-এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৮০ সালে৷ খেলার ধারণা জটিল ছিল: একটি সিভিলাইজেশনকে সেই লৌহযুগের প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে টিকে থাকতে হবে৷ সাতজন খেলোয়াড় একসঙ্গে এটি খেলতে পারে৷ আর একেকটি গেমের দৈর্ঘ্য হতে পারে দশ ঘণ্টা পর্যন্ত৷ ১৯৯১ সালে ‘সিভিলাইজেশন’ কম্পিউটার গেম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে৷
ছবি: 2007 Free Software Foundation, Inc.
স্টারক্রাফট: অবসরের খেলা
কারো কারো কাছে এটা হয়ত নিখাদ বিনোদন, তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘স্টারক্রাফট’ হচ্ছে অবসর সময়ের জন্য উপযোগী জাতীয় খেলা৷ ‘রিয়েল টাইম স্ট্র্যাটেজি’ খেলাটি চালু হয় ১৯৯৮ সালে৷ আর তখন থেকেই এটি অন্যতম জনপ্রিয় কম্পিউটার গেম হিসেবে বাজার দখল করে আছে৷