তরুণ প্রজন্মের কাছে খুব প্রিয় অ্যাপ ‘স্ন্যাপচ্যাট'৷ এখানে চ্যাট করলে নিজে থেকে মুছে যায়, কিছু শেয়ার করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হারিয়ে যায়৷ কে, কতটা দেখছে তা নিয়ন্ত্রণও করা যায়৷ তাই তন্বীরা নিশ্চিন্তে কাপড়ে খোলেন৷
বিজ্ঞাপন
হালের পশ্চিমা কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরা একটা দিকে বেশ খেয়াল রাখেন৷ নিজেকে যতটা সম্ভব ‘সেক্সি' একটা ইমেজ গড়ার চেষ্টা থাকে তাদের মধ্যে৷ বিশেষ করে তাদের অনলাইন প্রোফাইলগুলোতে যেসব ছবি তারা শেয়ার করেন, তাতে অধিকাংশ সময়ই থাকে নিজেকে যতটা সম্ভব আকর্ষণীয় করে উপস্থাপনের এক চেষ্টা৷
নিজের যৌন আবেদনময়ী, খোলামেলা ছবি প্রকাশের ক্ষেত্রে হালের প্রজন্মের অন্যতম পছন্দ ‘স্ন্যাপচ্যাট'৷ ওটা নাকি বেশ নিরাপদ৷ কতটা নিরাপদ সেটা বুঝতে আমি নিজেই খানিকটা ঘাটাঘাটি করলাম৷ অল্পতেই বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় কন্টেন্ট শেয়ারের ওয়েবসাইট রেডিটে এক গ্রুপের সন্ধান পেলাম৷ সেই গ্রুপ তরুণ, তরুণীদের বিশেষ করে তরুণীদের অর্ধনগ্ন, পুরো নগ্ন ছবি আর ছোট ছোট ভিডিওতে সয়লাব৷
সেই গ্রুপে খানিকটা বিচরণ করে বুঝলাম, স্ন্যাপচ্যাটে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করা বিভিন্ন কন্টেন্ট কোনো না কোনভাবে বেহাত হয়ে পৌঁছে যায় রেডিটের সেই গ্রুপের মতো আরো অনেক অনলাইন ঠিকানায়৷ এ সব ছবি, ভিডিওতে থাকা মানুষরা নিজেদের ইচ্ছাতেই সেগুলো পোস্ট করেন স্ন্যাপচটে৷ কিন্তু নির্দিষ্ট বন্ধুর গণ্ডির মধ্যকার কেউ সেগুলো ছড়িয়ে দেন ইন্টারনেটের অনিয়ন্ত্রিত দুনিয়ায়৷
সামাজিক মাধ্যমে অপরাধ সম্প্রচারের ৮ ঘটনা
ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে আজকাল অনেক অপরাধী তাদের অপরাধের ভিডিও আপলোড করছে৷ এর মধ্যে কোনো কোনোটি আবার সরাসরিও সম্প্রচারিত হচ্ছে৷
ছবি: imago/Schöning
‘ফেসবুক লাইভ’- এ নির্যাতন
নতুন বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে এক শ্বেতাঙ্গ তরুণের উপর নির্যাতন চালায় চার কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ-তরুণী৷ পুরো ঘটনা ‘ফেসবুক লাইভ’-এর মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিল৷ শ্বেতাঙ্গ ঐ তরুণ মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল৷ পেটানোর পাশাপাশি তার চুল কেটে দেয়া হয়৷ অপরাধ করার সময় নির্যাতনকারীরা ট্রাম্প ও শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছিল৷ পুলিশ ঐ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে৷ ফেসবুক ভিডিওটি মুছে ফেলে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Chicago Police Department
টুইটারে ধর্ষণের ভিডিও
২০১৬ সালের মে মাসে ব্রাজিলের রিও ডি জানেরোতে এক তরুণীকে ৩০ জনের বেশি মানুষ ধর্ষণ করে৷ তরুণীটি তার ছেলেবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গেলে সেখানে তাকে ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়৷ তারপর একে একে তার উপর হামলে পড়ে সবাই৷ অপরাধীদের কেউ কেউ টুইটারে ভিডিও আপলোড করেছিল৷ সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেলে পুলিশের টনক নড়ে৷
ছবি: DW/J. Weber
লাইভ-এ আত্মহত্যা!
ফ্রান্সের ১৯ বছর বয়সি এক তরুণী ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে৷ এই ঘটনা সে পেরিস্কোপ অ্যাপের সাহায্য সরাসরি প্রচার করেছিল৷ ঘটনাটি ২০১৬ সালের মে মাসের৷
ছবি: periscope.tv
নির্যাতিতার সঙ্গে সেলফি
২০১৪ সালে দুই ইংলিশ তরুণী ৩৯ বছরের অ্যাঞ্জেলা রাইটসনের উপর প্রায় ১৭ ঘণ্টা ধরে অত্যাচার চালায়৷ এই সময় আহতের সঙ্গে সেলফি তুলে ঐ দুই তরুণী সেই ছবি স্ন্যাপচ্যাটে শেয়ার করেছিল৷ নির্যাতনের এক পর্যায়ে মারা যান রাইটসন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Büttner
সেলফির কারণে ধরা পড়া
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় ম্যাক্সওয়েল ম্যারিয়ন মর্টন নামের এক টিনএজার আরেক টিনএজারকে হত্যা করে তার সঙ্গে সেলফি তুলে স্ন্যাপচ্যাটে আপলোড করেছিল৷ সেই ছবির সূত্র ধরে মর্টনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ৷ ঘটনাটি ২০১৫ সালের৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বান্ধবীকে ধর্ষণ সরাসরি সম্প্রচার!
যুক্তরাষ্ট্রের ১৯ বছর বয়সি এক তরুণীকে সম্প্রতি এই অভিযোগে নয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷ ২০১৬ সালে মারিনা লোনিনা (ছবি) নামের ঐ তরুণী তার বান্ধবীর সঙ্গে রেমন্ড গেটসের ফ্ল্যাটে গিয়েছিল৷ সেখানে পান করার পর এক পর্যায়ে গেটস লোরিনার বান্ধবীকে ধর্ষণ করতে শুরু করলে পেরিস্কোপ অ্যাপের মাধ্যমে ঐ ঘটনা সরাসরি সম্প্রচার করেন লোরিনা৷ গ্রেপ্তার হওয়ার পর লোরিনা বলেছিল, অপরাধের প্রমাণ রাখতে তিনি ভিডিও করেছিলেন!
ছবি: picture alliance/AP Photo/Franklin County Sheriff's Office
ধর্ষণ সম্প্রচারের আরেক ঘটনা
২০১৬ সালের ৩০ মার্চ পেরিস্কোপে ‘লাইভ সেক্স’ শিরোনাম দিয়ে একটি ভিডিও দেখানো হয়৷ ভিডিওটি যারা দেখেছে, তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে ‘বাজফিড’ জানিয়েছে, ভিডিওতে লন্ডনের একটি ফ্ল্যাটে তিন তরুণকে এক তরুণীর সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হতে দেখা গেছে৷ তবে এটি যে বাস্তবে ধর্ষণের ঘটনা ছিল, সেটি বুঝতে কিছুটা সময় লেগেছে বলে বাজফিডকে জানান তারা৷
ছবি: Getty Images/AFP/L. Bonaventure
সরাসরি ‘আত্মহত্যা’
যুক্তরাষ্ট্রের ১২ বছর বয়সি এক মেয়ে তার আত্মহত্যার ভিডিও ইন্টারনেটে সরাসরি সম্প্রচার করেছে৷ কেটলিন নিকোল ডেভিস নামের তরুণীটি গত ৩০ ডিসেম্বর গাছের ডালের সঙ্গে দড়ি বেঁধে আত্মহত্যা করে৷ আত্মহত্যার সময় সে বলে, এক আত্মীয়ের কাছ থেকে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ায় সে আত্মহত্যা করছে৷
ছবি: Fotolia/DW
8 ছবি1 | 8
পশ্চিমা সমাজে একজন তরুণীর খোলামেলা পোশাক কিংবা অর্ধনগ্ন বা নগ্ন ছবি প্রকাশ এমন বড় কোনো ব্যাপার নয়৷ কিন্তু আমাদের বাঙালি সমাজে বিষয়টি এখনো সেরকম পর্যায়ে পৌঁছায়নি৷ ফলে আমাদের রক্ষণশীল সমাজে কোন তরুণীর সামান্য খোলামেলা ছবিই সমাজে তাকে নানারকম নেতিবাচক উপাধিতে ভূষিত করতে পারে৷
জ্যাকুলিন মিথিলার কথাই ধরুন৷ ফেসবুক লাইভে বেশ খানিকটা খোলামেলা অবস্থায় উপস্থিত হতেন তিনি৷ নিজেকে বাংলার সানি লিওনি দাবি করে লাইভ ভিডিওতে বুকের কাপড় সরিয়ে নিয়েছেন তিনি৷ দৃশ্যত নগ্ন হতেও দেখা গেছে তাঁকে৷ তাঁর এসব ভিডিও লাখ লাখবার দেখা হয়েছে ফেসবুকে, ইউটিউবে৷
মিথিলা কিছুদিন আগে আত্মহত্যা করেছেন৷ সংসার টেকাতে পারেননি তিনি৷ আমাদের সমাজ অর্ধনগ্ন মিথিলাকে দেখে নিজের গোপন বাসনা মেটাতে পারলেও প্রকাশ্যে তাকে মেনে নিতে পারেনি৷ একজন বাঙালি স্বামীর পক্ষে হয়ত নিজের স্ত্রীকে ফেসবুক, ইউটিউবে অর্ধনগ্ন দেখা সম্ভব হয়নি৷ যদিও মিথিলা নাকি লাখ টাকা খরচ করে শাশুড়ির চিকিৎসা করিয়েছিলেন৷ সেই টাকা তিনি রোজগার করেছিলেন নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের খ্যাতিকে কাজে লাগিয়েই৷ নিজের বাবামায়ের সংসারের খরচও নাকি যোগাতেন তিনি৷ সেই মিথিলা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে আত্মহত্যা করলেও কেউ তাঁকে বাঁচাতে যায়নি৷
মিথিলার মতো আরো কয়েক তরুণী এখন ফেসবুক লাইভে বেশ আলোচিত চরিত্র৷ নিজেদের যৌনজীবন, পুরুষের যৌনতা নিয়ে খোঁচা দেয়া নানা মন্তব্য তারা করছেন লাইভে৷ সেগুলো রেকর্ড হয়৷ ছড়িয়ে যায় ইন্টারনেটে৷ কেউ কেউ আবার নিজের প্রোফাইল থেকে মুছে ফেলেন সেগুলো৷ কিন্তু থেকে যায় ইউটিউব-এ বা এমএসএস-এ৷
একজন মানুষের অনলাইন জীবন কী হবে, সেটা নির্ধারণের স্বাধীনতা তাঁর অবশ্যই আছে৷ কিন্তু তিনি কোথায় অবস্থান করছেন সেটাও একটা ফ্যাক্টর৷ পশ্চিমা সমাজে যা চলে আমাদের বাঙালি সমাজে তা চলে না৷ তাই বাঙালি তরুণীদের বলছি, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাটে খোলামেলা ছবি দেয়ার আগে আরেকবার ভাবো৷ একবার কিছু ইন্টারনেটে ছড়িয়ে গেলে তা আর ফেরানো যাবে না৷ আজ যা এক্সাইটিং মনে হচ্ছে, কাল তা নাও হতে পারে৷
আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন মন্তব্যে৷
সেল্ফি হাঙরের চেয়েও বিপজ্জনক, তবুও হিড়িক চলছে
চলছে সেল্ফির যুগ৷ তাই খেতে বসেও মানুষ সেল্ফি তোলে৷ দুর্ঘটনাও ঘটে অনেক৷ আজকাল হাঙরের আক্রমণে যত মানুষ মারা যায় তারচেয়ে বেশি মারা যায় সেল্ফি তুলতে গিয়ে৷ তবু মানুষ কতভাবে সেল্ফি তোলে, কত রকমের বিপদে পড়ে!
ছবি: Colourbox
সেল্ফি হাঙরের চেয়েও বিপজ্জনক
এক জরিপ অনুযায়ী ২০১৫ সালে হাঙরের আক্রমণে এ পর্যন্ত মারা গেছে মোট ৮ জন মানুষ, অন্যদিকে সেল্ফি তুলতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১২ জনের৷ তাই কয়েকদিন আগে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরেই শিরোনাম ছিল, ‘‘হাঙরের চেয়ে বেশি মানুষ হত্যা করে সেল্ফি৷’’ সেল্ফির নেশা সত্যিই বড্ড বিপজ্জনক, কখনো কখনো হাঙরের চেয়েও বিপজ্জনক!
ছবি: Getty Images/Scott Tuason
সেল্ফির কারণে মৃত্যু
সেল্ফি তুলতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা অহরহই ঘটছে৷ কয়েকদিন আগে তাজমহল দেখতে গিয়ে সেল্ফি তোলার ইচ্ছে হয় ৬৬ বছর বয়সি এক ভদ্রলোকের৷ সিঁড়ি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সেল্ফি তুলতে গেলেন, পা পিছলে পড়েই তাঁর ভবলীলা সাঙ্গ! হাতে বন্দুক নিয়ে সেল্ফি তুলতে গিয়ে ট্রিগারে চাপ দিয়ে বসায় এক লোক মারা গেছেন – এ খবরও বেশি পুরোনো নয়৷ সেল্ফি তোলার ব্যাপারে তাই সবাইকে সতর্ক করার কথা ভাবতে শুরু করেছে কয়েকটি দেশের সরকার৷
ছবি: DW
সাবধানে সেল্ফি তুলুন
রাশিয়ায় গত জানুয়ারিতে প্রস্রাব করার সময় হাতে পিনখোলা গ্রেনেড নিয়ে সেল্ফি তুলতে গিয়েছিলেন এক তরুণ৷ সেল্ফি তোলা শেষ হওয়ার আগেই গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হলো৷ সঙ্গে সঙ্গেই মারা গেলেন দুই তরুণ৷ তারপর মে মাসে এক কিশোর রেলপথের ব্রিজে সেল্ফি তুলতে গিয়ে অসতর্কতাবশত বৈদ্যুতিক তারে হাত দিয়ে দেয়৷তাকেও বাঁচানো যায়নি৷ আগামীতে রাশিয়ার পথে পথে নাকি লেখা থাকবে, ‘‘একটি সেল্ফি আপনার মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে৷’’
ছবি: Fotolia/nenetus
হজে গিয়েও সেল্ফি
গত কয়েক বছরে পবিত্র হজে হাজিদের মাঝেও সেল্ফি তোলার হিড়িক বেড়েছে৷ হজ সেরে তাই কিছুটা স্বস্তি নিয়েই মিশরের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ রশিদ বললেন, ‘‘আমি যখন প্রার্থনা করছি তখনও অনেকে সেল্ফি তুলছিল৷ এমন হলে তো মনযোগ নষ্ট হয়ে যেতে পারে৷’’ মিশরের অনেক ইসলামি চিন্তাবিদও হজের সময় সেল্ফি তোলার প্রবণতার কঠোর সমালোচনা করেছেন৷ছবিতে এক দম্পতিকে হজ করতে গিয়ে সেল্ফি তুলতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Al-Shaikh
নগ্ন হয়ে সেল্ফি
শিশু-কিশোররাও দেদার সেল্ফি তুলছে৷ ব্রিটেনের তিন শিশু নগ্ন অবস্থাতেই সেল্ফি তুলে মেয়েদের পাঠিয়ে পড়েছে বিপদে৷ বিবিসি-র খবর অনুযায়ী, তিনজনের বয়সই ১৪ বছরের কম বলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি, মামলাও হয়নি৷ তবে পুলিশের খাতায় তাদের নাম লেখা থাকবে আগামী ১০ বছর৷ এই ১০ বছরে তারা আর কোনো অপরাধে জড়ায় কিনা তা লক্ষ্য করবে পুলিশ৷ নগ্ন হয়ে সেল্ফি তুলে কাউকে পাঠানোকে অপরাধ হিসেবেই গণ্য করে ব্রিটেনের পুলিশ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Steinberg
তবুও সেল্ফি, চামচ দিয়েও সেল্ফি...
এত কিছুর পরও সেল্ফি তোলা কমছে না৷ বরং সবাই যাতে আরো বেশি করে সেল্ফি তোলে সেই ব্যবস্থাই করে চলেছে আধুনিক প্রযুক্তি৷ তাই এতদিন খাওয়ার সময় সেল্ফি তুলতে না পেরে যারা বিরক্ত হতেন, তাদের জন্যও এসে গেছে বিশেষ ধরণের চামচ৷ সেই চামচ দিয়ে খেতে খেতেই সেল্ফি তোলা যায়৷ চামচটির নাম ‘সিনামন টোস্ট ক্রাঞ্চ সেল্ফি স্পুন’৷