1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গডফাদারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে র‌্যাব

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

র‌্যাবের মুখপাত্র এবং মিডিয়া ও ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের পরিচালক লে. কর্ণেল সারোয়ার বিন কাশেম ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, ‘গডফাদার বা তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকেই আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে র‌্যাব৷'

Bangladesch Polizei-Razzia gegen die Awami League
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin

ক্যাসিনোকান্ডসহ সম্প্রতি বেশ কিছু আলোচিত অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব৷ কিন্তু বারবার একটা প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি, সেটা হল- যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের গডফাদার বা সুবিধাভোগীদের তালিকা কি করেছে র‌্যাব? কি ব্যবস্থা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে? র‌্যাবের মুখপাত্র এবং মিডিয়া ও ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের পরিচালক লে. কর্ণেল সারোয়ার বিন কাশেম ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, ‘গডফাদার বা তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকেই আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে র‌্যাব৷'

ডয়চে ভেলে : ক্যাসিনোকাণ্ডে তো অনেকগুলো মামলা করেছেন, এগুলোর এখন কি অবস্থা?

লে. কর্ণেল সারোয়ার বিন কাশেম: গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনো বিরোধী যে অভিযান শুরু হয়েছিল সেই থেকে আমরা উল্লেখযোগ্য  নয়জনসহ ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছি৷ প্রায় ৬৬ কোটি টাকার এফডিআর এবং বিপুল পরিমান নগদ টাকা, বৈধ-অবৈধ অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে৷ এসব ঘটনায় বিপুল সংখ্যক মামলা আমরা করেছি৷ প্রত্যেকটি মামলাই চলমান৷ এর মধ্যে কিছু মামলার চার্জশিট আমরা দিয়েছি৷ বাকীগুলো ঠিকমতোই কাজ চলছে৷

প্রথম যখন অভিযান শুরু হয়, তখন অনেকেই বিদেশে ছিলেন৷ পরে তারা দেশে ফিরে নির্বাচনও করেছেন৷ কিন্তু তাদের গ্রেফতারে নতুন কোন উদ্যোগ নেই কেন?

আমরা যতদূর জানি, অভিযানের কারণে যারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন তারা কেউই এখনও দেশে ফিরে আসেনি৷ এবং দেশে এসে নির্বাচন করেছে এমন কোন তথ্যও আমাদের কাছে নেই৷ আপনাদের কাছে যদি এমন কোন তথ্য থাকে তাহলে আমাদের প্রদান করুন, তাদের বিরুদ্ধে যদি কোন মামলা থাকে তাহলে যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা সেটা অবশ্যই নেওয়া হবে৷

কিছু মিডিয়া এমন কিছু প্রচার করেছে যা আমরা বলিনি: সারোয়ার

This browser does not support the audio element.

অনেকে দেশে ফিরে মিডিয়ায় প্রতিবাদ বা কোন কোন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে? তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?

আমরা কিন্তু যে তথ্য পাইনি, সেই তথ্য কিন্তু মিডিয়াকে জানাইনি৷ তবে কিছু মিডিয়া এমন কিছু প্রচার করেছে যা আমরা বলিনি৷ তারপরও মামলা করবে সেটা একেবারেই যুক্তিযুক্ত না৷ আমার মনে হয়, এই বিষয়ে সবার একসঙ্গে থাকা উচিৎ৷ পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করার সাহসটা তারা পায় কোথায়? সবার এক হয়ে কাজ করা উচিৎ৷ আমাদেরও করা উচিৎ যেন ভুল তথ্য দিয়ে আমরা যেন জনগণকে বিভ্রান্ত না করি৷ এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে৷

অধিকাংশের বিরুদ্ধেই তো বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ আছে৷ এই টাকা উদ্ধারে দুদককে সম্পৃক্ত করে কোন উদ্যোগ আপনারা নিয়েছেন কি-না?

অবশ্যই৷ মানি লন্ডারিংয়ের যে মামলা সেগুলো কিন্তু সিআইডি দ্বারা পরিচালিত হয়৷ আমরা বিভিন্ন কারণে অপরাধীদের ধরে থাকি৷ এখানে বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে, যাদের যেটা নিয়ে কাজ করা উচিৎ তারা সেটাই করছে৷

যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের থেকে সুবিধাভোগীদের কোন তালিকা করেছেন কি-না? তাদের বিষয়ে আপনাদের কোন উদ্যোগ আছে?

আমি আগেও বলেছি, ৯ জন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি এবং এদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৩২ জনকে আমরা গ্রেফতার করেছি৷ ৩২ সংখ্যাটা কিন্তু আমলে নেওয়ার মতোই একটা সংখ্যা৷ এখনও যাদের গ্রেফতার করছি, তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তাদের যে গডফাদার বা তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি৷

কাউকে ধরার পর সংবাদ সম্মেলনে যে তথ্য দেয়া হয় এতে তার বা তাদের প্রাইভেসি লঙ্ঘন করা হয় কি-না?

সংবাদ সম্মেলনে আমরা যেটা বলি, প্রাথমিকভাবে তার কাছ থেকে এই তথ্যগুলো পাওয়া গেছে৷ পরবর্তীতে আরো কিছু পাওয়া গেছে জানানো হবে৷ আমরা কিন্তু প্রাথমিক কোন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করি৷ আর যদি পুরাতন কোন মামলা থাকে তাহলে তো কথাই নেই৷ তাহলে অবশ্যই সে অপরাধী৷ আর নতুন যাকে পাওয়া যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে যদি পুরাতন কোন মামলা না থাকে তাহলে আমরা বলি, তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে৷ বা অন্যান্য বাহিনীর উপর ছেড়ে দেই৷ এখানে প্রাইভেসি সংঙ্ঘনের সুযোগ আমরা রাখি না৷ আমরা যা করি, তা আইন সিদ্ধভাবেই করি৷

আদালত কর্তৃক অপরাধ প্রমানের আগেই অনেকের ছবি মিডিয়াতে প্রকাশ হচ্ছে? এটা কতটা যৌক্তিক?

মিডিয়া যে ছবিগুলো প্রকাশ করে তারা তো আইন মেনেই সেটা করেন৷ তারপরও এখানে আইনের কোন লংঙ্ঘন হচ্ছে কি-না তা মিডিয়ার যারা দায়িত্বশীল আছেন তারাই ভালো বলতে পারবেন৷

অভিযান বা মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে কোন ধরনের চাপ আসে কি-না?

এমন কোন চাপ আমরা অনুভব করি না৷ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করি৷ আমাদের কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পজেটিভ বলেই মনে হয়েছে৷

এসব ঘটনা নিয়ে মিডিয়া যদি অনুসন্ধান করতে চায় তাহলে র‌্যাব কি সহযোগিতা করে?

অবশ্যই৷ দেখেন জনগনের বন্ধু হিসেবে মিডিয়ার কাছ থেকে আমরা অনেক তথ্য উপাত্ত পাই৷ এবং অসংখ্য, অসংখ্য অপারেশন আমরা পরিচালনা করেছি, মিডিয়ার কাছ থেকে তথ্য উপাত্ত পেয়ে এবং তাদের কাছ থেকে প্রত্যক্ষ তথ্য পেয়ে ও সহযোগিতা পেয়ে৷ আমি বলতে চাই, সকলেরই মিডিয়া বান্ধব হওয়া উচিৎ৷

মিডিয়াতেও অনেক সময় আপনাদের উদ্ধৃত করে বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন হচ্ছে? সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভিকটিম হচ্ছেন কি-না?

দেখেন যখন কারো বিরুদ্ধে কিছু লেখা হয়, তখন নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই লেখা হয়৷ আমি যেটা বিশ্বাস করি, আমাদের দেশের মিডিয়া এ ব্যাপারে যথেষ্ট সৎ, যথেষ্ট উদ্যোগী৷ তারা এমন কিছু লিখবেন না যার কারণে কোন বিভ্রান্তি বা গুজবের সৃষ্টি হয়৷ তারপরও যদি কারো বিরুদ্ধে কিছু যায় তাতেও উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই৷ কারণ এর জন্য নির্দিষ্ট আইন আছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ