1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ায় নির্বাচন

১০ জুলাই ২০১২

ছ'দশক পরে প্রথম নির্বাচন৷ বিদেশি পর্যবেক্ষকরা বলছেন নির্বাচন সফল৷ ২৮ লাখ ভোটারদের মধ্যে ১৮ লাখ ভোট দিয়েছে৷ এবার ফলাফল ঘোষণা, প্রধানমন্ত্রীর মনোনয়ন ইত্যাদি৷ কিন্তু সব কিছুই যেন এক দিকনির্ণয়ের প্রচেষ্টা৷

ছবি: Reuters

লিবিয়ার জাতীয় সম্মেলনের নির্বাচনকে ফুল মার্কস দিয়েছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা, কিছু কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটা সত্ত্বেও৷ বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা, বিশেষ করে বিক্ষুব্ধ পূর্বাঞ্চলে ভোটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, এ'সবই ঘটেছে৷ তবুও ভোটাধিকারপ্রাপ্ত লিবীয়দের ৬৫ শতাংশ ভোট দিতে গেছেন৷ জাতিসংঘ খুশি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুশি৷ অন্যান্য যে সব পশ্চিমি দেশ মুয়াম্মার গাদ্দাফির ৪২ বছরব্যাপী শাসনের অন্তে বিদ্রোহীদের সমর্থন করেছিল, তারা সবাই খুশি৷

এনএফএ জোটের নেতা মাহমুদ জিব্রিলছবি: Reuters

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাসেসমেন্ট টিম'এর প্রধান জার্মানির আলেক্সান্ডার গ্রাফ লামসডর্ফ একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘প্রায় সব লিবীয় যে কোনোরকম ভয়ভীতি ছাড়াই ভোট দিতে পেরেছে, সেটা লক্ষণীয়৷'' বিক্ষিপ্ত ঘটনা যা ঘটেছে, তা' থেকে গোটা নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা চলে না, বলেন লামসডর্ফ৷ কিছু ব্যালট বক্স চুরি অথবা পোড়ানো, এবং দেশের পূর্বাঞ্চলে যে কিছু বিক্ষোভকারী স্বশাসনের দাবিতে প্রতিবাদ প্রদর্শন করেছে, তার কথাই বলছিলেন তিনি৷ যদিও বিক্ষোভে দু'জন মানুষের নিহত হবার কথাও শোনা গেছে৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই পর্যবেক্ষক দল রাজধানী ত্রিপোলি এবং পূর্বাঞ্চলের মুখ্য শহর বেনগাজি সহ বেশ কিছু শহর পরিদর্শন করেছে৷ এই বেনগাজিতেই গাদ্দাফির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল৷ ইইউ'এর পর্যবেক্ষকরা কিন্তু দক্ষিণের মরুভূমি এলাকায় পা দেননি, কেননা সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি উপজাতিদের সংঘর্ষের কারণে অনিশ্চিত৷

জেলা অনুযায়ী ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে, এবং সব মিলিয়ে মাহমুদ জিব্রিল'এর জাতীয় শক্তিজোটের এগিয়ে থাকার কথা৷ লিবিয়ার পরিস্থিতিতে এমনকি এই সাধারণ খবরটাও অসাধারণত্ব পেতে পারে৷ কেননা জিব্রিল'এর জোটে লিবিয়ার মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখাও আছে৷ জিব্রিল নিজে পশ্চিমে পড়াশুনো করেছেন, কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ কিংবা উদারপন্থি, এধরণের তকমা পছন্দ করেন না৷ এবং তিনি এ'ও বলেছেন যে, শরিয়া অথবা ইসলামি কানুন হল তাঁর জোটের একটি নীতি৷ কাজেই জিব্রিল যে ইতিমধ্যেই সব দলের প্রতি একটি একদলীয় জোট সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন, তা'তে সোৎসাহ সাড়া না জাগারই কথা৷

মানুষের মনে আশার আলোছবি: Reuters

বলতে কি, এই নির্বাচনের ফলাফল থেকেই যে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়ে যাচ্ছে, এমন নয়৷ কেননা সম্মেলনের ২০০ আসনের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলিকে দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৮০টি আসন৷ বাকি ১২০টি আসন যাবে নির্দলীয় প্রার্থীদের কাছে৷ সম্মেলনের মূল কাজ হবে একজন প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীসভা ঠিক করা এবং একটি এ'যাবৎ অলিখিত সংবিধানের ভিত্তিতে ২০১৩ সালের সংসদীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা৷

একটি গোটা দেশের পক্ষে এ'ধরণের একটি নবসূচনায় সমস্যার পাশাপাশি সমাধানগুলিও লুকিয়ে থাকে৷ পুবের মানুষরা অসন্তুষ্ট এই কারণে যে, তারা লিবিয়ার তিনটি অঞ্চলের মধ্যে একটি হলেও, পশ্চিমাঞ্চলের ১০২টি আসনের তুলনায় পূর্বাঞ্চলকে মাত্র ৬০টি আসন বরাদ্দ করা হয়েছে৷ যদিও রাজধানী ত্রিপোলি ঐ পশ্চিমাঞ্চলেই পড়ে, পুবের মানুষরা কিন্তু এই বাঁটোয়ারায় আদৌ সন্তুষ্ট নয়৷ কাজেই নতুন সংবিধান রচনার সময় পুবের এই অসন্তোষ সম্পর্কে কিছু একটা ব্যবস্থা নিতে হবে৷ অবশ্য তা বলে লিবিয়া যে শেষ অবধি ফেডারাল রাজ্য হওয়ার দিকে যাবে, তার সম্ভাবনা কম বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা৷

এএসসি / ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ