1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গণতন্ত্র কি হুমকির মুখে?

ক্লাউডিয়া মেন্ডে/এসবি১৮ এপ্রিল ২০১৩

জার্মানি, হাঙ্গেরি ও রাশিয়ায় গণতন্ত্রের বিকাশ ভিন্ন হলেও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে তিনটি দেশেই বিতর্ক রয়েছে৷ সম্প্রতি মিউনিখে এক আলোচনাসভায় ইউরোপে গণতন্ত্রের বর্তমান পরিস্থিতি উঠে এলো৷

Debattenteilnehmer auf der Bühne: links: Paul Nolte, Professor für neuere Geschichte an der FU Berlin, Mitte: Ute Schaeffer, DW-Chefredakteurin, rechts: Daniela Dahn, Schriftstellerin. Auf Leinwand oben links und rechts: Zugeschaltete Teilnehmer aus Moskau und Budapest. Aufnahmedatum: 14.04.2013 Ort: München Veranstaltung: Mapping Democracy, 4. Teil einer Veranstaltungsreihe des Goethe-Instituts in den Münchner Kammerspielen. Thema: Demokratie in der Defensive Pressebilder von den Münchener Kammerspielen
ছবি: Münchner Kammerspiele

এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক উদীয়মান দেশে এলিট শ্রেণির কাছে গণতন্ত্র উন্নয়ন ও প্রাচুর্যের প্রতীক হতে পারে, কিন্তু ইউরোপের কিছু দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি আস্থা কমে চলেছে৷

জার্মানির বৈদেশিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গ্যোটে ইনস্টিটিউট ও নেমেচেক ফাউন্ডেশন সম্প্রতি ‘ম্যাপিং ডেমোক্র্যাসি' নামের একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছিল৷ ডয়চে ভেলের প্রধান সম্পাদক উটে শেফার সহ বেশ কয়েকজন বক্তা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাঙ্গেরি ও রাশিয়ার বক্তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন৷

পরিস্থিতি আলাদা, তবে ক্ষোভ কম নয়

জার্মানি, হাঙ্গেরি ও রাশিয়া – এই তিন দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ আলাদা আলাদা পর্যায়ে রয়েছে৷ তবে তিনটি দেশেই গণতন্ত্রের বিপদ ও তার মোকাবিলার বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলছে৷ রাশিয়ায় রাষ্ট্রের থাবা ও ক্ষমতাসীন দলের পেশিশক্তি প্রদর্শনের ফলে সুশীল সমাজ সংকটে পড়েছে৷ হাঙ্গেরির বিরোধী পক্ষ একের পর এক গণতান্ত্রিক অধিকার হারানোর আশঙ্কায় রয়েছে৷ সে দেশের দক্ষিণপন্থি সরকার সংবিধানে পরিবর্তন এনে ইতিমধ্যেই অনেক অধিকার খর্ব করেছে৷ জার্মানিতে পরিস্থিতি এতটা নাটকীয় না হলেও সাধারণ মানুষ সংসদীয় প্রতিষ্ঠানগুলির উপর আর আগের মতো আস্থা রাখতে পারছেন না৷ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা বর্তমান সংকটগুলি সামলাতে পারছেন কি না, তা নিয়ে তাঁদের মনে সন্দেহ দেখা দিচ্ছে৷

সাংবাদিক ও রাজনীতিক মিখাইল গেলফান্ডছবি: Creative Commons/Denis Mironov

নাগরিকদের ভূমিকা

তবে সব দোষ রাজনীতিকদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলে চলে না৷ গণতন্ত্রে নাগরিকদের ভূমিকাও কম নয়৷ যেমন জার্মানি লেখিকা ডানিয়েলা ডান মনে করেন, নাগরিকরা ‘প্রত্যক্ষদর্শী' হিসেবে গণতন্ত্রকে দেখছেন৷ তিনি নিজে সাবেক পূর্ব জার্মানির বিপ্লবের সময় নাগরিকদের সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন৷ তাঁর মতে, নির্বাচিত রাজনীতিকদের প্রতি আজকের নাগরিকদের বেশি ধৈর্য দেখানোর প্রয়োজন নেই৷ তাছাড়া ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ফারাক বেড়েই চলেছে৷ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আজকাল আর ভোটারদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করছেন না৷ নিজের স্বার্থ, দলের স্বার্থ বা যারা অর্থ বা চাঁদা দিচ্ছে, তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই ব্যস্ত থাকেন তাঁরা৷ অর্থাৎ জার্মানির সংবিধান নাগরিকদের হাতে যে ক্ষমতা দেবার কথা বলে, বাস্তবে তার প্রতিফলন সবসময়ে দেখা যায় না৷

আজকের খোলামেলা পরিবেশ

তবে বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পাউল নল্টে মনে করেন, গত শতাব্দীর সত্তরের দশকের পর থেকে আজ পর্যন্ত জার্মানির সমাজ ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার অনেক উন্নতি ঘটেছে৷ যে তরুণ-তরুণীরা আজকের খোলামেলা পরিবেশে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন, তারা কল্পনাই করতে পারবেন না, কয়েক দশক আগেও পরিবেশ কতটা আড়ষ্ট ছিল৷ পুরুষতান্ত্রিক সেই কাঠামোয় নারীদের প্রায় কোনো গুরুত্বই ছিল না৷ তাঁর মতে, ধনী-দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য বাড়ার থেকেও আরও বড় সমস্যা হলো ভোটার হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত মধ্যবিত্তদের বেড়ে চলা গুরুত্ব৷ রাজনীতিকরা তাঁদের কথা ভেবেই কাজ করেন৷ ফলে নিম্নবিত্তদের স্বার্থরক্ষা করতে কেউ প্রস্তুত নয়৷ তাদের কোনো লবি নেই৷

পূর্ব ইউরোপের বিকাশ

পূর্ব ইউরোপের দেশগুলিতে কমিউনিস্ট শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়ার পর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশাল পরিবর্তন ঘটেছে ঠিকই, কিন্তু কাগজে-কলমে গণতন্ত্র এলেও অনেক দেশে নাগরিকদের কণ্ঠ যথেষ্ট জোরালো হয়ে উঠতে পারে নি৷ তারা নতুন ব্যবস্থায় টিকে থাকতেই বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে৷ হাঙ্গেরির মতো দেশ ২০০৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে৷ কিন্তু ইউরোপীয় মূল্যবোধ সে দেশে পুরোপুরি পৌঁছায় নি৷ ফলে ভিক্টর ওরবানের মতো দক্ষিণপন্থি নেতা সংবিধানে পরিবর্তন করে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করলেও সাধারণ মানুষের মাথাব্যথা নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে৷

রাশিয়ার সুশীল সমাজ রাষ্ট্রের চরম পদক্ষেপগুলির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে৷ ‘পুসি রায়ট'-এর মতো রক-ব্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসন সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে৷ তবে গোটা বিশ্ব তাদের পরিণতি নিয়ে আগ্রহী হলেও রাশিয়ার বেশীরভাগ মানুষ রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না বলে মনে করেন সাংবাদিক ও রাজনীতিক মিখাইল গেলফান্ড৷ তাঁর মতে, যে কোনো গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করা৷ রাশিয়ায় তা ঘটছে না বলে তিনি মনে করেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ