1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গণতন্ত্র গড়ার পথে ব্যর্থতা

২৭ জুন ২০১৪

ইরাকে আইসিস, মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুড, লিবিয়া ও টিউনিশিয়ায় স্থিতিহীনতা: আরব বসন্ত যাবৎ গণতন্ত্র কোথায় সফল হয়েছে? সংসদীয় নির্বাচন মানেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা নয়, বলেছেন আইপিইউ-এর বিদায়ী প্রধান আন্ডার্স জনসন৷

(ফাইল ফটো)
ছবি: picture-alliance/ dpa

আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজ গণতন্ত্রের রাজনৈতিক বুনিয়াদ স্থাপনে সহায়তা করতে ব্যর্থ হয়েছে, বলে অভিযোগ করেছেন ইন্টারন্যাশনাল পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ)-এর বিগত ১৬ বছরের সভাপতি, যিনি আগামী মঙ্গলবার অবসর নিচ্ছেন৷

আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজ মুক্ত নির্বাচনের প্রস্তুতিতে কোটি কোটি ডলার ঢালে, কিন্তু নবনির্বাচিত সংসদগুলিকে কার্যকরি হওয়ায় সাহায্য করতে ভুলে যায় – ফরাসি এএফপি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন জনসন৷

‘‘সংসদীয় নির্বাচনকে বাকি সব কিছু ভুলে গিয়ে সরকারের বৈধকরণের পন্থা হিসেবে দেখার একটা প্রবণতা আছে৷ কিন্তু সংসদীয় প্রতিষ্ঠানগুলি হচ্ছে সেই সব স্থান, যেখানে সরকার কিভাবে চলছে অথবা চলছে না, সমাজের সব স্তরের, সব অংশের মানুষদের সে বিষয়ে মন্তব্য করার অধিকার থাকবে'', যোগ করেন জনসন৷

‘আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজ গণতন্ত্রের রাজনৈতিক বুনিয়াদ স্থাপনে সহায়তা করতে ব্যর্থ হয়েছে’ছবি: IPU

জনতার রোষ থেকে যার জন্ম

জনসনের বক্তব্য জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনের কিছু সাম্প্রতিক মন্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়৷ বান গত সপ্তাহে জেনেভায় বলেছিলেন: ‘‘আরব বসন্তের সূচনা থেকে আমি সব নেতাদের জোর দিয়ে বলে আসছি যে, জনতার ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতি তাঁদের মনোযোগ দেওয়া জরুরি৷ সমস্যার একটা বড় কারণ হলো, নির্বাচিত হওয়ার পর নেতারা সেটাকে স্বাভাবিক বলে মনে করেন৷ কিন্তু বৈধতা শুধু নির্বাচন থেকে আসে না, সুশাসন থেকেও আসে, আসে মানবাধিকার রক্ষা থেকে, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষের দিকে হাত বাড়িয়ে দেওয়া থেকে৷''

জনসন চিন্তাধারার আমূল পরিবর্তন দাবি করেছেন৷ প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্রগুলির উচিত সাহায্য করা, তবে নিয়মকানুন বেঁধে না দিয়ে৷ ‘‘রাজনীতি করার অন্য একটা পন্থা থাকা উচিত৷ এটা নিশ্চিত করা উচিত যে, নির্বাচনের পরদিনও রাজনীতি সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করার একটি প্রক্রিয়া থাকবে, যে প্রক্রিয়াকে কাজ করতে দেওয়া হবে, যে প্রক্রিয়াকে সফল হতে সাহায্য করা হবে'', বলেছেন জনসন৷

পানি না ছুঁয়ে মাছ ধরা যায় না

একটা সমস্যা হলো এই যে, এ ধরনের সংশ্লেষ অথবা সম্পৃক্ততাকে ‘অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার সমতুল' বলে গণ্য করা হতে পারে৷ তাছাড়া এভাবে ‘জড়িয়ে পড়ার' একটা খরচের দিকও আছে: বৈশ্বিক স্থায়িত্বের মূল্য ধরে দিতে হয়৷ এছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশগুলির সরকারবর্গ নিজের নিজের দেশের সংসদকে কতটা ক্ষমতাশালী হয়ে উঠতে দিতে চান, সেটাও একটা আলাদা প্রশ্ন৷

জনসনের মতে ইউরোপীয় সংসদের সাম্প্রতিক নির্বাচনে ইউরোপ জুড়ে দক্ষিণপন্থি প্রবণতাও এক ধরনের অশনিসংকেত৷ ইউরোপের ভোটাররা যাবতীয় নির্বাচন সত্ত্বেও বিশেষ কোনো পরিবর্তন দেখছেন না: ক্রমেই আরো বেশি পেশাদারি রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে তাদের যোগসূত্রটা ক্রমেই আরো ক্ষীণ হয়ে আসছে, বলে ইউরোপের একাংশের ধারণা৷ ভোটাররা রাজনীতির গোটা প্রক্রিয়া সম্পর্কে কী ভাবেন, নেতাদের সেটা জানা নেই অথবা শুধুমাত্র আংশিকভাবে জানা আছে৷ সেই সঙ্গে রয়েছে লবিইস্টরা এবং ‘স্পিন' ডক্টররা৷

‘‘কিন্তু আমাদের আর কোনো স্পিন বাকি নেই৷ আজ অর্থই মোটামুটি সব কিছু শাসন করছে, অর্থাৎ টাকা, মোটা টাকা'', বলেছেন জনসন৷

‘‘২০০৮ সালের সংকট থেকে আমরা বাস্তবিক কোনো শিক্ষা পাইনি৷ সংকটের আগে কিংবা পরে, একটি উন্নততর বিশ্ব সৃষ্টি করার লক্ষ্য থেকে আমরা আজও অনেক দূরে৷''

এসি/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ