1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘গণতন্ত্র হুমকিতে', ম্যার্কেলের হুঁশিয়ারি

২৭ আগস্ট ২০১৮

ম্যার্কেলের সরকারের জন্য বছরের প্রথমভাগ খুব সুখকর ছিল না৷ এক সাক্ষাৎকারে তিনি যে-কোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ টিকিয়ে রাখার কথা বলেছেন৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান না৷

ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল জোর দিলেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ওপর৷ জার্মানির পাবলিক ব্রডকাস্টার এআরডিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব বক্তব্য তুলে ধরেন৷

তিনি বলেন, ‘‘এই প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা নিশ্চিত করা না গেলে গণতন্ত্রকেও রক্ষা করা যাবে না৷''

সম্প্রতি বেশ কিছু রাজনীতিবিদ জার্মানির বিচারকদের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন৷ বিশেষ করে ওসামা বিন লাদেনের সাবেক দেহরক্ষী সামি এ-কে অবৈধভাবে টিউনিশিয়ায় ফেরত পাঠানোর বিরুদ্ধে রায় দেয়ার পর তাঁরা এর বিরোধিতা করেন৷

নর্থ রাইন-ভেস্টফালিয়া রাজ্যের উচ্চতর প্রশাসনিক আদালত সামিকে জার্মানিতে ফেরত আনার আদেশ দেয় এবং যাঁরা তাকে টিউনিশিয়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছেন, তাঁদের জরিমানারও নির্দেশ দেয়৷

সম্প্রতি ড্রেসডেনে চরম ডানপন্থিদের একটি বিক্ষোভে সংবাদ সংগ্রহের সময় এক সংবাদকর্মীকে আটক করে পুলিশ৷ তারপর গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টিও বেশ জোরেশোরেই আলোচনায় এসেছে৷

অবসরভাতা ও শরণার্থী সংকট

অভিবাসননীতি নিয়ে সংকট ম্যার্কেলের জোট সরকারেই প্রায় ভাঙন ধরিয়েছিল৷ সে সংকট আপাতত কাটিয়ে ওঠা গেলেও এখন তাঁর মন্ত্রিসভায় দেখা দিয়েছে নতুন বিতর্ক- অবসরভাতা৷

ম্যার্কেল এআরডিকে বলেন, এ বিষয়ে ‘‘শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসবে৷'' অবশ্য ২০৪০ সাল পর্যন্ত অবসরভাতা স্থিতিশীল রাখা সংক্রান্ত মধ্যবামপন্থি সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডির প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন ম্যারকেল৷

এসপিডির আরো একটি প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ আশ্রয়প্রার্থনা মঞ্জুর না হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীরা চাকরি পেলে এবং জার্মান সমাজের সাথে একীভূত হতে পারলে দীর্ঘদিনের জন্য তাঁদের জার্মানিতে বসবাসের অনুমতি দেয়ার প্রস্তাব ছিল এসপিডির৷ ম্যার্কেল বলছেন, এমন সিদ্ধান্ত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ভুল বার্তা দেবে৷

ম্যার্কেলের পাশে সেহোফার

গ্রীষ্মের শুরুতে নিজের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফারের কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছিলেন ম্যার্কেল৷ এক পর্যায়ে সরকার থেকে পদত্যাগের হুমকিও দিয়েছিলেন সেহোফার৷ তবে এখন দুই নেতার মধ্যে কার্যত অলিখিত এক শান্তিচুক্তি বিরাজ করছে

অবসরভাতা নিয়ে বিতর্কে ম্যার্কেলের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন সেহোফার৷ জার্মানির আরেক পাবলিক ব্রডকাস্টার জেডডিএফকে তিনি বলেছেন, ‘‘সরকার এখন ধীরে ধীরে অবসরভাতা, বেকারভাতা, বাড়িভাড়া বৃদ্ধি এবং দক্ষ শ্রমিকদের অভিবাসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে৷''

এ বছরের জুন-জুলাইয়ে কঠোর অভিবাসন নীতির পক্ষে সেহোফারের অবস্থান এবং ম্যার্কেলের সাথে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব জোট সরকারের অস্তিত্ব হুমকিতে ফেলে দেয়৷ তবে পরবর্তীতে ম্যারকেলের খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী ইউনিয়ন সিডিইউ, বাভারিয়া রাজ্যে দলটির সহযোগী সেহোফারের খ্রিস্টীয় সামাজিক ইউনিয়ন সিএসইউ এবং সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডি এ বিষয়ে এক ধরনের সমঝোতায় পৌঁছায়৷

১৪ অক্টোবর বাভারিয়া রাজ্যে নির্বাচন৷ অনেকেই বলছেন, অক্টোবরের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতেই ডানপন্থি নীতির দিকে ঝুঁকছেন সেহোফার৷

এডিকে/এসিবি (এপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ