1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গণভোটের আগে গণমাধ্যমকে চাপ

চেজ উইন্টার/জেডএইচ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

এপ্রিলের ১৬ তারিখ তুরস্কে গণভোট হবে৷ সংবিধান পরিবর্তন করে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়ানো উচিত কিনা, তা জানতে চাওয়া হবে৷ এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় শনিবার জনপ্রিয় এক সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে৷

Türkei Rede Erdogan
ছবি: picture alliance/AP Images/Y. Bulbul

ঐ সাংবাদিকের নাম ইরফান ডেগিরমেনসি৷ তিনি ‘কানাল ডি' টেলিভিশনের একজন জনপ্রিয় উপস্থাপক ছিলেন৷ টুইটারে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ১৭ লক্ষ৷ শুক্রবার বেশ কয়েকটি টুইট করে তিনি গণভোটে ‘না' ভোটের পক্ষে তাঁর সমর্থন জানান৷ একটি টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘তাঁর প্রতি ‘না', যিনি বিজ্ঞানী, শিল্পী, লেখক, কার্টুনিস্ট, শিক্ষার্থী, শ্রমিক, কৃষক, খনিশ্রমিক, সাংবাদিকসহ যাঁরা তাঁর আদেশ না মানেন, তাঁদের শত্রু ভাবেন৷''

এই টুইটের একদিন পরই ডেগিরমেনসিকে চাকরি থেকে অব্যহতি দেয়া হয়৷ এক বিবৃতিতে কানাল ডি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাঁকে চাকরিচ্যুত করার কারণ তিনি ‘যে বিষয় নিয়ে জনগণ বিতর্ক করছে, সেই বিষয়ে একটি পক্ষের প্রতি সমর্থন জানিয়ে' নীতি ভঙ্গ করেছেন৷ অনেক সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে হাস্যকর বলে মনে করছেন, কারণ, ফাতিহ সেকিরগে নামের এক সাংবাদিক প্রেসিডেন্ট ব্যবস্থার পক্ষে তাঁর সমর্থন জানালেও তিনি বহাল তবিয়তেই আছেন৷

উল্লেখ্য, গণভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ব্যবস্থা চালু হলে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যেপ এর্দোয়ানের ক্ষমতা অনেক বাড়বে৷ ফলে মন্ত্রীদের চাকরিচ্যুত করা, সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা, ডিক্রি জারি, জরুরি অবস্থা ঘোষণাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে ব্যক্তি নিয়োগের ক্ষমতা পাবেন তিনি৷

এর্দোয়ানের সমর্থকরা মনে করছেন, গত জুলাইয়ের ব্যর্থ অভ্যুত্থান ও কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে দেশটির এমন একজন নেতা প্রয়োজন যিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন৷ তবে বিরোধীরা বলছেন, সংবিধানে পরিবর্তন আনার মাধ্যমে একজন স্বৈরশাসকের ক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে এবং এর মাধ্যমে তুরস্ক পুরোপুরি স্বৈরশাসনের আওতায় চলে যাবে৷

দেশটিতে ইতিমধ্যে নানানভাবে গণমাধ্যমের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা চলছে৷ গত বছর বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়৷ এছাড়া কমপক্ষে দেড়শ' গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ ফলে অধিকাংশ সাংবাদিক এখন ‘সেল্ফ-সেন্সরশিপ' মেনে চলছেন৷

বর্তমানে তুরস্কের বেশিরভাগ শীর্ষ গণমাধ্যমের মালিক বড় বড় কোম্পানি, যারা সরকারের বড় প্রকল্পের কাজ পেতে নিজে থেকেই সরকার বিরোধী সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকে৷ যেমন আলোচিত ‘কানাল ডি'-র মালিক ‘দোয়ান হোল্ডিং'৷ সিএনএন টুর্কসহ বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক এই কোম্পানি৷ সংবাদ পরিবেশনে কিছুটা নিরপেক্ষ হিসেবে এই কোম্পানির আওতাধীন গণমাধ্যমের পরিচিতি রয়েছে৷

প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রধানদের ফোন করে কাভারেজের বিষয়ে অভিযোগ করে থাকেন৷

এদিকে, শনিবার এর্দোয়ান বলেছেন, যাঁরা প্রেসিডেন্ট ব্যবস্থার বিরুদ্ধে, তাঁরা আসলে কুর্দিস্থান ওয়ার্কার্স পার্টি ও জুলাইয়ের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সমর্থক৷ কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইয়েলদিরিমও এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ