1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এর্দোয়ান যে ক্ষমতা পেতে পারেন

Sanjiv Burman১৪ এপ্রিল ২০১৭

রবিবার তুরস্কে সংবিধান পরিবর্তন নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে৷ এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে৷ সবশেষ জরিপে ‘হ্যাঁ’ ভোট ‘না’ এর চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছে৷

Türkischer Präsident Recep Tayyip Erdogan
ছবি: Getty Images/AFP/O. Kose

সংবিধানে মোট ১৮টি সংশোধনী আনার প্রস্তাব করা হয়েছে৷ ফলে প্রায় ৭০টি আইনে পরিবর্তন আসতে পারে৷

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, ‘হ্যাঁ' ভোট ‘না' এর চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছে৷ তবে ‘না' ভোটের পক্ষে যাঁরা প্রচারণা চালাচ্ছেন তাঁদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ তাঁদের কাজে বাধা দিচ্ছে৷

কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সংশোধনী প্রস্তাব হচ্ছে:

  • প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিলুপ্ত করে দেয়া হবে৷ প্রেসিডেন্ট মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট (নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যার উল্লেখ নেই) নিয়োগ দেবেন৷
  • সংসদের অনুমোদন ছাড়া ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করতে পারবেন প্রেসিডেন্ট
  • মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়া প্রেসিডেন্ট জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন৷
  • বাজেটের খসড়া প্রণয়ন করবেন প্রেসিডেন্ট, যা এখন করে থাকে সংসদ৷
  • সাংবিধানিক আদালত প্রেসিডেন্টের বিচার করতে পারবে৷ ঐ আদালতের ১২ জন সদস্য নিয়োগ দেবেন প্রেসিডেন্ট৷ বাকি তিনজনকে নিয়োগ দেবে সংসদ৷
  • পাঁচ বছর করে সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন প্রেসিডেন্ট৷ তবে দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে যদি সংসদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সেই নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট৷

২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে সংশোধনীগুলো বাস্তবায়ন শুরু হবে৷ সেই সময় একই দিনে প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷

প্রায় ৯৪ বছর আগে কামাল আতাতুর্ক যেসব মতাদর্শের ভিত্তিতে আধুনিক তুরস্ক গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যেপ এর্দোয়ানের আমলে সেই পরিস্থিতি অনেকখানি বদলে গেছে বলে মনে করেন ‘না' এর পক্ষে প্রচারণা চালানো কর্মীরা৷ তাঁরা বলছেন, পশ্চিমা মূল্যবোধ, গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা থেকে তুরস্ককে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এর্দোয়ান৷

তবে এর্দোয়ানের সমর্থকরা গণভোটে ‘হ্যাঁ' ভোট দিয়ে তাঁকে পুরস্কৃত করতে চান৷ কারণ, তাঁরা মনে করেন, এর্দোয়ান তুর্কিদের জীবনে ইসলামি মূল্যবোধ ফিরিয়ে এনেছেন৷ ধর্মভীরু শ্রমিক শ্রেণির ভোটারদের কাছেও এর্দোয়ান বেশ জনপ্রিয়৷ এছাড়া তাঁর আমলে বিমানবন্দর থেকে শুরু করে হাসপাতাল, স্কুল – এ সব অবকাঠামো গড়ে উঠেছে বলে জানান ‘হ্যাঁ' সমর্থকরা৷

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ