1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গণমাধ্যম হোক সবার কণ্ঠস্বর

১৩ জুন ২০১৮

জার্মানির বনে শেষ হলো তিনদিনের গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম সম্মেলন৷ সমাজে বৈষম্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমের ভুমিকা প্রশ্নে সবার কণ্ঠস্বর সমান গুরুত্ব দিয়ে প্রচারের বিষয়ে একমত হয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা৷

Plenary Session Four against fake—media and information literacy in the digital age
ছবি: DW/U. Wagner

জার্মানির বন শহরে ডয়চে ভেলের উদ্যোগে আয়োজিত বার্ষিক সম্মেলন গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম (জিএমএফ) বুধবার শেষ হয়েছে৷ তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলন সোমবার শুরু হয়েছিল৷ এবারের মটো ছিল, ‘বৈশ্বিক অসমতা'৷ পৃথিবীতে বৈষম্য কেন বাড়ছে? বৈষম্যের কারণেই কি মানুষ দেশান্তরী হয়? এক্ষেত্রে গণমাধ্যম কী ভূমিকা পালন করতে পারে? – এ রকম অসংখ্য প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন অংশগ্রহণকারীরা৷

এবার ছিল জিএমএফ-এর ১১তম আয়োজন৷ ১২০টি দেশ থেকে দুই হাজার তিনশ'র বেশি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, গণমাধ্যম উদ্যোক্তা, কর্মী, এনজিওকর্মী, ব্লগার এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন৷

মোট ৮৩টি সেশনে বিষয়ধর্মী আলোচনা, প্রশিক্ষণ, মত বিনিময়, প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন ছিল এবার৷ সেখানে একদিকে সমাজে অসমতা ও বৈষম্য দূর করতে সাংবাদিকতার মানসম্মত শিক্ষা ও পেশাগত চর্চার প্রসঙ্গ উঠে আসে, তেমনি সামাজিক গণমাধ্যমের এই যুগে প্রযুক্তি কীভাবে এতে ভূমিকা রাখতে পারে আলোচনা হয় সে বিষয় নিয়েও৷

এছাড়া সমাজের বিভিন্ন অনগ্রসর গোষ্ঠীকে কীভাবে আরো সামনে নিয়ে আসা যায়, তথ্যপ্রযুক্তিকে কীভাবে তাদের কাছে আরো সুলভ ও সহজলভ্য করা যায় সেসব বিষয়েও মতামত ও নতুন নতুন ধারণা তুলে আনা হয়েছে৷ রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে ভূয়া খবরের প্রভাব ও তার প্রতিকার নিয়েও আলোচনা হয়৷

তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগের নতুন নতুন ভাবনা নিয়ে সারাবিশ্বে সমাজ পরিবর্তনে কাজ করে যাওয়া তরুণদেরও পরিচয় করিয়ে দেয় এই মঞ্চ৷

সেশনগুলোতে যে বিষয়টিতে সবাই গুরুত্ব দিয়েছেন, তা হলো গণমাধ্যমে আরো বেশি করে বিকল্প কণ্ঠস্বর তুলে ধরার মাধ্যমে বৈষম্য কমানো৷ তাঁদের মতে, নানা কারণে অনেক কণ্ঠস্বর সবার কাছে পৌঁছায় না৷ এসব ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে আরো দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে৷

এর আগে, সোমবার সকাল ১০টায় বন শহরের ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সেন্টারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জার্মানির নর্থ রাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের প্রেসিডেন্ট আরমিন লাশেট৷

তিনি সকলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘এখানে আগে বনের পার্লামেন্ট ছিল৷ কাছের ওই চেয়ারটিতে আগে বনের চ্যান্সেলর বসতেন৷ সেখানে এখন দু'জন ব্লগার বসে আছেন৷ এভাবেই পরিবর্তন আসছে৷''

এবারের সম্মেলনের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই৷ তাঁর বক্তব্যে তিনি কাবুল ও তালেবানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির খবরকে স্বাগত জানান৷ এছাড়া জার্মানিসহ পশ্চিমা বিশ্বকে আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে ভুমিকা রাখার আহ্বান জানান৷

সম্মেলনে ইরান সরকারের বিরুদ্ধে সাহসি সমালোচনার জন্য সেদেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সাদেঘ জিবাকালামকে বাকস্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করেছে ডয়চে ভেলে৷ পুরস্কার গ্রহণের পর তিনি বলেন, ‘‘ইরানের সাম্প্রতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম৷''

এছাড়া দেখানো হয়েছে বাংলাদেশ নিয়ে তথ্য চিত্র ‘দ্য ডন অফ ইসলামিজম ইন বাংলাদেশ'৷ ডয়চে ভেলের তৈরি প্রায় ৪২ মিনিটের এই তথ্যচিত্রটি ফোরামের দ্বিতীয় দিন প্রদর্শিত হয়৷ সেই সময় নির্মাতারা বলেন, বাংলাদেশে কাজ করার সময় তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করেননি

এছাড়া বাংলাদেশ থেকে গণমাধ্যমের বিশিষ্টজনেরাও অংশ নেন সম্মেলনে৷ এর মধ্যে চ্যানেল আই-এর ফরিদুর রেজা সাগর, ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির নির্বাহী সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীন, আরটিভির প্রধান নির্বাহী আশিক রহমান, ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ এর বার্তা সম্পাদক ও বার্তাকক্ষ প্রধান জাহিদুল কবির এবং প্রথম আলোর উপ-সম্পাদক মিজানুর রহমান খান ছিলেন৷এর বাইরেও ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ডয়চে ভেলে ও জার্মানির আরেক প্রচারমাধ্যম ডাব্লিউডিআর-এর কয়্যার বেটোফেনের নবম সিম্ফনি থেকে ‘ওড টু জয়' পরিবেশন করেন৷ এছাড়া ভারতের তরুণ ব়্যাপার গিন্নি মাহিরও একটি পরিবেশনা ছিল৷ আরও ছিল জ্যাজ মিউজিক৷ তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে এছাড়াও আরো অনেক পরিবেশনা ছিল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ