জার্মানির বনে শেষ হলো তিনদিনের গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম সম্মেলন৷ সমাজে বৈষম্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমের ভুমিকা প্রশ্নে সবার কণ্ঠস্বর সমান গুরুত্ব দিয়ে প্রচারের বিষয়ে একমত হয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানির বন শহরে ডয়চে ভেলের উদ্যোগে আয়োজিত বার্ষিক সম্মেলন গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম (জিএমএফ) বুধবার শেষ হয়েছে৷ তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলন সোমবার শুরু হয়েছিল৷ এবারের মটো ছিল, ‘বৈশ্বিক অসমতা'৷ পৃথিবীতে বৈষম্য কেন বাড়ছে? বৈষম্যের কারণেই কি মানুষ দেশান্তরী হয়? এক্ষেত্রে গণমাধ্যম কী ভূমিকা পালন করতে পারে? – এ রকম অসংখ্য প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন অংশগ্রহণকারীরা৷
এবার ছিল জিএমএফ-এর ১১তম আয়োজন৷ ১২০টি দেশ থেকে দুই হাজার তিনশ'র বেশি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, গণমাধ্যম উদ্যোক্তা, কর্মী, এনজিওকর্মী, ব্লগার এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন৷
মোট ৮৩টি সেশনে বিষয়ধর্মী আলোচনা, প্রশিক্ষণ, মত বিনিময়, প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন ছিল এবার৷ সেখানে একদিকে সমাজে অসমতা ও বৈষম্য দূর করতে সাংবাদিকতার মানসম্মত শিক্ষা ও পেশাগত চর্চার প্রসঙ্গ উঠে আসে, তেমনি সামাজিক গণমাধ্যমের এই যুগে প্রযুক্তি কীভাবে এতে ভূমিকা রাখতে পারে আলোচনা হয় সে বিষয় নিয়েও৷
এছাড়া সমাজের বিভিন্ন অনগ্রসর গোষ্ঠীকে কীভাবে আরো সামনে নিয়ে আসা যায়, তথ্যপ্রযুক্তিকে কীভাবে তাদের কাছে আরো সুলভ ও সহজলভ্য করা যায় সেসব বিষয়েও মতামত ও নতুন নতুন ধারণা তুলে আনা হয়েছে৷ রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে ভূয়া খবরের প্রভাব ও তার প্রতিকার নিয়েও আলোচনা হয়৷
তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগের নতুন নতুন ভাবনা নিয়ে সারাবিশ্বে সমাজ পরিবর্তনে কাজ করে যাওয়া তরুণদেরও পরিচয় করিয়ে দেয় এই মঞ্চ৷
সেশনগুলোতে যে বিষয়টিতে সবাই গুরুত্ব দিয়েছেন, তা হলো গণমাধ্যমে আরো বেশি করে বিকল্প কণ্ঠস্বর তুলে ধরার মাধ্যমে বৈষম্য কমানো৷ তাঁদের মতে, নানা কারণে অনেক কণ্ঠস্বর সবার কাছে পৌঁছায় না৷ এসব ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে আরো দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে৷
গণমাধ্যমের ভ্রান্তি ও উপস্থাপনের নীতিমালা
গণমাধ্যমে কোন খবর কীভাবে প্রকাশ করা হবে, কী ছবি বা ভিডিও যাবে সেই প্রতিবেদনের সাথে – এ নিয়ে পশ্চিমাবিশ্ব সতর্ক৷ জটিলতা রয়েছে বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশে৷ দেখা যাক গণমাধ্যমে সংবাদ উপস্থাপনার ক্ষেত্রে কিছু ভুল এবং অসঙ্গতি৷
ছবি: picture alliance/ANP/R. Koole
মানবিকতা না পেশাদারিত্ব?
সুদানে মৃতপ্রায় একটি শিশু মাঠে পড়ে রয়েছে আর তার ঠিক কয়েক হাত দূরেই একটি শকুন তাকিয়ে রয়েছে –১৯৯৩ সালে বিশ্ব তোলপাড় করা এই ছবিটি তুলেছিলেন বিখ্যাত ফোটো জার্নালিস্ট কেভিন কার্টার৷ পুলিত্জার পুরস্কারও পেয়েছিল ছবিটি৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠেছিল শিশুটির মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা না করে তিনি কি তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে পারতেন না? আর এ কারণেই হয়ত আত্মহত্যা করেছিলেন কেভিন৷
ছবি: DW/C. Wanjoyi
ধর্ষিতার ছবি ও পরিচয় প্রকাশ নয়
সংবাদ নীতিমালা বলে, ধর্ষিতা বা যৌন নিপীড়নের শিকারের নাম প্রকাশ করা যাবে না৷ কিন্তু অনেকক্ষেত্রে গণমাধ্যম ধর্ষিতার এলাকার নাম বা তাঁর কোনো আত্মীয়ের পরিচয় প্রকাশ করে৷ এ যুগেও সাংবাদিকতার এমন ভুল সত্যিই মর্মান্তিক৷
ছবি: Fotolia/DW
অপরাধীর অপরাধ প্রমাণের আগে ছবি প্রকাশ নয়
সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুযায়ী, অপরাধ করেছে সন্দেহে পুলিশ ধরার পরই তার ছবি সাংবাদিকরা প্রকাশ করতে পারেন না, কেননা, অপরাধ তো তখনো প্রমাণিত হয়নি৷ কিন্তু বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশে অপরাধীর অপরাধ প্রমাণের আগেই ছবি প্রকাশ করার ঘটনা ঘটে৷
ছবি: picture alliance/dpa/P. Pleul
উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে দেশের একটি প্রধান দৈনিক হিন্দু নারীদের ছবি প্রকাশ করে, যারা ভোট কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন৷ ক্যাপশনে যে স্থানের উল্লেখ ছিল, ছবিটি সেই স্থানের ছিল না৷ ফটোশপের সহায়তায় কিছু পরিবর্তনও আনা হয়েছিল ছবিটিতে৷ ছবিটি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল তখন৷
ছবি: DW/S. Kumar Day
একতরফা বক্তব্য নয়
বড় বড় ইস্যুতে ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো এক তরফা বক্তব্য প্রচার করে৷ কিন্তু সাংবাদিকতার প্রথম নীতিই হলো নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন৷ অর্থাৎ কোনো ঘটনায় উভয় পক্ষের বক্তব্য থাকতে হবে৷ না হলে জন্ম নেবে বিতর্কের৷
ছবি: picture-alliance/dpa
উদ্ধার কাজে সমস্যা বা আহতদের প্রশ্ন
দুর্ঘটনা স্থলে অতিরিক্ত সাংবাদিকের উপস্থিতি কাজে বাধার সৃষ্টি করে৷ একইভাবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষ বা নিহতদের স্বজনদের ঘটনা ঘটার মুহূর্তে প্রশ্ন করাটা একেবারেই অমানবিক৷ এতে নৈতিকতার চেয়েও মানবিকতার প্রশ্ন এসে যায়৷ বিশ্বের অনেক দেশের সাংবাদিকরা এমন পরিস্থিতিতে ঐ আহত বা নিহতদের স্বজনদের স্বার্থ রক্ষা করে কাজ করেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/STRDEL
ভুল ছবি, ভুল সংবাদ পরিবেশন
যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশের দুটি দৈনিক পত্রিকা কাবা শরীফের ছবি ব্যবহার করে মিথ্যা সংবাদ ছাপাতেও পিছপা হয়নি৷ ‘আলেমদের নির্যাতনের প্রতিবাদে কাবার ইমামদের মানববন্ধন’ শিরোনামে তারা একটি সংবাদ পরিবেশন করে, যেটা কিনা ১৮ অক্টোবর ২০১২ তে প্রকাশিত কাবার গিলাফ পরানোর সময় তোলা৷
ছবি: Stringer/AFP/Getty Images
জঙ্গিবাদকে উসকে দেয়া
গত দুই বছরে তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট আইএস বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে জবাই করে হত্যা করেছে এবং সেই হত্যাদৃশ্যের ভিডিও প্রচার করেছে৷ অনেক সংবাদ মাধ্যমও নিজেদের টিআরপি বাড়াতে সেই ভিডিও প্রচার করেছে৷ কিন্তু একদিকে এই ভয়াবহ দৃশ্য মানুষের মনে চাপ সৃষ্টি করে, অন্যদিকে জঙ্গিবাদকে উসকে দেয় না কি!
ছবি: SITE Intel Group/Handout via Reuters
শিশুদের ছবি প্রকাশ না করা
কোনো শিশুর বাবা-মাকে হত্যা করা হয়েছে৷ মানবিক আবেদন সৃষ্টি করতে অনেক সংবাদমাধ্যম তখন শিশুটিকে নিয়ে নানা প্রতিবেদন তৈরি করে৷ এতে যে শিশুটির উপর মানসিক চাপ তৈরি হয়, এটা সাংবাদিকদের বোঝা উচিত এবং এটা নীতিবিরুদ্ধ৷
ছবি: DW
শিশু অপরাধী এবং শিশু নির্যাতনের শিকার
অনেক দেশেই শিশু অপরাধীদের ছবি প্রকাশ করা হয় না৷ পাশাপাশি কোনো শিশুর ছবি তুলতে হলে অভিভাবকদের অনুমতি লাগে৷ এছাড়া ক্ষেত্র বিশেষে শিশুদের নিরাপত্তার স্বার্থেও অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া তাদের ছবি প্রকাশ করা উচিত নয়৷ কিন্তু আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই নীতি মেনে চলা হয় না৷ বাংলাদেশে নির্যাতিত শিশুর ছবিও হরহামেশাই প্রকাশ করা হয়৷
ছবি: picture alliance/ANP/R. Koole
10 ছবি1 | 10
এর আগে, সোমবার সকাল ১০টায় বন শহরের ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সেন্টারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জার্মানির নর্থ রাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের প্রেসিডেন্ট আরমিন লাশেট৷
তিনি সকলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘এখানে আগে বনের পার্লামেন্ট ছিল৷ কাছের ওই চেয়ারটিতে আগে বনের চ্যান্সেলর বসতেন৷ সেখানে এখন দু'জন ব্লগার বসে আছেন৷ এভাবেই পরিবর্তন আসছে৷''
এবারের সম্মেলনের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই৷ তাঁর বক্তব্যে তিনি কাবুল ও তালেবানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির খবরকে স্বাগত জানান৷ এছাড়া জার্মানিসহ পশ্চিমা বিশ্বকে আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে ভুমিকা রাখার আহ্বান জানান৷
সম্মেলনে ইরান সরকারের বিরুদ্ধে সাহসি সমালোচনার জন্য সেদেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সাদেঘ জিবাকালামকে বাকস্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করেছে ডয়চে ভেলে৷ পুরস্কার গ্রহণের পর তিনি বলেন, ‘‘ইরানের সাম্প্রতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম৷''
এছাড়া দেখানো হয়েছে বাংলাদেশ নিয়ে তথ্য চিত্র ‘দ্য ডন অফ ইসলামিজম ইন বাংলাদেশ'৷ ডয়চে ভেলের তৈরি প্রায় ৪২ মিনিটের এই তথ্যচিত্রটি ফোরামের দ্বিতীয় দিন প্রদর্শিত হয়৷ সেই সময় নির্মাতারা বলেন, বাংলাদেশে কাজ করার সময় তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করেননি৷
এছাড়া বাংলাদেশ থেকে গণমাধ্যমের বিশিষ্টজনেরাও অংশ নেন সম্মেলনে৷ এর মধ্যে চ্যানেল আই-এর ফরিদুর রেজা সাগর, ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির নির্বাহী সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীন, আরটিভির প্রধান নির্বাহী আশিক রহমান, ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ এর বার্তা সম্পাদক ও বার্তাকক্ষ প্রধান জাহিদুল কবির এবং প্রথম আলোর উপ-সম্পাদক মিজানুর রহমান খান ছিলেন৷এর বাইরেও ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ডয়চে ভেলে ও জার্মানির আরেক প্রচারমাধ্যম ডাব্লিউডিআর-এর কয়্যার বেটোফেনের নবম সিম্ফনি থেকে ‘ওড টু জয়' পরিবেশন করেন৷ এছাড়া ভারতের তরুণ ব়্যাপার গিন্নি মাহিরও একটি পরিবেশনা ছিল৷ আরও ছিল জ্যাজ মিউজিক৷ তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে এছাড়াও আরো অনেক পরিবেশনা ছিল৷
জার্মানির বনে অসমতা নিয়ে আলোচনা
জার্মানির প্রচারমাধ্যম ডয়চে ভেলে প্রতিবছর বন শহরে ‘গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম’ আয়োজন করে থাকে৷ সারা বিশ্ব থেকে সংবাদ সংশ্লিষ্টরা এতে অংশ নেন৷
বার্ষিক আয়োজন
জার্মানির বন শহরে ডয়চে ভেলের উদ্যোগে আয়োজিত বার্ষিক সম্মেলন গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম (জিএমএফ) বুধবার শেষ হয়েছে৷ তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলন সোমবার শুরু হয়েছিল৷ এবারের মটো ছিল, ‘বৈশ্বিক অসমতা’৷ পৃথিবীতে বৈষম্য কেন বাড়ছে? বৈষম্যের কারণেই কি মানুষ দেশান্তরী হয়? এক্ষেত্রে গণমাধ্যম কী ভূমিকা পালন করতে পারে? – এরকম অসংখ্য প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন অংশগ্রহণকারীরা৷
ছবি: DW/F. Görner
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
সোমবার সকাল ১০টায় বন শহরের ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সেন্টারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জার্মানির নর্থ রাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আরমিন লাশেট৷ তিনি বলেন, ‘‘ডিজিটাইজেশন শিল্প কারখানার ধরন পরিবর্তন করছে৷ জার্মানির মতো প্রযুক্তিতে উন্নত দেশগুলোতেও এটি প্রভাব ফেলছে৷ ফলে আমাদের কেবল বৈশ্বিক অসাম্যতা নিয়ে আলোচনা করলেই হবে না, নিজ দেশের ভেতরের অসাম্যতা নিয়েও কথা বলতে হবে৷’’
ছবি: DW/F. Görner
সংগীতের মূর্চ্ছনা
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ডয়চে ভেলে ও জার্মানির আরেক প্রচারমাধ্যম ডাব্লিউডিআর-এর কয়্যার বেটোফেনের নবম সিম্ফনি থেকে ‘ওড টু জয়’ পরিবেশন করেন৷ এছাড়া ভারতের তরুণ ব়্যাপার গিন্নি মাহি’রও একটি পরিবেশনা ছিল৷ আরও ছিল জ্যাজ মিউজিক৷
ছবি: DW/P. Böll
অংশগ্রহণকারী
এবার ছিল জিএমএফ-এর ১১ তম আয়োজন৷ ১২০টি দেশ থেকে দুই হাজার তিনশ’র বেশি সাংবাদিক, গণমাধ্যম উদ্যোক্তা, কর্মী, এনজিওকর্মী, ব্লগারসহ সংবাদসংশ্লিষ্টরা সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন৷
ছবি: DW/U. Wagner
বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারী
চ্যানেল আই-এর ফরিদুর রেজা সাগর, ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির নির্বাহী সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীন, আরটিভির প্রধান নির্বাহী আশিক রহমান এবং ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ এর বার্তা সম্পাদক ও বার্তাকক্ষ প্রধান জাহিদুল কবির সম্মেলনে অংশ নেন৷ সৈয়দ আশফাকুল হক ও খালেদ মুহিউদ্দীনকে নিয়ে ফেসবুক লাইভ করেছে বাংলা বিভাগ৷ লাইভটি দেখতে উপরে (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: DW/Arafatul Islam
বাংলাদেশ নিয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শন
নাম ‘দ্য ডন অফ ইসলামিজম ইন বাংলাদেশ’৷ ডয়চে ভেলের তৈরি প্রায় ৪২ মিনিটের এই তথ্যচিত্রটি গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামের দ্বিতীয় দিন প্রদর্শন করা হয়৷ সেই সময় নির্মাতারা বলেন, বাংলাদেশে কাজ করার সময় তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করেননি৷ তথ্যচিত্রটি দেখতে উপরে (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: DW/P. Böll
হামিদ কারজাই-এর উপস্থিতি
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের এক সেশনে উপস্থিত ছিলেন আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই৷ তাঁর বক্তব্যে তিনি কাবুল ও তালেবানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির খবরকে স্বাগত জানান৷ এছাড়া জার্মানিসহ পশ্চিমা বিশ্বকে আফগানিস্তানে তাঁদের ব্যর্থতার বিষয়টি স্বীকার করে নিতে হবে, বলেও মন্তব্য করেন সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট৷
ছবি: DW/F. Görner
বাকস্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান
ইরান সরকারের বিরুদ্ধে সাহসি সমালোচনার জন্য সেদেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সাদেঘ জিবাকালামকে বাকস্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করেছে ডয়চে ভেলে৷ পুরস্কার গ্রহণের পর তিনি বলেন, ‘‘ইরানের সাম্প্রতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম৷’’