1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গণহত্যা বন্ধ করো: মিয়ানমারকে আইসিজে

২৩ জানুয়ারি ২০২০

মিয়ানমারকে রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস-আইসিজে৷ সেখানে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সব চিহ্ন সুরক্ষার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷

Den Haag Internationaler Gerichtshof tagt zu Iran USA
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Corder

গণহত্যা বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত বছর নভেম্বরে গাম্বিয়ার করা অন্তর্বর্তীকালীন আবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার হেগের জাতিসংঘের বিচার আদালত থেকে এ রায় দেওয়া হয়৷ যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী মিয়ানমারের উপর ‘কিছু বাধ্যবাধকতা তৈরি হচ্ছে’ বলে উল্লেখ করছে আদালত৷

মানবাধিকার সংগঠনগুলো আইসিজে-র এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে৷

রায়ে মিয়ানমার সরকারকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত সব বাহিনী ও গোষ্ঠীগুলোকে রাখাইনে কোনো ধরেনের গণহত্যার ষড়যন্ত্র করা থেকে বিরত রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷

কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সে বিষয়ে আগামী চার মাসের মধ্যে মিয়ানমার সরকারকে আদালতে প্রতিবেদনে জমা দিতে হবে৷ তারপর আদালত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি ছয়মাস অন্তর মিয়ানমার সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়ে যেত হবে৷

আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার মামলা করা প্রসঙ্গে আইসিজে প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুলকাভি আহমেদ ইউসুফ বলেন, গণহত্যা প্রতিরোধ ও এর শাস্তির বিধানে ১৯৪৮ সালে স্বাক্ষরিত ‘জেনোসাইড কনভেনশন’ এর অধীনে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় আইসিজেতে গাম্বিয়ার এ আবেদন যুক্তিযুক্ত এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার আইসিজের আছে৷ বলেন, ‘‘চূড়ান্ত রায় দিতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে৷ তবে আইসিজে-র মত, মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা এখনো মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে বাস করছে৷ তাই তাদের সুরক্ষায় এখনই কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি৷’’

বৌদ্ধ অধ্যুষিত মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সেদেশের নাগরিক বলে বিবেচনা করা হয় না৷ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সেখানে বসবাস করার পরও তাদের ‘বাঙালি’ বলা হয়৷ ১৯৮২ সাল থেকে তাদের প্রায় সবার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়৷ যা বিশাল এক জনগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রহীন করে দিয়েছে৷ এমনকি তাদের স্বাধীনভাবে চলাচল এবং মৌলিক মানবিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে৷
সন্ত্রাস দমনের নামে ২০১৭ সালের অগাস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে সেনা অভিযান শুরু হলে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়৷

তাদের ফেরাতে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে গত বছর একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়৷ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার মতো পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি৷ বরং সেখানে ফিরে গেলে তাদের আবার একই ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে৷ রোহিঙ্গা শরণার্থীরাও উপযুক্ত  পরিবেশ ছাড়া নিজভূমিতে ফিরতে রাজি নয়৷
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবারের রায়ে বলা হয়, ‘‘বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে (মিয়ানমার) যেসব ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছে বা রাখাইনে জাতিগত বিভেদের অবসান ঘটিয়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরার এবং যেসব সেনাসদস্যরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনার কথা বলা হচ্ছে তা আদালত যথেষ্ট মনে করছে না৷’’

এসএনএল/কেএম (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ