মিয়ানমারকে রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস-আইসিজে৷ সেখানে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সব চিহ্ন সুরক্ষার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Corder
বিজ্ঞাপন
গণহত্যা বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত বছর নভেম্বরে গাম্বিয়ার করা অন্তর্বর্তীকালীন আবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার হেগের জাতিসংঘের বিচার আদালত থেকে এ রায় দেওয়া হয়৷ যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী মিয়ানমারের উপর ‘কিছু বাধ্যবাধকতা তৈরি হচ্ছে’ বলে উল্লেখ করছে আদালত৷
মানবাধিকার সংগঠনগুলো আইসিজে-র এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে৷
রায়ে মিয়ানমার সরকারকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত সব বাহিনী ও গোষ্ঠীগুলোকে রাখাইনে কোনো ধরেনের গণহত্যার ষড়যন্ত্র করা থেকে বিরত রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷
কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সে বিষয়ে আগামী চার মাসের মধ্যে মিয়ানমার সরকারকে আদালতে প্রতিবেদনে জমা দিতে হবে৷ তারপর আদালত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি ছয়মাস অন্তর মিয়ানমার সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়ে যেত হবে৷
আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার মামলা করা প্রসঙ্গে আইসিজে প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুলকাভি আহমেদ ইউসুফ বলেন, গণহত্যা প্রতিরোধ ও এর শাস্তির বিধানে ১৯৪৮ সালে স্বাক্ষরিত ‘জেনোসাইড কনভেনশন’ এর অধীনে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় আইসিজেতে গাম্বিয়ার এ আবেদন যুক্তিযুক্ত এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার আইসিজের আছে৷ বলেন, ‘‘চূড়ান্ত রায় দিতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে৷ তবে আইসিজে-র মত, মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা এখনো মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে বাস করছে৷ তাই তাদের সুরক্ষায় এখনই কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি৷’’
রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংসতার চিত্র
মিয়ানমারের রাখাইনে সামরিক বাহিনীর হামলা থেকে বাঁচতে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে গেছে৷ রয়টার্সের আলোকচিত্রীর ছবিতে সেইসব নৃশংসতার ছবি ফুটে উঠেছে৷
ছবি: Reuters/J. Silva
একবছরের শিশু
মনকে নাড়া দেয়া ব্যান্ডেজে মোড়ানো তুলতুলে ছোট্ট এই দু’টি পা শহিদের৷ বয়স মাত্র এক বছর৷ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হামলা থেকে বাঁচতে দাদি তাহেরা যখন পালাচ্ছিলেন, তখন তাঁর কোল থেকে পড়ে যায় ছোট্ট শহিদ৷ ছবিটি কক্সবাজারে রেডক্রসের এক হাসপাতালে ২৮ অক্টোবর তোলা৷
ছবি: Reuters/H. McKay
কালাবারো, ৫০
রাখাইনের মংদুতে তাঁদের গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেয় সেনা সদস্যরা৷ এতে স্বামী, মেয়ে ও এক ছেলেকে হারান কালাবারো৷ তাঁর ডান পায়ে আঘাত করা হয়৷ যেখানে পড়ে গিয়েছিলেন সেখানেই কয়েক ঘণ্টা মারা যাওয়ার ভান করে ছিলেন তিনি৷
ছবি: Reuters/J. Silva
সেতারা বেগম, ১২
নয় ভাই-বোনের মধ্যে একজন সে৷ সেনারা যখন তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, তখন বাকি আটজন বের হয়ে যেতে পারলেও সে আগুনের মধ্যে আটকা পড়ে গিয়েছিল৷ পরে তাকে উদ্ধার করা হয়৷ তবে পা পুড়ে যায়৷ এই অবস্থায় বাংলাদেশে পৌঁছেছে সে৷ বাংলাদেশেই তার চিকিৎসা করা হয়৷ এখন তার দুই পা থাকলেও নেই কোনো আঙুল৷
ছবি: Reuters/J. Silva
নূর কামাল, ১৭
নিজের ঘরে লুকিয়ে ছিল সে৷ সেখান থেকে সৈন্যরা তাকে খুঁজে বের করে প্রথমে রাইফেলের বাট, পরে ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে৷ ছবিতে সেটিই দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters/J. Silva
আনোয়ারা বেগম, ৩৬
ঘরে আগুনের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘুম থেকে উঠে পালাতে গিয়েছিলেন তিনি৷ তবে এর মধ্যেই পুড়ে যাওয়া ছাদ তাঁর মাথায় ভেঙে পড়ে৷ ফলে শরীরে থাকা নাইলনের কাপড় গলে হাত পুড়িয়ে দেয়৷ ‘‘আমি মনে করেছিলাম, মরে যাব৷ তবে আমার সন্তানদের জন্য বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি,’’ রয়টার্সকে বলেন তিনি৷
ছবি: Reuters/J. Silva
মমতাজ বেগম, ৩০
সেনারা তাঁর বাড়িতে ঢুকে মূল্যবান জিনিসপত্র দিতে বলেছিল৷ তখন মমতাজ তাঁদের দারিদ্র্যের কথা জানালে সৈন্যরা বলেছিল, ‘‘যদি তোমার কোনো অর্থ না থাকে, তাহলে আমরা তোমাকে হত্যা করব৷’’ এই বলে, সৈন্যরা তাঁকে ঘরে বন্দি করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল৷ কোনোরকমে সেখান থেকে মুক্তি পেয়ে বের হয়ে দেখেন তাঁর তিন ছেলে মৃত, আর মেয়েকে প্রহার করা হয়েছে, তার রক্ত ঝরছে৷
ছবি: Reuters/J. Silva
ইমাম হোসেন, ৪২
মাদ্রাসায় পড়িয়ে ফেরার পথে তিন ব্যক্তি ছুরি নিয়ে তাঁর উপর হামলা করেছিল৷ পরের দিনই তিনি তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গ্রামের অন্যদের সঙ্গে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেন৷ এরপর তিনিও কক্সবাজারে পৌঁছান৷
ছবি: Reuters/J. Silva
মোহাম্মদ জাবাইর, ২১
গ্রামের বাড়িতে এক বিস্ফোরণে তার শরীরের এই অবস্থা৷ ‘‘আমি কয়েক সপ্তাহ অন্ধ ছিলাম৷ কক্সবাজারের এক সরকারি হাসপাতালে ২৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলাম,’’ বলেছে সে৷
ছবি: Reuters/J. Silva
8 ছবি1 | 8
বৌদ্ধ অধ্যুষিত মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সেদেশের নাগরিক বলে বিবেচনা করা হয় না৷ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সেখানে বসবাস করার পরও তাদের ‘বাঙালি’ বলা হয়৷ ১৯৮২ সাল থেকে তাদের প্রায় সবার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়৷ যা বিশাল এক জনগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রহীন করে দিয়েছে৷ এমনকি তাদের স্বাধীনভাবে চলাচল এবং মৌলিক মানবিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে৷
সন্ত্রাস দমনের নামে ২০১৭ সালের অগাস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে সেনা অভিযান শুরু হলে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়৷
তাদের ফেরাতে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে গত বছর একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়৷ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার মতো পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি৷ বরং সেখানে ফিরে গেলে তাদের আবার একই ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে৷ রোহিঙ্গা শরণার্থীরাও উপযুক্ত পরিবেশ ছাড়া নিজভূমিতে ফিরতে রাজি নয়৷
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবারের রায়ে বলা হয়, ‘‘বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে (মিয়ানমার) যেসব ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছে বা রাখাইনে জাতিগত বিভেদের অবসান ঘটিয়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরার এবং যেসব সেনাসদস্যরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনার কথা বলা হচ্ছে তা আদালত যথেষ্ট মনে করছে না৷’’
এসএনএল/কেএম (রয়টার্স, এপি)
আদালতে মিয়ানমার - কিছু প্রশ্ন, কিছু উত্তর
দ্য হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যা প্রশ্নে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার শুনানি শুরু হয়েছে৷ মিয়ানমারের বক্তব্য জানাতে উপস্থিত হয়েছেন অং সান সুচিও৷ চলুন এক নজরে জেনে নেই এ বিষয়ক কিছু প্রশ্নের উত্তর৷
ছবি: Getty Images/AFP
কেন গাম্বিয়া?
১৯৭৮ সালে গণহত্যা বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুসমর্থন করে গাম্বিয়া, ১৯৫৬ সালে কনভেনশন অনুসমর্থন করেছিল মিয়ানমারও৷ কনভেনশনের নয় নম্বর আর্টিকেল অনুযায়ী যেকোনো পক্ষই গণহত্যা প্রতিরোধে বিচার আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে৷ অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন- ওআইসির ৫৭ সদস্যের সমর্থনে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া এই মামলা দায়ের করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Ye Aung Thu
গাম্বিয়ার অভিযোগ কী?
গাম্বিয়ার অভিযোগ, বিয়ে ও সন্তান নেয়া, চলাচলসহ রোহিঙ্গাদের নানা মৌলিক অধিকার পরিকল্পিতভাবে হরণ করেছে মিয়ানমার৷ রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে আটে রাখা এবং তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতেও সমর্থনের অভিযোগ আনা হয়েছে৷ গাম্বিয়া বলছে, এর সবকয়টিই ‘জেনোসাইডাল ইনটেন্ট’৷ ২০১৬ সালের অক্টোবর ও ২০১৭ সালের আগস্টে অভিযান চালিয়ে নারী ও শিশুসহ রোহিঙ্গা হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/E. Htusan
মিয়ানমার কী বলছে?
মিয়ানমারের নেতা অং সান সুচির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বিচার আদালতে দেশটির প্রতিনিধিত্ব করছে৷ দেশটির সেনাবাহিনী ‘তাতমাদো’ও সরকারের সমর্থনে কাজ করার কথা জানিয়েছে৷ দেশটিতে সরকার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সমালোচনা করা অ্যাকটিভিস্টদের প্রায়ই গ্রেপ্তার নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়৷ তারপরও বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা বিচার আদালতের প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে বিবৃতি দিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/Zuma Press/Km Asad
কেন এ মামলা গুরুত্বপূর্ণ?
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ দীর্ঘদিনের৷ কিন্তু গাম্বিয়া মামলা করার আগ পর্যন্ত মিয়ানমারকে বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব হয়নি৷ এই মামলা শেষ হতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে৷ এ কারণে মামলা শেষ হওয়ার অন্তর্বর্তী সময়ে রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিতে গাম্বিয়া বিচার আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে৷ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা খুব দ্রুতই আসতে পারে৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Shikder
অন্তর্বর্তী আদেশ কী হতে পারে?
চাইলে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়া, নাগরিকত্ব দেয়া, বৈষম্যমূলক আইন সংশোধন, মানবাধিকারকর্মীদের প্রবেশ নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ যেকোনো আদেশ দিতে পারে বিচার আদালত৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/E. Htusan
বিচার আদালত কী করতে পারে?
বিচার আদালতের আদেশ মানতে সব পক্ষই বাধ্য৷ পাশাপাশি আদালতের সব আদেশের কপি পাঠানো হবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে৷ চাইলে জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় প্রশ্নের মুখে পডৃ়তে হতে পারে মিয়ানমারকে৷ পাশাপাশি রায় না মানলে অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্কেও তার প্রভাব পড়তে পারে৷
ছবি: DW/ P. Vishwanathan
বিচারক কারা?
বিভিন্ন দেশে বিচার কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকা ১৫ জনকে নিয়ে গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের বেঞ্চ৷ তবে মামলার কোনো পক্ষ চাইলে অস্থায়ী ভিত্তিতে একজন বিচারক নিয়োগের আবেদন করতে পারে৷ সাউথ আফ্রিকার জুরি ড. নাভানেথেম পিললায়কে বিচারক নিয়োগ দিয়েছে গাম্বিয়া৷ তিনি রুয়ান্ডা গণহত্যা ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিলেন৷ মিয়ানমারের নিয়োগ পেয়েছেন জার্মানির কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্লাউস ক্রেস৷
ছবি: Getty Images/AFP
গণহত্যার আর কোন রায়?
২০০৭ সালে বসনিয়া-হ্যারৎসেগোভিনার স্রেব্রেনিকায় সার্বিয়া গণহত্যা চালিয়েছে বলে রায় দেয়৷ একই সঙ্গে বসনিয়ার সার্ব জেনারেল রাতকো ম্লাদিচকে গ্রেপ্তার ও হস্তান্তর না করে সার্বিয়া গণহত্যা প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে বলেও রায়ে বলা হয়৷ শেষ পর্যন্ত ম্লাদিচকে ২০১১ সালে ইয়ুগোস্লাভ ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করতে বাধ্য হয় সার্বিয়া৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/B. Armangue
আর কী কী ব্য়বস্থা?
নভেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর অনুমতি দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত- আইসিসি৷ বাংলাদেশ ২০১০ সালে আইসিসির সদস্য হলেও মিয়ানমার সদস্য নয়৷ নভেম্বরেই আর্জেন্টিনার আদালতে রোহিঙ্গাদের একটি গ্রুপ মিয়ানমারের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে৷ জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে একটি তদন্ত দল গঠন করে৷ তবে এই দলকে সহযোগিতা না করার ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/E. Htusan
মিয়ানমার কী ব্যবস্থা নিয়েছে?
আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্য়র্থ হয়েছে মিয়ানমার৷ ২০১৮ সালের জুলাইয়ে তদন্ত কমিশন গঠন করে৷ কিন্তু এরপর রোহিঙ্গা গ্রাম বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়াসহ গণহত্যার সব প্রমাণ মুছে ফেলার অভিযোগ আসে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে৷ ইন দিন গ্রামে গণহত্যায় জড়িত থাকা সাত সেনাসদস্যকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হলেও মাত্র সাত মাস পর তাদের ক্ষমা করে দেয়া হয়৷