1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গতবার হারা আসনে যেভাবে জিততে চায় বিজেপি

গৌতম হোড় নতুন দিল্লি
২৮ ডিসেম্বর ২০২২

লোকসভা নির্বাচনে প্রতিটি আসনে জেতার জন্য আলাদা কৌশল নিয়েছে বিজেপি। গতবারের হারা আসনের জন্য থাকছে বিশেষ কৌশল।

ছবি: Prabhakar Mani Tewari/DW

বিজেপি-তে একটা চালু কথা আছে, নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ ভোটে জিততে কোনো কিছুই ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেন না। এমনকী যে আসন বিজেপি কোনোদিন জেতেনি, জয়েরর সম্ভাবনাও খুব কম, সেই আসনে জেতার জন্যও তারা আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এই ভাবনা থেকেই বিজেপি হাতে নিয়েছে মিশন ১৪৪। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এই ১৪৪টি আসনে জেতেনি। কোনোটিতে দ্বিতীয়, কোনোটিতে তৃতীয়, কোনোটিতে আরো পিছনে থেকে শেষ করেছে বিজেপি। এখন শুরু হয়েছে সেই ১৪৪টি আসনে জয়ের চেষ্টা।

জয়ের কৌশল

এই ১৪৪ আসন নিয়ে বিস্তারিত কৌশল তৈরি করেছে নরেন্দ্র মোদীর দল। এই কৌশলের অনেকগুলি স্তর আছে। সূত্র জানাচ্ছে, বিজেপি-র কৌশলের প্রথম স্তর হলো, ওই নির্বাচনকেন্দ্র নিয়ে যাবতীয় তথ্যসংগ্রহ। এর জন্য একাধিক সমীক্ষা যেমন করা হয়েছে। তেমনই দলের কর্মী ও অন্য সূত্র থেকেও তথ্য জোগাড় করা হয়েছে। এই তথ্যের মধ্যে গুরুত্ব পেয়েছে, নির্বাচনকেন্দ্রের জাতিগত ও ধর্মীয় অবস্থান। কতজন উঁচুজাতের মানুষ. কতজন অনগ্রসর, কতজন অন্য অনগ্রসর, কত দলিত, কত দলিতদের মধ্যেও পিছিয়ে থাকা সম্প্রদায়, কতজন আদিবাসী এবং তাদের আর্থিক অবস্থান কীরকম। তাছাড়া ওই নির্বাচনকেন্দ্রের সমস্যাগুলি কী, কোন আবেগের বিষয় মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে ইত্যাদি। সেই সঙ্গে কোন নেতার কতটা প্রভাব আছে সেটাও দেখা হচ্ছে। সেই নেতা শুধু বিজেপি-র নয়, অন্য দলেরও হতে পারেন।

এবার প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য তিন স্তরের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতাদের মোতায়েন করা হয়েছে।  একেবারে উপরে আছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, যা জাতীয় স্তরের নেতাদের নিয়ে গঠিত। এই কমিটি পুরো পরিকল্পনা রূপায়ণের তদারক করবে। দ্বিতীয় স্তরে রাজ্য কমিটি, যারা পরিকল্পনা রূপায়ণ করবে। তার নিচে আছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও আঞ্চলিক নেতারা। যারা পুরো কাজ করবেন ও উপরে রিপোর্ট দেবেন।

আলাদা মিডিয়া ইনচার্জ

দলের সংগঠন সচিবরা প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে ১৫ দিনে একবার করে রাত্রিবাস করবেন। লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে যারা থাকবেন, তারা প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে সপ্তাহে একদিন করে রাতে থাকবেন।  প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য একজন বিশেষ মিডিয়া ইন চার্জ থাকবেন। বিজেপি-র সোস্যাল মিডিয়া টিমের উপর দায়িত্ব থাকবে, ওই কেন্দ্রের জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার ফলোয়ার জোগাড় করা। পরে তা বাড়াতে হবে।

এর পাশাপাশি মোদী সরকারের প্রতিটি প্রকল্প নিয়ে প্রচার চলবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা প্রতিটি প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্তদের সঙ্গে নিয়মিত সেলফি তুলবেন এবং আপলোড করবেন। বিরোধী শাসিত রাজ্য হলে সপ্তাহে একদিন করে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবেন বিজেপি কর্মীরা।

বিজেপি সভাপতির দায়িত্ব

এছাড়া বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা নিয়মিত ওই রাজ্যগুলোয় যাবেন, ওই সব কেন্দ্রে জনসভা করবেন। ইতিমধ্যে নাড্ডা তামিলনাড়ুতে গেছেন। এবার যাচ্ছেন ওড়িশায়। তিনি জনসভা করা ছাড়াও বিজেপি-র কর্মী সম্মেলন করবেন।

বিজেপি ওই ১৪৪টি আসনের মধ্যে কটা আসন জিততে পারবে, আদৌ পারবে কি না, সেটা পরের প্রশ্ন, কিন্তু তারা এখন জেতার জন্য পুরোদমে ঝাঁপিয়েছে। জেতা আসনগুলির জন্য রয়েছে আলাদা কৌশল। অন্য বিরোধী দলগুলি যখন একেবারেই নিস্ক্রিয়, তখন বিজেপি ২০২৪-এর নির্বাচনের জন্য পুরোদমে মাঠে নেমে পড়েছে।

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ