1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গবেষণাগারে তৈরি চকলেট পরখ করবেন?

২৩ এপ্রিল ২০২৫

সুইজারল্যান্ডে ল্যাবে তৈরি হচ্ছে চকলেট৷ আর সেই চকলেটের স্বাদ নাকি প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত চকলেটের মতোই৷ বৈশ্বিক উষ্ণতাসহ নানা কারণে প্রাকৃতিকভাবে কোকোর উৎপাদন কমছে৷ তাই ট্যাংকে কোকোর উৎপাদন বাড়ানো চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা৷

চকলেট
সুইজারল্যান্ডে ল্যাবে তৈরি হচ্ছে চকলেটছবি: picture-alliance/Photocuisine

চকলেট! অপ্রতিরোধ্য চকলেট! কে এটা ভালোবাসে না? তবে চাহিদা যেমন বাড়ছে, চকলেট উৎপাদনের প্রতি হুমকিও তেমন বাড়ছে৷

প্রথমে চলুন আরেকটি উদ্ভাবনের কথা বলি: ট্যাংকে বেড়ে ওঠা চকলেট৷ ঠিকই শুনেছেন৷ ক্রিস্টিয়ান শাওবের স্টার্টআপ ফুড ব্রুয়ার এখানে কোকো তৈরি করেন৷ ট্যাংকে রয়েছে পানি, চিনি এবং পুষ্টি উপাদান৷ আরো রয়েছে ক্রমবর্ধমান কোকো কোষ সংস্কৃতি৷   

ফুড ব্রুয়ারের প্রধান বিজ্ঞানী আদ্রিয়ানা গ্যাজেগো বলেন, ‘‘আসলে আপনি কোষের টুকরোগুলো বিচ্ছিন্ন করে সেগুলোকে সেরা পুষ্টিকর পরিবেশে বৃদ্ধি করতে পারেন৷ সেগুলো শুধু মনে করে যে সেগুলো উদ্ভিদ কোষ এবং আপনি যখন সেগুলোকে উপযুক্ত পরিবেশ দেবেন তখন বৃদ্ধি পেতে থাকবে৷ ফুড ব্রুয়ারে আমরা এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়েছি৷ আমরা কোষগুলোকে সেরা পরিবেশ দেই এবং সেগুলোকে বাড়তে থাকে৷''

ল্যাবে তৈরি হবে চকলেট?

04:07

This browser does not support the video element.

উৎপাদন প্রক্রিয়ার শেষের দিকে ট্যাংকে থাকা তরল শুকানো এবং ভাজা হয়৷ আর তার ফলাফল কোকো পাউডার৷ বড় আকারের চাষাবাদ বা পরিবহনের ঝামেলা ছাড়াই এই প্রযুক্তি যেকোনো ধরনের কোকো তৈরি করতে পারে৷ ক্রিস্টিয়ান শাওবের দাবি, এভাবে উৎপাদিত আর প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত চকলেটের মধ্যে পার্থক্য নেই৷

ক্রিস্টিয়ান শাওব বলেন, ‘‘এটা অপ্রাকৃতিক নয়৷ বরং খুবই প্রাকৃতিক৷ আমাদের পন্থায় উৎপাদিত কোকোও আসল, প্রকৃত কোষ৷ সেগুলো সুস্বাদু৷ তাছাড়া এগুলো দূষিত নয়৷ এসবে কোনো ভারী ধাতু নেই৷ এগুলো ভালো এবং দূষণমুক্ত৷ ঐতিহ্যগতভাবে ক্লাসিক খামারে উৎপাদিত কোকোর চেয়ে এগুলো ভালো মনে করি৷''   

কিন্তু ভোক্তারা কী বলে জানতে চাই আমরা৷ আমরা সুইজারল্যান্ডের রাস্তায় যেখানে একজন মানুষ বছরে গড়ে নয় কেজি চকলেট গ্রহণ করেন৷ তারা কি ল্যাবে তৈরি চকলেট কিনবেন?

এক চকলেটপ্রেমী বললেন, ‘‘ভালো দামের চকলেটের স্বাদ ভালো হতে হবে৷''

আরেকজনের কথায়, ‘‘আসলে আমি কিনবো না৷''

উনবিংশ শতাব্দীতে মিল্ক চকলেটের উদ্ভাবনের পর চকলেটের কেন্দ্রে পরিনত হয় সুইজারল্যান্ড৷ সেখানে বিভিন্ন উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে ওঠে৷ বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডগুলো এখনো সুইজারল্যান্ডভিত্তিক৷ এখানে উৎপাদিত চকলেট গোটা বিশ্বে রপ্তানি হয়৷  

অবশ্যই সুইজারল্যান্ডে কোকো বীজ উৎপাদন হয় না৷ মূলত ওয়েস্ট আফ্রিকা থেকে আমদানি করা হয়৷ বিশ্বের সত্তর শতাংশ কোকো সেখানে উৎপন্ন হয়৷ রেইনফরেস্টের অনেক অংশ পরিষ্কার করে ফেলা হয়েছে৷ বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে আবাদযোগ্য জমি কমে যাওয়ায় এবং মজুরি কম হওয়ায় অনেক কোকো কৃষক এই ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছেন৷  

ফুড ব্রুয়ার মনে করে, চকলেটের ভবিষ্যত পডে নয়, ট্যাংকে৷ তারা একই এলাকায় অল্প খরচে ৫০ হাজার গুণ বেশি কোকো উৎপাদনের আশা করছে৷ তবে সেই প্রযুক্তি এখনো অনুমোদন পায়নি৷ 

ফুড ব্রুয়ারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ক্রিস্টিয়ান শাওব বলেন, ‘‘পণ্যটি এখন খুব ভালো, ফলে আমাদের যেটা করত হবে তাহচ্ছে আমাদের এটা সহজলভ্য করতে হবে৷ উৎপাদন বাড়াতে হবে৷ আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা মজাদার এই চকলেট পর্যাপ্ত উৎপাদন করতে পারবো৷ এবং সেগুলো বিক্রি হবে৷ আমি মনে করি আমরা এখন যা সরবরাহ করতে পারছি তারচেয়ে বাজারে চাহিদা বেশি৷''  

আপনি কি মনে করেন? উদ্ভাবন কি আমাদের প্রিয় চকলেট বাঁচাতে পারবে? এবং ট্যাংকের চকলেট কি আসল চকলেট?

প্রতিবেদন: গ্যনা কেটেলস/এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ