পশুপালনের ক্ষেত্রে আর্জেন্টিনা বিশ্বের প্রথম সারির দেশ৷ পাম্পা বা তৃণভূমির হাজার হাজার হেক্টার জমি প্রধানত লক্ষ লক্ষ গরুর পালের চারণভূমি৷ কিন্তু পশুপালন আর পরিবেশ সুরক্ষা, দুই-ই কি সম্ভব?
বিজ্ঞাপন
পশুপালনের ক্ষেত্রে বিশ্বে প্রথম আর্জেন্টিনা?
05:11
প্রতিদিন গাউচোর দল গরুর পাল তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ান৷ মাক হাইনেস হলেন এই খামারে চতুর্থ প্রজন্মের প্রতিনিধি৷ তাঁর পিতামহ যখন ইংল্যান্ড থেকে আর্জেন্টিনায় আসেন, তখন তাঁর সম্বল ছিল মাত্র একটি গরু৷ আজ সেখানে তিন হাজার গরু চরছে, জাবর কাটছে৷
মাক হাইনেস তাঁর স্টক বুল বা ব্রিডিং বুল, অর্থাৎ প্রজননের ষাঁড়গুলির জন্য খ্যাত৷ দক্ষিণ অ্যামেরিকার অন্যান্য দেশেও তাঁর ষাঁড় বিক্রি হয়৷ গরুর পাল যখন খামারের একাংশে চরে বেড়ায়, তখন অপর একটি অংশে ঘাসপাতা নতুন করে গজানোর সময় পায়৷ এ ধরনের পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি যে আর্জেন্টিনার সর্বত্র প্রচলিত, এমন নয়৷ মাক হাইনেস জানান, ‘‘আমি পরিবেশকে একমাত্র রক্ষা করতে পারি, যদি আমি পশুপালন এবং প্রজননের কাজ করে যাওয়ার সুযোগ পাই৷ একদিকে এমন একটি ব্রিডিং প্রণালী, যা থেকে প্রকৃতির যতদূর সম্ভব কম ক্ষতি হয়; অপরদিকে এমন পরিবেশ সংরক্ষণ, যা আমাদের কোনো অসুবিধা সৃষ্টি করবে না – এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য চাই৷ অন্য কোনো পন্থা নেই৷''
পাম্পার পুনর্বনানীকরণ
আর্জেন্টিনার উত্তর-পূর্বের বিস্তীর্ণ তৃণভূমিকে বলে ‘পাম্পা'৷ এই দিগন্তবিস্তৃত তৃণভূমি ও চারণভূমির আবহাওয়া প্রায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয়, এখানকার মাটিও খুব উর্বর৷ এখানে এমন সব জীবজন্তু আছে, যা অন্য কোথাও দেখা যায় না৷ যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার অস্ট্রিচ বা উটপাখি, স্থানীয় ভাষায় যার নাম নান্দু৷ তবে আসল বিষয় হলো এই লক্ষ লক্ষ গরু৷ আর্জেন্টিনার অর্থনীতির মেরুদণ্ড হল সারা বিশ্বে মাংস রপ্তানি৷
পরিবেশ সংরক্ষণবাদী গুস্তাভো মারিনো বেশ কিছুদিন ধরে একটা নতুন প্রবণতা দেখছেন, যা তাঁকে চিন্তিত করে তুলেছে৷ নব্বই-এর দশক থেকেই এখানে পুনর্বনানীকরণ, অর্থাৎ গাছ লাগানো চলেছে৷ কিন্তু সে গাছ হল প্রধানত পাইন কিংবা ইউক্যালিপ্টাস, যা কিনা খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে৷ সেই গাছ লাগানোর জন্য আবার সরকারি ভরতুকিও পাওয়া যায়৷ কাঠ বেচেও ভালো রোজগার হয়৷
পশ্চিমবঙ্গের গরুর দৌড়
প্রতি বছর জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গ্রামে গরুর দৌড় হয়৷ সম্প্রতি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গরুর দৌড় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে৷ কিন্তু লোকজন যেভাবে গরুর দৌড় নিয়ে উৎসাহিত তাতে কি এটা আদৌ বন্ধ করা যাবে?
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বর্ষার আগমনি উদযাপন
প্রতি বছর জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গ্রামে গরুর দৌড় হয়৷ বর্ষার আগমন উদযাপন করতে চালু হয়েছিল এই প্রথা, যেহেতু বর্ষা কৃষিকাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
ইতিহাস
যদিও গ্রামের বয়স্করা বলেন, প্রখর গ্রীষ্মে শুকিয়ে যাওয়া জমির উপরিভাগ একটু ভেঙে নিলে বৃষ্টির জল ভিতরে ঢুকতে পারবে এবং পরে লাঙল দিতে সুবিধে হবে - সেই তাগিদ থেকেই শুরু হয়েছিল গরুর দৌড়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
এখন শুধুই বিনোদন
কিন্তু এখন চাষের কাজে যন্ত্রচালিত লাঙলই ব্যবহার হয়৷ গরুর দৌড় তাই থেকে গিয়েছে একটা ক্রীড়া এবং বিনোদন হিসেবে৷ আর গবাদি পশুর মালিকদের কাছে এটা এখন একটা সম্মানের লড়াই৷ অন্যদিকে দৌড়বাজ গরুর উপর বাজি ধরেন সাধারণ দর্শক৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
মনোযোগি দর্শক
কাজেই কিছু দর্শকের নিবিষ্ট চাহনি দেখেই বোঝা যায়, দৌড়ের কোনও অংশ তাদের নজর এড়িয়ে যায় না৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
সবার প্রিয়
গ্রামের কিশোর, তরুণরাও সকাল থেকে ভিড় জমায় রেসের মাঠে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
নিরাপদ দূরত্ব
গ্রামের কিশোরী, তরুণী এবং মহিলারা আর প্রবীণরা একটু নিরাপদ দূরত্বে থেকেই মজা দেখেন৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
মাদকের প্রভাব
এই নিরাপদ দূরত্ব রাখাটা জরুরি, কারণ গরুগুলো দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছোটে৷ সম্ভবত ওরা কোনও মাদকের প্রভাবে উত্তেজিত থাকে৷ মাদকের মধ্যে সবথেকে সহজলভ্য কোল্ড ড্রিঙ্ক আর ব্যথা কমানোর ওষুধের মিশ্রন৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
গরুকে ঠান্ডা করা
যে কারণে একেকটা দৌড় যেই শেষ হয়, রাখালেরা গিয়ে একেকজন একেকটা গরুকে সামলাবার দায়িত্ব নিয়ে নেয়৷ জোর করে ওদের নিয়ে যায় সামান্য গভীর জলে, যাতে গরুগুলো একটু ঠান্ডা হয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
নিষিদ্ধের রায়
তবে পশু অধিকার সুরক্ষা সংগঠনগুলোর অভিযোগ পেয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গরুর দৌড় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কারণ গরু দৌড়োবার উপযুক্ত প্রাণি নয় এবং তাদের নিয়ে প্রতিযোগিতার কারণে নানাভাবে তাদের কষ্ট দেওয়া হয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বন্ধ হবে কি?
কিন্তু লোকে যেভাবে গরুর দৌড় নিয়ে উৎসাহিত, অদূর ভবিষ্যতে এই দৌড় বন্ধ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই, সে আদালত বা পশুপ্রেমীরা যা-ই বলুন না কেন!
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
10 ছবি1 | 10
‘আভেস আর্হেন্টিনাস' বা ‘আর্জেন্টিনার পাখি' সংগঠনের গুস্তাভো মারিনো বললেন, ‘‘আর্জেন্টিনার চারণভূমি চিরকালই শুধুমাত্র লাভের কথা ভেবে ব্যবহার করা হয়েছে, টেকসই ভাবে নয়৷ যে সব গাছ লাগানো হয়েছে, তার অধিকাংশ এখানকার গাছ নয়, বরং পৃথিবীর অন্যান্য জায়গা থেকে আনা৷ খামারমালিকরা স্বভাবতই তাই করেন, যা থেকে আরো বেশি পয়সা আসবে৷ কাজেই চারণভূমির ভালোমন্দ তাদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব পায়নি৷''
কৃষি অর্থনীতিবিদ গুস্তাভো মারিনো ‘আভেস আর্হেন্টিনাস' পক্ষী সংরক্ষণ সংগঠন গড়ে তুলে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছেন৷ জমির মালিক যাঁরা, তাঁরাই এ কাজে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন: যেমন হাইনেস পরিবার৷ তাঁরা মোট পাঁচ হাজার হেক্টার জমির মালিক৷
কৃষি অর্থনীতিবিদ গুস্তাভো মারিনো জানালেন, ‘‘আমরা এমন একটা মডেল খুঁজেছি, যাতে পরিবেশ সংরক্ষণ আর কৃষি উৎপাদন, অর্থাৎ পশুপালন – দুই-ই একসঙ্গে চলতে পারে৷ আমরা খেয়াল করেছি, যে সব জায়গায় বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীদের দেখতে পাওয়া যায়, ঠিক সেখানেই গরুর পাল চরছে৷ এ থেকে বোঝা গেছে যে, কৃষি আর পরিবেশের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই, দুই লক্ষ্যের সহাবস্থান খুবই সম্ভব৷''
চারণভূমি সুরক্ষা
প্রকৃতিকে বাঁচানোর জন্য পরিবেশ সংরক্ষণকারীরা পশুপালকদের সঙ্গে একযোগে একটি ‘চারণভূমি সুরক্ষা জোট' গঠন করেছেন৷ যেহেতু পশুপালকরা তাদের জমির একাংশ ফেলে রাখেন, সেহেতু সেখানে আজ নানা ধরনের বিরল পাখি দেখতে পাওয়া যায়৷ যেমন এই লালগলা টাইরান্ট পাখিটি৷
সেরা গরু-সুন্দরী ‘লেডি গাগা’!
সেরা সুন্দরীদের মেলা বসেছিল জার্মানিতে৷ মানুষ নয়, সুন্দর সুন্দর গরুদের মেলা৷ সেখান থেকে বেছে নেয়া হয়েছে সেরা সুন্দরী৷ সেই সুন্দরীর নাম জানেন? ‘ল্যাডি গাগা’!
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gentsch
বাছাই পর্বে ২০ লাখ প্রতিযোগী!
প্রতিযোগিতার নাম ‘হলস্টাইন শো’৷ ফাইনালের আগে ছিল হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাছাই পর্ব৷ জার্মানি আর লুক্সেমবুর্গের অন্তত ২০ লাখ সুন্দরী, স্বাস্থ্যবতী গরু অংশ নিয়েছে সেই পর্বে৷ ২০ লক্ষ থেকে ‘গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন’ হবার আশা নিয়ে ফাইনালে উঠেছিল মাত্র দু’শ সুন্দরী৷
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Wagner
‘সাইজ জিরো’ নয়, ডাবল এক্সএল
মানবীদের বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার মতো ‘হলস্টার শো’-তে কোনো প্রতিযোগী জিরো ফিগার নিয়ে এলে বাছাই পর্বেও নাম লেখাতে পারবে না৷ বিচারকরা এমন সব গরুই বেছে নিয়েছেন যাদের দু’জোড়া শক্ত পায়ের ওপর রয়েছে সবল, সুদৃঢ় কাঠামো এবং যাদের দুধের বাণও বেশ বড়৷ তেমন প্রতিযোগীই ছিল বেশি৷ জার্মানি আর লুক্সেমবুর্গের গরুরা গড়ে প্রতিদিন ২৫ কেজি ঘাস এবং অন্যান্য খাবার খায়৷ এত খেলে কেউ মোটা-তাজা না হয়ে পারে!
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Wagner
সুন্দরীদের সাজগোজ
গরু সুন্দরীদের সাজগোজের জন্য ছিল ব্যাপক আয়োজন৷ শীতপ্রধান দেশ বলে গরুদের গায়ের রোম অনেক বড় বড় হয়৷ মাথার পাশে অনেক গরুর এমন ঘন, দীর্ঘ রোম থাকে যে তাদের ‘সুকেশিনী’ বলা যায় নির্দ্বিধায়৷ তাদের চুল কাটার জন্য ছিল বিশেষ সেলুন৷ পাঁজর আর দুধের বাটে মাখানোর জন্য ছিল বেবি অয়েল৷ চুল রং করানোর জন্যও ছিল বিশেষ ব্যবস্থা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Hibbeler
ক্যাটওয়াক!
বিশ্ববিখ্যাত মডেলদের মতো ক্যাটওয়াকেও অংশ নিয়েছে গরু-সুন্দরীরা৷ কান খাড়া করে, নিতম্বটা একটু যৌনাবেদনময়ীর ভঙ্গিতে তুলে সামনের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে আত্মবিশ্বাসী পদক্ষেপে যারা এগিয়ে যেতে পেরেছে, তাদেরই ‘ফুল মার্কস’ দিয়েছেন বিচারকরা!
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Hibbeler
সাফল্যের মূল মন্ত্র
প্রশিক্ষকরা প্রতিযোগীদের পই পই করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ‘‘পরিমিত খাবে এবং ঘুমাবে৷ শরীর কখনো নোংরা করবে না৷’’ প্রতিদিন শাওয়ারের নীচে দাঁড়াতে হতো প্রতিযোগীদের৷ চার পায়ের খুরও পরিষ্কার করা হতো প্রতিদিন৷ বিশ্রাম নিতে হতো বাঁধা সময় মেনে৷ এ সব সু-অভ্যাস রপ্ত করে তবেই সবাই ফাইনালে হাজির হয়েছিল বিচারকদের প্যানেলের সামনে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Wagner
সুন্দরীরা নিলামে!
হলস্টাইন গরুদের জার্মানি, লুক্সেমবুর্গসহ ইউরোপের এ অঞ্চলে অনেক কদর৷ দুধ দেয়া গরুদের মধ্যে এই হলস্টাইন গরুই সবচেয়ে বেশি আছে এ অঞ্চলে৷ এমন গরুর ক্রেতার অভাব নেই৷ এ প্রতিযোগিতায় অনেক কৃ্ষকই এসেছিলেন রথ দেখার পাশাপাশি কলাও বেচার লক্ষ্য নিয়ে৷ অর্থাৎ সুন্দরী গরুটা যখন প্রতিযোগিতার জন্য নিজেকে তৈরি করছে, তখনও ক্রেতা খুঁজেছেন গরুর মালিক৷ নিলাম হয়েছে এবং সেই নিলামে বিক্রিও হয়েছে অনেক ‘সুন্দরী’!
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Hibbeler
এবং এবারের বিজয়িনী....
জার্মানি আর লুক্সেমবুর্গের গরু সমাজে সবচেয়ে সুন্দরী কে? দু’বছরের জন্য এ প্রশ্নের উত্তর সবার জানা হয়ে গেছে৷ আট বছর বয়সি ‘সুন্দরী’ লেডি গাগা জিতে নিয়েছে এবারের ‘হলস্টাইন শো’৷ পপস্টার ‘লেডি গাগা’-র নামে নাম রাখার পর এবার তাদের প্রিয় গরুটি সেরার স্বীকৃতিও পেল৷ কৃষক হেনরিক ভিলে সত্যিই ভীষণ গর্বিত৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gentsch
7 ছবি1 | 7
খামার কর্ত্রীপাট্রিসিয়া হাইনেস বললেন, ‘‘চারণভূমি সুরক্ষা জোট-এর সদস্য হিসেবে আমরা শিখেছি যে, বিশেষ কষ্ট না করেই যা আছে, তা রক্ষা করা যায়৷ আর যেহেতু আমরা প্রকৃতিকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি, সেহেতু আমাদের গোড়া থেকেই বিশ্বাস ছিল যে, এতে কাজ হবে৷''
অপরদিকে হাইনেস পরিবারকে অর্থোপার্জনের কথাও ভাবতে হবে – নয়ত খামার ও তার বাদবাকি আনুষঙ্গিক চলবে কী করে? পরিবেশ সংরক্ষণকারীরা খামার মালিকদের নতুন সব ব্যবসার আইডিয়া দিয়েও সাহায্য করছেন৷ কয়েক বছর হলো হাইনেসরা তাঁদের খামারে টুরিস্টদের আসার ব্যবস্থা করেছেন৷ আজ যেমন একদল এসেছেন খামারের চারপাশে বিরল পাখি দেখার আশায়৷ ‘এস্তানসিয়া ভিরোকাই' খামারের কর্ত্রী পাট্রিসিয়া হাইনেস জানান,: ‘‘আমি উপলব্ধি করেছি যে, পরিকল্পনা করে কাজ করলে এ থেকে ভালো রোজগার করা যেতে পারে৷ এছাড়া কিছু কিছু জায়গায় প্রকৃতি যেমনভাবে আছে, তেমনভাবে ফেলে রাখার একটা ভালো কারণ পাওয়া যায়৷''
গুস্তাভো মারিনো ও তাঁর সহকর্মীরা খামার মালিকদের পাখি দেখতে শেখাচ্ছেন, যাতে তারা টুরিস্টদের পাখি দেখাতে পারেন৷ অপেশাদার পক্ষিবিশারদদের কাছে খামারটি হলো একটি স্বর্গ, যেখানে আর্জেন্টিনার ‘পাম্পা'-র সব সম্পদ এক নজরে দেখতে পাওয়া যায়৷