1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গর্ভপাত অপরাধ নয়: নিউজিল্যান্ডে বিল পাস

১৯ মার্চ ২০২০

নিউজিল্যান্ডের সংসদে গর্ভপাতকে অপরাধ হিসেবে না দেখে স্বাস্থ্যগত বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করার বিল পাস হয়েছে৷ স্পষ্টতই এটি প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্নের বিজয়৷ ২০১৭ সাল থেকে তিনি এ নিয়ে কাজ করছিলেন৷

Symbolbild Nordirland Abtreibungsgesetze gegen die Menschenrechte
ছবি: picture alliance/dpa/P. Muhly

বুধবার নিউজিল্যান্ডের সংসদ ১৯৭৭ সালের পুরনো গর্ভপাত আইনকে বদলে দেবার পক্ষে রায় দিল৷ সংসদের ৬৮ জন সদস্য এই বদলের পক্ষে রায় দিলেন৷ বিপক্ষে দিলেন ৫১ জন৷ এখন গভর্নর জেনারেল স্বাক্ষর করলেই এটি আইনে পরিণত হবে৷

‘‘৪০ বছরের বেশি সময় ধরে নিউজিল্যান্ডে গর্ভপাতই একমাত্র স্বাস্থ্যগত বিষয় যা অপরাধ বলে বিবেচিত হচ্ছিল,'' বিচার মন্ত্রী অ্যান্ড্রু লিটল এক বিবৃতিতে জানান৷ ‘‘কিন্তু আজ থেকে এটি সঠিকভাবে শুধু স্বাস্থ্যগত বিষয় বলেই বিবেচিত হবে৷''

১৯৭৭ সালের আইন অনুযায়ী, গর্ভপাত একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হত৷ শুধু দু'জন ডাক্তার যদি এই সনদ দিতেন যে গর্ভধারণ নারীর মানসিক বা শারীরিক ঝুঁকির কারণ হতে পারে, তবেই তা করা যেত৷

অবৈধভাবে কেউ গর্ভপাত করলে তার সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ডের বিধান ছিল৷ 

‘আজ এক পরিবর্তন এল'

‘‘আগের আইনটিতে নারীদের গর্ভপাতের জন্য অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হত,'' লিটল ব্যাখ্যা করেন৷

‘‘এতে করে পুরো প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হত এবং সেটা নিরাপদ ছিল না৷''

‘‘আজ চূড়ান্তভাবে পরিবর্তন এল,'' লিটল বলেন৷ ‘‘নিরাপদ গর্ভপাত আজ নিউজিল্যান্ডে বৈধ৷''

দেশটির পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান নির্বাহী জ্যাকি এডমন্ড এই ভোট ও এই সত্যকে স্বাগত জানান যে নারীরা অবশেষে তাদের স্বাস্থ্যগত সব সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পারবেন৷

‘‘এটা চমৎকার যে, সংসদ আজকে এমন এক সিদ্ধান্ত নিল, যা তাদের ৪০ বছর আগেই নেয়া উচিত ছিল,'' বলেন তিনি৷

এদিকে, রক্ষণশীল সংসদ সদস্য সিমিওন ব্রাউন, যিনি এই বিলের বিপক্ষে ছিলেন, বলেন যে জন্মের অপেক্ষায় থাকা একটি শিশুকে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে, তাকে সম্মান দেখাতে হবে৷

এই বিল পাস প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন ও তাঁর মধ্যবামপন্থি জোটের জন্য একটি বিজয়৷ এই সংস্কার ২০১৭ সালে তাঁর নির্বাচনী এজেন্ডা ছিল৷

নিউজিল্যান্ডের আগে সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চ আদালত গর্ভপাতের বৈধতার পক্ষে রায় দেন৷ আর আয়ারল্যান্ড এক রেফারেন্ডামের মাধ্যমে এর সংস্কার করে৷

জেডএ/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ