গর্ভাবস্থায় হবু মাকে কতটা সাবধানে থাকতে হয়, তা সবাই জানে৷ ভুল আচরণ সন্তানের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে৷ বিশেষ করে মদ্যপান বা ধূমপানের প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে৷ একটি দৃষ্টান্ত তার কুফল স্পষ্ট দেখিয়ে দিচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
প্রাণীদের সঙ্গে কাটারিনার এক বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে৷ বান্ধবীর কুকুরের সঙ্গে খেলার সময় সে আনন্দে উৎফুল্ল হতে ওঠে৷ কিন্তু মানুষের সঙ্গে তার প্রায়ই সমস্যা হয়৷ সে তাদের অসম্মান করে বসে৷ কাটারিনা বলে, ‘‘বাকি মানুষের তুলনায় আমার স্বভাব একটু বেশি রুক্ষ৷ ফলে আমার খারাপ লাগে৷ ভালো আচরণ করতে চাইলেও সব সময়ে পারি না৷''
কাটারিনার ফিটাল অ্যালকোহল সিন্ড্রোম রয়েছে৷ তাকে দেখলে অবশ্য সেটা চট করে বোঝা যায় না৷ তার আসল মা গর্ভাবস্থায় মদ্যপান করতেন৷ সুসানে ফালকে মা হিসেবে তাকে পালন করেছেন, তিনিও অনেককাল এই সমস্যার কারণ বুঝতে পারেননি৷ বরং তিনি সবসময়ে নিজের আচরণে ত্রুটি খুঁজতেন৷ সুসানে বলেন, ‘‘বিষয়টা বোঝা খুব কঠিন ছিল৷ কিছু শিখেও সে কেন বুঝতে পারছে না? কেন সে আবার ভুলে যাচ্ছে? অথবা কেন সে কোনো পরিস্থিতিতে তা প্রয়োগ করতে পারছে না? কিছু ক্ষেত্রে সে বুদ্ধিমত্তা ও আবেগ দেখাচ্ছে৷ অন্যক্ষেত্রে একেবারেই নয়৷''
কাটারিনা তিন মাস বয়সে সুসানে-র কাছে এসেছিল৷ পরিবারে আগেই স্বামী ও নিজস্ব কন্যা ডেবোরা ছিল৷ শুরু থেকেই কাটারিনা অতি সক্রিয়৷ ফলে নতুন মাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে৷ সুসানে ফালকে বলেন, ‘‘মনেই করতে পারি না, কবে তার হাত ধরে টেনে রাস্তা পার করাতে হয় নি৷ অন্যদিকে কিন্তু সে আবার খুবই আন্তরিক ছিল৷''
হবু মায়েদের জন্য ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
‘মা’ ডাক শোনার স্বপ্ন প্রতিটি নারীর আর একজন নারী হয়ত পূর্ণতা পান মাতৃত্বেই৷ কিন্তু মা হতে যে দশ মাসের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়! এই পথকে সহজ করা এবং সুস্থ সন্তানের জন্ম দেওয়ার কিছু সহজ উপায় নিয়েই এই ছবিঘরে৷
ছবি: DW
হবু মায়ের অনুভূতি
‘মা’ – এটি একটি মাত্র শব্দ, যার সাথে মিশে আছে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা৷ সন্তানের কাছ থেকে কিছু পাওয়ার আশা না করেই সন্তানকে মা পরম যত্নে বড় করে তোলেন, সেই গর্ভাবস্থা থেকেই৷ পৃথিবীতে একমাত্র মা-ই জানেন সন্তানকে গর্ভে ধারণ করার কষ্ট, ধৈর্য আর আনন্দের অনুভূতিটুকু৷
ছবি: imago/CTK Photo
স্বামী ও পরিবারের অন্যান্যদের সহযোগিতা
গর্ভবতী মায়েদের শরীরে হরমন পরিবর্তনের কারণে এ সময়ে তাঁদের অনেকেই কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে থাকে৷ আর এ কথাটি স্বামীসহ পরিবারের সকলকেই মনে রাখতে হবে৷ তাঁকে খুশি রাখার চেষ্টা করতে হবে, কারণ এতে পরিবারের অনাগত সদস্যটিরই মঙ্গল৷ শারীরিক এবং মানসিকভাবে মা সুস্থ থাকলে তার প্রভাব যে পড়ে শিশুটির ওপরও৷
ছবি: fotolia/diegoa8024
হবু মায়ের দিনের শুরু
‘‘সকালে উঠেই কুসুম গরম পানিতে গোসল সেরে নিন৷ তারপর পুরো শরীরে আস্তে আস্তে অলিভ অয়েল মাসাজ করে নিন৷ অন্য তেলও অবশ্য মালিশ করা যেতে পারে, তবে অলিভ অয়েলে সন্তান জন্মের পর সাধারণত পেটে আর কোনো দাগ থকে না৷’’ এমনটাই বলেন জার্মান ধাত্রী হাইকে শোয়ার্ৎস৷
ছবি: Fotolia/Subbotina Anna
সুন্দর ত্বক
গর্ভকালীন সময়ে শরীরে হরমনের পরিবর্তনের কারণে হবু মায়ের ত্বকেও দেখা দেয় নানা সমস্যা, বিশেষকরে মুখমণ্ডলে৷ তাই সপ্তাহে একবার ‘মাস্ক’ ব্যবহার করতে পারেন৷ যেমন একটি পাকা অ্যাভোকাডোর সাথে দু’চামচ ছানা মিশিয়ে চোখ ছাড়া পুরো মুখে লাগিয়ে দশ মিনিট পর গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন৷ তারপর ভালো কোনো ‘সানস্ক্রিন’ লাগিয়ে ফেলুন৷
ছবি: Fotolia/studiovespa
গর্ভকালীন হালকা ব্যায়াম
ঘরের মেঝেতে পা মুড়ে বসুন এবং হতের তালু সামনে নিয়ে বুকের কাছে রাখুন৷ খুবই মনোযোগ দিয়ে আস্তে আস্তে গভীরভাবে নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিন এবং পেটে থেকে নিঃশ্বাস ছাড়ুন আর ভাবুন – ‘‘এই নিঃশ্বাসের মধ্য দিয়ে আমার সন্তানের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে৷’’ ব্যায়াম কোনো গ্রুপের সাথে করতে পারলে আরো ভালো লাগবে৷
ছবি: Fotolia/Robert Kneschke
হালকা খাবার
এই সময়টাতে অনেকেরই সকালে বেশ খারাপ লাগে বা বমিভাব হয়৷ তাই এক কাপ ভেষজ চা পান করতে পারেন সাথে একটা টোস্ট বা বিস্কুট৷ ধাত্রী হাইকে বলেন, ‘‘এ সময় অনেকেই সকালে গরম নাস্তা পছন্দ করেন৷ আসলে নিজের যা ভালো লাগে সেটাই খাবেন৷ তবে লক্ষ্য রাখবেন যে, সেই খাবার যেন ফাইবার বা আঁশযুক্ত হয়৷ এছাড়া তার সঙ্গে অবশ্যই ফল খেতে ভুলবেন না৷’’
পানি
একজন সুস্থ গর্ভবতীর দিনে কম পক্ষে দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করা উচিত৷ তাই মাঝে মাঝেই অল্প অল্প পানি পান করে নেবেন৷ এতে শরীরটা সারা দিন ঝরঝরে লাগবে এবং রক্ত ঘনও হয়ে যাবে না৷
ছবি: Fotolia/photo 5000
চুলের যত্ন
সাধাণত গর্ভবতী মায়েদের মাথার চুল তেমনভাবে ঝরে না৷ তবে কারো কারো চুলের আগা শুকিয়ে যায়৷ তাই তাঁরা বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন, এতে চুল নরম থাকে৷ তাছাড়া চুলকে সুন্দর ও ঝরঝরে রাখতে সপ্তাহে একদিন রান্নাঘর থেকে দুই টেবল চামচ অলিভ অয়েল, দুই চামচ সাদা দই এবং একটি ডিমের কুসুম মিশিয়ে মাথায় দিয়ে দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন৷
ছবি: Fotolia/Masson
মুক্ত বাতাস সেবন
‘‘শরীর এবং মনকে সুস্থ রাখতে এবং দুটোর মধ্যে সমতা রক্ষা করতে এই বিশেষ সময়টিতে মুক্ত বাতাস সেবন খুবই জরুরি৷ হাঁটাহাঁটি খুব ভালো, তবে গায়ে জোড় দিয়ে কোনোরকম ব্যায়াম করা উচিত নয়৷ এতে হিতে বিপরিত হতে পারে৷ অন্য ব্যায়াম, অর্থাৎ যাঁরা সাঁতার জানেন তাঁদের জন্য কিছুক্ষণ পানিতে থাকা কোমর এবং পিঠে বেশ আরাম দেয়৷’’ বলেন ধাত্রী হাইকে শোয়ার্ৎস৷
ছবি: imago/emil umdorf
দাঁত ব্রাশ
গর্ভবতী মাকে যেন সব সময় আকর্ষণীয় লাগে, সেজন্য দিনে অন্তত দু’বার দাঁত ব্রাশ করতে হবে, তবে নরম ব্রাশ দিয়ে৷ এ সময় অনেকের মাড়ি নরম হয়ে রক্ত ঝরতে পারে৷ তাই দাঁতের মাড়ি শক্ত রাখতে ক্যামেলিয়া চা দিয়ে কুলি করতে পারেন৷ এছাড়া প্রথম ছয় মাস নিয়মিত দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত বলে জানান ধাত্রী শোয়ার্ৎস৷
ছবি: imago/CHROMORANGE
হোম স্পা
‘‘সন্ধ্যায় বাথটবে কুসুম কুসুম গরম পানি ভর্তি করে তাতে এক গ্লাস দুধ ঢেলে দিন, যা ত্বককে মসৃণ করবে৷ কিছুক্ষণ টবে থাকার পর উঠে গায়ে তেল মালিশও করতে পারেন৷ চাইলে বাথটবে হবু মায়ের সঙ্গী বা কোচ হতে পারেন হবু বাবা৷’’ বলেন হাইকে৷
ছবি: Fotolia/Ariwasabi
পায়ের যত্ন
গর্ভবতী মায়ের জন্য সবচেয়ে বেশি ভারী বোধ হয় তাঁর পা দুটো৷ তাই সকালে বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থাতেই দুই পা খানিকটা উঁচু করে একটু একটু করে ঘোরাবেন৷ এতে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়৷ রাতে যদি পা দুটোকে ভারী মনে হয়, তাহলে একটি বাটিতে ঠান্ডা পানি দিয়ে সামান্য লেবুর রস দিন৷ এতে ছোট টাওয়েল ভিজিয়ে পানিটা চিপে উঁচু করা পায়ে দুই মিনিট পেচিয়ে রাখুন৷
ছবি: superfood - Fotolia.com
ডাক্তারি ‘চেকআপ’
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পেটের সন্তানটি যেন ভালোভাবে বড় হতে পারে সেজন্য চাই যথেষ্ট সবুজ শাক-সবজি এবং আয়োডিন৷ আরো দরকার আয়রন এবং ক্যালসিয়াম৷ তাই এ সবের কোনোটারই যেন ঘাটতি না থাকে৷ সুতরাং শারীর আর মনের যত্নের পাশাপাশি প্রয়োজন নিয়মিত ডাক্তারি ‘চেকআপ’-ও৷
ছবি: DW
13 ছবি1 | 13
স্কুলেও বেশ সমস্যা দেখা দিচ্ছে৷ কাটারিনা মনোযোগ দিয়ে কিছুই করতে পারে না৷ সব সময়ে সে মধ্যমণি হয়ে থাকতে চায়, সবার মনোযোগ আকর্ষণ করতে চায়৷ কাটারিনার মা সুসানে বলেন, ‘‘সে অনেক কথা বলে৷ কথার মাঝে সে বার বার বাধা দেয়৷ বিরক্ত করা, চিৎকার করা, হাত-পা ছোড়া, মাথা চেপে ধরে তার দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা – এই সব চলতে থাকে৷''
কাটারিনা বার বার একই ভুল করে৷ সে হয় নিয়ম বোঝে না, অথবা ভুলে যায়৷ নামতাও ভুলে যায়৷ শিক্ষকেরা ভাবতেই পারেন না, যে সে সত্যি সব শিখেছিল৷ তাঁদের মনে হয়, কাটারিনা নিশ্চয় কুঁড়ে ও বিদ্রোহী স্বভাবের মেয়ে৷ আত্মপক্ষ সমর্থনে কাটারিনা বলে, ‘‘আমি শিক্ষককে বেশ কয়েকবার বলেছি৷ তিনি কয়েকদিন আসেন, অন্য দিনে আসেন না৷ তখন তিনি বলেন, ঠিক আছে৷ পরের দিন আবার ভুলে যান৷ তিনি আমার উপর চোটপাট করলে খুব খারাপ লাগে৷ তিনি বলেন, তুমি অবশ্যই পারবে৷ যদিও আমি কতবার বলেছি, এমনটা সম্ভব নয়৷ কিন্তু তিনি নাছোড়বান্দা থাকেন৷ তখন আমার মাথায় রাগ চড়ে যায়৷''
দুজনেরই ক্রোধ ও হতাশা বেড়ে চলেছে৷ তাঁরা দুজনেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে না৷ কাটারিনাকে বার বার স্কুল বদল করতে হচ্ছে৷
সিবিলে শুলৎস/এসবি
গর্ভাবস্থার ফাটা দাগ দূর করার পাঁচ উপায়
শিশুর জন্মের পর অনেক মায়ের পেটের ত্বকে লম্বা লম্বা দাগ হয়৷ যা কিছুটা হলেও সৌন্দর্যে ব্যাঘাত ঘটায় এবং মায়েদের কষ্ট দেয়৷ তবে গর্ভাবস্থায় কিছুটা সচেতন হলে আগের মতোই দাগহীন পেট রাখা সম্ভব৷
ছবি: imago/CHROMORANGE
নারীর পেট
একজন মা প্রায় ৪০ সপ্তাহ ধরে তাঁর সন্তানকে প্রায় দুই লিটার পানিসহ গর্ভে ধারণ করেন৷ তাছাড়া তখন জরায়ুর আয়তন আগের চেয়ে ২০ গুণ বড় হয়৷ তবে মেয়েদের পেটের ত্বকের টিস্যু এমনভাবে তৈরি যে, তা ধীরে ধীরে রাবারের মতো ঢিলা বা বড় হতে পারে৷
এর কারণ
গর্ভে থাকা সন্তানের আকার বড় হওয়ার সাথে সাথে পেটও বড় হতে থাকে৷ ফলে তখন স্বাভাবিকভাবেই পেটে টান পড়ে৷ এতে পেটে প্রথমে লালভাব পরে নীল হয়ে যাওয়া ফাটা দাগ দেখা দেয়৷ এই দাগ শিশুর জন্মের আগে সাধারণত পেট, ঊরু ও নিতম্বে হয়৷ তবে এমনটা যে সবার ক্ষেত্রেই হয় তা কিন্তু নয়৷ এর পেছনে কিছুটা বংশগত কারণও থাকতে পারে৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
পেটকে দাগমুক্ত রাখতে যা করণীয়
গর্ভবতী থাকাকালীন স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে৷ অর্থাৎ খাবারের তালিকায় থাকতে হবে শস্যদানাযুক্ত খাবার, মাছ এবং বিভিন্ন সবজি৷ যেমন ব্রোকলি, গাজর এবং ভিটামিন ‘ই’ ও ‘সি’ যুক্ত খাবার৷ তাছাড়া চিনিবিহীন চা এবং প্রচুর পানি পান করতে হবে৷
ছবি: Fotolia/udra11
নিয়মিত হাঁটাচলা
হাঁটাহাঁটি করলে শরীরে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন হয়৷ ফলে ত্বক দাগ হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারে৷ গর্ভবতীরা ‘ইয়োগা’ বা যোগ ব্যায়ামের মতো হালকা ব্যায়াম করতে পারেন৷ তবে মা ও শিশুকে সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে সাঁতার কাটা৷
ছবি: picture alliance/C.Klose
‘ঠাণ্ডা-গরম’ শাওয়ার
প্রথমে ঠাণ্ডা, পরে গরম, আবার ঠাণ্ডা - এভাবে শাওয়ার নিলে ত্বকে ব্লাড সার্কুলেশন ভালোভাবে হয়৷ গর্ভধারণের শুরু থেকেই এমনটা করা উচিত৷ প্রতিদিনই গোসল করার সময় পেট, নিতম্ব, ঊরু ও স্তনে আলাদা আলাদাভাবে ঠাণ্ডা-গরম-ঠাণ্ডা পানির শাওয়ার নিতে হবে৷ মনে রাখতে হবে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিয়েই গোসল শেষ করতে হবে৷ গোসলের সময় শরীর হালকাভাবে মাসাজ করলে ত্বকে দাগ হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে৷
ছবি: apops - Fotolia
তেলের মাসাজ
পেটের সন্তানের জন্ম যাতে সহজভাবে হয় সেজন্য গর্ভবতী নারীদের পেটে তেল মালিশ করার প্রচলন এশিয়ার দেশগুলোতে বহু আগে থেকেই চলে আসছে৷ তবে জার্মান ফার্মাসিস্ট তানিয়া ফ্রানৎস বলছেন, সবচেয়ে ভালো হয় যদি প্রতিদিন দুই বেলা সুগন্ধি বা রাসায়নিক পদার্থ ছাড়া তৈরি বাদাম তেল মালিশ করা হয় পেটে এবং তার আশেপাশে৷ কারণ বাদাম তেল ত্বককে মসৃণ ও সুন্দর রাখে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আস্তে আস্তে মালিশ করতে হবে
হাতে তেল নিয়ে খুব ধীরে ধীরে প্রথমে নাভি থেকে শুরু করে পেটের চারিদিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করতে হবে৷ মনে রাখতে হবে কোনোভাবে যেন পেটে চাপ না লাগে৷ কিছুক্ষণ পর শুধু বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনি দিয়ে খুব মোলায়েমভাবে নাভি থেকে ওপরের দিকে ঘোরাতে হবে৷ তানিয়া জানান, এভাবে নিয়মিত যত্ন নিলে শতভাগ না হলেও পেট অনেকটাই দাগমুক্ত রাখা সম্ভব৷