গলদা চিংড়িরা ঠিকমতো বংশবৃদ্ধি করছে কিনা, তার উপর সাগরের শৈলশিরার জীববৈচিত্র্য নির্ভর করে৷ মেক্সিকোর ক্যারিবিয়ান উপকূলে জীববিজ্ঞানীরা জলের তলায় খাঁচা পেতে দেখার চেষ্টা করছেন: গলদা চিংড়ি ধরে কে?
বিজ্ঞাপন
‘রাজোনাতুরা' পরিবেশ সংরক্ষণ সংগঠনের জীববিজ্ঞানী কিম লেই-কুপার-এর কাজ হলো, পরিবেশের উপর গলদা চিংড়ি ধরার কী প্রভাব পড়ে, সেটা খুঁজে বার করা৷ কিম বলেন, ‘‘গলদা চিংড়িরা আজব জীব! কোনোদিন ভাবিনি যে, আমি নিজে দশ বছর ধরে গলদা চিংড়িদের নিয়ে কাজ করব৷ ওরা যে সামুদ্রিক পরিবেশের একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, সেটা উপলব্ধি করে আশ্চর্য হতে হয়েছে৷ জেলেরা এই গলদা চিংড়ি ধরেই বেঁচে থাকে, কাজেই এটা একটা বহুমুখী প্রকল্প৷''
লেই-কুপার গলদাচিংড়িগুলোর উপর নম্বর লাগান৷ এ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়৷ কেননা গলদা চিংড়িরা বিপুল এলাকা জুড়ে ঘুরে বেড়ায়, সংরক্ষিত এলাকার বাইরেও৷ আবার ধরা পড়লে, তাদের নম্বর দেখে বোঝা যায়, তারা কোন পথ দিয়ে এসেছে আর তাদের সুরক্ষার প্রয়োজন কোথায়৷
‘টেকসই’ গলদা চিংড়ি থেকে অর্থ উপার্জনের পথ
চিংড়ির বংশবৃদ্ধি হলে হাঙরেরও সুবিধে
বহু সামুদ্রিক জীব গলদা চিংড়ি খায়৷ গলদা চিংড়িদের বংশবৃদ্ধি হলে, হাঙর, মান্টা রে ইত্যাদি মাছেরা তা থেকে উপকৃত হয়৷ টোপ ফেলে আর জলের নীচের ক্যামেরা বসিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখতে চান, কোন ধরনের প্রাণীরা এ অঞ্চলে পাওয়া যায়৷ কিম জানালেন, ‘‘হাঙরদের দেখতে পেলেই সবচেয়ে ভালো লাগত, কেননা ওরা খুব ইন্টারেস্টিং৷ এছাড়া ওরা যে খাদ্য-খাদক পরম্পরার অঙ্গ, তা-তে গলদা চিংড়িরাও আছে৷ মা হাঙররা খাঁচার তলায় নেমে গলদা চিংড়ি খায়৷ কাজেই হাঙরদের দেখতে পাওয়ার অর্থ, শৈলশিরার জীববৈচিত্র্য ভালোই আছে; লবস্টার ধরার ফলে রিফ-এর ওপর বিশেষ প্রভাব পড়েনি৷''
জলের তলার ক্যামেরায় বাস্তবিক নানা ধরনের জীবজন্তু ধরা পড়েছে৷ যেমন একটি সামুদ্রিক কচ্ছপ ও কয়েকটি হাঙর৷
মেসোঅ্যামেরিকান রিফটির দৈর্ঘ্য পাক্কা এক হাজার কিলোমিটার৷
মাছের জগতের আশ্চর্য
পৃথিবীতে মাছের প্রজাতি প্রায় তিন হাজার৷ তাদের মধ্যে কিছু কিছু মাছ সত্যিই চমকে দেবার মতো, যেমন ইলেকট্রিক ইল বা বৈদ্যুতিক পাঁকাল মাছ৷
ছবি: imago/Olaf Wagner
ইলেকট্রিক ইল
ইলেকট্রিক ইল কিন্তু পাঁকাল মাছ নয়, বাংলায় সে পড়বে ছুরি মাছদের পর্যায়ে৷ ৬০০ ভোল্ট অবধি ইলেকট্রিক শক মারতে পারে! সেভাবেই শিকার ধরে - বা মারে - এই বৈদ্যুতিক পাঁকাল৷ গবেষণা করে দেখা গেছে যে, বাদুড়রা যেমন শব্দতরঙ্গ ব্যবহার করে পোকামাকড়ের অবস্থান জানতে পারে, তেমন ইলেকট্রিক ইল’ও কারেন্ট মারার সময় সেই পন্থায় শিকারের অবস্থিতিও জানতে পারে৷
ছবি: imago/Olaf Wagner
ডোরাকাটা তীরন্দাজ মাছ
এই মাছগুলো জলের নীচে থেকেই পুকুরের ধারের ঘাস-গুল্ম থেকে পোকামাকড় শিকার করতে পারে৷ কিভাবে? মুখ থেকে জলের পিচকিরি ছুঁড়ে পোকাগুলোকে পানিতে ফেলে দেয় এই তীরন্দাজ মাছ৷ বড় মাছগুলো তিন মিটার দূরত্বে বসা শিকারকে ঘায়েল করতে পারে!
এই মাছটি বালির মধ্যে শরীর ডুবিয়ে বসে থাকে শিকার ধরার আশায়৷ শিকার এলে লাফ দিয়ে উঠে শিকার ধরে৷ স্টারগেজার মাছের চোখ মাথার উপর বসানো, থ্যাবড়া মুখটাও ওপরদিকে বাঁকানো৷ মনে রাখতে হবে, মাছটি কিন্তু বিষাক্ত৷
ছবি: picture-alliance / OKAPIA KG
স্টোনফিশ বা পাথর মাছ
এ’মাছটিও বিষাক্ত এবং ক্যামোফ্লেজ, মানে ছদ্মবেশ ধারণে ওস্তাদ৷ দেখলে মনে হবে যেন শ্যাওলায় ঢাকা এক টুকরো পাথর৷ কিন্তু পায়ের নীচে পড়লেই বিষাক্ত কাঁটাগুলো ফুটে যাবে! বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত মাছগুলোর মধ্যে পড়ে এই পাথর মাছ৷ সে বিষে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে৷
ছবি: gemeinfrei
পটকা মাছ
পটকা মাছেদের পেটটা রাবারের মতো বাড়ে বা কমে৷ পটকা মাছেরা পেটে পানি ঢুকিয়ে বলের মতো গোলাকৃতি হয়ে যেতে পারে৷ এদের শরীরেও টেট্রোডোটক্সিন নামের একটি মারাত্মক বিষ আছে৷ জাপানে এই মাছ সুখাদ্য বলে পরিগণিত৷ তবে অতি সাবধানে কাটতে হয়, বিষের অংশটা বাদ দিয়ে৷ কেননা সে’ বিষে মানুষ মরতে পারে৷
ছবি: picture alliance/Arco Images
অ্যাঙ্গলার ফিশ বা মাছ ধরা মাছ
এই মাছের মাথায় ইলিসিয়াম নামধারী একটি আঙুলের মতো দেখতে আঁচিল আছে৷ সেই আঁচিলের ওপর দিকটা বাতির মতো জ্বল জ্বল করে, যা’তে হবু শিকাররা আকৃষ্ট হয়৷ তারপরেই সেই শিকার অ্যাঙ্গলার মাছের সুবিশাল মুখগহ্বরে ঢুকে যায়৷ এই মাছের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল, বিশ্বের সর্বত্র এদের পাওয়া যায়, এমনকি গভীর সমুদ্রেও৷
ছবি: Flickr/Stephen Childs
ভাইপার ফিশ বা সর্প মাছ
আজগুবি মাছ দেখতে হলে যেতে হয় সাগরের অতলে৷ সেখানে জলের চাপ বেশি, আলো প্রায় নেই বললে চলে, খাবারও কম৷ এই পরিবেশে শিকার ফসকালে চলবে না৷ তাই ভাইপার ফিশদের দাঁত, মুখ, সবই ভয়ংকর, ভয়াবহ...
ছবি: picture-alliance/dpa
প্লেইস বা রূপচাঁদা মাছ
চাঁদা মাছরা চ্যাপটা৷ তাদের ক্যামোফ্লেজ বা নিজেকে লুকনোর ক্ষমতা অসাধারণ, বিশেষ করে কাদার মধ্যে৷ মজার কথা: বড় হওয়ার সময় তাদের একটা চোখ মাথার এপাশ থেকে ওপাশে চলে গিয়ে অন্য চোখটির সঙ্গে যুক্ত হয়!
ছবি: picture-alliance/dpa/H.Bäsemann
সিহর্স ঘোড়া নয়
যদিও এই ছোট্ট মাছগুলোকে ঘোড়ার মতো দেখতে এবং এদের প্রকৃতিও অত্যন্ত নিরীহ৷ দ্বিতীয়ত, ‘সাগরের ঘোড়া’ নামধারী এই মাছগুলি চিৎ হয়ে নয়, খাড়া হয়ে সাঁতার কাটে - ফলে এরা খুব ভালো সাঁতারু হয় না৷ তৃতীয়ত, পুরুষ সিহর্সরা নিষিক্ত ডিমগুলোকে পেটের ভাঁজে বয়ে নিয়ে বেড়ায় এবং পরে বাচ্চাদের জন্মও দেয়৷
ছবি: picture-alliance/ dpa
মাডস্কিপার বা লাফানো কাদা মাছ
মাডস্কিপাররা মাছ হলেও, তাদের জল বেশি পছন্দ, না ডাঙা বেশি পছন্দ, তা তারা কখনো ঠিক করে উঠতে পারেনি৷ নিঃসন্দেহে মাছ হলেও, তারা পাখনা ব্যবহার করে কাদার ওপর দিয়ে হাঁটতে পারে৷ এছাড়া তারা অন্যান্য উভয়চরের মতো ত্বক দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/MAXPPP
হাতুড়ি-মাথা হাঙর
বিজ্ঞানীদের মতে হ্যামারহেড শার্কের মাথাটা হাতুড়ির মতো দেখতে হওয়ার কারণ হল, এর ফলে তার চোখ দু’টো আরো দূরে দূরে হয়৷ ফলে হাতুড়ি-মাথা হাঙর আরো বেশি দেখতে পায়... যেমন শিকার...
ছবি: imago/imagebroker
11 ছবি1 | 11
চিংড়ি সমবায়
সিয়ান কা'ন বায়োস্ফিয়ারের সংরক্ষিত এলাকায় গলদা চিংড়ি ধরতে গেলে ধীবর সমবায়ের সদস্য হতে হবে৷ এ ধরনের সাতটি সমবায় মিলে চিংড়ি চাষের নিয়মকানুন আর চিংড়ির দাম ঠিক করে৷ একটা গলদা চিংড়ির ওজন এক কিলোর মতো৷ তার জন্য জেলেরা দাম পায় কম-বেশি বারো ইউরো, যা থেকে তাদের ভালোভাবেই সংসার চলে যায়৷ কিম লেই-কুপারের মতো বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন, সাগরের পরিবেশ এখানে মন্দ নয়৷ কাজেই সমবায়টি ‘টেকসই' সার্টিফিকেট পেয়েছে৷
কিম লেই-কুপার বললেন, ‘‘সকলেরই আশা থাকে যে, তাদের গবেষণা শুধু বই-এর পাতার মধ্যে সীমিত থাকবে না৷ কাজেই সেটাই তো একটা দারুণ ফলাফল৷ এবং সেই গবেষণা থেকে যদি বাস্তবিক উপকার হয়, জেলেদের সরাসরি উপকার হয়, সেটা তো আরো ভালো৷''
বায়োস্ফিয়ারের সংরক্ষিত এলাকার কাছেই ক্যারিবিয়ানের মেক্সিকান অংশের একাধিক নাম-করা টুরিস্ট স্পট৷
‘চাকাই' চিংড়ি
ধীবর সমবায়ের তরফ থেকে ‘চাকাই' নাম দিয়ে ‘টেকসই' চিংড়ি বিক্রি করা হয়৷ ‘রোজউড' লাক্সারি হোটেলের শেফ হুয়ান পাবলে লোজা সাধারণ গলদা চিংড়ির চেয়ে এই পরিবেশ-বান্ধব চিংড়িই পছন্দ করেন৷ হুয়ান জানালেন, ‘‘মানুষজন এখানে আসেন প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখবার জন্য৷ কাজেই আমাদের সেটাকে শ্রদ্ধা করে চলা উচিত৷ ‘চাকাই' গলদা চিংড়ি হলো এই এলাকার একমাত্র ‘টেকসই' গলদা চিংড়ি৷ এছাড়া ‘চাকাই' চিংড়িগুলো টাটকা আর ওদের কোয়ালিটিও ভালো৷''
মাছ খান, সুস্থ থাকুন
মাছে তেমন কোনো চর্বি নেই, রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, যা শারীরিক ও মানসিকভাবে মানুষকে ফিট রাখতে সহায়তা করে৷ বলেন খাদ্য বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: DW/Sarah Wiertz
মাংসের বদলে মাছ
আজকাল প্রায়ই লক্ষ্য করা যায় অনেক জার্মানই মাংসের পরিবর্তে নানা ধরণের মাছ খেতে পছন্দ করেন৷ বিশেষকরে যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন তাঁরা তো অবশ্যই৷ মাছে তেমন কোনো চর্বি নেই, রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, যা শারীরিক ও মানসিকভাবে মানুষকে ফিট রাখতে সহায়তা করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Schamberger
খাবারের মুকুট
জার্মানিতে মাছকে বলা হয় ‘খাবারের মুকুট’৷ মাছ মস্তিষ্কের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে৷ জার্মান খাদ্য গবেষণা কেন্দ্রের পরামর্শ, প্রতিটি মানুষেরই সপ্তাহে অন্তত দু’দিন মাছ খাওয়া প্রয়োজন৷ মাছ হৃদরোগ ও ক্যানসার থেকেও দূরে থাকতে সাহায্য করে৷ মাছ বুদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে৷
ছবি: AP
নানা জাতের মাছ
জার্মানিতে নানা রকম মাছ পাওয়া যায়৷ ছোট বড়, নদীর মাছ, সামুদ্রিক মাছ, লোনা পানির মাছ, হ্রদের মাছ, তাজা মাছ, হিমায়িত, ধূমায়িত এবং টিনজাত মাছ৷
ছবি: picture alliance/Bildagentur Huber
মাছ ভাজি
জার্মানরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাছ ভাজি খায়, আমাদের বাঙালিদের মতো রান্না করে খুবই কম খেয়ে থাকেন তাঁরা৷ ডয়চে ভেলের ক্যান্টিনে সপ্তাহে প্রায় দু’দিন মাছ দেওয়া হয়৷ ক্যান্টিনে এরকম একটি ট্রাউট মাছের ভাজির দাম ৭ ইউরো, বাইরে যার দাম প্রায় দ্বিগুণ৷
ছবি: Fotolia/Comugnero Silvana
কাটা মাছ
বাজারে পাঠানোর আগে এভাবেই মাছ ‘প্রসেস’ করা হয়৷ মাছ কেটে পরিষ্কার করে, কাঁটা বেছে ‘স্লাইস’ করে তবেই সেটা বাজারে যায়৷ তবে কিছুটা ছোট আকারের মাছ কার্প, ট্রাউট, হেরিং, সি ব্রাস ইত্যাদি মাছ আস্তই পাওয়া যায় বাজারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সখের জেলে
জার্মানিতে অনেকেই সখ করে মাছ ধরেন, তবে তাঁদের অবশ্যই মাছ ধরার লাইসেন্স থাকতে হবে৷ তাছাড়া যে কোনো জায়াগায় মাছ ধরা যায় না, শুধু যেসব জায়গায় অনুমতি রয়েছে সেখানেই মাছ ধরা সম্ভব৷
ছবি: DW
তাজা মাছের বাজার
এভাবেই সুন্দর করে সাজানো থাকে মাছের বাজারে মাছগুলো৷ দেখে মনে হয়, মাছগুলো যেন মাছ-প্রেমীদের ডাকছে৷ মাছ মস্তিষ্ককে সজাগ রাখে, তাই ডাক্তাররা মাছ খেতে সবসময়ই পরামর্শ দিয়ে থাকেন, বিশেষকরে ছাত্র-ছাত্রী এবং বয়স্কদের৷ তবে সবার জন্যই মাছ খুব উপাদেয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ধূমায়িত মাছ
ধূমায়িত বা ‘স্মোক্ড’ মাছ জার্মানদের কাছে বেশ প্রিয়, বিশেষ করে রুটির সাথে তাঁরা এ ধরনের বিশেষ প্রক্রিয়ায় রান্না করা মাছ খেতে পছন্দ করেন৷ ম্যাকরেল নামের এক মাছ যার মধ্যে খুব সামান্য হলেও আমাদের ইলিশের স্বাদ খুঁজে পাওয়া যায়৷ তবে সেই মাছ ‘স্মোক্ড’ অবস্থায়ই বেশি পাওয়া যায়৷
ছবি: picture-alliance/chromorange
বরফ দেওয়া মাছ
এভাবেই মাছকে যত্ন করে বরফের ওপর সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়৷ শুধুমাত্র মাছের জন্য রয়েছে আলাদা বাজার, সেখানে এ ধরনের মাছ পাওয়া যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মাছ খান, সুন্দর আর স্লিম থাকুন
মাছ খাওয়ার পরামর্শ আজকাল চারিদিকে শোনা যায়৷ ডাক্তার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সচেতন যে কেউ এই পরমার্শ দেন৷ তবে ছোটবেলা থেকেই এই অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷ শরীরে আয়োডিনের ঘাটতিও পূরণ করে থাকে বেশ কিছু মাছ৷
ছবি: DW/Sarah Wiertz
10 ছবি1 | 10
আজকের গলদা চিংড়িগুলো যে কোনো অতিথির জন্য নয়৷ লেই-কুপার এ অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকৃতি সুরক্ষা সংগঠনগুলির প্রধানদের নিমন্ত্রণ করেছেন৷ তাঁর পরিকল্পনা হলো: আমন্ত্রিতদের ‘টেকসই' গলদা চিংড়ি খাইয়ে তাঁর নিজের প্রকল্পের অর্থায়ন করতে রাজি করা৷ চিংড়ির শূককীট বহুদূর অবধি যায়, কাজেই চিংড়িদের সংখ্যা ঠিক রাখতে আর তাদের পরিবেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে প্রতিবেশী দেশগুলিতেও গবেষণা চালাতে হবে ও সংরক্ষিত এলাকা সৃষ্টি করতে হবে৷
কিম জানালেন, ‘‘আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন হলো, আমার ছেলে-মেয়েরা এই আশ্চর্য পরিবেশ দেখতে পাবে৷ আশা করব আমাদের প্রজন্মের মতো তারাও ছোট ছোট চিংড়ি আর সেই সঙ্গে মান্টা রে, স্টিং রে, হাঙর, এই সব সুন্দর জীবদের দেখতে পাবে৷ সেটাই হবে আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ৷''