1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘গাইডলাইন' করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকানো যাবে না

দেবারতি গুহ২২ মার্চ ২০১৫

ইন্টারনেটের কল্যাণে, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে নানা বিচিত্র, অদ্ভূতুড়ে কাণ্ড প্রায়ই চোখে পড়ে৷ সবচেয়ে বিরক্ত লাগে যখন দেখি ফেসবুক, টুইটারের মতো মাধ্যম ব্যবহার করে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে মৌলবাদী শক্তিগুলো৷

Irak Anschlag auf Moschee in Bagdad
ছবি: AFP/Getty Images/A. Al-Rubaye

চরমপন্থি শক্তিগুলো দিন দিন যেন আরো ‘মিডিয়া স্যাভি’ হয়ে উঠছে৷ আমাদের মতো সাংবাদিকদের আজকাল জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) তো বটেই, বাংলাদেশ বা ভারতে জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে, এমন সন্ত্রাসী বা আধাসন্ত্রাসী সংগঠনগুলির খবরও নিতে হয় ঐ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো থেকে৷

ফেসবুক, টুইটার এবং ইউটিউবে প্রায় নিয়মিতই ছবি এবং ভিডিও ‘পোস্ট’ করে চলেছে আইএস৷ আর সেটা হবে না-ই বা কেন? শুধুমাত্র ফেসবুকই তো ব্যবহার করছে বিশ্বের কমপক্ষে ১.৪ বিলিয়ন, অর্থাৎ ১৪০ কোটি মানুষ৷ বাংলাদেশে এই মাধ্যমকে ব্যবহার করছে বাঁশেরকেল্লার মতো মৌলবাদী সাইটগুলোও৷ বাংলাদেশের জামায়াত-শিবির অথবা ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংঘ পরিবার বা আরএসএস এবং বিভিন্ন দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলোও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে স্বনামে-বেনামে ব্যবহার করছে৷

বিশ্বব্যাপী এমন কার্যক্রম বন্ধ করতে এবার ধীরে ধীরে সতর্ক হচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকার৷ তাই এবার সেসব দেশের সরকারের সমর্থনে ইউটিউব, টুইটার এবং ফেসবুক কর্তৃপক্ষও উঠেপড়ে লেগেছে নিজস্ব ‘প্ল্যাটফর্ম’গুলোয় জঙ্গি কর্মকাণ্ড খানিকটা হলেও আয়ত্বে আনতে৷ এই যেমন ফেসবুক সম্প্রতি একটি নতুন নিয়মাবলী বের করেছে৷ বেছে বেছে চিহ্নিত করতে শুরু করেছে সেইসব সংগঠনকে, মানে তাদের অ্যাকাউন্টগুলোকে, যারা জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে৷ ফেসবুক এদের নাম দিয়েছে ‘বিপদজ্জনক সংগঠন’৷

দেবারতি গুহ, ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের সম্পাদকছবি: DW

আমার প্রশ্ন, এভাবে কি বিশ্বকে জঙ্গিবাদ বা মৌলবাদমুক্ত করা সম্ভব? না, সম্ভব নয়, কারণ, চরমপন্থি শক্তিগুলো বরাবরই অনেক বেশি সংগঠিত৷ তারা নানা নামে, নানা বেশে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমগুলোতে সক্রিয়৷ যেমন হালে ফেসবুক, টুইটারকে তোয়াক্কা না করে নিজেদেরই একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট খুলে বসেছে আইএস, যার নাম ‘খেলাফাবুক’ ৷ শুধুমাত্র ২০১৪ সালেই অন্ততপক্ষে ১০০০টি নতুন অ্যাকাউন্ট আইএস-কে সমর্থন দিয়েছে বলে খবর৷

আগে জঙ্গিরা সাংবাদিকদের হুমকি দিত, অপহরণ করতো, অত্যাচার করতো, এমনকি শিরশ্ছেদও করতো, কিন্তু এখন তারা নতুন এই পথ বেছে নিয়েছে৷ নাম পাল্টে, ভোল পাল্টে নানা রকম মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী ধারণা প্রচার করছে তারা৷ আর এতে আমাদের কাজ আরো কঠিন হচ্ছে৷ ‘একজন অন্যরকম’, ‘ওমর মুজাহিদ’-এর মতো ছদ্মনাম দেখে বোঝা গেলেও, ‘মহম্মদ জাহিদ’ কিংবা ‘মীর আহমেদ বিন কাসেম’-এর পেছনে কে লুকিয়ে আছে, কেন লুকিয়ে আছে – সেটা বুঝবো কী করে? আবার ধরুন, বাংলাদেশে #স্টেপডাউনহাসিনা চলছে, চলছে সরকার বিরোধী আন্দোলন৷ ভালো কথা৷ কিন্তু অনেকে #স্টেপডাউনহাসিনা নামের অ্যাকাউন্ট তৈরি করে টুইটারে যা লিখে চলেছে, সেটা তো জঙ্গিবাদেরই নামান্তর৷ তাই আমার মতে, শুধু ‘গাইডলাইন’ করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকানো যাবে না, যেতে পারে না৷ এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে নিয়মিত এবং কার্যকর নজরদারি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ