অপরাধের তদন্তের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির গুরুত্ব দিনে দিনে বেড়েই চলেছে৷ যেমন ডিএনএ-ম্যাচিং নির্ভুল প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগছে৷ তবে শুধু মানুষ বা অন্যান্য প্রাণী নয়, গাছপালার ডিএনএ-ও রহস্যের কিনারা করতে সাহায্য করছে৷
বিজ্ঞাপন
জঙ্গলে অপরাধের ঘটনা৷ খুন করে সব চিহ্ন মিটিয়ে দেবার চেষ্টা করা হয়েছে৷ বিশাল এক গাছের নীচে লাশ পুঁতে দেওয়া হয়েছে৷ খুনির কোনো হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না৷ এক সন্দেহভাজন ব্যক্তি দ্রুত তদন্তকারীদের নজরে এসে পড়েছে৷
কিন্তু অকুস্থলে তার কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি৷ খুন রহস্যের এখনো কোনো কিনারা হয়নি৷ এমনকি বহু বছর পরেও অপরাধের এমন ঘটনা সেরা তদন্তকারীদের মনে চ্যালেঞ্জ হিসেবে ঘোরাফেরা করে৷
উভে শ্লেয়েনবেকার আবার এই কেস ঘেঁটে দেখছেন৷ সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছে গাছের একটি পাতা পাওয়া গেছে, যার ভিত্তিতে তাঁর মনে প্রশ্ন জেগেছে – গাছেরও কি আঙুলের ছাপ আছে, যা দিয়ে তাকে চিহ্নিত করা যায়? তিনি বলেন, ‘‘সে সময়ে আমরা প্রথমে মানুষের ডিএনএ নিয়ে কাজ করেছিলাম৷ তারপর প্রাণীদের ডিএনএ নিয়েও কাজ করলাম৷ তখন জানতাম না কোন গাছ আমরা ল্যাবে আনবো৷ ঠিক করলাম, একই সঙ্গে গবেষণা ও তদন্তের কাজ করবো৷''
ডিএনএ-র যত ব্যবহার
পৃথিবীর সবচেয়ে পরিচিত অণু ডিএনএ৷ কারণ স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবেশ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানের অনেক ক্ষেত্রেই ডিএনএ-র ব্যবহার রয়েছে৷
ছবি: Fotolia/Gernot Krautberger
ডিএনএ কী?
পৃথিবীর সবচেয়ে পরিচিত অণু ডিএনএ যাকে বংশগতির বাহক বলা হয়৷ অর্থাৎ জীবদেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে তা এই ডিএনএ-র জিন বিন্যাসের ওপর নির্ভর করে৷
কৃষি
ডিএনএ ও জিন নিয়ে গবেষণা করে নতুন প্রজাতির উন্নত উদ্ভিদ বা ফসল উদ্ভাবন করা সম্ভব৷ বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা যেমন পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন করেছেন৷ এর ফলে পাটের নতুন ও উন্নত জাত আবিষ্কার সম্ভব হবে৷ এছাড়া প্রায় পাঁচ শতাধিক উদ্ভিদের বিধ্বংসী রোগ সৃষ্টিকারী ছত্রাকের জীবনরহস্যও আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা৷
ছবি: DW
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা
জিন প্রকৌশল এর মাধ্যমে বন্যা, খরা ও লবণ সহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করা যায়৷ বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ধানের এ ধরনের কিছু জাত উদ্ভাবিত হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাণিজ্য বাড়াতে
বাংলাদেশ প্রতি বছর চিংড়ি রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে৷ তবে মাঝেমধ্যে রপ্তানি করা চিংড়ি বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়৷ কারণ মাছে ক্ষতিকর ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি৷ এ ক্ষেত্রে একটি ডিএনএ ল্যাবরেটরি স্থাপন করে রপ্তানির আগেই চিংড়ির মান পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে৷
ছবি: dapd
খাবার
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর আরেক উদ্ভাবন জিএম খাবার৷ যদিও এর পক্ষ, বিপক্ষ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে৷
ছবি: Imago
রোগ নির্ণয়
ডিএনএ-র বিশেষ পরিবর্তন চিহ্নিত করে বিভিন্ন ধরনের রোগ নির্ণয় করা যায়৷
ছবি: Fotolia/kasto
পরিচয় শনাক্ত
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে রানা প্লাজা ধসে নিহত অনেকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে৷ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ‘ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি-তে এই পরীক্ষা হয়৷ আগুনে নিহত কয়েকজনের পরিচয়ও এভাবে শনাক্ত করা হয়েছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
অপরাধী চিহ্নিত
উন্নত বিশ্বে অপরাধী চিহ্নিত করতে ডিএনএ বিশ্লেষণ এখন প্রায় নিয়মিত এক ঘটনা৷
ছবি: Fotolia/GrafiStart
পিতৃত্ব-মাতৃত্ব নিরূপণ
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিতে পিতৃত্ব-মাতৃত্ব নিরূপণে এখন পর্যন্ত ৯০৬টি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে সরকারি হিসেবে জানা গেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ওষুধ শিল্প
ফোর্বস ম্যাগাজিনের জরিপে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে জীবপ্রযুক্তি বিষয়ক চাকরিই সবচেয়ে আকর্ষণীয়৷ বিশেষ করে ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা বাড়াতে জীবপ্রযুক্তিকে অন্যতম প্রধান অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছে৷
ছবি: Fotolia/Gernot Krautberger
10 ছবি1 | 10
অকুস্থলে যে গাছের নীচে লাশ পাওয়া গেছে, পাতাটা যে ঠিক সেই গাছের, তা কি প্রমাণ করা সম্ভব? শ্লেয়েনবেকার ডিএনএ তুলনা করে সেটা প্রমাণ করে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে কাঠগড়ায় তুলতে চান৷ উভে শ্লেয়েনবেকার বলেন, ‘‘কিছু লোক বলেছিলেন, এত পুরানো উপকরণ থেকে কিছুই আলাদা করা যাবে না৷ পাতাটি সে সময়ে ছ'বছর পার করেছিল৷''
গাছপালার জেনেটিক মেটিরিয়াল বিশ্লেষণ করার কথা প্রায় কেউই ভাবেননি৷ যে ডিএনএ প্রতিটি পাতাকে নির্দিষ্ট গাছের সঙ্গে মেলাতে পারে, তা তখনো অজানা ছিল৷ শ্লেয়েনবেকার বলেন, ‘‘বিশ্লেষণ করতে এক বছরেরও বেশি সময় লেগেছিল৷ বই ঘাঁটাঘাঁটি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে গাছপালার ডিএনএ বার করার প্রক্রিয়া শিখতে হয়েছে৷ তারপর নিজস্ব ল্যাবে অকুস্থলে পাওয়া পাতার বিশ্লেষণ প্রস্তুত করতে হয়েছে৷''
অক্লান্ত পরিশ্রম করে সেই এক্সট্র্যাকশনের কাজ তদন্তকারীর জন্য একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জ ও বড় সম্ভাবনা৷ পাতাটি চিহ্নিত করার কাজে সফল হলে তিনি পুলিশের ইতিহাসে স্থান পেয়ে যাবেন৷ উভে শ্লেয়েনবেকার বলেন, ‘‘জীবনে এমন কেস একবারই আসে৷ কাজ শেষ হলেই তা বোঝা যায়৷ অকুস্থলে পাওয়া কোনো বস্তু শেষ পর্যন্ত কাজে লাগবে কি না, তা জানার কোনো উপায় নেই৷ পরে দু'টি বস্তুর মধ্যে মিল আবিষ্কার করলে তা কেস সমাধানের ক্ষেত্রে চাবিকাঠি হয়ে উঠতে পারে৷''
চিকিৎসায় ঔষধি গাছের সাহায্য নিন
হাজারো বছর আগে থেকেই নানা অসুখ-বিসুখে ঔষধি গাছ ব্যবহৃত হয়ে আসছে৷ বর্তমান যুগেও এসব গাছের ব্যবহার আছে, তবে কিছুটা অন্যভাবে৷ সেরকম কিছু ঔষধি গাছের গুণাগুণ নিয়েই এই ছবিঘর৷
ছবি: Fotolia/Theißen
ঔষধি গাছ
হাজার বছর আগে থেকেই মানুষ অসুখ-বিসুখে ঔষধি গাছের পাতা, শেকড় ও রস ব্যবহার করে আসছে৷ সে সময় প্রায় সবাই বাড়ির আঙিনায় স্বাস্থ্যকর ফুল, গাছ আর লতা-পাতা লাগাতো৷ মাথা থেকে পা পর্যন্ত সব অসুখের জন্যই কোনো না কোনো ঔষধি গাছ রয়েছে৷
ছবি: Marina Lohrbach - Fotolia.com
হজম ক্ষমতা বাড়ায় মৌরি
মৌরি যে হজম শক্তি বাড়ায় সে কথা বোধ হয় আর কারো অজানা নেই৷ জার্মানিতে মৌরির চা খুবই জনপ্রিয়৷ খাবারের পরে অনেকেই এই চা পান করেন৷ শুধু বড়রা নয়, ভালো হজমের জন্য ছোট্ট শিশুদেরও মৌরি চা পান করানো হয়, যা শিশুদের জন্য আলাদাভাবে প্রক্রিয়াজাত করা থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মাথাব্যথায় পুদিনা পাতা
প্রাকৃতিক ওষুধে বিশেষজ্ঞ ডা. জেসিকা ম্যান্টেল বলেন, ভয়, উত্তেজনা কিংবা মানসিক চাপের কারণে মানুষের মাথাব্যথা হয়ে থাকে৷ তখন বেশিরভাগ মানুষই চট করে ট্যাবলেটের দিকে হাত বাড়ায়৷ তবে এসব ক্ষেত্রে পুদিনা পাতার চা বা কপালে তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায় বলে জানান তিনি৷
ছবি: Fotolia/gaai
মাইগ্রেনে ল্যাভেন্ডার
মিষ্টি রং-এর ল্যাভেন্ডার ফুলও কিন্তু মাথাব্যথায় বেশ উপকারি৷ বিশেষ করে মাইগ্রেনের মতো জটিল মাথাব্যথায়৷ মাইগ্রেনের সময় ল্যাভেন্ডার ফুল নাকের সামনে কিছুক্ষণ ধরে রাখলে ফুলের উগ্র গন্ধ ব্যথা কমিয়ে বেশ আরাম দেয়৷
ছবি: DW / Nelioubin
কোমর ও হাড়ের ব্যথায় গোলমরিচ
অনেক সময় দেখা যায় ঘুম থেকে ওঠেই শরীরে কেমন যেন ব্যথা ভাব অনুভূত হয়৷ হতে পারে বিছানার তোশক বা অন্য কোনো কারণ৷ আবার কখনো কোনো কারণ ছাড়াই কোমর বা শরীর ব্যথা হতে পারে৷ এই অবস্থায় গোলমরিচের সাহায্য নিতে পারেন৷ কারণ গোলমরিচের ঝাঁঝ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে৷
ছবি: Fotolia/macroart
রসুনের গুণ
পাশ্চাত্যের দেশগুলো থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে রসুনের ব্যবহার অনেক বেশি৷ রসুন যেমন কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, তেমনি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়৷ এছাড়া রসুন উচ্চরক্তচাপ কমায় এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া হিসেবে কাজ করে৷ জার্মানদের রান্নাঘরে আজকাল রসুনের ব্যবহার বাড়ছে৷ রসুনের ট্যাবলেট ছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে রসুনের জুস৷
ছবি: Fotolia/Floydine
দারুচিনি
কোলেস্টেরেল কমাতে সাহায্য করে৷ এছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের কোষগুলোকে সজীব রাখতে সাহায্য করে৷ হৃদরোগ প্রতিরোধেও দারুচিনি ভূমিকা পালন করে৷
ছবি: Fotolia/Floydine
লবঙ্গ
ফুলের মতো ছোট্ট সুন্দর লবঙ্গ রুচি ও খিদে বাড়ায় এবং কাশি দূর করে৷ লবঙ্গ শরীরে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে এং দাঁতের ব্যথা সারাতে কার্যকর৷ লবঙ্গ তেলের রয়েছে জীবাণু ধ্বংসের ক্ষমতা যা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কাজ করে৷
ছবি: Fotolia/Theißen
8 ছবি1 | 8
জেনেটিক পরীক্ষা সফল হয়েছে৷ ফলাফল নিয়েও কোনো সন্দেহ নেই৷ সন্দেহভাজন ব্যক্তির গাড়ির মধ্যে পাওয়া পাতাটি অকুস্থলের পাশের গাছটি থেকেই এসেছে৷ তবে এই অকাট্য প্রমাণ গল্পের শেষ নয়৷ শ্লেয়েনবেকার বলেন, ‘‘তারপর প্রশ্ন ওঠে, আদালত আনকোরা নতুন এই পদ্ধতিকে স্বীকৃতি দেবে কিনা৷ তার উপর কেসটা উচ্চতর আদালতে যাচ্ছিল৷ তবে সর্বোচ্চ আদালত এই পদ্ধতিকে বৈধ হিসেবে মেনে নিয়েছে৷''
শ্লেয়েনবেকারের এই যুগান্তকারী কাজের ফলে তদন্তের এক সম্পূর্ণ নতুন প্রক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে৷ গাছপালার জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের প্রয়োগ অপরাধবিজ্ঞানকে এক ধাক্কায় অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গেছে – এককালে মানুষের ডিএনএ-র ক্ষেত্রে যেমনটা হয়েছিল৷
অপরাধীকে শেষ পর্যন্ত খুনের সাজা পেতে হয়েছে৷ গোটা বিশ্বে এই প্রথম কোনো তদন্তে গাছপালার ডিএনএ-র ভিত্তিতে রায় শোনানো হলো৷ সামান্য একটি পাতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হয়ে উঠলো৷
ধনেপাতার অসাধারণ গুণের কথা
ধনেপাতা যে খাবারে স্বাদ আর রুচি বাড়ায় – তা কে না জানে? কিন্তু অতি পরিচিত এই পাতা যে নানারকম রোগের জীবাণু ধ্বংস করে, কোলেস্টরেল কমায়, এমনকি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে – সেটা জানেন কি?
ছবি: Fotolia/Thomas Francois
রোগের জীবাণু ধ্বংস করে
ধনেপাতাকে বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ‘রাঁধুনি পাতা’ হিসেবে ধরা হয়৷ এছাড়া এ পাতা হাজারো বছর ধরে ভেষজ উদ্ভিদ বা ওষুধ হিসেবেও কাজে লাগানো হচ্ছে৷ ক্যালিফোর্নিয়া এবং মেক্সিকোর একদল গবেষকের করা গবেষণা থেকে জানা যায় যে, ধনেপাতা খাবারের বিভিন্ন জীবাণুকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে এবং ধনেপাতার তেল পেটে বায়ু হওয়া থেকে রক্ষা করে৷
ছবি: Colourbox
ভিটামিন ‘কে’
ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘কে’, যা শরীরের হাঁড় গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে৷ শুধু তাই নয়, ধনেপাতায় থাকা ‘ফলিক অ্যাসিড’ শরীরের ফোলাভাব কমাতেও সাহায্য করে৷
ছবি: Colourbox
বেশিদিন মনে রাখতে...
ক্যানাডায় করা এক গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, ভিটামিন ‘কে’ মানুষের স্মরণশক্তির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে৷ অর্থাৎ যে কোনো কথা মানুষকে বেশি দিন ধরে মনে রাখতে সাহায্য করে থাকে ভিটামিন ‘কে’৷ আর সেটাই রয়েছে আমাদের অতি পরিচিত ধনেপাতায়৷
ছবি: colourbox
ধনেপাতার গুণাগুণ
নিয়মিত ধনেপাতা খেলে তা কোলেস্টরেলের মাত্রা কমে, কমে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও৷ ধনেপাতায় রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ‘সি’ ও আরো বেশ কয়েকটি ভিটামিন৷ ধনেপাতার নানা গুণের কথা জানিয়েছেন জার্মানির কাসেল শহরের পুষ্টিবিদ ডা. উভি সিডেনটপ৷
ছবি: Colourbox
শুধু স্বাদ নয় কিন্তু!
ছোট মাছের চচ্চড়ি, মসুরের ডাল কিংবা আলু ভর্তায় ধনেপাতা না দিলে কি বাঙালিদের চলে? যদিও এই খাবারগুলো শরীরে শক্তি আনার চাইতে মুখের স্বাদটাই আনে বেশি, বিশেষ করে শীতকালের ঠান্ডায়৷ অবশ্য শুধু দক্ষিণ এশীয় রান্না নয়, ইউরোপীয় বহু রান্নাতেও রয়েছে ধনেপাতার ব্যবহার৷
ছবি: Fotolia
ধনেপাতা মিশ্রিত স্যুপে যা আছে
এটা খেতে যেমন ভালো, তেমনই স্বাস্থ্যকর৷ এতে রয়েছে যথেষ্ট জিঙ্ক, প্রোটিন, ভিটামিন, ‘বি’, ‘সি’ আর আঁশ – যা পেশি ও নার্ভকে শক্ত করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও হজমশক্তি বাড়ায় এবং ত্বক সুন্দর করে৷ শীতকালে ধনেপাতা মিশ্রিত মুরগির স্যুপ অত্যন্ত উপকারী৷ শক্তিবর্ধক এই স্যুপকে ইহুদিরা নাকি ‘পেনিসিলিন’ বলে থাকেন৷
ছবি: Getty Images
স্যুপের সহজ রেসিপি
দেড় কেজি মুরগির বুকের মাংস, মরিচ, পেঁয়াজ একটি, গাজর তিনটি, তেল এক চামচ, সামান্য লবণ, গোলমরিচ, দু’টি পেঁয়াজ পাতা, এক মুঠো ধনেপাতা৷ মুরগি ধুয়ে তেলে একটু ভেজে ৪৫ মিনিট সেদ্ধ করার পর, তাতে সব কিছু ঢেলে দিন৷ আরো ৩০ মিনিট সেদ্ধ করুন৷ এটা দেখতে ঠিক ছবির মতো লোভনীয় হবে, খেতেও হবে দারুণ সুস্বাদু৷ তাছাড়া এই স্যুপ শীতের নানা অসুখ-বিসুখ থেকে দূরেও রাখবে আপনাকে৷