সামান্য গাছের পাতা যে শিল্পসৃষ্টির অসাধারণ উপকরণ হয়ে উঠতে পারে, স্পেনের এক শিল্পী তা দেখিয়ে দিচ্ছেন৷ পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতীক হিসেবে তাঁর সৃষ্টিকর্মের চাহিদা বাড়ছে৷ তিনি নিজেও প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের একাত্মতায় বিশ্বাসী৷
প্রতি বছর বসন্তকালে লোরেন্সো নিজের বাসভূমি, অর্থাৎ স্পেনের গুয়াদালাখারা প্রদেশের জঙ্গলে শিল্পসৃষ্টির জন্য উপযুক্ত পাতা খোঁজেন৷ টেকনিকাল ড্রাফটসম্যান হিসেবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই মানুষটি সপরিবারে মাদ্রিদের উত্তর-পূর্বে ত্রিখুয়েকে নামের ছোট শহরে বসবাস করেন৷ বাসভবনের মধ্যে নিজের শিল্পকর্মের একটি গ্যালারিও রয়েছে৷ প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের আত্মিক যোগই তাঁর সৃষ্টির মৌলিক ভিত্তি৷ লোরেন্সো মনে করেন, ‘‘একেবারে নিখুঁত পাতা বলে কিছু নেই৷ প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে পাতা বড় হয়, বিবর্তনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয়৷ কিন্তু আমার মতে, এই অম্পূর্ণতাই তাকে তার পূর্ণ রূপ দেয়৷''
চিকিৎসায় ঔষধি গাছের সাহায্য নিন
হাজারো বছর আগে থেকেই নানা অসুখ-বিসুখে ঔষধি গাছ ব্যবহৃত হয়ে আসছে৷ বর্তমান যুগেও এসব গাছের ব্যবহার আছে, তবে কিছুটা অন্যভাবে৷ সেরকম কিছু ঔষধি গাছের গুণাগুণ নিয়েই এই ছবিঘর৷
ছবি: Fotolia/Theißen
ঔষধি গাছ
হাজার বছর আগে থেকেই মানুষ অসুখ-বিসুখে ঔষধি গাছের পাতা, শেকড় ও রস ব্যবহার করে আসছে৷ সে সময় প্রায় সবাই বাড়ির আঙিনায় স্বাস্থ্যকর ফুল, গাছ আর লতা-পাতা লাগাতো৷ মাথা থেকে পা পর্যন্ত সব অসুখের জন্যই কোনো না কোনো ঔষধি গাছ রয়েছে৷
ছবি: Marina Lohrbach - Fotolia.com
হজম ক্ষমতা বাড়ায় মৌরি
মৌরি যে হজম শক্তি বাড়ায় সে কথা বোধ হয় আর কারো অজানা নেই৷ জার্মানিতে মৌরির চা খুবই জনপ্রিয়৷ খাবারের পরে অনেকেই এই চা পান করেন৷ শুধু বড়রা নয়, ভালো হজমের জন্য ছোট্ট শিশুদেরও মৌরি চা পান করানো হয়, যা শিশুদের জন্য আলাদাভাবে প্রক্রিয়াজাত করা থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মাথাব্যথায় পুদিনা পাতা
প্রাকৃতিক ওষুধে বিশেষজ্ঞ ডা. জেসিকা ম্যান্টেল বলেন, ভয়, উত্তেজনা কিংবা মানসিক চাপের কারণে মানুষের মাথাব্যথা হয়ে থাকে৷ তখন বেশিরভাগ মানুষই চট করে ট্যাবলেটের দিকে হাত বাড়ায়৷ তবে এসব ক্ষেত্রে পুদিনা পাতার চা বা কপালে তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায় বলে জানান তিনি৷
ছবি: Fotolia/gaai
মাইগ্রেনে ল্যাভেন্ডার
মিষ্টি রং-এর ল্যাভেন্ডার ফুলও কিন্তু মাথাব্যথায় বেশ উপকারি৷ বিশেষ করে মাইগ্রেনের মতো জটিল মাথাব্যথায়৷ মাইগ্রেনের সময় ল্যাভেন্ডার ফুল নাকের সামনে কিছুক্ষণ ধরে রাখলে ফুলের উগ্র গন্ধ ব্যথা কমিয়ে বেশ আরাম দেয়৷
ছবি: DW / Nelioubin
কোমর ও হাড়ের ব্যথায় গোলমরিচ
অনেক সময় দেখা যায় ঘুম থেকে ওঠেই শরীরে কেমন যেন ব্যথা ভাব অনুভূত হয়৷ হতে পারে বিছানার তোশক বা অন্য কোনো কারণ৷ আবার কখনো কোনো কারণ ছাড়াই কোমর বা শরীর ব্যথা হতে পারে৷ এই অবস্থায় গোলমরিচের সাহায্য নিতে পারেন৷ কারণ গোলমরিচের ঝাঁঝ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে৷
ছবি: Fotolia/macroart
রসুনের গুণ
পাশ্চাত্যের দেশগুলো থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে রসুনের ব্যবহার অনেক বেশি৷ রসুন যেমন কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, তেমনি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়৷ এছাড়া রসুন উচ্চরক্তচাপ কমায় এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া হিসেবে কাজ করে৷ জার্মানদের রান্নাঘরে আজকাল রসুনের ব্যবহার বাড়ছে৷ রসুনের ট্যাবলেট ছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে রসুনের জুস৷
ছবি: Fotolia/Floydine
দারুচিনি
কোলেস্টেরেল কমাতে সাহায্য করে৷ এছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের কোষগুলোকে সজীব রাখতে সাহায্য করে৷ হৃদরোগ প্রতিরোধেও দারুচিনি ভূমিকা পালন করে৷
ছবি: Fotolia/Floydine
লবঙ্গ
ফুলের মতো ছোট্ট সুন্দর লবঙ্গ রুচি ও খিদে বাড়ায় এবং কাশি দূর করে৷ লবঙ্গ শরীরে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে এং দাঁতের ব্যথা সারাতে কার্যকর৷ লবঙ্গ তেলের রয়েছে জীবাণু ধ্বংসের ক্ষমতা যা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কাজ করে৷
ছবি: Fotolia/Theißen
8 ছবি1 | 8
এমন শিল্পকর্ম সৃষ্টির পথ বেশ দীর্ঘ৷ সবার আগে তিনি তাজা পাতা চেপে রেখে কয়েকদিন ধরে শুকাতে দেন৷ সমস্যা হলো, কাজ শুরু করার আগে পাতাকে এতটা শুকনা হতে হবে, যে ইন্টারফেস যেন বিবর্ণ না হয়ে যায়৷ আবার তার ভেঙে যাওয়া এড়াতে যথেষ্ট আর্দ্রতাও থাকতে হবে৷ পাতা এক জায়গায় আটকে তার উপর মোটিফ-সহ টেমপ্লেট বসানো হয়৷ তারপর শিল্পী ছোট ছুরি চালিয়ে ধীরে ধীরে পাতার উপর কাজ করেন৷
শুধু কাটার কাজেই লোরেন্সো-র কখনো কখনো কয়েক দিন সময় লাগে৷ শান্ত পরিবেশে প্রায় ধ্যানের মতো এই কাজ তিনি বেশ উপভোগ করেন৷ অথচ তাঁর অতীত জীবন ছিল ব্যস্ততায় ভরা৷ ১৩ বছর আগে পর্যন্ত তিনি নির্মাণ শিল্পখাতে কাজ করতেন৷ তারপর বেকার হয়ে পড়েন৷ সেই সংকটের মধ্যেই শিল্পের প্রতি আকৃষ্ট হন৷
প্রথমে তিনি তেল রং ব্যবহার করে আঁকতেন৷ তারপর স্ক্যালপেল ও পাতা নিয়ে কাজ শুরু করেন৷ নতুন এই কাজের মাধ্যমে নিজের সম্পর্কেও তাঁর উপলব্ধি হলো৷ লোরেন্সো বলেন, ‘‘পাতার একদিক যেভাবে আলোর দিকে চেয়ে থাকে, তা যেন আমাদের ব্যক্তিত্বেরই প্রতিফলন৷ ব্যক্তিত্বের এই অংশ বাকি জগতের সঙ্গে সংলাপ চালায়৷ পাতার অন্য দিকটি ছায়ায় থাকে৷ সেটি ব্যক্তিত্বের অস্পষ্ট অংশ৷ একদিক স্বচ্ছ, অন্যদিকটা গোপন৷''
লোরেন্সো তাঁর শিল্পকে এর মধ্যে পেশায় পরিণত করেছেন৷ তাঁর সৃষ্টিকর্ম ডিজাইন ব্লগ, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম, শিল্প সংক্রান্ত পত্রিকা ও বিভিন্ন বইয়ে প্রকাশিত হয়েছে৷
গাছের লতা-পাতা আর আবর্জনা থেকে মুখোশ!
নিজের দেশ ঘানাকে সব অর্থেই পরিচ্ছন্ন দেখতে চান তিনি৷ এড ফ্র্যাংকলিন গাভুয়া তাই গাছের শুকনো পাতা কুড়ান, গাছের কষ সংগ্রহ করেন আর সংগ্রহ করেন বিশেষ কিছু আবর্জনা৷ সব মিলিয়ে তৈরি করেন খুব সুন্দর সুন্দর মুখোশ৷
ছবি: Ed Franklin Gavua
একটি কণ্ঠই গড়ে দিতে পারে পার্থক্য
এড ফ্র্যাংকলিন গাভুয়া একজন জাত শিল্পী৷ তাই হয়ত আবর্জনাতেও তিনি শিল্প খোঁজেন৷ অসংখ্য মুখোশ তৈরি করে তিনি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চান একটি বার্তা – ঘানার মানুষদের ময়লা আবর্জনা নিয়ে ভাববার সময় এসেছে৷ শুরুতে প্রয়াসটা ছিল একার, কিন্তু এখন তাঁর কণ্ঠের সঙ্গে ধীরে ধীরে মিলছে অনেক কণ্ঠ৷
ছবি: Ed Franklin Gavua
দীর্ঘস্থায়ী হোক আশা
এড ফ্র্যাংকলিন গাভুয়ার কর্মদর্শনের মূল কথাই হলো ‘আশা’৷ তাঁর আশা, গাছের শুকনো পাতা, গাছের ছাল, গাছের কষ আর নানা ধরনের ফেলে দেয়া শক্ত কাগজ বা বোর্ড দিয়ে তৈরি মুখোশগুলো ধীরে ধীরে সমাজের সবাইকে আবর্জনা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতন করে তুলবে৷
ছবি: Ed Franklin Gavua
যেভাবে তৈরি হয় অপূর্ব সুন্দর মুখোশ
গাছের পাতা, ছাল এবং কষের সঙ্গে কার্ডবোর্ডের টুকরোগুলো মিশিয়ে প্রথমে সেগুলো দিয়ে মণ্ড তৈরি করেন এড ফ্র্যাংকলিন৷ পরে সেই মণ্ড দিয়েই তৈরি করেন মুখোশ৷ শুনতে সহজ মনে হলেও কাজটা কিন্তু কঠিন৷
ছবি: Ed Franklin Gavua
আবর্জনার সীমানা ছাড়িয়ে অনেক দূরে
সবার ভাবনা যখন ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে রিসাইকেল করার মাঝে আটকে আছে, সেখানে এড ফ্র্যাংকলিন ভাবছেন, মানুষকেও ‘রিসাইকেল’ করার কথা৷ নানান অপরাধে যারা জেল খাটছেন, তাদের সম্পর্কে প্রায়ই ভাবেন তিনি৷ এড মনে করেন, সেই মানুষগুলোকে কারাগার থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সহায়তা করা দরকার৷ এবং তাঁর বিশ্বাস, এ কাজে খুব ভালো সহায়ক উপাদান হিসেবে কাজ করতে পারে মুখোশ৷
ছবি: Ed Franklin Gavua
আর একা নন
শুরুতে মুখোশ তৈরির সব উপাদান নিজেকেই সংগ্রহ করতে হতো৷ এখন ঘরে বসেই পেয়ে যান অনেক কিছু৷ অচেনা-অজানা মানুষরাও শুকনো পাতা, পুরোনো কার্ডবোর্ড বা হার্ডবোর্ড যা-ই পান, নিয়ে এসে তুলে দেন ফ্র্যাংকলিনের হাতে৷ তাঁরা জানেন, এ সব ফেলে না দিয়ে ফ্র্যাংকলিনকে দিলে সবারই উপকার৷
ছবি: Ed Franklin Gavua
স্বপ্নের আকাশ
অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে ‘উইকাকাই’ নামের একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করেছেন এড ফ্র্যাংকলিন গাভুয়া৷ আবর্জনা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করে তোলার পাশাপাশি সব আবর্জনা রিসাইকেল করার জন্য অর্থ সংগ্রহ করাও এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য৷
ছবি: Ed Franklin Gavua
নানা মুখ, নানা মুখোশ
শুধু কোনো রকমে অবয়ব ঢেকে দেয়ার উদ্দেশ্যেই মুখোশ তৈরি করেন না এড ফ্র্যাংকলিন গাভুয়া৷ প্রত্যেকটি মুখোশের পেছনে একটি বিশেষ ভাবনা থাকে৷ শিল্পী জানালেন, ‘‘প্রতিটি মুখোশই বহুবিধ মানসিক শক্তি এবং বিশ্বকে দেখার বৈচিত্রপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির অভিনব প্রকাশ৷’’
ছবি: Ed Franklin Gavua
আবর্জনা অমূল্য রতন
এড ফ্র্যাংকলিন গাভুয়া তাঁর সমস্ত কাজকর্মের মাধ্যমে আর যে কথাটা বোঝাতে চান, তা হলো – আবর্জনা হেলাফেলার জিনিস নয়৷ তাঁর মতে, আবর্জনা যত্রতত্র ফেলা ক্ষতিকর, তবে তা যথাস্থানে রাখা বা রিসাইকেল করার উদ্যোগ অতি জনকল্যাণকর, কেননা, তাতে পরিবেশ রক্ষা হয় এবং কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়ে৷
ছবি: Ed Franklin Gavua
8 ছবি1 | 8
বিভিন্ন কোম্পানির ভাবমূর্তি বাড়াতে প্রচার অভিযানেও তাঁর শিল্পকর্মের চাহিদা রয়েছে৷ গাছের পাতা বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড দূর করেঅক্সিজেন সৃষ্টি করে৷ তাই সুস্থ পরিবেশের আদর্শ প্রতীক হিসেবে গাছের পাতার তুলনা নেই৷ শিল্পী হিসেবে লোরেন্সো-র কাছেও টেকসই উন্নয়ন ও সবুজ নীতি অত্যন্ত জরুরি বিষয়৷ লোরেন্সো মনে করেন, ‘‘মানুষ যে প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত, সেই বিষয়টি আমি তুলে ধরতে চাই৷ আজ আমরা সেই সংযোগ হারিয়ে ফেলেছি৷ মানুষ আবার নিজেকে প্রকৃতির অংশ হিসেবে দেখতে পারলে আমরা আবার পরিবেশকে শ্রদ্ধা করতে শিখতে পারবো৷''
ঠিকমতো সংরক্ষণ করলে তাঁর সৃষ্টিকর্ম ১০ বছর পর্যন্ত অক্ষত থাকতে পারে৷ কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম মেনে সেই পাতাও বিলীন হয়ে যায়৷ তবে আশার কথা হলো, লোরেন্সো নিত্যনতুন সৃষ্টির কাজ করে চলেছেন৷
ক্রিস্টিয়ান ভাইবেৎসান/এসবি
যে ফুল কথা বলে
প্রতিটি গাছপালারই সাধারণত একটি ল্যাটিন নাম থাকে, যদিও সেসব গাছ বা ফুলকে ভিন্ন ভিন্ন দেশে আলাদা আলাদা নামে ডাকা হয়৷ কিছু ফুলের ক্ষেত্রে জার্মানদের দেয়া মজার সব নামগুলো জেনে নিন৷
ছবি: picture alliance/blickwinkel/S. Derder
‘ম্যানারট্রয়’ বা বিশ্বস্ত পুরুষ
এই ছোট ছোট মিষ্টি নীল রঙের ফুল ফোটে শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালে, জুন থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত৷ অর্থাৎ খুবই অল্প সময়ের জন্য ফুলপ্রেমীদের আনন্দ দেয় এই ফুল৷ আর সেই রসবোধ থেকেই হয়ত জার্মানিতে ফুলটির ল্যাটিন নাম ‘লোবেলিয়া’-কে পাল্টে রাখা হয়েছে ‘ম্যানারট্রয়’ বা বিশ্বস্ত পুরুষ৷
ছবি: picture-alliance/ CHROMORANGE/H. Schunk
‘ফেরগিসমাইননিষ্ট’ বা আমায় ভুলে যেও না
এই ফুলের গ্রিক নাম দিয়েছিলেন উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা৷ নামটি বেশ মজার – ‘মিয়োসোটিস’, যার বাংলা অর্থ ইঁদুরের কান৷ তবে জার্মানিতে এই ফুলটির নাম ‘আমায় ভুলে যেওনা’৷ এই নামকরণের পর থেকেই ফুলগাছটিকে ভালোবাসার সম্পর্কে বিশ্বাসের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়ে আসছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Pilick
‘ফ্লাইসিগেস লিশেন’ বা পরিশ্রমী লিশেন
এই ফুলটির উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের দেয়া ল্যাটিন নাম ‘ইমপেশেন্স’ বা অধৈর্য৷ ফুলটি ফোটে মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত৷ শুধু তাই নয়, কোনো রকম বিরতি ছাড়াই এক নাগাড়ে এ সময় নতুন নতুন ফুল ফুটতে থাকে৷ আর সে কারণেই হয়ত জার্মানরা এই ফুলকে ‘ফ্লাইসিগেস লিশেন’ বা পরিশ্রমী লিশেন বলে ডাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Galuschka
‘স্টিফম্যুটারশেন’ বা সৎ মা
ছবিতে সৎ মা ফুলের পাপড়িগুলো দেখুন৷ নীচের ছোট ফুল বা পাপড়িগুলোকে (সৎ মেয়ে) বড় ফুলগুলো (সৎ মা) কেমন আড়াল করে ঢেকে রেখেছে৷ এ কারণেই হয়ত ‘স্টিফম্যুটারশেন’ বা সৎ মা বা সৎ মামনি নাম রাখা হয়েছে৷ এ সব নানা রঙের সুন্দর ফুলগুলোর কিন্তু খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না৷
ছবি: picture-alliance/ZB/Ralf Hirschberger/
‘টয়ফেল্সক্রালে’ বা শয়তানের নখ
গাছটির দিকে তাকিয়ে দেখুন, যেন মনে হবে ওটাতে হাত দিলেই ধারালো নখগুলো আপনাকে আচড় দেবে৷ দেখে এরকমটা মনে হলেও, বাতের ব্যথা বা হজমে সাহায্য করার মতো বিস্ময়কর অনেক গুণ রয়েছে এই গাছের৷
ছবি: picture alliance/WILDLIFE/HPH
‘রোটার ফিঙারহুট’ বা লাল ফিঙারহ্যাট
বাঁদিকের ফুলগুলো দেখুন, কী সুন্দর! ঠিক যেন লম্বা চিকন টুপির মতো৷ মনে হয় আঙুলে পরা যাবে, তাই না? এই ভাবনা থেকেই হয়ত ‘রোটার ফিঙারহুট’ বা আঙুলের টুপি নাম পেয়েছে ফুল গাছটা৷ তবে এই সুন্দর চেহারার আকর্ষণীয় ফুলগুলো অত্যন্ত বিষাক্ত বলে একে ছোঁয়া বা মুখে দেওয়া কিন্তু একেবারেই নিষিদ্ধ৷