বন কেটে বসত করতে গেলেও আজ কম্পিউটার লাগে৷ জার্মানির আখেন শহরের টেকনিক্যাল কলেজের বিজ্ঞানীরা একটি মাটি-গাছ-পাতার অরণ্যের পরিমাপ করে, সেটিকে ভার্চুয়াল অরণ্যে পরিণত করে, কম্পিউটারেই গাছ কাটার পন্থা দেখেন৷
বিজ্ঞাপন
ভার্চুয়াল অরণ্য – অর্থাৎ অবাস্তব কিন্তু বাস্তবের অনুরূপ, এমন অরণ্যে উড়ে বেড়ানোটা আজ সত্যিই সম্ভব৷ আখেন প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়ের মানব ও যন্ত্রের পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মী ইয়ুর্গেন রসমান জঙ্গলকর্মীদের কাজের প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটাতে চান৷ মাউস ক্লিক দিয়ে যেখানে গাছ কাটা যায়৷ রসমান-এর প্রোগ্রাম দিয়ে দেখা যায়, বিশ বছর পরে এই বনানীর কী রকম চেহারা হবে, ততদিনে অন্য গাছগুলো কতটা বাড়বে৷
হার্ভেস্টার নামধারী গাছ কাটার বড় যন্ত্রগুলো বনের অনেক ক্ষতি করে৷ শুধু যে গাছটা কাটা হচ্ছে, সেটাই নয়, আশেপাশের গাছগুলোরও ক্ষতি হয়৷ অনেক সময় জঙ্গলের মাঝখানে একটা ন্যাড়া জায়গার সৃষ্টি হয়৷ রসমানের প্রোগ্রামে সিমিউলেশন করে তার একটা আন্দাজ পাওয়া যায় এবং সেই সব ক্ষতি রোখা যায়৷ রসমান বলেন: ‘‘আমরা সত্যিই কৌশলটা রপ্ত করে ফেলেছি: এক টুকরো জঙ্গল কী ভাবে পরিষ্কার করতে হয়; যে সব গাছ অবধি পৌঁছাতে চাই, তার জন্য কোথায় পথ কাটব৷ এছাড়া স্বভাবতই গাছ কাটার পন্থা: গাছটা কী ভাবে ধরব, কাঠের টুকরোগুলো কী ভাবে সাজিয়ে রাখব, যাতে সেগুলো পরিবহণ করতে সুবিধে হয়৷ বস্তুত কোনো গাছ কাটার আগেই আমি পুরো প্রক্রিয়াটা পরিকল্পনা করতে পারি৷''
জার্মানির বন-জঙ্গল
জার্মানরা বন-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন৷ এভাবে অবসর সময় কাটাতে আর হাঁটতেও ভালোবাসেন তাঁরা৷ চলুন সে রকমই জার্মানির কিছু বনানির সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক৷
ছবি: picture-alliance/Thomas Muncke
জাতীয় পার্ক ইয়াসমুন্ড
ইয়াসমুন্ডের এই পার্কটি জার্মানির জাতীয় পার্কগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট পার্ক৷ বিখ্যাত ব়্যুগেন দ্বীপের একেবারে উত্তরে অবস্থিত এই পার্কের সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে, করে মুগ্ধ৷ ইউনেস্কো ২০১১ সালে ইয়াসমুন্ড পার্কটিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়৷
ছবি: Scoopshot/ac-images
এলবে নদীর নিসর্গ
প্রকৃতি সৃষ্ট নিসর্গের মধ্যে অন্যতম নদী পরিবেষ্টিত চরগুলি৷ নিয়মিত বন্যা হওয়ার কারণে এই সব চরে গাছপালা এবং পশুপাখিরা আনন্দে বেঁচে থাকে৷ যেমনটা এখানে, ব্রান্ডেনবুর্গের এলবে নদীতে৷ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এলবে নদীর এই চরটিকে ১৯৭৯ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যর অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/ZB
হারৎস
জার্মানির মধ্যভাগে অবস্থিত হারৎসের পাহাড়ি অঞ্চল শুধু জার্মানির সবচেয়ে বড় বনভূমি নয়, জার্মানির সবচেয়ে জনপ্রিয় বনাঞ্চলও বটে৷ ১৮২৪ সালে অন্যতম জার্মান লেখক হাইনরিশ হাইনে তাঁর ভ্রমণ কাহিনিতে এই অঞ্চলকে তুলে ধরেন৷ যাঁরা হাঁটতে পছন্দ করেন তাঁদের কাছে জায়গাটি খুবই প্রিয়৷
ছবি: picture-alliance/ZB
হাইনিশ জাতীয় পার্ক
জার্মানির ট্যুরিঙ্গেন রাজ্যে রয়েছে ‘বুখেন’ বা বীচ গাছে ঘন জঙ্গল৷ এই বনের কয়েকটা গাছ আবার গত ৮০০ বছর ধরে এইভাবে একেবারে সাড়ি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে৷ এর জন্যই ইউনেস্কো ২০১১ সালে এই বনভূমিকে বিশ্ব প্রাকৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ এখানে বনবিড়ালের মতো অনেক বিরল প্রাণীও দেখা যায়৷
ছবি: DW/C. Hoffmann
স্পেসার্ট
জার্মানির দক্ষিণে অবস্থিত বাভারিয়া এবং হেসেন রাজ্যের মাঝামাঝি একটি পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত এই বনটি৷ আগে স্পেসার্ট ছিল ধনী ও বিশপদের শিকার করার জায়গা৷ শুধু তাই নয়, ঊনিশ শতকে এই জঙ্গলেই আস্তানা গড়েছিল জার্মানির কুখ্যাত ডাকাতরা৷ ১৮২৭ সাল থেকে ‘‘দাস ভির্টহাউস ইম স্পেসার্ট’’ নামে পরিচিতি লাভ করে এই ঘন বনাঞ্চল৷
ছবি: picture-alliance/Thomas Muncke
ব্ল্যাক ফরেস্ট
ব্ল্যাক ফরেস্ট বা কৃষ্ণ অরণ্য নিয়ে নানা রকম ভূতের গল্প প্রচলিত আছে জার্মানিতে৷ আছে এই জঙ্গলের নামে একটি কেক-ও৷ সে জন্যই হয়ত এই কৃষ্ণ অরণ্যের জাতীয় পার্কের মর্যাদা পাওয়া উচিত বলে মনে করেন অনেকে৷ আবার অন্যদের আশঙ্কা, জাতীয় পার্ক হলে এখান থেকে আর ফল সংগ্রহ বা গাছ কাটা যাবে না – জার্মানিতে পরিবেশ রক্ষা সত্যিই যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়!
ছবি: picture-alliance/Ronald Wittek
বাভারিয়ার জাতীয় পার্ক
রাখেল লেক বাভারিয়ার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ হ্রদের মধ্যে একটি৷ লেকটি ঘিরে প্রায় ১০৭০ মিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত এই বন, যেখানে গত কয়েক দশকে একটি গাছও কাটা হয়নি৷ খুবই নিরিবিলি ও শান্ত পরিবেশ এখানে৷ তাই হাঁটার জন্যও খুব উপযোগী এই অঞ্চল৷ ১৯৭০ সালে এই পার্কটিকে জার্মানির প্রথম জাতীয় পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জাতীয় পার্ক ব্যার্শটেসগাডেন
এটা আলপস পর্বতমালায় অবস্থিত জার্মানির একমাত্র জাতীয় পার্ক৷ পার্কটি উচ্চ পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থানের কারণে পর্যটকরা এখানে এলে বিরল প্রাণীর দেখা পান৷ তাই তো পক্ষীপ্রেমী আর বন্যপ্রাণী গবেষকদের জন্য এটা দারুণ একটা জায়গা৷
ছবি: picture-alliance/Thomas Muncke
8 ছবি1 | 8
গাছ চেনে রোবোট
তার জন্য আগে প্রতিটি গাছ কম্পিউটারের ভার্চুয়াল অরণ্যে চিহ্নিত হওয়া চাই৷ একটি রোবোটযানে লেজার স্ক্যানার, স্টিরিও ক্যামেরা ও জিপিএস-রিসিভার লাগানো রয়েছে৷ এই তিনটি যন্ত্র দিয়ে মাপার ফলে রোবোটের সংগৃহীত তথ্য খুবই বিশদ ও নিখুঁত হয়৷ পরে হার্ভেস্টার গাছ কাটার যন্ত্রটি সেই তথ্য ব্যবহার করবে৷ সেজন্য ঐ হার্ভেস্টারে ঠিক ঐ একই মাপার যন্ত্রগুলি থাকা চাই৷ আখেন প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়ের প্রযুক্তিবিদ নিলস ভান্টিয়া বলেন, ‘‘লোকালাইজেশন, অর্থাৎ বৃক্ষের অবস্থান শনাক্তকরণ যন্ত্রটি আগে থেকেই হার্ভেস্টার-এ লাগানো ছিল৷ সেই যন্ত্রই কোন গাছ কাটা হবে, তা চিনিয়ে দিতো – ডাটাব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে৷ সে যন্ত্র এখানেও ব্যবহার করা হয়েছে৷''
কম্পিউটারে যে সব তথ্য আছে, তা অনুযায়ী হার্ভেস্টার কোন কোন গাছ কাটবে এবং কোথায় ও কখন কাটবে, বিজ্ঞানীরা তা প্রোগ্রাম করে দিয়েছেন৷ কাজেই হার্ভেস্টার সযত্নে জঙ্গলে গাছ কাটে, সঠিক গাছ – কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না করে৷ রসমান-এর ভাষ্যে, ‘‘নীতিগতভাবে আমরা জঙ্গলের গাছ কাটা এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি যে, বনভূমির বাণিজ্যিক ব্যবহার হবে পরিবেশ-বান্ধব উপায়ে৷''
জার্মানির এক নন্দনকানন
মধ্য জার্মানির ডেসাও-ভ্যোরলিৎস গার্ডেন রিয়েলম ব্রিটিশদের বাগানের মতো৷ অষ্টাদশ শতকে এক যুবরাজ এটি নির্মাণ করেন৷ ইউরোপের অন্যতম বড় ইংলিশ পার্কগুলোর মধ্যে এটি একটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
যুবরাজ এবং তাঁর বাগান
মধ্য জার্মানির ‘ডেসাও-ভ্যোরলিৎস গার্ডেন রিয়েলম’ বাগানটি ১৪২ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে৷ আনহাল্ট-ডেসাও এর যুবরাজ লেওপোল্ড ফ্রানৎস এটি নির্মাণ করেন৷ সপ্তদশ শতকের শেষের দিকে শুরু হওয়া বাগানটির নির্মাণকাজ শেষ হতে সময় লাগে ৪০ বছর৷
ছবি: picture-alliance/dpa
স্বাধীনতার আস্বাদ
ইউরোপে শিক্ষা সফরের সময় এই বাগানটি গড়ে তোলার কথা ভেবেছিলেন যুবরাজ৷ বিভিন্ন স্থান থেকে এই ভাবনাগুলো জড়ো করেছিলেন তিনি৷ তবে তাঁর ভাবনার স্বতন্ত্র প্রতিফলন ঘটে বাগান নির্মাণে৷ বাগানটিতে কোনো বেড়া নেই৷ অর্থাৎ যুবরাজ বোঝাতে চেয়েছেন প্রত্যেকের জন্য এটা মুক্ত৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নদীর ধারে
এলবে নদীর তীরে গড়ে উঠেছে এই নন্দনকানন৷ এ কারণে প্রতি বছর লাখো পর্যটক আসেন পার্কটি দেখতে৷
ছবি: KsDW Bildarchiv/Heinz Fräßdorf
দার্শনিক দিক
ফরাসি দর্শনের ছাপ আপনি দেখতে পাবেন এই পার্কে গিয়ে৷ পার্কের বৈশিষ্ট্য দেখেই বোঝা যায় যুবরাজ ফরাসি দর্শনের প্রতি অনুরাগী ছিলেন৷ পার্কে একদিকে আছে একটি গির্জা অন্যদিকে আছে ইহুদি উপাসনালয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ওয়াটার ওয়ান্ডারল্যান্ড
যুবরাজ ফ্রানৎস এলবে নদীর ধার ঘেষে এমনভাবে পার্কটি নির্মাণ করেছেন যে পার্কের সৌন্দর্য্য এতে আরো বেড়েছে৷ সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য তিনি এতে কিছু ঝর্ণা, লেক তৈরি করেছেন৷ পুরো পার্কটি ঘুরে দেখতে তাই আপনি একটি গন্ডোলায় উঠে ঘুরতে পারেন৷ এতে সময় লাগবে ৪৫ মিনিট৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ব্রিজের ভিন্নতা
পুরো পার্ক জুড়ে রয়েছে ১৯টি সেতু বা ব্রিজ৷ ঝর্ণার ধার ঘেঁষে ঐ ব্রিজগুলো তৈরি করা হয়েছে৷ কিন্তু প্রতিটি সেতুই স্বতন্ত্র, অর্থাৎ বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে ভিন্ন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
গার্ডেনের প্রধান আকর্ষণ
পার্কের প্রথম ভবন এটি৷ নাম -ভ্যোরলিৎস প্যালেস৷ ১৭৭৩ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়৷ এ ভবনের নকশা করেছিলেন প্রিন্সের বন্ধু স্থপতি ফ্রিডরিশ ভিলহেল্ম ফন এর্ডমানসডোর্ফ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
লুইসে নামের দুই স্ত্রী
এই গ্যোথিক বাড়িটি প্রিন্স নিজেই নকশা করেছিলেন৷ এই বাড়িতে তিনি তাঁর দুই স্ত্রী ও তিন সন্তানের সাথে থাকতেন৷ দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন বাগানের মালির মেয়ে এবং দুই স্ত্রীরই নামের প্রথম অংশ লুইসে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান
২০০০ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায় পার্কটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চারপাশেই প্রকৃতির অসীম সৌন্দর্য্য
এই পার্কটির মূল আকর্ষণই হলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য৷ যা এটি নির্মাণের শুরু থেকেই পর্যটককে আকর্ষণ করেছে৷ পার্কের মূল বৈশিষ্ট্য হলো, এর মাধ্যমে বোঝা যায় সৌন্দর্য্যকে কোনো কিছুর মধ্যে বেঁধে রাখা যায় না৷ যুবরাজের এই ভাবনা এতটাই জনপ্রিয়তা পায় যে জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই ধরনের বাগান নির্মাণ শুরু হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সবার জন্য বাগান
এই পার্কে ঢুকতে কিন্তু কোনো টিকেট লাগে না৷ অর্থাৎ সবার জন্য উন্মুক্ত এবং বছরের প্রায় পুরোটা সময় এটি খোলা থাকে৷ ২০০ বছরের এই বাগান তাই সবার বাগান হিসেবে পরিচিত হয়ে আসছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
11 ছবি1 | 11
অক্টোকপ্টার
আকাশ থেকেও জঙ্গলের মাপজোক করা চলে৷ অক্টোকপ্টার নামধারী যন্ত্রটি শুধু কোনো গাছের অবস্থানই নয়, বরং তার উচ্চতাও মাপতে সমর্থ৷ অক্টোকপ্টারের তোলা ছবি থেকে বিজ্ঞানীরা বনের পরিবর্তনও লক্ষ্য করতে পারেন, যেমন গাছে পোকা লেগেছে কিনা, কিংবা কোনো ঝড়ে জঙ্গলের কতোটা ক্ষতি হয়েছে৷
এই সব তথ্য একত্রিত করে গবেষকরা ইতিমধ্যেই কম্পিউটারে ঝড় ‘সিমিউলেট' অর্থাৎ অনুকরণ করতে পারেন৷ জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে বিধ্বংসী ঝড়ের সম্ভাবনা বেড়েছে বৈ কমেনি৷ লাল-সবুজ-হলুদ বিন্দু দিয়ে বাতাসের গতি দেখানো হয় – লাল মানে এই ঝড় বিপজ্জনক, এতে গাছ ভেঙে পড়তে পারে৷ রসমান বলেন, ‘‘আমরা ফ্লুইড মেকানিক্স সংক্রান্ত গবেষণার সর্বাধুনিক ফলাফল নিয়ে সেগুলিকে ভার্চুয়াল বনানীতে প্রয়োগ করেছি – আমাদের সংগৃহীত অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে৷ এর ফলে আমরা বলতে পারি, জঙ্গলের কোথায়, কোন ঢালে কী ধরনের গাছ লাগানো উচিত – অথবা লাগানো উচিত নয়; কোথায় গাছগুলোর সুরক্ষার ব্যবস্থা করা উচিত, ইত্যাদি৷''
এ যাবৎ মূলত বিজ্ঞানীরাই ভার্চুয়াল অরণ্য নিয়ে কাজ করতেন৷ কিন্তু বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত যে, সারা বিশ্বের অরণ্যরক্ষীরা একদিন এই ভার্চুয়াল অরণ্যে তাদের বিভিন্ন প্রকল্পের পরিকল্পনা করবেন৷