দক্ষিণ আফ্রিকায় হাতিদের সংখ্যা বাড়ছে৷ তবে এমন সুখবর সত্ত্বেও তাদের চাপে গাছপালার ক্ষয়ক্ষতির কারণে সংরক্ষণবাদীরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন৷ গাছে মৌচাক বসিয়ে এক অভিনব প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে৷
বিজ্ঞাপন
দক্ষিণ আফ্রিকার জঙ্গলে প্রাণিবিজ্ঞানী রবিন কুক ও রনি মাকুকুলে ৫০টি মৌচাক প্রস্তুত করেছেন৷ ক্রুগার ন্যাশানাল পার্কের ঠিক পাশেই মৌমাছিদের এই বসতি রাখা হয়েছে৷ মোমাছিরা পার্কের মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু গাছ বাঁচাতে পারে কিনা, তা জানতে এক বছরের বেশি সময় ধরে এই দুই সংরক্ষণবাদী পরীক্ষা চালাচ্ছেন৷
হাতি তাড়াতে মৌমাছি
অবিশ্বাস্য মনে হলেও এইমৌমাছিরা পার্কের সবচেয়ে বড় বাসিন্দা,অর্থাৎ হাতিদেরও তাড়িয়ে দিতে পারে৷ মানুষের মতো তারাও মৌমাছির হুল পছন্দ করে না৷ হাতিদের ঘ্রাণশক্তিও খুব তীব্র৷ তাই মৌচাকের গন্ধ পেলেই তারা দূরে সরে যায়৷ রবিন কুক বলেন, ‘‘আমরা এমনটা করছি, কারণ দক্ষিণ আফ্রিকায় সংরক্ষিত এলাকায় হাতিদের সংখ্যা অত্যন্ত বেড়ে গেছে৷ বড় প্রজাতির গাছের উপর তাদের প্রভাব নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় পড়েছি৷ তাই গাছের উপর হাতিদের প্রভাব প্রশমিত করার উপায় খুঁজছি৷ সেই সব গাছে মৌচাক বসিয়ে হাতিদের দূরে রাখা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করছি৷''
হাতি তাড়াতে কামান দাগা?
05:46
আফ্রিকার অন্য সব অংশে হাতিদের সংখ্যা কমে এলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় তাদের সংখ্যা বাড়ছে৷ সেখানে সংরক্ষিত অরণ্য বেড়া দিয়ে ঘেরা৷ আছে মানুষের তৈরি কুয়া৷ এমন সুরক্ষা ও খোরাক পেয়ে হাতিদের বংশবৃদ্ধি ঘটছে৷ কিন্তু তাদের সংখ্যা বাড়ার ফলে সমস্যাও দেখা দিচ্ছে৷ হাতি গাছপালা, ঝোপঝাড় সাফ করে দিচ্ছে৷ তাদের শিকড়ও প্রায়ই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ ফলে পার্কের অন্যান্য প্রাণী ও গাছপালার আবাস ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে৷
বিপন্ন মারুলা
পার্কে মারুলা নামের বিশেষ এক প্রজাতির গাছের প্রতি হাতিদের নজর বেশি৷ রবিন কুক এর কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘‘হাতিদের কাছে মারুলা গাছের বিশাল চাহিদা রয়েছে, কারণ এই গাছ থেকে তারা অনেক খোরাক পায়৷ ফলে এই প্রজাতির গাছের উপর তাদের প্রভাব বাড়ছে৷ এই এলাকার গবেষণার ফল অনুযায়ী হাতিরা আসার পর থেকে এই গাছের সংখ্যা ৩৫ শতাংশ কমে গেছে৷ তাই মারুলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি৷ এই গাছ খাদ্য হিসেবে, পশুপাখির আবাস হিসেবে বড় ভূমিকা পালন করে৷''
অনেক সময় হাতিরা শুধু পাতার নাগাল পেতে গোটা গাছ মাড়িয়ে নষ্ট করে৷ কিন্তু এখনো পর্যন্ত মৌচাক থাকলে এমন গাছ সাধারণত অক্ষত রয়েছে৷ গত বছরে মোট ৫০টির মধ্যে একটির ক্ষতি হয়েছে৷
গাছ বাঁচাতে অভিনব প্রকল্প
‘কুকস বি প্রজেক্ট' পার্কের পরিচালকদের নতুন এক প্রচেষ্টা৷ অতীতে বড় সংখ্যায় হাতি সরিয়ে ফেলা হতো৷ পশুপাখির সংখ্যা ও খোরাকের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে ক্রুগার ন্যাশানল পার্কে গুলি করে প্রায় ১৭,০০০ হাতি মারা হয়েছে৷ হাতি গবেষক তামারা এগেলিং বলেন, ‘‘বড় আকারে গাছের উপর হাতির প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করতে হাতিদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার মনোভাব এখন বদলে গেছে৷ অতীতে এভাবেই গাছপালার উপর হাতিদের প্রভাব কমানোর চেষ্টা করা হতো৷ এবার বৃহত্তর পরিসরে বিষয়টি নিয়ে ভাবা যেতে পারে৷ বড় গাছগুলি নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের সুরক্ষা দিলেই চলবে৷ এভাবে হাতিদের ছড়িয়ে দিয়ে তাদের সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে৷''
আফ্রিকার হাতিদের জন্য চীন থেকে সুখবর
গত তিন বছরে হাতির দাঁতের দাম কমেছে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ৷ ‘সেভ দ্য এলিফ্যান্ট’ সংস্থা চীনে জরিপ করে এই তথ্য প্রকাশ করেছে৷
ছবি: AP
দাম পড়ল
২০১৪ সালে হাতির দাঁতের দাম উঠেছিল চরমে৷ তখন চীনের কালোবাজারে গজদন্তের দাম উঠেছিল কিলো প্রতি ২,১০০ ডলারে৷ কিন্তু ২০১৭ সালের সূচনায় সেই দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৭৩০ ডলারে৷
ছবি: Anup Shah
চাহিদা কমছে
হাতির দাঁতের ব্যবসার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারা দুনিয়ায় হাতির দাঁতের সবচেয়ে বড় গ্রাহক দেশ চীনে হাতির দাঁতের চাহিদা কমছে, যার ফলে হাতির দাঁতের দাম কমছে৷ তবুও হাতির চোরাশিকার বন্ধ হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/EPA/W. Hong
বলি
চীনে হাতির দাঁতের বিপুল চাহিদার কারণে গত এক দশকের মধ্যে আফ্রিকায় হাতির সংখ্যা ১,১০,০০০ কমে ৪,১৫,০০০-এ দাঁড়িয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/Okapia
চাহিদা কমার কারণ
চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি হ্রাস এবং সেই সঙ্গে সরকারের দুর্নীতি রোধ কর্মসূচি হাতির দাঁতের চাহিদা কমার জন্য দায়ী, বলে বিশেষজ্ঞদের অনুমান৷ বিশেষ করে যখন সরকারি কর্মচারীদের ঘুস হিসেবে হাতির দাঁতের জিনিসপত্র দেওয়া আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Hofford
সচেতনতা বেড়েছে
জনসাধারণের মধ্যে বর্ধিত সচেতনতাও হাতির দাঁতের চাহিদা কমার একটা কারণ হতে পারে৷ সাধারণ মানুষ বুঝতে শুরু করেছে যে, হাতির দাঁতের ব্যবসা চলতে থাকলে, হাতিদের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে৷
ছবি: Getty Images
হস্তি নড়ান হস্তিরে চড়ান...
‘সেভ দ্য এলিফ্যান্ট’ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ইয়ান ডগলাস-হ্যামিল্টনের মতে, হাতির দাঁতের সামগ্রীর সঙ্গে হাতির অস্তিত্বের সংকটের যোগসূত্রটি চীনের মানুষের অজ্ঞাত ছিল না, কিন্তু এখন ক্রমেই আরো বেশি মানুষ তার গুরুত্ব উপলব্ধি করছেন৷
ছবি: Getty Images
কারখানা বন্ধ
হাতির দাঁতের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত লাইসেন্স-প্রাপ্ত ৩৪টি কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে চীন৷ ২০১৭ সালের মার্চ মাসে এই আজ্ঞা বলবৎ হয়৷ এ বছর শেষ হওয়ার আগে হাতির দাঁতের সামগ্রী বিক্রির বিপণীগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হবে৷
ছবি: Imago/Gong Bing
বেআইনি ব্যবসা
এখন প্রশ্ন হলো, হাতির দাঁত নিয়ে অবৈধ ব্যবসা কিভাবে রোখা যায়, কেননা, তা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে চোরাশিকার পুরোপুরি বন্ধ করার কোনো উপায় নেই৷
ছবি: AP Photo/Courtesy Karl Amman
নিষেধাজ্ঞা
হাতির দাঁতের আন্তর্জাতিক ব্যবসা ১৯৮৯ সালে নিষিদ্ধ করা হয়৷ কিন্তু কালোবাজারে হাতির দাঁত কেনা-বেচা যতদিন চলবে, ততদিন হাতির চোরাশিকার বন্ধ হবে না, কেননা, অপরাধী আর দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তারা হাতির দাঁতের চোরাচালান থেকে বিপুল মুনাফা করে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/Arco Images GmbH
অগ্নিতে আহুতি
২০১৬ সালে কেনিয়া সরকার কোটি কোটি ডলার মূল্যের হাতির দাঁত জনসমক্ষে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেন৷ উদ্দেশ্য ছিল, সর্বসাধারণের কাছে জ্ঞাপন করা যে, কেনিয়া সরকার হাতির দাঁত নিয়ে ব্যবসা করার বিরোধী৷ মালাউয়িতেও এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/C. de Souza
দূর অস্ত
‘সেভ দ্য এলিফ্যান্ট’ সংগঠনের ইয়ান ডগলাস-হ্যামিল্টনের মতে, চীনে যে হাতির দাঁতের চাহিদা কমেছে, সেটা খুব ভালো খবর৷ কিন্তু হাতিদের বাঁচানোর জন্য তা পর্যাপ্ত নয়, কেননা, চীনে যখন চাহিদা কমছে, ঠিক তখনই লাওস, মিয়ানমার ও ভিয়েতনামে হাতির দাঁতের চাহিদা বাড়ছে৷
ছবি: AP
11 ছবি1 | 11
বিজ্ঞানীরা মৌচাকের মাধ্যমে হাতিদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের আশা করছেন৷ কারণ এভাবে হাতিরা চলমান অবস্থায় থাকবে৷ একই জায়গায় বেশিকাল থাকলে বড় আকারে ক্ষতি করতে পারে তারা৷
সংরক্ষণবাদীদের মতে, পাখির বাসায় ভরাগাছের মতো কোনো বিশেষ আগ্রহের বস্তু থেকে হাতিদের দূরে রাখতে মৌমাছিদের ব্যবহার করা আদর্শ পথ৷ রবিন কুক বলেন, ‘‘হাতিরা প্রায়ই গাছের বাকল ছাড়িয়ে নেয়৷ তার ফলে গাছের প্রতিরক্ষার ক্ষমতা কমে যায়৷ যেমন উইপোকা বাসা বাঁধতে পারে, আগুনে গাছের ক্ষতির আশঙ্কা বেড়ে যায়৷ বাকল সরানোর ফলে গাছের ভিতরে পোকা খেয়ে নিয়ে ফাঁপা করে দেয়৷''
পার্কের আশেপাশের গ্রামগুলির মানুষের মৌমাছি নিয়ে অভিজ্ঞতা কম৷ অনেকেই তাদের ভয় করে৷ রনি মাকুকুলে সেই মনোভাব বদলানোর চেষ্টা করছেন৷ তিনি নিজের গ্রামেই মৌচাক রেখে কিছু স্থানীয় মানুষকে মৌমাছি পালনের প্রশিক্ষণ দিতে চান৷
গ্রামের ঠিক বাইরে এক জমিতে প্রথম মৌচাকগুলি বসানো হবে৷ তিনি গ্রামবাসীদের ভয়ভীতি দূর করে তরুণ-তরুণীদের মৌমাছি পালনের কৌশল শেখাতে চান৷ মাকুকুলে বলেন, ‘‘মৌমাছি প্রকল্প শুরু করে আমরা সমাজের আয় বাড়ানোর কাজে সাহায্য করতে পারবো৷ তারা নিজেরাই নিজেদের প্রকল্প শুরু করতে পারবে৷ সুপারমার্কেটে মধু বিক্রি করতে পারবে৷''
পার্কের ভিতরে সংরক্ষণবাদীরা অন্য একটি পদ্ধতিতেও সংকটপূর্ণ এলাকায় হাতিদের সংখ্যা কমাতে সফল হয়েছেন৷ তাঁরা বেশ কয়েকটি কুয়া শুকিয়ে ফেলেছেন৷ ফলে পানির খোঁজে হাতিদের সচল থাকতে হবে৷ তখন স্থানীয় ইকোসিস্টেমের উপর চাপ কমবে৷
কিন্তু ছোট আকারের পার্কের সেই সুযোগ নেই৷ তাই মৌমাছি নিয়ে রবিন কুক-এর পরীক্ষার বিষয়ে আগ্রহ বাড়ছে৷ তাঁর মতে, বৈপ্লবিক এই পদ্ধতির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে৷
স্টেফান ম্যাল/এসবি
মৌ-চাষীর বাড়িতে একদিন
মৌ-চাষী ফ্রিডেল মিরবাখের ছোটবেলা থেকেই পোকামাকড়ের প্রতি খুব আগ্রহ ছিল৷ তাঁর বাগানে ৩০০,০০০ মৌমাছি রয়েছে এবং বাগানটি তিনি এমনভাবেই তৈরি করেছেন যেন মৌমাছিরা সব সুবিধা পেতে পারে৷ হ্যাঁ, মৌমাছি বিষয়ক কিছু তথ্য পাবেন এখানে৷
ছবি: Irene Quaile
বাগানে মধু চাষ
জার্মানিতে ৭৫০,০০০ প্রজাতির মৌমাছি রয়েছে৷ মৌ-চাষী ফ্রিডেল মিরবাখের বাগানে রয়েছে ৩০০,০০০ প্রজাতির মৌমাছি৷ তারা মধু উৎপাদন করে এবং বাগানের গাছকে উর্বর করে৷
ছবি: Irene Quaile
মৌমাছিদের ঘর
এই বাক্সটাতে মিরবাখের মৌমাছিরা থাকে এবং কাজ করে৷ মৌমাছি সম্পর্কে জানার আগ্রহ যাঁদের – অর্থাৎ ছোট-বড় সবাই আসে এখানে৷ বলা বাহুল্য, মৌমাছিদের কাছে যেতে বা তাদের হাত দিয়ে ধরতে মানুষের মধ্যে যে ভয়টা থাকে, এখানে এসে সেটা কেটে যায়৷
ছবি: Irene Quaile
প্রতারণা?
মধু সংগ্রহ করার সময় মৌমাছিদের দাবানল থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ফ্রিডেল মিরবাখ একটি বিশেষ পোশাক পরে নেন৷ এভাবেই তিনি মৌচাক থেকে মধু নিয়ে ‘স্টোর’ বা জমা করে রাখেন৷
ছবি: Irene Quaile
রস, মোম ও মধু
মিরবাখ মৌচাক থেকে একটি টুকরো বের করে নেন যাতে তিনি ভেতরটা ভালো করে দেখতে পারেন৷ মৌমাছিরা মধুর মধ্যে তখন এতটাই ডুবে থাকে যে ওরা তখন কোনো প্রতিবাদও করে না৷
ছবি: Irene Quaile
সোনালি রং-এর মৌমাছির জগৎ
‘‘এখানে মধু জমানো হয়৷ চাইলে গরম, তরল এবং সুস্বাদু মধু চেখে দেখা যায় এখানে’’, খুশি মুখে বলেন মিরবাখ৷ হঠাৎ করে যদি এখান থেকে ফোটা ফোটা মধু পড়তে থাকে, তবে সঙ্গে সঙ্গে কর্মীরা তা মুছে ফেলেন৷ আর জমে থাকা মধু নিয়ে রাখা হয় ভেতরে৷
ছবি: Irene Quaile
আলাদা হয়ে যাওয়া
গ্রীষ্মকালে মৌমাছিরা ভাগাভাগি হয়ে যায়৷ মা মৌমাছি কিছু সংখ্যক মৌমাছিকে নিয়ে উড়ে যায় নতুন বাড়ির খোঁজে৷ তবে খুব বেশি দূর যেতে হয় না৷ প্রথমেই তারা গিয়ে বাসা বাঁধে আপেল গাছে৷ পরে মৌ-চাষী তাগেরপ সাহায্য করতে এগিয়ে আসে৷
ছবি: Irene Quaile
মৌমাছির গোসল
ফ্রিডেল গাছে বসে থাকা মৌমাছিগুলোকে পানি স্প্রে করে গোসল করায় আর এভাবেই সবগুলো মৌমাছি তাঁর কাছে একসাথে ফিরে আসে৷ সেসময় মৌমাছিরা একটু আধটু কামড় দিলেও মিরবাখ সেজন্য আলাদা কোনো পোশাক পরেন না৷ মৌমাছিরাও সেটা জানে৷
ছবি: Irene Quaile
আপেল গাছে রাত কাটানো
হাজারো মৌমাছি যখন ঘুরে বেড়ায় তখন আপেল গাছে একটি ‘বাক্স’ ঝুলিয়ে দেন ফ্রিডেল৷ এই অস্থায়ী বাসায় প্রথমে ঢোকে রানী মৌমাছি৷ অন্যরাও আসে আস্তে আস্তে৷ সবাই ‘হোটেল’-টি খুঁজে পাওয়া পর্যন্ত বাক্স ঝুলানো থাকে৷ এরপর একজন নতুন মৌ-চাষীকে খোঁজা হয়৷
ছবি: Irene Quaile
ফল উৎপাদনে মৌমাছির ভূমিকা
মৌমাছিরা ভালো চেরিফল উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে৷ যদি একবার মৌমাছি চেরি গাছে বসে, তাহলে কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে গাছেই থাকে৷
ছবি: Irene Quaile
শুধু মৌমাছিই নয়
মৌমাছি ছাড়াও রয়েছে বন্য মৌমাছি বা অন্যান্য পোকা-মাকড় যারা বিভিন্ন ফল গাছ ও সবজির উপকারে বসে, মধু খায়৷ এই যেমন, কালো এবং হলুদ রং-এর পোকাকে খুশি করার জন্য ফ্রিডেল মিরবাখ আগে থেকেই বাসা তৈরি করে রাখেন৷