1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজাকে বিভক্ত করে ফেলেছে ইসরায়েলী বাহিনী

রিয়াজুল ইসলাম৪ জানুয়ারি ২০০৯

প্যালেস্টাইনের গাজার শহরে শহরে এ মুহুর্তে চলছে ইসরায়েলী বাহিনী ও হামাস সদস্যদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ৷ ইসরায়েলী সেনাবাহিনী ট্যাংক ও সাজোঁয়া যান নিয়ে ঢুকে পড়েছে গাজার একেবারে ভেতরে৷

গাজায় এখন চলছে পুরোদমে যুদ্ধছবি: AP

পুরো গাজাকে উত্তর ও দক্ষিণ ভাগে বিভক্ত করে ফেলেছে ইসরায়েলী সেনারা৷ শনিবার মধ্যরাত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে গাজায় সেনা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল৷ ইসরায়েলী জঙ্গি বিমান ও হেলিকপ্টার গানশীপ গুলো কভার দেয় ইসরায়েলী ট্যাংক ও সাজোয়া যানগুলোকে৷ লড়াই চলছে গাজা সিটি সহ বেশ কয়েকটি শহরের আশপাশ এলাকায়৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে গাজা সিটির মাত্র তিন কিলোমিটার দুরে অবস্থান নিয়েছে ইসরায়েলী সেনারা৷ এছাড়া অন্যান্য এলাকা থেকেও ট্যাংকের গোলাবর্ষন ও গুলির শব্দ ভেসে আসছে বলে জানিয়েছে সেখানকার লোকজন৷

ইসরায়েলী স্থল অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে অত্যাধুনিক ট্যাংকছবি: AP

ইসরায়েলী সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর আবিতাল লেইবোভিচ বলেছেন, গত দুই বছর ধরে আমরা আমাদের সেনাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি নানারকম পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য৷ লেবাননের যুদ্ধ থেকে পাওয়া শিক্ষা আমরা কাজে লাগাচ্ছি৷ আমরা গ্রাম্য এলাকায় যুদ্ধ চালনার ওপর জোর দিয়েছি৷ সুতরাং সেনারা আগের চেয়ে বেশী প্রশিক্ষিত এবং শক্তিশালী দু বছর আগের তুলনায়৷

আপোষের সম্ভাবনা নাকচ

এদিকে হামাসের মুখপাত্র ওসামা হামদান ইসরায়েলের সঙ্গে কোন আপোষের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, প্যালেস্টাইনিদের অধিকারের স্বীকৃতি দেয়ার এটাই সময়৷ এটা আলোচনার সময় নয়৷ বরং আন্তর্জাতিক মহলের জন্য এটাই সময় প্যালেস্টাইনের নাগরিকদের অধিকারের স্বীকৃতি দেয়ার৷ এবং তাদের উচিত এ অধিকারের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ইসরায়েলকে আগ্রাসন বন্ধ করতে বলা৷ এটাই একটা সমাধান হতে পারে৷ প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে এবং ইসরায়েলী আগ্রাসন তাদের লক্ষ্যে পৌছতে পারবে না৷

ইসরায়েলী হামলার ফলে প্রতিদিন আশ্রয়হারা হচ্ছে প্যালেস্টাইনের নাগরিকরাছবি: AP

গাজায় মানবিক সংকট

এদিকে গাজায় ইসরায়েলী বাহিনীর সেনা অভিযান শুরু হওয়ার পর সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৩ জন প্যালেস্টাইনি নিহত হয়েছে৷ তবে এদের মধ্যে বেশীরভাগই বেসামরিক নাগরিক বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স৷ অপরদিকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত তাদের ১জন সেনা নিহত এবং আরো কমপক্ষে ৩০ জনআহত হয়েছে৷ এদিকে গাজার হাসপাতালগুলোতে এখন আহতদের ভীড় বাড়ছে৷ অপরদিকে কমছে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ও প্রয়োজনীয় জ্বালানী৷ গাজার প্রধান হাসপাতালটিতে ইতিমধ্যে জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে ফলে সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে৷ গোটা গাজায় এখন খাদ্য, পানি ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের তীব্র সংকট দেখে দিয়েছে৷ ইসরায়েলী বাধার কারণে সেখানে কোন প্রকার সহায়তা পাঠানো এখন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ