গাজার ত্রাণ-কেন্দ্রে গুলির অভিযোগ অস্বীকার ইসরায়েলের
২ জুন ২০২৫
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য দপ্তর এবং রেড ক্রসের ফিল্ড হাসপাতাল একথা জানিয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের অভিযোগ, ইসরায়েলের সেনা ত্রাণপ্রার্থীদের উপর গুলি চালিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জাতিসংঘ আগেই জানিয়েছিল, ১১ সপ্তাহ ধরে ইসরায়েল ত্রাণ নিয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ফলে গাজার ২০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়ে আছে।
ফিলিস্তিনের দাবি
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, রাফার আল-আলম জেলার ত্রাণ সরবরাহ কেন্দ্রে গুলি চলে। এই ৩১ জনের মাথায় বা বুকে গুলি লাগে। তা ইসরায়েলি সেনার বন্দুকের গুলি বলে দাবি করে তারা। হামাসকে জঙ্গি সংগঠন বলে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, জার্মানিসহ একাধিক দেশ।
এই গুলি চলার ঘটনার পাশাপাশি, স্থানীয় মানুষ এবং চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাফার ত্রাণ কেন্দ্রে আসা মানুষদের উপর ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক থেকেও গুলি চালানো হয়। রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি জানিয়েছে, রাফার হাসপাতালে ১৭৯ জন গুলি বা বোমার টুকরোর আঘাত নিয়ে ভর্তি হয়েছে। তারা বলেছেন, "প্রত্যেক আহত ব্যক্তি জানিয়েছেন, তারা ত্রাণ কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। একবছর আগে তৈরি হওয়া এই হাসপাতালে এই প্রথম এতজন মানুষ আহত হয়ে ভর্তি হলেন।"
দাবি ওড়ালো আইডিএফ
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) অবশ্য এই দাবি অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ওই অঞ্চলে সেনা উপস্থিত থাকলেও কোনো গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি।
একই সঙ্গে, ইসরায়েলি-মদতপুষ্ট ত্রাণ সংস্থা গাজা হিউম্যানেটেরিয়ন ফাউন্ডেশন বা জিএইচএফও এই দাবি অস্বীকার করেছেন। তারা জানিয়েছে, রোববার রাফার ত্রাণ কেন্দ্র থেকে খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। সেখানে কোনো মৃত্যু বা আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
তাদের দাবির সমর্থনে, এর পরে জিএইচএফ একটি তারিখবিহীন ভিডিও প্রকাশ করে। তাতে দেখা যাচ্ছে বহু মানুষ ত্রাণ কেন্দ্রে অপেক্ষা করছেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছেন এই ভিডিওর সত্যতা বা তারিখ যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এর আগেই জাতিসংঘ জানিয়েছিল ১১ সপ্তাহ ধরে ইসরায়েল ত্রাণ নিয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়ার জন্য গাজার ২০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়ে আছে। গত সপ্তাহ থেকে ত্রাণ সরবরাহ শুরু করে জিএইচএফ। তারা আরো ত্রাণ সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে তারা। ইসরায়েলের সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জিএইচএফ এখনো পর্যন্ত চারটি ত্রাণ কেন্দ্র খুলেছে।
এসসি/জিএইচ (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)