1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজায় ইসরায়েলী হামলা এবং জার্মানির নীতি-অবস্থান

গ্রেহেম লুকাস/আব্দুল্লাহ আল-ফারুক১৪ জানুয়ারি ২০০৯

গাজা এলাকায় ইসরায়েলী হামলার ঘোষিত লক্ষ্য হল বিভিন্ন ইসরায়েলী শহরে ও তার উপকন্ঠে হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অবসান ঘটানো৷

গাজায় সন্তানদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন এক মাছবি: AP

বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতি এলাকাগুলোর একটি গাজা৷ এবং সেখানে ইসরায়েলী বাহিনীর হামলার ব্যাপকতায় বিশ্বের বহু মানুষ ক্ষুব্ধ৷ বিশ্বব্যাপী অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির ডাক দেয়া হচ্ছে৷ ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনীদের মধ্যে সংকট নতুন নয়৷ এবারকার সংকটেও দেখা যাচ্ছে যে, জার্মান রাজনীতিকরা দ্বন্দ্ব নিরসনের কূটনৈতিক উদ্যোগের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নেয়ার ব্যাপারে খুবই সতর্ক৷ গাজায় ফিলিস্তিনীদের মৃত্যুর সংখ্যা যতই বাড়ছে, ইসরায়েলী সামরিক হামলায় ধ্বংসকান্ড যত ব্যাপকতর হচ্ছে বিশেষ করে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এবং জার্মান সবুজ দলের মত বিরোধী দলগুলো ততই ক্ষোভ প্রকাশ করছে৷ যেমন সবুজ দলের নেত্রী ক্লাউডিয়া রোঠ বলেছেন,প্রতিদিনই আমরা শুনছি অসামরিক হতাহত অসামরিক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে৷ অবরোধের ফলে মানুষের কাছে খাবার ও ওষুধপত্রের সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে৷ অসম্ভব এক পরিস্থিতি৷ এটা একটা ভুল কৌশল৷ আমার আশংকা, এই স্থল অভিযানের ফলে সহিংসতা আরো বাড়বে এবং তা এক বিপজ্জনক কানাগলি পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে, যে অভিজ্ঞতা আমাদের হয়েছিল এক সময় লেবানন যুদ্ধের সময়৷

ইসরায়েলী বাহিনীর হামলার ব্যাপকতায় বিশ্বের বহু মানুষ ক্ষুব্ধ৷ছবি: AP

জার্মানির বিরোধী বাম দল লিংকসপার্টাই-এর রাজনীতিক ভল্ফগাং গেয়ারকে তেসরা জানুয়ারি তাঁর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে জার্মান সরকারকে অস্ত্রবিরতির কূটনৈতিক উদ্যোগে অত্যন্ত সক্রিয় এক ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন, ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইসরায়েল যাচ্ছেন৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী যাচ্ছেন না কেন? ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনীদের মধ্যকার জটিল সম্পর্কে মধ্যস্থতা করার ঐতিহ্য আছে জার্মানির৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তেল আভিভে উপস্থিত হওয়া উচিত৷ রামাল্লাহ অর্থাৎ ওয়েস্ট ব্যাংকেও যাওয়া উচিত তাঁর৷

ভারী অস্ত্রসজ্জিত ইসরায়েলী বাহিনীকে পাথর ছুঁড়ে দুর করতে চায় গাজার বাসিন্দারাছবি: AP

গাজায় ইসরায়েলী স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারের প্রায় ১৬ ঘন্টা সময় লেগেছে৷ আজকের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার যুগে এটা বেশ লম্বা সময়৷ বার্লিনের নীতি অবস্থান হল - ইসরায়েলের বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগ যতক্ষণ না দূর হচ্ছে ততক্ষণ ইসরায়েল আর জঙ্গী ইসলামী সংগঠন হামাসের মধ্যকার সংঘাত নিরসন করা যাবে না৷ বার্লিন মনে করে, ২০০৬ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকে গাজা অঞ্চলের শাসন ক্ষমতায় আসীন হামাস যদি আগে ইসরায়েলী শহর ও বসতির ওপর রকেট হামলা বন্ধ করে তাহলেই সংঘাতের নিরসন হতে পারে৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল নিজেও বলেছেন যে গাজা অঞ্চলে অস্ত্র পাচার বন্ধ করার পদক্ষেপের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন দেয়ার কথা জার্মানি বিবেচনা করছে৷ তাঁর দল খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী ইউনিয়ন সিডিইউ-র পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র একার্ড ফন ক্লেডেন বলেছেন, এই মর্মে উদ্বেগ রয়েছে যে, আর একটা অস্ত্র বিরতি হলে গত পাঁচ বছরের ঘটনারই পুনাবৃত্তি ঘটবে৷ হামাস নিজেকে আরো বেশি এবং আরো উন্নত ক্ষেপণাস্ত্রে নিজেকে সজ্জিত করবে৷ এরকম একটি সামরিক অভিযান আর সম্ভব হবে না৷ এবং হামাস ইসরায়েলকে ধ্বংস করার রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছবে৷ ইসরায়েল সরকারকে সেটা প্রতিহত করতেই হবে৷ এটা তার দায়িত্ব৷

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল নিজেও বলেছেন যে গাজা অঞ্চলে অস্ত্র পাচার বন্ধ করার পদক্ষেপের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন দেয়ার কথা জার্মানি বিবেচনা করছে৷ছবি: AP

পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টাইনমায়ারের দল সামাজিক গণতন্ত্রীরা ইসরায়েলের নিরাপত্তা প্রয়োজনকে সবার উপরে স্থান দেয় ঠিকই৷ তবে দলের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রল্ফ মুৎসেনিশ গাজায় ইসরায়েলী হামলার কাঙ্খিত ফল পাওয়া যাবে কিনা সে সম্পর্কে সন্দিহান৷

এই স্থল অভিযানের লক্ষ্যটা কি? হয়ত ইসরায়েল মোটামুটি দ্রুত এই সামরিক অভিযানে জয়ী হবে৷ কিন্তু ইসরায়েলের নিরাপত্তা কি বাড়বে? আমরা লেবাননে দেখেছি যে সংঘাতে হিজবোল্লাহ দুর্বল হয়ে পড়ে নি, বরং শেষে আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে৷ আমার আশংকা হামাসের ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটবে৷ ইসরায়েলের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে না৷

ইতিমধ্যে পরারাষ্ট্রমন্ত্রী স্টাইনমায়ার দেশের ভিতরকার সমালোচনায় সাড়া দিয়েছেন৷ মধ্যপ্রাচ্যে সংক্ষিপ্ত মিশনে গেছেন কায়রোয় এবং ইসরায়েলে৷ মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের আলোচনায় গাজায় অস্ত্র পাচার বন্ধ করতে প্রযুক্তি সাহায্য দেয়ার ব্যাপারে জার্মান সরকারের ইচ্ছার কথাটাও জানিয়েছেন৷ ইসরায়েলে গিয়ে তিনি অবশ্য ইসরায়েলী সামরিক হামলার ব্যাপারে তাঁর দলের সমালোচনার কথা প্রকাশ করেন নি৷ তিনি শুধু মন্তব্য করেন, অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে তিনি আশাবাদী৷ জার্মানিতে কারো কারো মনে হয়ত আশা ছিল যে তাঁর বক্তব্য একটু কড়া হবে৷

গাজায় ইসরায়েলী স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারের প্রায় ১৬ ঘন্টা সময় লেগেছে৷ছবি: picture-alliance/ dpa

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে ফেডারেল জার্মান প্রজাতন্ত্র গঠিত হবার পর থেকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষা জার্মান পররাষ্ট্রনীতির মৌল দিক হয়ে আছে৷ এবং বর্তমান সরকারও তার প্রতি দায়বদ্ধ৷ নাৎসী আমলের ইহুদী নিধনযজ্ঞের মাঝে লুকিয়ে আছে এর ঐতিহাসিক শিকড়৷ একনায়ক আডল্ফ হিটলারের নেতৃত্বাধীন জার্মানির ওপর প্রায় ৬০ লাখ ইহুদী নিধনের জন্য দায়ী৷ ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানিতে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত নাৎসীরা জার্মানি ও পূর্ব ইউরোপে গড়ে তুলেছিল নিধন শিবিরের এক ব্যবস্থা৷ তার আওতায় লক্ষ লক্ষ ইহুদী, জিপসি, প্রতিবন্ধী ও বিরুদ্ধবাদী মানুষের সব কিছু কেড়ে নেয়া হয় এবং তাদের হত্যা করা হয়৷ যুদ্ধশেষে নুরেমবার্গে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে অধিকাংশ নাৎসী নেতাকে কাঠগড়ায় তোলা হয়৷ অনেকেরই মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়৷ তার পরেও ঐ হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছিল যারা তাদের ব্যাপারে জার্মান জনমনে অপরাধের এক তীব্র অনুভূতি যেন রয়ে গেছে৷

যুদ্ধোত্তর ফেডারেল জার্মানির প্রথম বছরগুলোতে এই অপরাধবোধ ছিল সবচেয়ে তীব্র৷ ইউরোপীয় ইহুদীদের নির্মূল করার নাৎসী উদ্যোগের দায় যে জার্মানিকে বইতে হবে, চ্যান্সেলর কনরাড আডেনাওয়ার তা স্বীকার করে নেন৷ তিনি বলেন, ইহুদীদের বিরুদ্ধে নাৎসীদের অবিচারের ক্ষতটা আমাদের পূরণ করে দিতে হয়েছে - যতটা সম্ভব অর্থ দিয়ে৷ করতে হয়েছে পুরোপুরি যতটা সম্ভব৷

ইসরায়েলী নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর জার্মানি ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ১.৭৩ বিলিয়ন ইউরোর সমমূল্যের অর্থ ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয়৷ যদিও সংশ্লিষ্ট সবারই এই যন্ত্রণাকর সত্যটা জানা ছিল যে, অর্থ দিয়ে ঐ ভয়ংকর অবিচার ও নৃশংসতার ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া সম্ভব হবে না৷ তবুও ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন গুরিয়ন ১৯৬৫ সালে জার্মানির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে প্রস্তুত হন৷ তিনি মন্তব্য করেন, যুদ্ধোত্তর জার্মানি নাৎসী জার্মানি নয়৷ তিনি বলেন, জার্মান জনগণের পরিবর্তন হয়েছে৷

গত চার দশকে জার্মানি আর ইসরায়েলের মধ্যকার সম্পর্ক থিতু হয়েছে এবং তার সমৃদ্ধি ঘটেছে৷ তবুও নাৎসীদের ইহুদী নিধনযজ্ঞের নৈতিক দায় জার্মানি কখনও ভুলে যায় নি৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, ইহুদী নিধনযজ্ঞ জার্মানদের মন লজ্জার অনুভূতিতে ভরিয়ে দেয়৷ তার শিকার হয়েছেন যাঁরা তাঁদের সামনে আমার মাথা নত করছি৷ হলোকস্টে বেঁচে গেছেন যাঁরা এবং তাঁদের জীবিত থাকতে সাহায্য করেন যাঁরা তাঁদের সামনে আমি মাথা নত করছি৷

এই কারণেই ইহুদীবিরোধিতা, বর্ণবৈষম্যবাদ ও মানববৈরিতা যখনই যেরূপে মাথা চাড়া দেয় জার্মানি তা রুখতে বদ্ধপরিকর, সদা সতর্ক৷ এই সতর্ক দৃষ্টির প্রয়োজন আছে৷ কেননা নব্যনাৎসীরা তাদের ঘৃণার ধ্যানধারণা নিয়ে এখনও সক্রিয়৷ তবে মূলধারার রাজনীতির উপান্তে তাদের অবস্থান৷ উগ্র দক্ষিণপন্থীরা গোটা ইউরোপেই এক ধরনের হুমকি হয়ে আছে৷ এ নিয়ে গবেষণা করেছেন আন্দ্রেয়াস সুইক, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ইহুদীবিরোধিতা হল উগ্র দক্ষিণ পন্থার এক মৌল অংশ৷ ইউরোপে বহু উগ্র দক্ষিণপন্থী আন্দোলন রয়েছে৷ তাদের সকলের শিকড় রয়েছে ইহুদীবিরোধিতায়৷ আমরা আদতে একটা ইউরোপীয় ব্যাপার লক্ষ্য করছি৷

গবেষকরা এখন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে ইহুদীবিরোধিতা ও বিদেশীদের প্রতি বৈরিতা শুধুমাত্র জনসংখ্যার স্বল্পশিক্ষিত অথবা সামাজিকভাবে অনগ্রসর অংশের মাঝেই সীমিত নয়৷ বার্লিনের ইহুদীবিরোধিতা সম্পর্কিত গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ভল্ফগাং বেনৎস বলছেন,ব্যাপারটা আরো বেশি কঠিন হয়ে যায় যখন দেখা যায় যে ছোট শহরের মেয়র, উকিল, ওষুধের দোকানের কর্মী বসে আছে কোথাও৷ এবং বলছে, আমরা তো ইহুদীবিরোধী নই৷ তবে এই ব্যাপারটা ঠিক মেনে নেয়া যায় না৷ আরো এক গ্লাস বিয়ারের পর তারা একমত হয়ে বলে যে আলবেনীরা তো চোর৷ কিংবা ইউগোস্লাভিয়ার সাবেক নাগরিকরা চোর, মিথ্যুক, জালিয়াত৷ কথায় কথায় তারা এটাও হয়তো বলে যে তুর্কীদের এই ঝাঁকে ঝাঁকে জার্মানিতে আসা এবং মসজিদ বানানো - এগুলো মেনে নেয়া যায় না৷

অভিবাসীদের সংখ্যা জার্মানিতে বাড়ছে৷ তাদের অনেকেই আসছে মুসলিম দুনিয়া থেকে৷ ফলে জার্মানি মনে করে যে, পারস্পরিক সহিষ্ণুতা জার্মান সমাজের জন্য অপরিহার্য এক বিষয়৷ নাৎসীবাদের পুনরাবৃত্তি যাতে এদেশে আর না ঘটতে পারে তার জন্য সতর্ক দৃষ্টি তার৷

জার্মান মানস যে পাল্টেছে সেটা ইসরায়েলও বুঝতে পেরেছে৷ তার প্রমাণ, ২০০৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের ৬০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসবে বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রিত হন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ ইসরায়েলী সংসদ ক্নেসেটে ভাষণ দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন যে অল্প কয়েকজন জার্মান রাজনীতিক তিনি তাঁদের অন্যতম৷ শুধু তাই নয় তিনিই প্রথম ইসরায়েলী সাংসদদের সামনে জার্মান ভাষায় বক্তব্য রাখার সুযোগ পান৷

জার্মান ইতিহাসের নৈতিক বিপর্যয়ের কখনও শেষ না হওয়া দায়ভাগ যদি জার্মানি স্বীকার করে নেয় তাহলেই আমরা ভবিষ্যতের মানবিক রূপ দিতে পারব৷

তার অর্থ জার্মানি ইসরায়েলের টিকে থাকার অধিকার ও নিরাপদ সীমান্তে তার অস্তিত্ব বজায় রাখার অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়ে যাবে৷ জার্মানির ইতিহাসই তাকে অন্য আর কোন অবস্থান নিতে দেবে না৷ আর তাই সব জার্মান নেতারাই এ বিষয়ে সচেতন যে ইসরায়েলের সঙ্গে সব সময়ই তাঁদের বিশেষ সম্পর্ক থাকবে৷ এ কথা প্রেস্ডেন্ট হর্স্ট ক্যোয়েলারও বলেছেন,যাকে স্বাভাবিকতা বলা হয়ে থাকে তা জার্মানি আর ইসরায়েলের মধ্যে কখনও থাকতে পারে না৷

ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি জার্মানির এই একনিষ্ঠ দায়বদ্ধতার কারণেই সরকারী পর্যায়ে ফিলিস্তিনীদের ব্যাপারে জার্মানির তৎপরতা মূলত মানবিক সাহায্যের মাঝেই সীমিত থেকে গেছে৷ মাত্র কয়েক দিন আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়েন্স প্লয়েটনার ঘোষণা করেন, গাজায় বিভিন্ন ত্রাণ সংগঠনকে জার্মানি এক কোটি দশ লাখ ইউরো সাহায্য দেবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ