1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজায় ত্রাণ পাঠানো নিয়ে আরেকটি উত্তেজনা দূর হলো

১০ জুলাই ২০১০

গাজায় ত্রাণ পাঠানো নিয়ে সম্ভাব্য আরেকটি উত্তেজনা দূর হলো৷ কয়েকদিনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সম্ভব হলো তা৷ লিবিয়ার একটি দাতব্য সংস্থা জাহাজে করে ত্রাণ পাঠাতে চেয়েছিল এবার৷

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগডোর লিবারম্যানছবি: AP

তবে জাহাজটি মলদোভা'র পতাকাবাহী৷ আর মালিকানা গ্রিসের৷ লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল ইসলাম গাদ্দাফি হলেন ঐ দাতব্য সংস্থা'র প্রধান৷

কিন্তু ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, জাহাজটি এখন দিক পরিবর্তন করে গাজায় না গিয়ে মিশরের একটি সমুদ্র বন্দরের দিকে যাচ্ছে৷ কারণ ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগডোর লিবারম্যান এটাই চাচ্ছিলেন৷ এজন্য তিনি গত কয়েকদিন ধরে টেলিফোনে আলোচনা করছিলেন গ্রিস ও মলদোভার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে৷

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের জুন মাস থেকে গাজায় অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল৷ অভিযোগ- গাজার জঙ্গিরা তাঁদের এক সৈন্যকে অপহরণ করেছে৷ এর এক বছর পর অবরোধ আরও জোরালো হয়৷ এবার অভিযোগ- জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের হাতে গাজার নিয়ন্ত্রণ৷

ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি হামলার ফাইল ছবিছবি: AP

তখন থেকেই গাজায় কেউ যদি ত্রাণ পাঠাতে চায় তাহলে তা আগে পরীক্ষা করে দেখে নেয় ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী৷ কারণ তাদের ভয়, ত্রাণের নামে হয়তো বোমা বানানোর কোনো জিনিস বা অস্ত্র পাঠানো হতে পারে জঙ্গিদের জন্য৷

তবে অবরোধের কারণে নৌপথে কোনো কিছুই পাঠাতে দিতে রাজি নয় ইসরায়েল৷ এ কারণে কিছুদিন আগে ইসরায়েলের কমান্ডোরা ত্রাণবাহী একটি ফ্লোটিলায় হামলা চালিয়ে নয় জনকে মেরে ফেলে৷ এরফলে আন্তর্জাতিকভাবে তীব্র নিন্দার মুখে পড়ে দেশটি৷ এছাড়া সড়ক পথেও অবরোধ কিছুটা শিথিল করতে বাধ্য হয়৷ তবে নৌপথে অবরোধ এখনো বলবৎ রয়েছে৷ তাই আর কোনো ঝামেলায় না পড়তেই, লিবিয়ার ত্রাণবাহী জাহাজটির ব্যাপারে কূটনেতিক প্রচেষ্টা শুরু করে ইসরায়েল৷

পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে টেলিফোন আলোচনা ছাড়াও জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠায় ইসরায়েল৷ সেই চিঠিতে জাহাজটি যেন গাজার উদ্দেশ্যে রওনা না দেয় সেটা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়৷ তবে এরপরও যদি জাহাজটি রওনা দেয় তাহলে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইসরায়েল তাতে বাধা দেবে বলে সতর্ক করে দেয়৷

যাক, আপাতত মনে হচ্ছে যে, লিবিয়ার জাহাজ পাঠানোর ঘটনাটির একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান হলো৷ এর ফলে, আরেকটি যে বিষয় পরিস্কার হলো বলে মনে হচ্ছে, তা হলো- হামলা করে নয়জন মেরে ফেলার ঘটনায় ইসরায়েলকে যতটা একগুঁয়ে মনে হয়েছে সেই তুলনায় ইসরায়েল এখন অনেকটা নমনীয়৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ