1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইসরায়েল

গাজায় দুই বছর যুদ্ধ করে ইসরায়েলের অর্জন কী?

৭ অক্টোবর ২০২৫

হামাসের আক্রমণ, ইসরায়েলের প্রত্যাঘাত এবং তার জেরে দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধ। ইসরায়েল কি লক্ষ্যপূরণ করতে পারলো?

উত্তর গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণের পর কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা যাচ্ছে। দূর থেকে তা দেখছে মানুষ।
নেতানিয়াহু সরকার হামাসএগিয়েছিল। কে ধ্বংস করা এবং পণবন্দিদের মুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে ছবি: Dawoud Abu Alkas/REUTERS

সাত অক্টোবর, ২০২৩। ইসরায়েলের ভিতরে ঢুকে হামলা চালিয়ে বারোশ মানুষকে হত্যা করে হামাস, ২৫১ জনকে পণবন্দি করে নিয়ে যায়। হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ অনেক দেশ।

একদিন পর, অর্থাৎ, ৮ অক্টোবর ইসরায়েল গাজা আক্রমণ করে। তারপর থেকে দুই বছর কেটে গেছে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে গত দুই বছরে ইসরায়েল সেনার আক্রমণে অন্ততপক্ষে ৬৬ হাজার মানুষ মারা গেছেন, তারমধ্যে ৮০ শতাংশই বেসামরিক মানুষ। আহত হয়েছেন কম করে এক লাখ ৬৯ হাজার মানুষ।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন জানিয়েছে, গাজায় ৯০ শতাংশ বাড়ি হয় ধ্বংস হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার ২১ লাখের মধ্যে ১৯ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। ইসরায়েল তাদের অনুমতি ছাড়া গাজায় কোনো জিনিস ঢুকতে দিচ্ছে না, তাই সেখানে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর ফলে ১৫০ জন শিশুসহ ৪৫০ জন মারা গেছেন।

ইসরায়েলের লক্ষ্য আংশিক পূরণ হয়েছে

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছিলেন, দুইটি লক্ষ্য নিয়ে তিনি যুদ্ধে নেমেছেন। এক, সব পণবন্দিকে মুক্ত করবেন, দুই, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করবেন। দুই বছর পর দুইটি লক্ষ্যের কোনোটিই তিনি পুরোপুরি পূরণ করতে পারেননি।

২৫১ জন পণবন্দির মধ্যে ১৪৮ জন জীবন্ত অবস্থায় ইসরায়েল ফিরেছেন। বেশ কিছু মৃ়ত পণবন্দির দেহও ইসরায়েলে এসেছে। এখনো ৪৮ জন পণবন্দি হামাসের কাছে আছে। তার মধ্যে ২০ জন বেঁচে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

গত দুই বছরে ইসমাইল হানিয়া, সিনওয়ারের মতো হামাস নেতাসহ অসংখ্য হামাস কর্মী মারা গেছেন। তা সত্ত্বেও হামাস এখনো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে ডনাল্ড ট্রাম্পের শান্তিচুক্তি মানলে হামাস আর সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠী হিসাবে কাজ করতে পারবে না।

ইসরায়েলের শত্রুরা দুর্বল হয়েছে

লড়াইটা শুধু গাজায় সীমাবদ্ধ ছিল না, ইয়েমেনে হুতি, লেবাননে হেজবোল্লার সঙ্গেও হয়েছে। ইসরায়েলের বিমান বাহিনী ইরানে পরমাণু প্রকল্পের উপর লাগাতার বোমাবর্ষণ  করেছে। সিরিয়ায় বাশার আসাদের শাসন শেষ হওয়ায় ইরান দীর্ঘদিনের এক মিত্রকে হারিয়েছে।

হেজবোল্লা নেতা হাসান নারারাল্লাও ইসরায়েলের আক্রমণে মারা গেছেন।

গণহত্যার অভিযোগ

গত দুই বছরে ইসরায়েলের সেনা গাজায় হাসপাতালে, ত্রাণশিবিরে, স্কুলে বোমা ফেলেছে, যার ফলে প্রচুর নারী, শিশু মারা গেছেন। প্রচুর সাংবাদিক, ত্রাণকর্মী, উদ্ধারকারী কর্মীও মারা গেছেন। ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ ঢুকতে দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর জেনোসাইড স্কলারস, বি সেলেম ও ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটসের মতো ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠনগুলি অভিযোগ করেছে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েল গণহত্যা করছে। নেতানিয়াহুর সরকার অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এই ধরনের কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। তারা আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করেছেন মাত্র। 

টমাস ল্যাটসচ্যান/জিএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ