ইসরায়েলের হামলার ১৮তম দিনে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে৷ শুক্রবার এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ অন্তত একশ জন প্রাণ হারিয়েছেন৷
বিজ্ঞাপন
পশ্চিম তীরে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েছে ইসরায়েলি সেনারা৷ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন আর ইসরায়েলের প্রতি ঘৃণা জানাতে রাস্তায় নেমেছে ইরানের জনতা৷
ইসরায়েলি সেনাদের বোমা হামলায় মধ্যে গাজার একটি বাড়ি বিধ্বস্ত হলে দুই নারী নিহত হন৷ নিহতদের একজন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন৷ ফিলিস্তিনের এক জরুরি স্বাস্থ্যকর্মীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত থেকে চালানো ইসরায়েলের হামলায় অন্তত একশজন নিহত হয়েছেন৷ গত ১৮ দিনে মোট ৮০৮ জন নিহত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷
ছবিতে গাজা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানি ক্রমশ বাড়ছেই৷ তবুও হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কোনো লক্ষণ নেই৷ গাজার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ছবিঘর৷
ছবি: Reuters
স্বজনের আর্তনাদ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানি ক্রমশ বাড়ছেই৷ ছবিতে স্বজনের মৃত্যুতে বিলাপ করছেন এক ফিলিস্তিনি৷ গাজায় এমন দৃশ্য প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে৷ ছবিটি ২১ জুলাই তোলা৷
ছবি: Reuters
নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান
বিমান হামলা চালানো হবে - ইসরায়েলের এমন সতর্কবার্তা শুনে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে যাচ্ছে একদল ফিলিস্তিনি৷ ২২ জুলাই ছবিটি তোলা৷ মঙ্গলবার গাজায় হামলার পরিমাণ আরো বাড়িয়েছে ইসরায়েল৷
ছবি: Reuters
ধ্বংসস্তূপের মাঝে আশ্রয়ের সন্ধান
সহায়সম্বল বলতে যা কিছু তা ঐ কাগজের বাক্সে৷ আর এই বাক্সসহ রাস্তায় হাঁটছে গাজার এই শিশুটি৷ তার পেছনে থাকা ধ্বংসস্তূপ একটি বাড়ির৷ গাজার পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি বিমান হামলায় বাড়িটি এভাবে ধসে গেছে৷
ছবি: Reuters
ধোঁয়ার কুণ্ডলী
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের বিমান হামলার কারণে সৃষ্টি হয়েছে এই ধোঁয়া৷ ২২ জুলাই গাজা থেকে তোলা ছবি এটি৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছেন৷ কিন্তু তাঁর এই আহ্বান তেমন একটা আমলে নিচ্ছে না ইসরায়েল বা হামাস৷
ছবি: Reuters
বাদ পড়ছে না হাসপাতালও
গাজার মসজিদ, স্কুল এমনকি হাসপাতালেও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল৷ ফলে বেসামরিক প্রাণহানি বাড়ছে৷ ছবিতে গাজা সিটির আল-সাফিয়া হাসপাতালে শিশুদের মরদেহবাহী একটি লাশের ব্যাগ সরাচ্ছেন সেচ্ছাসেবীরা৷
ছবি: Marco Longari/AFP/Getty Images
গাধার গাড়িতে পালানো
গাধায় টানা গাড়িতে করে পালাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা৷ ছবিটি ২১ জুলাই তোলা৷ বলাবাহুল্য, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে গাজার বাইরে যাওয়া প্রায় অসম্ভব৷ কারণ অঞ্চলটির দুই দিক ঘিরে রেখেছে ইসরায়েল৷ আর একদিকে মিসরের সঙ্গে সীমান্ত৷ অপর পাশে সমুদ্র৷ ফলে গাজার মধ্যেই নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করতে হয় তাদের৷
ছবি: Reuters
ইসরায়েলি সেনা
গাজার উত্তরাঞ্চলে ‘স্টেজিং এরিয়ার’ দিকে তাকিয়ে আছেন ইসরায়েলি সেনারা৷ গাজায় বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযানও পরিচালনা করছে ইসরায়েল৷ এতে ইসরায়েলি কয়েকজন সেনা নিহত হয়েছে৷
ছবি: Reuters
হামলার প্রতিবাদ
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে৷ ছবিটি গত ২০ জুলাই অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় তোলা৷
ছবি: Reuters
নিষেধাজ্ঞা, অগ্নিকাণ্ড
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ নিষিদ্ধ করে প্যারিস পুলিশ৷ প্রতিবাদে রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় সাধারণ জনতা৷ ছবিটি ২০ জুলাই তোলা৷ এই ঘটনার পর প্যারিসে অবস্থানরত ইহুদিদের নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
এথেন্সে প্রতিবাদ
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়৷ ছবিটি ১৭ জুলাই তোলা৷
ছবি: Reuters
ঢাকায় প্রতিবাদ
হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যকার সহিংস পরিস্থিতি নিরসনে ঢাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন বাংলাদেশিরা৷ ছবিটি ১৮ জুলাই তোলা৷ বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসও গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র সমালোচনা করেছেন৷
ছবি: Reuters
11 ছবি1 | 11
এদিকে ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে পশ্চিম তীর ও ইরানে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েক হাজার মানুষ৷ বিক্ষুব্ধরা ইট, পাটকেল এবং পেট্রোল বোমা ছুড়তে শুরু করলে ইসরায়েলি সেনারা গুলি ছোড়ে৷ গুলিতে একজন নিহত ও কমপক্ষে দেড়শ মানুষ আহত হয়েছেন৷ আহতদের রক্ত দেয়ার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস৷
ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে শুক্রবার ইরানের রাজধানী তেহরানসহ ৭০০টি শহরে গণমিছিল হয়েছে৷ মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ‘ইসরায়েল ধ্বংস হোক', ‘অ্যামেরিকা নিপাত যাক' লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থনে স্লোগান দিতে দেখা গেছে৷
ইরান রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকার করে না৷ হামাসসহ অন্যান্য ‘ইসলামি' সংগঠনকে শুরু থেকেই সমর্থন দিয়ে আসছে দেশটি৷ বৃহস্পতিবার ইরানের সংসদের স্পিকার আলী লারিজানি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘আজ গাজার যোদ্ধারা নিজেদের অস্ত্রেই যুদ্ধ করতে সক্ষম৷ তবে একসময় তাদের অস্ত্র তৈরির প্রযু্ক্তি জানা দরকার ছিল এবং আমরা তা দিয়ে তাদের সহায়তা করেছিলাম৷''