গাজায় যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে সায় ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার
১৮ জানুয়ারি ২০২৫যুদ্ধবিরতির পক্ষে ছিলেন ২৪ জন মন্ত্রী এবং আটজন বিরোধিতা করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, সরকার যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তির বিষয়টি অনুমোদন করেছে। রোববার থেকেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
কী সিদ্ধান্ত হলো?
রোববার থেকে শুরু করে আগামী ছয় সপ্তাহ ধরে গাজায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতি হবে।
প্রথম পর্যায়ে ৩৩ জন বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। তার মধ্যে রোববারই তারা তিনজনকে মুক্তি দেবে।
একজন ইসরায়েলি বন্দি ছাড়া হলে ৩০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছাড়বে ইসরায়েল।
গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে ইসরায়েল। তারা প্রতিদিন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ছয়শটি ট্রাক ফিলিস্তিনে যেতে দেবে।
স্পেশ্যাল টাক্স ফোর্স
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু একটি স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। তারা আগামী ছয় সপ্তাহে গাজা থেকে মুক্তি পাওয়া ৩৩ জন বন্দিকে স্বাগত জানাবে।
ইতিমধ্যেই বন্দিদের পরিবারকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, তাদের মুক্তির বিষয়ে চুক্তি হয়েছে।
প্রথম দফায় ৯৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। তার তালিকাও তারা প্রকাশ করেছে।
ইসরায়েলের কারা বিভাগ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস নয়, তারাই বন্দিদের বাহনে করে নিয়ে গিয়ে মুক্তি দেবে।
স্বাস্থ্য বিভাগ তৈরি
ইসরায়েলের স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গাজা থেকে ছাড়া পাওয়া বন্দিদের মধ্যে অনেকের হয়তো গুরুতর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা থাকতে পারে।
ইসরায়েলের স্বাস্থ্য বিভাগ ও বন্দিদের পরিবারগুলিকে নিয়ে গঠিত ফোরাম তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সব ব্যবস্থা করছে। আগে ছাড়া পাওয়া বন্দিদের কাছ থেকেও পুরো তথ্য নেয়া হচ্ছে।
ফোরামের তরফে বন্দিদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি দেখছেন হাগাই লেভিন। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন টানেলের মধ্যে থাকার ফলে বন্দিদের ফুসফুস ও হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। কারণ, টানেলে পর্যান্ত আলো-বাতাস নেই।
লেভিন বলেছেন, বন্দিদের শরীরে ভিটামিন কমে যেতে পারে। দীর্ঘদিন ঠিকমতো খাবার না পাওয়ার কারণে ওজন কমে যাওয়া, চোখের দৃষ্টি সংক্রান্ত সমস্যা, হাড়ের সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া মানসিক যন্ত্রণায় তারা ক্লিষ্ট থাকবেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে ঢুকে আক্রমণ চালিয়ে এক হাজার দুইশ মানুষকে মেরেছিল এবং ২৫০ জনকে বন্দি করে নিয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে একশজন এখনো তাদের হাতে বন্দি।
যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইসরায়েলসহ বহু দেশ হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)