1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজায় যুদ্ধবিরতি

১১ আগস্ট ২০১৪

গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে নতুন করে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে৷ ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতার পর উভয়পক্ষ নতুন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়৷ এখনও পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি৷

Nahostkonflikt Israel Palästina Gazastreifen Feuerpause
ছবি: REUTERS

এর আগেও মিশরের মধ্যস্থতায় তিন দিনের যুদ্ধবিরতি হয়েছিল, কিন্তু শুক্রবার সকালে বিরতি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দুই পক্ষ লড়াই শুরু করে দেয়৷ গাজা থেকে চালানো জঙ্গি হামলা বন্ধ করার কথা বলে ৮ জুলাই থেকে ভূখণ্ডটিতে বিমান হামলার মাধ্যমে অভিযান শুরু করে ইসরায়েল৷ পরে শুরু হয় স্থল অভিযান৷ একমাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ লড়াইয়ে অন্তত দুই হাজার মানুষ নিহত হন৷

আহত-নিহতের সংখ্যা

নিহতদের মধ্যে ১৯৩৫ জন ফিলিস্তিনি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ৷ এঁদের মধ্যে অন্তত ১৪০৮ জন বেসামরিক, তাঁদের মধ্যে আবার ৪৪৯ জন শিশু, ২৪৩ জন নারী ও ৮৭ জন প্রবীণ রয়েছেন৷ অন্যদিকে ইসরায়েলি পক্ষে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন, যাঁদের ৬৪ জন সেনা সদস্য, বাকি তিনজন বেসামরিক৷ এই বেসামরিক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন থাই নাগরিক রয়েছেন৷ এছাড়া আহত অন্তত ১০,০০০৷ শুক্রবার যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং হামাসের মর্টার হামলায় দুই ইসরায়েলি আহত হয়েছেন৷

কায়রোতে আলোচনা

ইসরায়েল গাজা যুদ্ধ বন্ধে সোমবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে আরো আলোচনার জন্য প্রতিনিধিরা যেতে শুরু করেছেন৷ ইসরায়েলি এক কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ‘‘এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনি গেরিলাদের সাথে চলা এই যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসবে তারা৷'' ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, রবিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কিছুক্ষণ আগে তেল আভিভে একটি রকেট হামলা হয়৷ অন্যদিকে হামাসও স্বীকার করেছে রোববার রাতে তারা একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল৷

হামাসের এক কর্মকর্তাও জানিয়েছেন যে, তারা কায়রোর আমন্ত্রণ সমর্থন করেছে এবং আলোচনার জন্য সেখানে উপস্থিত থাকবে৷ তবে হামাসের প্রধান দাবি, গাজার উপর থেকে ইসরায়েলের অবরোধ তুলে নিতে হবে৷ এর ফলেই ফিলিস্তিনিদের জীবনে প্রকৃত শান্তি আসবে বলে জানিয়েছে তারা৷ ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রীও বলেছেন, কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছে তারা৷

স্বাভাবিক জীবন

সোমবার সকাল থেকে নিজেদের বাড়ি-ঘরের অবস্থা দেখতে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ছুটে গেছেন গাজার মানুষ৷ স্থানীয় এক বাসিন্দা বললেন, ‘‘ঈশ্বরই জানেন এ যুদ্ধ কবে শেষ হবে৷ এটাকে ইদুঁর-বিড়াল লড়াই হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি, যা কখনো শেষ হবার নয়৷''

গাজা কিশোরীর জনপ্রিয়তা

গাজায় যখন অবিরাম ইসরায়েলি বোমা হামলা চলছে, তখন সেখানকার এক কিশোরী ফারাহ বাকের নিজের স্মার্টফোন ব্যবহার করে সেই বিধ্বংসী ছবি ও ভিডিও ধারণ করে টুইটারে পোস্ট করছেন৷ এর মাধ্যমেই ব্যাপক জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন তিনি৷

১৬ বছর বয়সি এই কিশোরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়৷ যেখানে তার ফলোয়ার বা বন্ধু সংখ্যা ছিল মাত্র ৮০০, সেখানে এখন তার অনুসরণকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার৷ সে বর্তমানে গাজা সিটির শিফা হাসপাতালে অবস্থান করছে৷ তার বাবা একজন মেডিকেল সার্জন৷ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফারাহ বলেন, ‘‘আমি বিশ্বকে জানাতে চাই কি পরিস্থিতির মধ্যে আমরা আছি আর এখানে আসলেই কি ঘটছে৷'' তার অ্যাকাউন্ট @Farah_Gazan

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ