1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজা-ইসরায়েল লড়াই থামাতে সক্রিয় ইইউ

সংবাদভাষ্য: ক্রিস্টফ হাসেলবাখ/আব্দুল্লাহ আল-ফারূক৬ জানুয়ারি ২০০৯

গাজা এলাকায় অব্যাহত লড়াই থামাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রবলভাবে সক্রিয়৷ যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে মধ্যস্থতা করতে ইইউ পাঠিয়েছে প্রতিনিধিদল৷ অন্যদিকে ফরাসী প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশ সফর করছেন৷

গাজা সংকট নিরসনে আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ গোষ্ঠী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেছবি: picture-alliance/ dpa

মধ্যপ্রাচ্যে ইইউ-র পক্ষে কথা বলছে আসলে কে? চেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারেল শোয়ার্তসেনবার্গ-এর নেতৃত্বাধীন ইইউ প্রতিনিধিদল নাকি ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ফরাসী প্রেসিডেন্ট সারকোজি ?

আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ গোষ্ঠী গুরুত্বপূর্ণ এক ভূমিকা পালন করছে৷ শোয়ার্তসেনবার্গ ও তাঁর দল এবং সারকোজি পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করছেন বলে ব্রাসেলস-এ ইইউ-এর সদর দপ্তর থেকে বলা হচ্ছে৷ ইইউ কমিশনের মুখপাত্র বলেছেন, ইউনিয়নের অভিন্ন বার্তা যদি সংঘাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পক্ষদের কাছে পৌঁছে দেয়া যায় তাহলে যে কোন উদ্যোগই প্রার্থিত৷

কিন্তু এই সব আনুষ্ঠানিকতার আড়ালে কার্যত রয়েছে মতপার্থক্যের এক অস্বস্তিকর ছবি৷ একদিকে রয়েছে ইউরোপ নিয়ে অভ্যন্তরীণ বিরোধের ফলে দুর্বল এক চেক সভাপতিত্ব৷ ইউনিয়নের নতুন সভাপতি হিসেবে চেক প্রজাতন্ত্রের নেতৃত্ব দেয়ার কথা৷ কিন্তু তারা তা পারছে না বা চাইছে না৷ অন্যদিকে রয়েছেন উচ্চাভিলাষী ফরাসী প্রেসিডেন্ট সারকোজি যিনি নেতৃত্ব দিতে পারেন এবং চানও৷ কিন্তু করার এক্তিয়ার তাঁর নেই৷

এ ক্ষেত্রে ফরাসী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বের্নার্ড কুশনার-এর অবস্থানটা বিশেষ জটিল৷ কেননা তিনি মধ্যপ্রাচ্যে মধ্যস্থতার কাজে সারকোজির দলের সঙ্গী নন৷ তিনি বরং শোয়ার্তসেনবার্গ-এর নেতৃত্বাধীন ইইউ-র তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলেরই একটি অংশ৷ মুশকিল হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনা নিয়ে কুশনার আর শোয়ারতসেনবার্গ ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য রাখছেন৷ শোয়ার্তসেনবার্গ মূলত ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের ওপর জোর দিচ্ছেন৷ কুশনার বলছেন, ইসরায়েলী সামরিক হামলার আনুপাতিক মাত্রাটা ঠিক নয়৷

এদিকে জার্মানরা আবার বার্লিন সরকারের নামে মধ্যস্থতা করার জন্য একজন বিশেষ দূতকে পাঠাচ্ছে ঐ অঞ্চলে৷

ইইউ-র তরফ থেকে এরকম ভিন্ন ভিন্ন ভাবে সক্রিয় হলে কূটনৈতিক দিক থেকে কিছুই অর্জিত না হলে অবাক হবার কোন কারণ থাকবে না৷ ইসরায়েলী সরকারের আচরণ থেকে বোঝা যায় যে তাদের কাছে ইউরোপের মধ্যস্থতা উদ্যোগ অপ্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে৷

অথচ এই সংকট নিরসনে ইউরোপের দিক থেকে একটি গঠনমূলক ভূমিকা নেয়ার সুযোগ রয়েছে বৈকি৷ কেননা মধ্যপ্রাচ্যে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নীতি ব্যর্থ হয়েছে৷ আর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে আগে পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে পরিচিত হতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ