1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজা উপকূলের কাছে ত্রাণবাহী নৌকা আটকালো ইসরায়েল

২ অক্টোবর ২০২৫

১৩টি নৌকা আটকানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তাদের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। এখনো ৩০টি নৌকা গাজার দিকে যাচ্ছে।

গাজা উপকূলে আটক ত্রাণের নৌকা
গাজা উপকূলে আটক ত্রাণের নৌকাছবি: Global Sumud Flotilla/REUTERS

গোটা বিশ্বের মানবাধিকার কর্মীরা কয়েক ডজন নৌকায় ত্রাণ নিয়ে গাজার দিকে রওনা হয়েছিলেন। বুধবার গাজা উপকূল থেকে কিছু দূরে ১৩টি নৌকা বা ফ্লোটিলা আটক করে ইসরায়েলের উপকূল বাহিনী। তবে এখনো ৩০টি নৌকা গাজার দিকে যাচ্ছে বলে মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন। 

অভিযোগ, গাজা উপকূল থেকে ৪৬ নটিকাল মাইল দূরে ওই নৌকাগুলিকে আটক করা হয়। ওই নৌকাগুলির লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ হয়ে গেছে। যে মানবাধিকার কর্মীরা ওই নৌকাগুলিতে আছেন, তাদের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করা যায়নি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। ইসরায়েলের তরফে এখনো এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। 

মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, গাজায় ত্রাণ সরবরাহের জন্য তারা যাচ্ছিলেন। বাকি ৩০টি নৌকা এখনো গাজার দিকে যাত্রা করছে বলেও তারা জানিয়েছেন। 

এদিকে এদিনের এই ঘটনার পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করেছেন। যেভাবে মানবাধিকার কর্মীদের নৌকা আটকানো হয়েছে, তাকে সন্ত্রাসী কাজ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। 

অন্যদিকে রেডক্রস জানিয়েছে, গাজা শহরে আপাতত তারা কাজ বন্ধ রেখেছেন। কারণ, ইসরায়েল যেভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে, তাতে সেখানে কাজ করা সম্ভব নয় বলে তারা মনে করছেন। যদিও সেখানে তাদের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি বলেও তারা দাবি করেছেন। বহু মানুষ আহত অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় সেখানে আটকে আছেন বলে দাবি করেছে রেডক্রস। 

ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে বিতাড়ণ

কলম্বিয়া ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে দেশ থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো জানিয়েছেন, শুধু রাষ্ট্রদূত নয়, কলম্বিয়া থেকে ইসরায়েলের সমস্ত কূটনীতিককে বিতাড়ন করা হবে। ইসরায়েল যেভাবে ত্রাণকর্মীদের জাহাজ আটকেছে তার প্রতিবাদে একাজ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। 

২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে হওয়া বাণিজ্যচুক্তিও বাতিল করেছে কলম্বিয়া। প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, যে নৌকাগুলি আটকানো হয়েছে, সেখানে দুইজন কলম্বিয়ার মানবাধিকার কর্মী ছিলেন। ইসরায়েলের সেনা তাদের আটক করেছে। 

ইটালিতে প্রতিবাদ

বুধবার বিকেল থেকে ইটালির একাধিক শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ফ্লোটিলা আটকের তীব্র নিন্দা করে ইটালির মানবাধিকার কর্মীরা এবং সাধারণ মানুষ বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিয়েছেন তারা। পাশাপাশি গাওয়া হয়েছে বিখ্যাত বেলা চাও গান।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ