1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজার জন্য রাজনৈতিক সমাধান

লোয়ায় মাধুন/এসি ২০ অক্টোবর ২০১৪

যুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজা স্ট্রিপের পুনর্নির্মাণের জন্য আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজ কোটি কোটি ডলার অর্থসাহায্য দিতে প্রস্তুত৷ কিন্তু একটি বুনিয়াদি রাজনাতিক সমাধান ছাড়া পরের যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী, বলে মনে করেন লোয়ায় মাধুন৷

Gaza Stadt Hamas Israel 50 Tage Krieg
ছবি: REUTERS/M. Salem

সাম্প্রতিক যুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজা স্ট্রিপের পুনর্নির্মাণের জন্য আন্তর্জাতিক দাতা সম্মেলন পাঁচশো কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷ পরিমাণটা খুব কম নয়, বলতে কি, ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষ যা চেয়েছিলেন, এ অর্থ তার চেয়ে বেশি৷ তার মধ্যে কাতার আমিরশাহী একাই দিয়েছে ১০০ কোটি ডলার৷ জার্মানিও আপাত-সাহায্য হিসেবে ৫ কোটি ডলার প্রদান করছে৷

আরব তথা আন্তর্জাতিক মহল থেকে এই সাহায্যের প্রস্তুতি ও বদান্যতাকে স্বাগত জানাতে হয় বৈকি: কেননা যুদ্ধের ফলে যে লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি গৃহহারা হয়েছেন, তাদের দ্রুত সাহয্য করাটা যেমন আবশ্যক, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ৷ গাজা স্ট্রিপের প্রায় ১৭ লাখ মানুষের পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্যও ঐ অর্থের প্রয়োজন৷ কিন্তু কোনো কিছুতেই এই বাস্তব সত্যটা ভোলার উপায় নেই যে, এই অসম সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধান এখনও দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না৷

দু'দিক থেকে অবরোধ

একটি টেকসই রাজনৈতিক সমাধানের চাবিকাঠি রয়েছে ইসরায়েল এবং মিশর, এই দুই দেশের হাতে৷ এই দুই দেশই উপকূলবর্তী গাজা স্ট্রিপের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করে৷ এই দুই দেশ যদি তাদের অবরোধ তুলে নেয় এবং – অবশ্যই আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে – গাজা স্ট্রিপ থেকে এবং অভিমুখে মানুষ ও পণ্যের মুক্ত আদানপ্রদান সম্ভব করে, সেটাই হবে গাজা স্ট্রিপে একটি কর্মক্ষম অর্থনীতি গড়ে তোলার পথে প্রথম পদক্ষেপ৷

এ মাসের শেষে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিরা মিশরীয় মধ্যস্থতায় আলোচনায় বসবেন৷ আলোচ্য বিষয় হবে: রাজনৈতিক বিচারে এবার কোন পথে যাওয়া যেতে পারে৷ এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শক্তিসমূহের কাজ হবে, সংশ্লিষ্ট দু'পক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করা: প্রথমত, ফিলিস্তিনি তরফে একটি জাতীয় ঐক্যের সরকার যা-তে পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়ার পূর্ণ দায়িত্ব নেয় – এবং হামাসকে স্পষ্ট করে দেয় যে, সরকারি ক্ষমতা পুরোপুরি ঐক্য-সরকারের হাতে৷ ঐক্য-সরকারকে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করা থেকেও পিছপা হলে চলবে না৷

লোয়ায় মাধুন, কানতারা.ডি বা ‘ইসলামের সঙ্গে সংলাপ’ নামের একটি প্রজেক্টের সম্পাদকছবি: DW

অপরদিকে আন্তর্জাতিক শক্তিবর্গকে মিশরের সিসি-প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে, যা-তে হামাসকে পূর্বাপর অশুভ, অমঙ্গলের দূত বলে গণ্য করে বিচ্ছিন্ন করে রাখা না হয় – যার ফলে বহু হামাস সমর্থক আইসিস জিহাদিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে৷ নয়ত হামাসই এ যাবৎ গাজা স্ট্রিপে জিহাদি মতাদর্শ প্রচারের বিরুদ্ধে বাঁধ হিসেবে কাজ করে এসেছে – তা হামাসের নিজস্ব মতাদর্শ যতোই সন্দেহভাজক এবং জঙ্গি হোক না কেন৷

দু'পক্ষের প্রয়োজন

শেষমেষ পশ্চিমা দেশগুলিকে ইসরায়েলের প্রতি আবেদন করতে হবে: কেননা গাজা স্ট্রিপ বস্তুত ইসরায়েলের অধিকৃত এলাকা; কাজেই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সেখানকার বেসামরিক জনতার মঙ্গলের মূল দায়িত্ব ইসরায়েলের উপর ন্যস্ত৷ গাজা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুসালেমের মধ্যে যা-তে পুনরায় একটি যোগসূত্র স্থাপিত হয়, সেজন্যও পশ্চিমি শক্তিদের সক্রিয় হতে হবে – হয়ত একটি আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধান সাপেক্ষ চুক্তির আঙ্গিকে, যে চুক্তি ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রয়োজন এবং গাজার ‘ডিমিলিটারাইজেশন', অর্থাৎ নিরস্ত্রীকরণের ব্যবস্থা রাখবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ