1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্যাক্টর এরশাদ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৪ জুলাই ২০১৩

শনিবার গাজিপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন৷ এই নির্বাচনে জিততে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল বিএনপি উভয়ই জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের কাছে ধরনা দিচ্ছে৷

প্রতীকী ছবিছবি: Getty Images

গাজিপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান৷ অন্যদিকে বিরোধী দল বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হলেন এম এ মান্নান৷ জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী মাহমুদ হাসান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এখন ঐ দুই প্রার্থী চাচ্ছেন জাতীয় পার্টির ভোট নিজেদের ঘরে নিতে৷ তাই প্রথমে আজমত উল্লাহ দোয়া নিতে এরশাদের সঙ্গে দেখা করেন৷ এরপর পিছিয়ে না থেকে এরশাদের দোয়া নিতে দেখা করেন এম এ মান্নান৷ শুধু তাই নয়, জাতীয় পার্টির সমর্থন পেতে এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা৷ অন্যদিকে একই উদ্দেশ্যে এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি-র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷

এরশাদ সবাইকেই সময় দিচ্ছেন, কিন্তু গাজিপুরে নিজের মুখে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেয়ার কথা বলেননি৷ তবে জাতীয় পার্টির অধিকাংশ নেতা-কর্মী বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন৷ এরশাদ প্রায় প্রতিদিনই ক্ষমতাসীন মহাজোট ছাড়ার হুমকি দিয়ে খবরের শিরোনাম হচ্ছেন৷

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ (ফাইল ফটো)ছবি: Harun Ur Rashid Swapan

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে জাতীয় পার্টির ভোট ছাড়া তাদের গাজিপুর নির্বাচনে জয় পাওয়া কঠিন হবে৷ এর আগে ৪ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হেরে তাদের এই উপলব্ধি হয়েছে৷ তাই তারা এরশাদকে জোটেই ধরে রাখতে চাইছে৷ অন্যদিকে বিএনপিও ৪ সিটি কর্পোরেশনে জয়ের অভিজ্ঞতায়ই জাতীয় পার্টির ভোটের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে৷ তারা জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইছে৷

অধ্যাপক আহমেদের মতে, এর ফলে বাংলাদেশের নির্বাচনের রাজনীতিতে এরশাদ এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন৷ এরশাদও তা বোঝেন৷ তাই দুই দলকেই তিনি লোভ ও ভয় দেখাচ্ছেন৷ এরশাদ জানেন, তাঁর বিরুদ্ধে প্রধান অস্ত্র পুরনো মামলা৷ তাই তিনি সেটা মাথায় রেখে জোট ছাড়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিয়ে হুমকি দিয়ে সরকারকে চাপে রাখছেন৷ সঙ্গে বিএনপিকে লোভ দেখাচ্ছেন৷

অধ্যাপক ইমতিয়াজ বলেন, এখন দেশের প্রধান দুই দলই চায় এরশাদকে৷ তাই তিনি আর তাদের কারো কাছেই স্বৈরাচারী নন৷ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এরশাদ ফ্যাক্টর হিসেবেই থাকবেন৷ কারণ নির্বাচনী জোটে এরশাদ যে দিকে থাকবেন সেদিকের পাল্লাই ভারি হবে৷ তবে এরশাদ তাঁর গুরুত্ব আরো বাড়াতে এখন এককভাবে নির্বাচনের কথা বলছেন৷

এদিকে ড. ইমতিয়াজ মনে করেন, গাজিপুর নির্বাচনে জয় পেতে সরকারের মন্ত্রী ও এমপিরা যেভাবে মাঠে নেমেছেন, তাতে নতুন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ তাদের এই তত্‍পরতা প্রমাণ করে, দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ এবং সরকারের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন সম্ভব নয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ