1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও কেরানীগঞ্জে আক্রান্ত বাড়ছে

১৫ এপ্রিল ২০২০

বাংলাদেশ গত ২৪ ঘণ্টায় একজন চিকিৎসকসহ চারজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন৷ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক৷ 

প্রতীকী ছবিছবি: Imago Images/Tass/Y. Aleyev

বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত নতুন আরো ২১৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; মোট আক্রান্ত এখন পর্যন্ত এক হাজার ২৩১ জন৷ সর্বমোট মারা গেছেন ৫০ জন৷
আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় সাতজন সংক্রমণমুক্ত হয়েছেন৷ এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪৯ জন৷
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের বেশ কিছু এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে৷ সেগুলো হলো, নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকার মিরপুর ও বাসাবো৷ এছাড়া নতুন করে গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও কেরানীগঞ্জে আক্রান্ত বাড়ছে৷ এসব এলাকায় লকডাউন কঠোর করতে হবে৷

প্রথম চিকিৎসকের মৃত্যু
করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রথম একজন চিকিৎসক মারা গেছেন৷  সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মঈন উদ্দীন বুধবার সকাল পৌনে সাতটায় ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান৷
গত ৫ এপ্রিল তার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে৷ সিলেটে নিজ বাসায় তিনি ‘আইসোলেশনে’ ছিলেন৷ ৭ এপ্রিল তাকে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ অবস্থার অবনতি হলে পরদিন বিকালে তাঁকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল৷ তার বয়স ছিল ৫০ বছর৷

নতুন ‘ক্লাস্টার’
মাদারীপুরের শিবচর, ঢাকার মীরপুর ও বাসাবো  এবং নারায়ণগঞ্জ জেলাকে আগেই করোনা ভাইরাসের ‘ক্লাস্টার’ ঘোষণা করে আইইডিসিআর৷ ক্লাস্টার অর্থ যেখানে অল্প দূরত্বে অধিক আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে৷  বাংলাদেশে এখন সামাজিক সংক্রমণ হচ্ছে৷ বাড়ছে ক্লাস্টারের সংখ্যাও৷  নতুন করে গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও কেরানীগঞ্জে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায়  ওই সব এলাকায় কঠোর লকডাউন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷

বাড়ছে পরীক্ষা, বাড়ছে শনাক্ত
বাংলাদেশ গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়৷ তারপর টানা ছয়দিন কোন নতুন রোগী পাওয়া যায়নি৷ এর মূল কারণ ছিল পরীক্ষার অপর্যাপ্ততা৷  এরপর পরীক্ষার আওতা যত বাড়তে থাকে শনাক্তও তত বাড়তে থাকে৷ তবে এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নতুন সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে এবং প্রায় প্রতিদিনই নতুন আক্রান্তের রেকর্ড হচ্ছে৷ এর কারণও টেস্টের আওতা ও পরিমাণ বৃদ্ধি৷ আইইডিসিআর এর তথ্য অনুযায়ী ১৫ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ১৪ হাজার ৮৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷  তারমধ্যে আইইডিসিআর এ চার হাজার ৪১২টি এবং অন্যান্য ল্যাবে ১০ হাজার ৪৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়৷ এই দুটো সংখ্যাই নতুন রোগী শনাক্ত বাড়ার কারণ স্পষ্ট করে দিচ্ছে৷ শুরুতে দেশে শুধু আইইডিসিআর এ করোনা ভাইরাস টেস্ট করা যেত৷  

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম থেকেই বলে আসছে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার পরীক্ষা৷ যত বেশি পরীক্ষা করা যাবে তত রোগী শনাক্ত হবে এবং তাদের আলাদা রাখার মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণ কমিয়ে আনা যাবে৷ করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সফল দেশগুলোর অন্যতম দক্ষিণ কোরিয়া এই কৌশল অবলম্বন করে পুরো দেশ লকডাউন করা ছাড়াই কোভিড-১৯ মহামারিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে৷ সফল অন্যান্য দেশও প্রায় একই কৌশল নিয়েছে৷ 

এসএনএল/এফএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ