1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাড়িতেই পছন্দমতো গানের সম্ভার

ফ্রাংক ড্রেশার / এসবি৩০ নভেম্বর ২০১৩

ক্যাসেট বা সিডি নয় – সরাসরি সার্ভার থেকে গাড়ির স্পিকারে ভেসে আসছে চালকের পছন্দের গান৷ স্মার্টফোন-ভিত্তিক এই পরিষেবা অভিনব উপায়ে গাড়ির মধ্যে জায়গা করে নিচ্ছে৷

ছবি: ddp/Daimler Chrysler

বার্লিনে অনলাইন সাংবাদিক হিসেবে আলেক্স হোফমান নতুন স্টার্টআপ কোম্পানিগুলি সম্পর্কে লেখালেখি করেন৷ তিনি মোবাইল ইন্টারনেটে ‘আউপেও' পরিষেবা পরীক্ষা করে দেখেছেন৷ এ বিষয়ে তাঁর প্রাথমিক ধারণা হলো, ‘‘এই অ্যাপ-এর ডিজাইন বেশ আকর্ষণীয়, রংয়ের এত বৈচিত্র্য সবসময় কাজে দেয়৷ তবে যেহেতু আমি বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ধরনের গান ঘেঁটে দেখছি, তাই মেনুটা একটু জটিল লাগছে৷''

অ্যাপ-এর কাজ হলো গানের ক্ষেত্রে তাঁর পছন্দ-অপছন্দ বুঝে নেয়া৷ গাড়িতে বসানো রেডিওর বিকল্পও হয়ে উঠতে চায় এই পরিষেবা৷ তার জন্য স্মার্টফোন গাড়ির ড্যাশবোর্ডে যুক্ত করতে হবে৷

মার্সিডিজ ও বিএমডাব্লিউ গাড়ির কম্পিউটারের সঙ্গে এই অ্যাপ সরাসরি কানেক্ট করতে পারে৷ পছন্দের বাইরে কোনো গান নয় – এমনটাই দাবি করছে আউপেও৷ মাসে শুধু ৫ ইউরোর মতো মাশুল গুনতে হবে৷ বিজ্ঞাপন মেনে নিলে বিনামূল্যেই পাওয়া যাবে৷

স্মার্টফোনে ‘আউপেও' অ্যাপছবি: picture-alliance/dpa

সংগীতের বৈচিত্র্য

আলেক্স এই অ্যাপ-এর মধ্যে দেড়শোরও বেশি সংগীতের চ্যানেল বেছে নিতে পারেন৷ সুন্দর করে সাজানো – যেমন বিশ্বসংগীতের মধ্যে কিউবান মিউজিক৷ আলেক্স বলেন, ‘‘স্মার্টফোন আর অন-বোর্ড ইলেকট্রনিক্স – দুটির মধ্যেই প্রায় একই রকমভাবে অ্যাপটি চলে৷ আমার তো মনে হয়, ড্যাশবোর্ডে আরও সহজে গান বেছে নেয়া যায়৷ পুরো মেনু বড় করে দেখা যায়৷ স্মার্টফোনের মতো সাবমেনু-গুলি এলোমেলো হয়ে যায় না৷''

কোনো একটি বিশেষ গান পছন্দ হলে বোতাম টিপে অ্যাপ-কে তা জানিয়ে দেয়া যায়৷ অ্যাপ তখন সেটা মনে রেখে ধীরে ধীরে আলেক্স-এর পছন্দ বুঝে নিতে পারে৷

আউপেও-র ডেভেলপারদের কাছে সেই পছন্দের প্রবণতা জমা থাকে৷ এই সফটওয়্যার যেভাবে স্মার্টফোন-এর গণ্ডি পেরিয়ে দামি গাড়ির অন-বোর্ড ইলেকট্রনিক্স-এর মধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছে, তার ফলে তাঁরা বেশ গর্বিত৷ কোম্পানির প্রধান হলগার ভাইস ভাবতেই পারেন নি, এটা এত দ্রুত ঘটবে৷

তিনি বলেন, ‘‘২০০৮ সালে আমরা কোম্পানিটি শুরু করেছিলাম৷ তখনই আমরা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গাড়ির কথা ভেবেছিলাম৷ আমরা জানতাম, মিউজিক স্ট্রিমিং, ইন্টারনেট – এ সব গাড়িতেও আসবে৷ মনে হয়েছিল, ২০১৪ বা ১৫ সালে এটা ঘটবে৷ কারণ অটোমোবাইল শিল্পে সবকিছু অনেক বেশি সময় ধরে চালু থাকে৷''

বিশাল ভাণ্ডার, পেছনে পরিশ্রম

আউপেও কোম্পানির সার্ভারে ৮ লাখেরও বেশি গান রয়েছে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সব সিডি থেকে কান কপি করা হয়েছে৷ বিশেষজ্ঞ কর্মীরা হাতে করে এর ক্যাটালগ তৈরি করেন৷ যেমন কোন গান রক-ক্লাসিক ঘরানার, কম্পিউটারের পক্ষে এখনো তা বোঝা সম্ভব নয়৷ তাছাড়া প্রতিটি গানের একাধিক ফাইল সেভ করা হয়৷ যাতে ইন্টারনেট সংযোগের গতি অনুযায়ী গ্রাহকরা উপযুক্ত সাইজের ফাইল স্ট্রিম করতে পারেন৷ সিডি দিয়েই তা সবচেয়ে ভালোভাবে সম্ভব৷

বার্লিনের দপ্তরে ১২টি দেশের কর্মীরা কাজ করেন৷ কিছুদিন হলো জাপানের প্যানাসোনিক কোম্পানি আউপেও কিনে নিয়েছে৷ তারা অটোমোবাইল ক্ষেত্রে আরও সক্রিয় হতে চায়৷ হলগার ভাইস বলেন, ‘‘এটা সত্যি একটা কাকতালীয় ঘটনা বটে৷ আমরা অটোমোবাইল শিল্পের জন্য নিজেদের জোরালোভাবে প্রস্তুত করেছি৷ কিন্তু গাড়ির কোম্পানি প্রথমেই জানতে চায়, সাপ্লায়ার হিসেবে আমরা কি ৫, ৬ বা ৭ বছর ধরে টিকে থাকবো? তাই বেশ দম নিয়ে কাজে নামতে হয়৷''

৪২টি দেশে আউপেও-র শ্রোতার সংখ্যা প্রায় ১৫ লক্ষ৷ গাড়ি চালাতে চালাতে আলেক্স হোফমান অ্যাপ নিয়ে বেশ খেলা করছিলেন৷ কিন্তু তাতে মনোযোগ রাস্তা থেকে কতটা সরে যায়? হোফমান বলেন, ‘‘গাড়ি চালানোর সময় একটু অন্যমনস্ক করে দেয় ঠিকই, কিন্তু এতটাও নয় যে বিপদ হতে পারে৷ অবশ্যই চালক যদি মেনু আর সাব-মেনু নিয়ে খুব বেশি করে মেতে ওঠে, তাহলে ব্যাপারটা অবশ্য আলাদা৷''

গাড়ি চালাতে চালাতে অ্যাপ-এর কারণে অন্যমনস্ক হওয়া – সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় গাড়ি চালু হলে এই সমস্যা অবশ্য আর থাকবে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ