1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজসাউথ আফ্রিকা

গাড়ির কসরৎ দেখিয়ে বিখ্যাত কুইন অফ স্মোক

২৬ জুলাই ২০২৪

গাড়ি চালানো শেখা অনেকের কাছে কঠিন মনে হয়৷ সেই গাড়ি নিয়ে কসরৎ দেখানো তো আরো বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে৷ দক্ষিণ আফ্রিকার এক লাজুক কিশোরী সেই অসাধ্যসাধন করে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছেন৷

চিলিতে গাড়ি রেসিংয়ের একটি ছবি
প্রতীকী ছবি: ‘প্রোফেশনাল কার স্পিনিং' জগতে পুরুষদের আধিপত্য সত্ত্বেও স্টেসি-লি হাতে গোনা কয়েকজন নারীদের একজনছবি: Porsche/Cover-Images/IMAGO

স্টেসি-লি মে ‘কুইন অফ স্মোক' হিসেবে পরিচিত৷ ‘প্রোফেশনাল কার স্পিনিং' জগতে পুরুষদের আধিপত্য সত্ত্বেও স্টেসি-লি হাতে গোনা কয়েকজন নারীদের একজন৷ তিনি কী ভাবে পুরুষ প্রতিযোগীদের হারাতে পেরেছেন?

তবে ‘কুইন অফ স্মোক' হওয়ার পথে বাধা পেরোনোর কাহিনি শোনার আগে জানা যাক, ঠিক কোন বিষয়টি তাঁকে আকর্ষণ করে৷ স্টেসি বলেন, ‘‘আমার কাছে স্পিনিংই সব কিছু, কারণ এই কাজ আমাকে নিজের স্বাচ্ছন্দ্যের বৃত্ত থেকে বার করে এনে আমাকে দিয়ে অসাধারণ কিছু করিয়েছে৷ তখনো আমি এলদোসের ছোট্ট লাজুক মেয়ে ছিলাম৷''

কার স্পিনিং নিয়ে তাঁর এই নেশা কীভাবে শুরু হয়েছিল, সে বিষয়ে স্টেসি বলেন, ‘‘বাবা যখন স্পিনিং করতেন, তখন তার এক বন্ধু ছিল৷ আজও তিনি স্পিনিং করেন৷ তার নাম ফানি৷ আমার যখন ১৬ বছর বয়স, ম্যাট্রিক করছি, তখন তিনি বাসায় এসেছিলেন৷ সে দিন আমি কাঁদতে কাঁদতে স্কুল থেকে ফিরেছিলাম, কারণ বাকিদের তুলনায় আমার বয়স কম হওয়ায় প্রায়ই সবাই আমাকে রাগাতো৷ তখন বাবা আর তিনি ঠিক করেছিলেন, তারা আমাকে পুরুষে পরিণত করবেন৷ তারা আমাকে গাড়ি স্পিন করতে দেবেন৷''

স্টেসি-লি মে ধাপে ধাপে এই কসরৎ শুরু করেন৷ তার পর হাত পাকিয়ে এখন খ্যাতিপ্রোফেশনাল কার স্পিনার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি যখন স্পিনিং শুরু করলাম, আমার একটা কালো রংয়ের ই-থার্টি ক্যাব্রিওলে ছিল৷ সেটাই ছিল আমার প্রথম স্পিনিং-এর গাড়ি৷ তারপর অন্য গাড়ি এলো৷ জানেন তো, গাড়িরও আয়ু রয়েছে৷ গাড়িটা পুরানো হওয়ায় বেশিদিন টেকে নি৷ তারপর আমরা চার দরজার সবুজ ই-থার্টি গাড়ি নিলাম৷ আমার বাবা তাতে হালকা গোলাপি রং লাগালেন৷ তখনই আমরা আরো পেশাদারি পথে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিলাম৷ তখন আমরা গাড়িটিকে স্প্রে পেইন্ট করে গোলাপি ও ধূসর করে তুললাম৷ স্তনের ক্যানসারের কারণে আমার দাদির মৃত্যু হওয়ায় আমরা সে বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে গোলাপি রং ব্যবহার করেছিলাম৷ সেটা আমাদের জন্য জরুরি ছিল৷ পাশের দরজাটি খুললে দেখবেন, যে গাড়ির ভেতরটা এখনো গোলাপি থেকে গেছে৷''

এককালের ছোট লাজুক মেয়েটি সত্যি অনেক দূর এগিয়েছে৷ চালকের আসনে বসে সে নিজের হাতে নিয়ন্ত্রণ তুলে নিয়েছে৷ ১৯৯০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যাংস্টার বা দুর্বৃত্তরা কার স্পিনিং জনপ্রিয় করে তোলে৷

কুইন অফ স্মোক

04:09

This browser does not support the video element.

গোটা দেশ জুড়ে পরিচিতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটি মোটর স্পোর্টস হয়ে ওঠে৷ কিন্তু কিশোরী হিসেবে তিনি কেন এর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন? স্টেসি বলেন, ‘‘পাঁচ বছর বয়সে আমি প্রথম কার স্পিনিং দেখেছিলাম৷ প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে ওরা গোপনে মিলিত হয়ে কার স্পিনিং করতো৷ এমন জায়গায়, যেখানে পুলিশ তাদের খুঁজে পাবে না৷ আমি জানতাম ওরা বেপরোয়া কাজ করছে৷ কিন্তু আমার বাবা-মা আমাদের সেই শো দেখাতে নিয়ে যেতেন৷ বাবা-মা-র সঙ্গে থাকার কারণে আমরা নিরাপদ থাকতাম৷ কিন্তু কিছু একটা ভিন্ন স্বাদ পেতাম৷ কার স্পিনিং রোমাঞ্চকর লাগতো৷ গোঁ গোঁ শব্দ, মানুষের উল্লাস৷ একেবারে ভিন্ন স্বাদের অভিজ্ঞতা, ভিন্ন এক জগত৷ আমরা গোটা জীবন জুড়ে সেটা নিয়ে আচ্ছন্ন রয়েছি৷''

প্রোফেশনাল কার স্পিনার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে স্টেসি-লি মে বলেন, ‘‘গাড়ি চালানো শেখানোর আগেই ওরা আমাকে সত্যি স্পিন করতে শিখিয়েছিল৷ ফলে আইন মেনে রাজপথে গাড়ি চালানোর আগেই আমি স্পিনিং করছিলাম৷ অ্যালবার্টনে হুইলস এন স্মোক-এ ‘কিংস অ্যান্ড কুইনস অফ স্মোক' নামের এক বাৎসরিক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়৷ ২০১৪ সাল থেকে কোভিডের আগে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আমি কুইন অফ স্মোক খেতাব জিতেছি৷ দ্বিতীয় বছর জেতার পর আমার মা আমাকে কুইন অফ স্মোক নামে ডাকতে শুরু করেন৷ চার্লিজ থেরন দক্ষিণ আফ্রিকায় আসার আগে কেউই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি৷ তিনি আমাকে কুইন অফ স্মোক নামে ডাকার পর থেকে সবই সেই নাম ব্যবহার করতে শুরু করে৷''

এখন স্টেসি লি কুইন অফ স্মোক হয়ে উঠেছেন৷ কিন্তু শীর্ষে পৌঁছানোর সেই পথ মোটেই সহজ ছিল না৷ কয়েক বছর ধরে তিনি বেশ কয়েকটি ক্রিড়া ও মোটর গাড়ির বিজ্ঞাপন করে আসছেন৷ এখনো পর্যন্ত তিনি বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন৷

পাত্রোনেলা ডিডরিক্স/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ