1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাড়ির টায়ার পরীক্ষা

১২ জুন ২০১৭

অত্যাধুনিক মডেলের গাড়ি দেখে অনেকেই মুগ্ধ হয়৷ গাড়ির নিজস্ব গুণাগুণের পাশাপাশি গাড়ির টায়ারের বৈশিষ্ট্যও অত্যন্ত জরুরি৷ জার্মানির এক বিশেষজ্ঞ তাঁর জ্ঞান ও ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় কাজে লাগিয়ে এ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখছেন৷

Autoreparatur TÜV
ছবি: Fotolia/jörn buchheim

গাড়ির টায়ার কতটা মজবুত, তা পরীক্ষা করা হয়৷ পরীক্ষার সময় পেশাদারি চালকরা চাকার সহ্যশক্তির সীমা পরখ করেন৷ এমন চরম অবস্থায় টায়ারের প্রতিক্রিয়া জানা প্রয়োজন৷ ওলে ইয়ানসন অন্যতম বিশেষজ্ঞ চালক৷ তাঁর মূল্যায়নের ভিত্তিতে স্থির হয়, নতুন কোন টায়ার বড় আকারে উৎপাদন করা হবে৷ গাড়ি চালানোর আদর্শ অনুভূতি সম্পর্কে তাঁর যেন ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় রয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘টায়ারগুলির মধ্যে তফাত বুঝতে এক ধরনের বিশেষ সংবেদনশীলতা থাকা প্রয়োজন৷ পার্থক্য বের করতে অনেকগুলি টায়ারের তুলনা করা হয়৷ অনুভূতি অনুযায়ী আমরা কাজ করি৷’’

নিজের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের উপর পুরোপুরি আস্থা আছে তাঁর৷ বাঁক নেবার সময় কেঁপে গেলে, জল বা বরফের উপর পিছলে গেলে অথবা টায়ারের শব্দ শুনলে সব কিছু মনে রাখতে হয়৷ নিখুঁত পরিমাপ যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষার পাশাপাশি গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতার মূল্যায়নও অত্যন্ত জরুরি৷ হাইটেক সেন্সর ভেজা রাস্তায় ব্রেক করার সময় টায়ারের প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করে৷ আদর্শ ‘ট্রিড’ থাকলে তবেই পিছলে যাবার আশঙ্কা কমবে৷ তবে গাড়ি চালানোর অনুভূতি বোঝার ক্ষেত্রে ওলে ইয়ানসন-এর মতো বিশেষজ্ঞ চালকের তুলনা নেই৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা অবশ্যই আমাদের শরীর, মন দিয়ে অনুভব করি৷ গাড়িতে বসে শরীরের বিভিন্ন অংশের স্পর্শ টের পাই৷ বিশেষ করে সিটে বসার পর৷ অর্থাৎ গোটা শরীর দিয়েই অনুভূতি আসে৷’’

আদর্শ টায়ারের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে ট্রিড-এর মধ্যে৷ ব্রেক করার সময় টায়ার যেন রাস্তা কামড়ে ধরে এবং দ্রুত গতির সময় যেন যতটা সম্ভব কম ঘর্ষণ হয়৷ প্রথমে হাতে করে পরিকল্পিত টায়ারের প্রোটোটাইপ তৈরি করা হয়৷ ইঞ্জিনিয়ার ড. হল্গার লাঙে বলেন, ‘‘হাতে খোদাই করে প্রোটোটাইপ তৈরি করতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়৷ অত্যন্ত সূক্ষ্ম সেই ডিজাইন৷ রবারের মতো নরম ও নমনীয় উপকরণের ক্ষেত্রে কাজটা বেশ জটিল৷ তবে এটা বলতেই হবে, যে ভালো কারিগর আজও যন্ত্রের তুলনায় অনেক বেশি দক্ষ৷’’

টায়ারের ট্রিড কতটা নিখুঁত হবে, কারিগরের দক্ষতার উপর তা নির্ভর করে৷ একটি নমুনা তৈরি করতে প্রায় ৪০ ঘণ্টা সময় লাগে৷ সবকিছু একেবারে নিখুঁত হতে হবে৷ প্রত্যেক ধরনের টায়ারের ট্রিড তার গুণাগুণ অনুযায়ী হতে হবে৷ নতুন মডেলের গাড়ির জন্য একটি টায়ার যথেষ্ট নয়৷ হাতে খোদাই করে এমন চারটি টায়ার তৈরি করতে হয়৷ হুবহু এক ডিজাইনের হতে হবে৷

ওলে ইয়ানসন সব পার্থক্য ধরতে পারেন৷ তাঁর বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে রায় দিতে পারেন, নতুন মডেল উৎপাদনের উপযুক্ত হয়ে উঠেছে কিনা৷ ট্রিড-এ প্রত্যেকটি ত্রুটি তিনি ধরতে পারেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এক ধরনের দু’টি টায়ারের মধ্যে সরাসরি তুলনা করার সময় দু'রকম খোদাই করা ট্রিড থাকলে আমি ঠিক বুঝতে পারি৷ এটাই আমার পেশা, তফাত বোঝা আমার কাজ৷ এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার আলাদা মূল্য রয়েছে৷’’

পরীক্ষার সময় ওলে ইয়ানসন-কে নতুন প্রোটোটাইপের দুর্বলতাগুলি শনাক্ত করতে হয়৷ কারণ তাঁর সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে, সেই প্রোটোটাইপ বড় আকারে উৎপাদন করা হবে কিনা৷ তাঁর ক্ষমতার উপর ভরসা করা যায় বৈকি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ