1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাদ্দাফি গোটা বিশ্বের জন্য হুমকি, বললেন বিদ্রোহী নেতা

২৯ আগস্ট ২০১১

গত সপ্তাহে রাজধানী ত্রিপোলি দখল করে লিবিয়ার বিদ্রোহীরা যে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছিল, গাদ্দাফি বাহিনীর লাগাতার প্রতিরোধ ও বাস্তব পরিস্থিতির ফলে তা কিছুটা ম্লান হয়ে গেছে৷

ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণ এখন বিদ্রোহীদের হাতেছবি: DW

যতদিন ত্রিপোলি দখল বাকি ছিল, ততদিন বিদ্রোহী বাহিনীর সামনে একটি লক্ষ্যই কাজ করেছে৷ আজ দক্ষিণের কিছু অংশ ছাড়া রাজধানীর প্রায় পুরোটাই দখল হয়েছে বটে, কিন্তু গাদ্দাফি ও পুত্ররা এখনো পলাতক৷ দেশের কিছু বিচ্ছিন্ন এলাকা সহ গাদ্দাফির জন্মস্থান সির্ত শহরও এখন দখল করতে পারে নি বিদ্রোহীরা৷ ন্যাটো তাদের সাহায্য করতে শহরের উপর ক্রমাগত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে৷ সেখানে গাদ্দাফি স্বয়ং লুকিয়ে রয়েছেন কি না, তাও স্পষ্ট নয়৷ বিদ্রোহী পরিষদের প্রধান মুস্তফা আবদেল জলিল বলেছেন, শুধু লিবিয়া নয় – গাদ্দাফি গোটা বিশ্বের জন্য হুমকি হয়ে রয়েছেন৷ ফলে গাদ্দাফি ধরা পড়া পর্যন্ত লিবিয়ার উপর ন্যাটোর হামলা চালিয়ে যাওয়া উচিত বলে তিনি বলেন৷ তিনি কাতারের রাজধানী দোহায় ন্যাটোর লিবিয়া অভিযানের কমান্ডারদের সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা করেছেন৷

দোহায় বিদ্রোহী পরিষদের প্রধান মুস্তফা আবদেল জলিলছবি: dapd

লিবিয়ার সামগ্রিক পরিস্থিতি

বিদ্রোহীদের সামনে এখন আসল চ্যালেঞ্জ হলো দেশের হাল ধরা৷ জল ও বিদ্যুতের মতো মৌলিক পরিষেবা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের বন্দোবস্ত করতেই তারা হিমশিম খাচ্ছে৷ তাছাড়া হাসপাতালগুলির অবস্থা করুণ৷ সেখানে যথেষ্ট সংখ্যক ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী নেই৷ ওষুধপত্রের যোগানও কম৷ আসন্ন ঈদের ছুটির আগে মানুষ ব্যাংকে লাইন দিয়ে টাকা তোলার চেষ্টা করছে৷ সোমবার ত্রিপোলিতে মাত্র ৩টি ব্যাংক খোলার ফলে গ্রাহকদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে৷ বিদ্রোহী পরিষদ বিদেশে বাজেয়াপ্ত গাদ্দাফি প্রশাসনের অর্থ দ্রুত দেশে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ তারা এই লক্ষ্যে আরব লিগের সাহায্যও চেয়েছে৷ এর মধ্যে ত্রিপোলিতে ফ্রান্সের দূতাবাস আবার কাজ শুরু করেছে৷

ত্রিপোলির বাসিন্দাদের এভাবে জল সংগ্রহ করতে হচ্ছেছবি: dapd

লকারবি বিমান বিস্ফোরণের নায়ক আল মাগ্রাহি'কে ঘিরে উত্তেজনা

 প্রায় দু'বছর আগে আব্দেল বাসেত আল মাগ্রাহিকে মানবিক কারণে মুক্তি দিয়েছিল স্কটল্যান্ড সরকার৷ তা নিয়ে বিতর্ক কম হয় নি৷ যাই হোক, মারাত্মক প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত আল মাগ্রাহি ত্রিপোলি ফিরে যান৷ তারপর তিনি বেপাত্তা ছিলেন৷ এতদিন পর তাকে আবার চিহ্নিত করেছে এক টেলিভিশন টিম৷ মৃতপ্রায় সেই ব্যক্তিকে ঘিরে আবার আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে৷ স্কটল্যান্ডের সরকার আজ জানিয়ে দিয়েছে, আল মাগ্রাহিকে আবার প্রত্যর্পণের কোনো উদ্যোগ তারা নেবে না৷ বিদ্রোহী পরিষদও জানিয়ে দিয়েছে, একবার আল মাগ্রাহির বিচার হয়ে গেছে, দ্বিতীয়বার তার বিচারের কোনো প্রয়োজন নেই৷ এনটিসি'র বিচারমন্ত্রী মহম্মদ আল আলাগি বলেছেন, কোনো লিবীয় নাগরিককে পশ্চিমের কোনো দেশের হাতে তুলে দেওয়া হবে না৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ